হাইকমিশনার
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ভিজিটেবল ফ্যাট ও প্রচুর পামওয়েলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে।
উচ্চশুল্ক হারের কারণে সে পরিমাণ বাংলাদেশি পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। সংগত কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যাবধান অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে তিন হাজার ২৮৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মাত্র ৩৩৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।
বাণিজ্য ঘাটতি দুই হাজার ৯৫১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ চলমান এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের তালিকা শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার তৈরি গাড়ি বিশ্ব বাজারে বেশ জনপ্রিয়। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে এসব গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক কমালে এগুলো বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়ান হাই কমিশনের কাউন্সিলর আনিস ওয়াজদি মো. ইউসুফ ও ফাষ্ট সেক্রেটারি হোদ আশজুয়ান আবদ সামাত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
বর্তমানে ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
ভার্মা শিগগিরই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভার্মা ১৯৯৪ সালে ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, বেইজিং, কাঠমান্ডু ও ওয়াশিংটন ডিসিতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
হ্যানয়ে আসার আগে ভার্মা ২০১৭ সালের জুন থেকে নয়াদিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব এশিয়া বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে ভারতের পরমাণু শক্তি বিভাগে পরমাণু কূটনীতিক হিসেবেও কাজ করেন।
ভার্মা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাস করে প্রথমে ভারতের বিখ্যাত ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাটা স্টিলে তার পেশা জীবন শুরু করেন এবং তারপর ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।
এছাড়াও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই থেকে ভিয়েতনামে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত,। আমাদের জাতি একটি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।তিনি আমাদের দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। ’
সাইদা মুনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুহিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বৈশ্বিক সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
হাইকমিশনার বলেন, দেশের একজন বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী ও সফল অর্থনীতিবিদ মুহিত বাংলাদেশের সংসদে রেকর্ড সংখ্যক জাতীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মুহিতের অসংখ্য প্রকাশনা আজকের সরকারী কর্মচারী এবং একাডেমিয়াকে গাইড করে চলেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতির নেতৃস্থানীয় পৃষ্ঠপোষক মুহিতের আলোকিত চেতনা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রয়াত এ এম এ মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।’
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুনা
‘জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য’ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিশ্ববিখ্যাত ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন, যুক্তরাজ্য থেকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হাইকমিশন জানিয়েছে, লন্ডনের বিল্টমোর মেফেয়ারে ২৫০ জনেরও বেশি লন্ডন ভিত্তিক কূটনীতিকের উপস্থিতিতে একটি বার্ষিক গালা কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে লন্ডনের ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের সম্পাদক হাই কমিশনারের কাছে এই পুরস্কার তুলে দেন।
ডিপ্লোম্যাট অ্যাওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার হলো ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন ইউকে কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার যা ১৬৫ টিরও বেশি দেশের ইউকে-ভিত্তিক দূতদের মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে দেয়া হয়।
এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিক যুক্তরাজ্যে এমন স্বীকৃতি পেলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একে অপরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখা উচিত: হাইকমিশনার
পুরস্কার প্রদানের সময় ডিপ্লোম্যাট ইউকে ভেনেটিয়া ডি ব্লক ভ্যান কুফেলারের সম্পাদক বলেন, হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম লন্ডনে জলবায়ু কূটনীতিকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান এবং কপ-২৬ এ নেতৃত্বের জন্য স্বীকৃত হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ১২ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
সাক্ষাৎ করা অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা হলেন-নাইজেরিয়ার হাইকমিশনার আহমেদ সুলে, এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাট্রিন কিভি, আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ডন ওয়ার্ড, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত মুকাঙ্গিরা জ্যাকলিন, রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইমানুয়েল পুইগ বুচেল, মাল্টার হাইকমিশনার রুবেন গাউসি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত আসউইন ইসায়েভ, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউকু-রোন্ডে, সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্রদূত রশিদ সেসে, হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি ও কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত মারিয়ানা পাচেকো মন্টেস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় তাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছি এবং বিশ্বজুড়ে শান্তির সংস্কৃতি প্রচলনের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছি। শান্তি ও মানবিকতার জন্য আমরা মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে আমাদের মহানুভবতা দেখিয়েছি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র কার্যকরে সব দলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের নাগরিকরা যেন তাদের নিজ দেশ নিরাপদে ফেরত যেতে পারে সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে এবং তাদের স্ব স্ব দেশের অবস্থান দৃঢ় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নবনিযুক্ত দূতগণ তাদের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুল মোমেন।
আইসিডিডিআর,বি’র গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রশংসা কানাডীয় রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেছেন, আইসিডিডিআর,বি’র জনস্বাস্থ্য গবেষণার পরিমাণ এবং গবেষণা কত সহজে স্বল্পমূল্যের সমাধানে রূপান্তরিত করা যায় তা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার ড. লিলি নিকোলস রাজধানীর মহাখালীর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) প্রথমবারের মতো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নিতে চায় ইরাক
মালদ্বীপে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল আজাদ
মালদ্বীপে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রিয়ার অ্যাডমিরাল আজাদ ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে পেশাগত উৎকর্ষতা ও ব্যতিক্রমী সেবার জন্য সম্মানজনক ‘নৌ গৌরব পদক’ লাভ করেছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ নৌ বহরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান আটক
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও প্রাসঙ্গিক হবে। বাংলাদেশ পরবর্তী দশকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ২০টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের মধ্যে স্থান করে নিতে চায়।
আগামী ৩১ জানুয়ারি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো যৌথভাবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে অধিক সম্পর্কযুক্ত হতে চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার উপলব্ধি এবং বাংলাদেশের প্রতি গুরুত্বের ধরন বদলেছে। ২০০৫ বা ২০১০ এর বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশের যে অনেক পরিবর্তন সে বিষয়টি গত তিন-চার বছরে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের সক্ষমতা খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি ।
তিনি বলেন, বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সেসময় একটি দুর্যোগপ্রবণ ও সাহায্য-নির্ভর দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে মনে করা হতো। তাই বাংলাদেশকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদীয়মান মধ্যম অর্থনীতি এবং আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে আমরা সে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি।
অস্ট্রেলিয়ার দিক থেকে ধারণার ব্যাপক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গী সৃষ্টিতে গত তিন-চার বছর বাংলাদেশ মিশনের নিরন্তর প্রচেষ্টার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
তিন দশকের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কূটনীতিক বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) স্বাক্ষর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত ১ বছরে বেশ কয়েকবার টেলিফোনে কথোপকথন এবং গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনের সময় অস্ট্রেলিয়ার পক্ষের উৎসাহে প্রধানমন্ত্রী মরিসনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
স্বাধীনতা অর্জনের পর দ্রুততম সময়ে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন সরকার সেদেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষের মতৈক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সূত্রপাত ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশের স্বীকৃতির ফলে অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি ত্বরান্বিত হয়।
তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলাম ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা সফর করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনা করেন। এপর্যন্ত গফ হুইটলাম গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত এই দুই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, আমি মনে করি- জাতির পিতাকে হারিয়ে বাংলাদেশ যেমন পথ হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে, তেমনি ১৯৭৫ সালে গফ হুইটলামের সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে দৃঢ় ভিত্তি রচিত হয়েছিল, পরবর্তীতে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের পুনর্গঠন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও দু’দেশের সম্পূর্ণ বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর তুলনায় তা ছিল নগণ্য।
অস্ট্রেলিয়া ছাড়া নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, দুই দশক আগে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ায় শুল্কমুক্ত-কোটা মুক্ত বাজারের প্রবেশাধিকারের সিদ্ধান্তে পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়। তবে এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধিসহ অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনারের মায়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার হাযনাহ মো. হাশিমের মা মিদাহ বিনতি ওমারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মিদাহ বিনতি ওমারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য,ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাই কমিশনারের মা মিদাহ বিনতি ওমার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী