হাইকমিশনার
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার
চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টায় তিনি সেখানে যান।
এ সময় চট্টগ্রামে শুভেচ্ছা সফররত ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কিলতানের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার অরিজিত পান্ডে তার সঙ্গে ছিলেন।
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে হাইকমিশনার পুষ্পস্তবক দিয়ে অবিভক্ত ভারতের ২০৭ জন সৈনিককে সম্মান জানান। যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাতির সেবায় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
এর মধ্যে বর্তমান পাকিস্তানের ৭৭ জন এবং বাংলাদেশের ১০ জন সৈন্য রয়েছে।
শহীদ সেনাদের সম্মানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি অনার গার্ড প্যারেড করা হয়।
ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় গৃহীত হচ্ছে।
সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ.বি.এম. আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ শতাংশ।
এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।
এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্কের জন্য পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে
বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, পর্যটন খাত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জনগণকে কাছাকাছি আনার জন্য একটি সেতু হিসেবে কাজ করছে এবং প্রতিটি জাতির অফার করা অনন্য সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য আমাদেরকে অনুভব করার সুযোগ করে দিচ্ছে।’
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) নেটওয়ার্কিং ডিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশে রোডশো’র কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ২০২২ সালে এক কোটিরও বেশি পর্যটক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে।
তিনি বলেন, ‘এতে বোঝা যায় যে মালয়েশিয়া ২৬ মিলিয়ন পর্যটকের আগমন ফিরিয়ে আনার পথে রয়েছে। ২০২২ সালে ১০ মিলিয়ন পর্যটকের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
হাইকমিশনার বলেন, অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলাতে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় স্থান এবং সেবা পণ্যগুলিকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আরও বেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চিকিৎসা, শিক্ষামূলক ও ইকোট্যুরিজমকেও প্রচার করতে সচেষ্ট।
তিনি বলেন, ট্যুরিজম মালয়েশিয়া রোডশো আমাদের অংশীদারিত্বের অপার সম্ভাবনা এবং সামনের সুযোগগুলো প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং রন্ধনসম্পর্কীয় মিল রয়েছে, যে কারণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
তিনি বলেন, ‘এবং মালয়েশিয়ায় হালাল খাবার পাওয়া কখনই কোনো সমস্যা না। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদেরকে মালয়েশিয়ায় আরও ছুটির প্যাকেজ বিকাশ ও বিক্রি করতে উৎসাহিত করছি, যাতে বিশেষ পণ্য যেমন মেডিকেল ট্যুরিজম, বিলাসবহুল ভ্রমণ, শিক্ষা পর্যটন এবং স্পা এর ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী
দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্ক বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভবিষ্যত সম্পর্ক বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সংযোগ সড়ক ও রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, উপকূলীয় শিপিং এবং একই সঙ্গে জ্বালানি ও ডিজিটাল সংযোগসহ বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে।
মঙ্গলবার (২মে) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’-শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাইকমিশনার ভার্মা তার বক্তব্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মানুষে-মানুষে সম্পর্ক উন্নয়নের সুবিধার্থে সংযোগের দীর্ঘমেয়াদী তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য, ঐতিহাসিক সম্পর্ক, এবং ভৌগলিক নৈকট্যের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই দুই দেশের সরকার ও অন্যান্য অংশীজনেরা পারস্পরিক বাণিজ্য বেগবান করতে সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে মনযোগি হয়েছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে বেশ কিছু সাফল্য এসেছে বলেও মনে করেন তিনি।
সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র ডিস্টিঙ্গুইশড ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর নির্বাহী পরিচালক টি.আই.এম. নুরুল কবির, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়েব চৌধুরী, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ-এর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় হাইকমিশনার
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হলেও পরস্পরের সঙ্গে যতোটা বাণিজ্য হওয়া সম্ভব তাদের মধ্যে তা দেখা যাচ্ছে না। এজন্য পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের জন্য এককভাবে সড়ক বা রেল বা জলপথে পণ্য পরিবহনের দিকে না গিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করা গেলে তা বিশেষ সুফল দিবে।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো ও লজিস্টিকস-এর ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।
এসময় ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর কেটে গেলেও পরের মাত্র ৩ বছরেই এই পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের বিশেষ মনযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরার ব্যবসায়িদেরকে সহজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করে দেয়া গেলে উভয় দেশের জনগণই এর সুফল ভোগ করবেন।
এছাড়াও বক্তারা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতা, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সাধারণ নীতিমালা নিশ্চিতকরণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘লন্ডন মাল্টিলিংগুয়াল ডে’ পালনের আহ্বান
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘লন্ডন মাল্টিলিংগুয়াল ডে’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব হাইকমিশন খুব শিগগিরই লন্ডনের মেয়রের কাছে পাঠাবে।’
গত মঙ্গলবার (২১শে ফেব্রুয়িারি) সন্ধ্যায় লন্ডনের কেন্জিংটনের একটি হোটেলে ‘সেফগার্ডিং ইন্ডিজেনাস ল্যাঙ্গুয়েজেস থ্রু ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন’-শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সাঈদা মুনা এ আহ্বান জানান।
এসময় তিনি যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০টি এবং লন্ডনে প্রায় ২০০টি মাতৃভাষার প্রচলন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটিকে ‘লন্ডন মাল্টিলিংগুয়াল ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা খুবই যৌক্তিক এবং এবিষয়ে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি সকল দেশের রাষ্ট্রদূতগণ অভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন।’
হাইকমিশনার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যদের তাদের নিজ নিজ এলাকার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে লন্ডন মেয়রের নিকট এবিষয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
তাছাড়া তিনি বাংলা ভাষা শিক্ষা এবং চর্চার জন্য যুক্তরাজ্যে কমিউনিটি সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ গ্রহণ করলে হাইকমিশন বিনামূল্যে বাংলা বই সরবরাহ করতে সহায়তা করবে বলেও জানান।
তিনি তার বক্তব্যে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ-এর প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ৫২-র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন এবং একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পাওয়া, বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগসহ বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করনে।
অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পেট্রিসিয়া তার বক্তব্যে এবছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্যের উল্লেখ করে প্রতিটি দেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও চর্চার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনকে মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও চর্চার ক্ষেত্রে এক অনন্য নজীর বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভাষা ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় যারা প্রাণ দিয়েছিলো, তাদের সেই আত্মদান থেকে আজও আমরা অনুপ্রেরণা নিতে পারি।’
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য পল ব্রিস্টো অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নয়া দিল্লির বাংলাদেশ মিশন
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি অমর একুশের মহান আদর্শ ধারণ করে আছে, যা আগামী দিনগুলোতেও এদেশে নিজ নিজ মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অন্য ভাষার মানুষকেও উৎসাহ যোগাবে।’
যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ অনুষ্ঠানে লন্ডনে অবস্থিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ১৭টি দূতাবাসের কূটনীতিক ও প্রতিনিধি এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এছাড়া হাইকমিশনের স্মারক অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক যুক্তরাজ্যে ইউনেস্কোর জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধি ম্যাথিউ রাবাগলিয়াতি, ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিনিধি ও'বায়ার্ন মুলিগান ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ এবং দূতাবাসগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পীরা ভাষা শহীদদের উৎসর্গ করে নিজ নিজ ভাষায় মনোজ্ঞ সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
এছাড়াও, উদীচী স্কুল অব পারফরমিং আর্টসের শিশু-কিশোর শিল্পীরা সমবেত কন্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- অমর সঙ্গীতটি পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতীকী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাষায় শ্রদ্ধাঞ্জলি
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারের সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিনের আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর হবে নতুন দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফর। তাই সফরটি দু’দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উক্ত সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে তার আগ্রহের কথাও জানান। হাই কমিশনার বাংলাদেশে তার এই গুরুত্বপূর্ণ সফরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং সফরটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আইনমন্ত্রী
এছাড়াও, তারা স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে আরও অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগের ক্ষেত্রে দু’পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
হাই কমিশনার মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অনথিভুক্ত বাংলাদেশিদের যাতে রিক্যালিব্রেশন-এর আওতায় সহজ প্রক্রিয়ায় বৈধ করা হয় তার জন্য মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। প্রত্যুত্তরে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট
বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত- বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রদর্শন: হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন প্রদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ৫৮তম ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদ্যাপনের জন্য সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার ভার্মা বলেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীদের একজন হিসেবে বাংলাদেশ আইটেক প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
এই বছর সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি উন্মোচনকে তিনি একটি উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি।
যেখানে বাংলাদেশ প্রতিবছরে আইটেক-এর জন্য ৫০০টি ডেডিকেটেড স্লট প্রাপ্ত হয়, এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আইটেক, ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করে আসছে। প্রতিবছর, অ্যাকাউন্টস, অডিট, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং ও রিনিউয়েবল এনার্জির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশগুলোকে প্রথম সারির ভারতীয় ইনস্টিটিউটসমূহে ১০ হাজার টিরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেয়া হয়ে থাকে।
আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ অগ্রণী ও সুযোগ্য অংশীদার। এমনকি ২০২০-২১ সালে কোভিড মহামারিও এই উৎসাহ হ্রাস করতে পারেনি, যখন ই-আইটেক-এর অধীনে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। ৪ হাজার ৫০০-এরও বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনাল আইটেক প্রোগ্রামের অধীনে ভারতে এই জাতীয় বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী কোর্স করেছেন।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রতিভাধরদের সঙ্গে সেরা ভারতীয় অনুশীলনগুলো সহভাগিতা করার সুযোগ দেয়।
ফলস্বরূপ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রেই অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইটেক দিবসের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের পাশাপাশি, নানান ক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৫০ জন আইটেক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট অ্যালামনাইদের মাঝে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্যের যুগলবন্দীর একটি ছোট সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সরবরাহ চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই সিইপিএ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও চেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশনের জন্য সিইপিএ-এর আলোচনা দ্রুত এবং যথাসময়ে সম্পন্ন করতে উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থল বন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর যানজট নিরসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
হাইকমিশনার সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং উপকূলীয় শিপিংয়ের মাধ্যমে উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীকরণ এবং মাল্টি-মডেল সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) এর একটি প্রতিনিধি দল, যা পরিদর্শনের জন্য ঢাকায় রয়েছে, এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই
কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিসের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তার্ক -এর সঙ্গে এক বৈঠকে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী।
এসময় তিনি মানবাধিকার রক্ষা ও সমুন্নত রাখার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টাকে সফল করতে জাতিসংঘের অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। আইনমন্ত্রী হাইকমিশনারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তার অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথাও অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: নতুন আইন বাস্তবায়নের সময় কিছু অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়: আইনমন্ত্রী
এসময় হাই কমিশনার ভলকার তার্ক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের মানবীয় উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতের শুরুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নবনিযুক্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর ভলকার তার্ক জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বৈঠকে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ অফিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জেনেভা সফরকালে আইনমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নবনিযুক্ত ডিরেক্টর জেনারেল গিলবার্ট এফ হংবো এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে ডিরেক্টর জেনারেলকে অবহিত করেন। এ বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোত্তম সেবা দিন: সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী
আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা দরকার: আইনমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে কিনা, জানতে চেয়েছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন লিলি।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: নতুন আইন বাস্তবায়নের সময় কিছু অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশে নিযুক্ত হয়েছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার। কিন্তু আমার সঙ্গে এই প্রথম বার দেখা করেছেন। সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচন ইস্যুতেও আলোচনা হয়। এসময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার জানতে চান যে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক অ্যালোও করা হবে কিনা?
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে কোনো কনসার্ন ব্যক্ত করেন নি। কোনো সাজেশনও দেন নি। নির্বাচন নিয়ে উনারা জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক আমরা এ্যালাউ করবো কিনা।
আমি স্পষ্ট করে বলেছি, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তাদেরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগের আইন করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সেখানে সরকারের যেসকল সহযোগীতা লাগবে তা করবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট নিয়ে উনারা কোনো কথা বলেন নি। আমি এটা নিয়ে তাদের জানিয়েছি। কারণ সব জায়গায় এ বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে। উনারা ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোত্তম সেবা দিন: সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী
আমি বলেছি, এটা অংশীজনদের সঙ্গে একবার মিটিং হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনবার মিটিং হবে। এছাড়া ডেটা কন্ট্রোলের জন্য এটা হবে না প্রটেক্ট করার জন্য হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কের ৫০ বছর হচ্ছে এ বছর। সে বিষয়ে দুজনেই বলেছেন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি।
আমরা উভয় পক্ষ এ সম্পর্ক আরও গভীর হোক সেটা চাই।
এছাড়া সোমবারের মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পাওয়া ৪ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস। এ দিবসটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পালন করা হবে।
এলক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্ট বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা দরকার: আইনমন্ত্রী