সংঘর্ষ
কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে শুক্রবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এ সহিংসতার জন্য দুইপক্ষ পাল্টিাপাল্টি দোষারোপ করেছে।
এদিন কেরাণীগঞ্জে বিরোধী দলের কর্সূচিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আজহার বাঙ্গালীর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল সমাবেশ চলাকালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে দাবি করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- কেরাণীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাজ্জেদ হোসেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগসহ দলের ১০ দফা দাবি ঘরে তুলতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে, আজহার বাঙালি দাবি করেন যে তিনি ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উভয় পক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
নরসিংদীর সদর উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ৭
নিহত ছাত্রদল কর্মীর নাম আশরাফুল ইসলাম (২২)।
এর আগে, বৃহস্পতিবার কপালে আঘাত পেয়ে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক (৩২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানানো হয়েছে।
জানা যায়, চার মাস আগে ছাত্রদলের জেলা শাখার ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির পদাধিকারী ও কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাড়ির পাশে জেলা বিএনপির কর্মসূচির পক্ষে মিছিল করে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতারা।
হঠাৎ মিছিলে ছাত্রদলের একটি দল গুলি চালায় বলে জানান সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নতুন কমিটির পদবঞ্চিত সদস্য মাঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, সাদেকের কপালে ও আশরাফুলের উরুতে গুলি লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রদলনেতা নিহত, আহত ১
নরসিংদীতে মা-মেয়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে বাস
সিটি কলেজ এলাকায় সংঘর্ষ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ ১৭ আসামি কারাগারে
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ২০ নেতাকর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশীদ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এদিন রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে।
যার মধ্যে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় ছিল ১০ জন।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিন দিন এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ২ মামলা
আদালতে আসামি পক্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় আট জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৩ মে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির শংকর এলাকায় সমাবেশ করে বেলা তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু করে।
এ পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আর ধানমন্ডি থানায় করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ধানমন্ডিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ২ মামলা
রাজধানীর ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৯৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বুধবার দুটি মামলা করা হয়েছে।
ধানমন্ডি থানা ও নিউমার্কেট থানায় পুলিশ মামলা দুটি করেছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, এদিন দলের মিছিলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৫২ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত অনেকের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গণি সাবু জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৬ জন বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
ওসি বলেন, বাদীর দাবি যে বিএনপির লোকজনের হামলায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দলের পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচির পর মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সিটি কলেজের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সিলেটে শিশুদের ঝগড়ার জেরে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিলেটের গোয়াইনঘাটে শিশুদের ঝগড়ার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাও ইউনিয়নের তিতকুলি হাওর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত জিন্দার আলী (৪০) ওই উপজেলার তিতকুল্লী হাওরের জয়দর আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তার নারীর নাম রাশেদা বেগম।
আরও পড়ুন: সিলেটে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ২ শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জিন্দার আলীর ছেলে ও প্রতিপক্ষ সামছুল ইসলামের ছেলের মধ্যে পার্শ্ববর্তী খেতে প্রথমে গরু চড়ানো ও পরে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে উভয়পক্ষের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে শামসুল ইসলামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জিন্দার আলীর লোকজনের ওপর হামলা চালালে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এ সময় আহতদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জিন্দার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শিশুদের মধ্যে গরু চড়ানো ও খেলাধুলার ঘটনায় ঝগড়ার জের ধরে দুই পক্ষে মারামারি হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জিন্দার আলী মারা যান।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কুলসুম বেগম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল শুরু
সারাদেশের সঙ্গে ফের সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের সামনে মঙ্গলবার পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানাতে বিকালে ধানমন্ডি এলাকায় পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
পদযাত্রা শেষে তারা একটি মিছিল বের করে, যা সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
তারা সিটি কলেজের দিকে অগ্রসর হলে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ছোঁড়ে ও লাঠিচার্জ করে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেয়।
ডিসি আশরাফ আরও বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে।’
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ
নড়াইলে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা
নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার তিনদিন পর মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২১ মে) রাতে কাদের গ্রুপের সমর্থক আকিদুল মোল্যা বাদি হয়ে ২৭ জনের নামে মামলাটি করেছেন।
কালিয়া উপজেলার চালিতাতলা গ্রামে গত শুক্রবারের (১৯ মে) এ ঘটনায় ছয় জন গুলিদ্ধিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। মারাত্মক আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কাকা মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার এ গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হমিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাকা মিয়া মোল্যা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক কাদের মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলে আসছে।
তারই ধারবাহিকতায় ঘটনার দিন খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার হরিদাশবাটি গ্রামের নেছার আলী মীরের ছেলে সেলিম মীর কাদেরের বাড়িতে একটি জমির ম্যাপ নিতে আসে। ম্যাপ নিয়ে ফেরার পথে কাকা মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সেলিমকে (৩৫) মারপিট করে আহত করলে কাদের গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে রাস্তায় পেয়ে কাদের সমর্থকরা জাকির মোল্যা (৪৫) ও আমিনুর শেখ (৩৮) নামে কাকা মোল্যার দেই সমথর্ককে মারধর করে। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে কাকা মোল্যার ছেলে হোসেন মোল্যা লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়লে বেবী বেগম (৫০), মিকাইল মোল্যা (৪৫), সরোয়ার মোল্যা (৩৫), রমিম মোল্যা (২৫) ও রবি মোল্যা (৩০) গুলি বিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে কাদের গ্রুপের সমর্থক আকিদুল মোল্যা বাদি হয়ে কাকা মিয়া গ্রুপের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
এছাড়া কাকা গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
দলনেতা কাকা মোল্যা অসুস্থ থাকার কারণে দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তার ছেলে হোসেন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে তারা আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
অপর দলপতি মো. কাদের মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে সেলিম মীরকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কাকার বাড়িতে কেউ যায়নি। তার সমর্থকদের ঘায়েল করতে মিথ্যা অজুহাতে হোসেন গুলি করেছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ টহলে রয়েছে। কাকা মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
পটুয়াখালী সদর উপজেলায় পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ)ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যলয়ের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে বনানী মোড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
জেলা বিএনপি সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সমাবেশে হামলা শুরু করলে উভয়েই সম্মুখ সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৯; ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুর ৩টিতে আগুন
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শহরের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এসপি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেছে, তবে কত রাউন্ড ব্যবহার হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিএনপির জেলা শাখা তাদের ১০ দফা দাবির পক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং আজ বিকালে একটি হোটেলে তাদের সমাবেশে ‘হামলার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।
এদিকে, সকালে স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সহ-সভাপতি সুলতান আহমদ মৃধা প্রমুখ।
জেলা আ.লীগের সভাপতি বলেন, তাদের সমাবেশে ‘হামলার’ অভিযোগে তারা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
জৈন্তাপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩
সিলেটের জৈন্তাপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাটাগাং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিকআপ চালক রায়হান (২০) মারা গেছেন।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে তিনজনে।
নিহত রায়হান জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত তেলিজুড়ী গ্রামের আরব আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আবুল কাশেম আজাদ।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
এর আগে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বালু ভর্তি একটি ট্রাক ও জৈন্তাপুর বাজারে নিয়ে আসা গরুবোঝাই ডিআই পিকআপের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে দু'টি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। এতে পিকআপ গাড়িতে থাকা দুইজন গরুর মালিক নিহত হন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লুৎমাইল হেলিরাই গ্রামের হাবিব উল্লার পুত্র নুরুল ইসলাম (৪৫), একই গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র শাহেদ আহমদ (৩৫), দরবস্ত তেলিজুড়ী গ্রামের আরব আলীর পুত্র রায়হান আহমদ (২০)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন। আহতরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট ডৌডিক গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ট্রাকচালক মামুন আহমদ (৩৫) ও লুৎমাইল গ্রামের ওয়ারিস আলীর পুত্র রুহল আমিন (৩৪)।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক মোড়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত