রাষ্ট্রদূত
নরওয়ের একদিনের রাষ্ট্রদূত হলেন বৈশাখী
মেয়েদের অধিকার ও সমান সুযোগের পক্ষে কথা বলতে একদিনের জন্য বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন ঢাকার তরুণ কর্মী বৈশাখী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নরওয়ের দূতাবাসে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
এটি ছিল বিশ্বব্যাপী ‘মেয়েদের নেতৃত্ব গ্রহন’ ক্যাম্পেইনের অংশ, যেটি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতীকী কার্যক্রম।
মেয়েদের সক্রিয়তা এবং নেতৃত্বে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রতি বছর প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল তার 'গার্লস গেট ইকুয়াল' ক্যাম্পেইনের অধীনে ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই প্রচারণা চালায়।
এই বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ১০ বছর পূর্তি হয়েছে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সারা দেশে এই ধরনের বেশ কিছু দায়িত্ব গ্রহনে সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে দেশটির ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস। বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি বর্ধিত অংশীদারিত্ব প্রদর্শন করে দিবসটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক বিভাগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামরিক কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিক অতিথিদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত হেরু তুলে ধরেন, এ বছর ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও আরও বেশ কিছু খাতে সহযোগিতা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আশিয়ান-এ ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা এবং জি ২০-তে ইন্দোনেশিয়ার সভাপতিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
মন্ত্রী এসময় জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার অংশীদার থেকে শুরু বিভিন্ন শক্তিশালী সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহের চারটি সংস্থার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম উল্লেখযোগ্য।
হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে ইন্দোনেশিয়ার আরও বেশি ভূমিকার প্রত্যাশাও করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কথার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী এও কামনা করেন যে বর্তমান সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নত করার একটি উপায় হিসেবে কাজ করবে।
এসময সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলার পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে ‘ইন্দোনেশিয়ান পণ্য প্রদর্শনী’- শিরোনামের বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী পণ্যের প্রচার করা হয়।
নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার পরিচয়পত্র পেশ
ব্রাজিলে নিযুক্ত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা লাপাজে অবস্থিত গ্র্যান্ড পিপলস হলে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আলবার্তো আর্সে কাতাকোরার নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা ব্রাসিলিয়াস্থ দূতাবাসে নিযুক্ত থেকে অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে বলিভিয়ার সমবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।
ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর পরিচয়পত্র পেশের পর প্রেসিডেন্ট আলবার্তোর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, গণহত্যা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান প্রেসিডেন্ট আলবার্তোকে অবহিত করেন।
ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব ও ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম তুলনা জেনে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো আবেগতাড়িত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডেরর বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন ফোরামে বাংলাদেশ ও বলিভিয়ার সহযোগিতা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান।
আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হন।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও বলিভিয়া উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার বলিভিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রদূত উভয়ই সম্মত হন। বিশেষ করে ওষুধ রপ্তানি, গার্মেন্টস ও নীটওয়্যার, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্যে সম্ভবনাময় বলিভিয়ার বাজার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূত কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বাংলাদেশের লোকশিল্পের নিদর্শন হিসেবে নকশী কাঁথা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
এ সময় বলিভিয়ার ভাইস-মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স এরউইন ফ্রেডি মামানি মাচাকা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ইইউ বাজারে দ্রুত জিএসপি প্লাস পাওয়ার প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরবর্তী বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার অর্থ হল বর্তমান এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) থেকে উন্নীত হওয়া, ইইউ এর বাংলাদেশকে দেয়া একতরফা বাণিজ্য অগ্রাধিকার, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশনের ফলে দেশের জিডিপিতে একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ক্ষতি এবং গুরুতর ধাক্কা লাগবে। যা জিএসপি প্লাস ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কমানো যেতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএস সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, একক খাত আরএমজি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং শিল্প বৈচিত্র্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে আকৃষ্ট করা হবে।
তিনি বলেন, এটি করার জন্য দেশি-বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। ‘বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান করাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সংলাপে এই এলাকার সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের কথা ‘স্বীকার করেছেন’। তবে তিনি দাবি করেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীরা ভারী কামান ও মর্টার নিক্ষেপ করছে, যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারকে জনগণের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বলেছে, চলমান পরিস্থিতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জনগণের মধ্যে ‘ভয়’-এর পরিবেশ তৈরি করছে।
পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার আগস্টের পর চতুর্থবারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি প্রতিবাদ নোটও হস্তান্তর করেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোকে আরও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
চলমান পরিস্থিতি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ক্ষতিকারক।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ড ও আকাশসীমাকে সম্মান জানানোর দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের।
এ প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি বিরূপ কোনো উপাদানকে আশ্রয় না দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের বৈঠক চলে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে
বৈঠক শেষে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে বলেছি আমরা সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
উল্লেখ্য, গতরাতে রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় কর্মীদের হামলায় আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল হামলায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগের দিন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীসহ চারজন আহত হন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ২ বিমানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
বন্যায় চীনে লোহার খনিতে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চতুর্থবারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
বাংলাদেশ চতুর্থবারের মতো রবিবার দেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে তলব করেছে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শাখা) মো. নাজমুল হুদার কার্যালয়ে তলব করা হয়।
এর আগেও ঢাকা সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক মর্টার শেল নিক্ষেপ, সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্বিচারে আকাশপথে গোলাবর্ষণ এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন,সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে প্রয়োজনে সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে (মিয়ানমার) কয়েকবার সতর্ক করলেও তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তে শুক্রবারে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত তার সীমান্তের মধ্যেই থাকা উচিত। কিন্তু তাদের বাহিনী বারবার সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশি নাগরিকদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বিএনপি
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে ১৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
নিহত ও আহতরা সবাই জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকার সবচেয়ে কাছের ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত।
রাত ৮টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরপর চারটি মর্টার শেল পড়ে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক আদিবাসী যুবক গুরুতর আহত হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত ১২টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে নাইপিদোর কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ ঢাকার
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে: রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পণ্যের চাহিদা থাকায় আগামী দিনে এ সকল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সৌদি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার তৈরির সুযোগ রয়েছে।’
বুধবার রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পণ্যের মেলা ‘ফুডেক্স সৌদি’ তে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল: রাষ্ট্রদূত
রিয়াদে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিন ব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ফুডেক্স সৌদি মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের চারটি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ এবং এস এন্ড বি নাইস ফুড ভ্যালি লিঃ।
বুধবার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায় মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের বাজার ও রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবের বাজারে মাছ, মাংসসহ সকল খাদ্যপণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল মান অর্জন দরকার তা নিশ্চিত করে পণ্য রপ্তানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’
আগামী দিনে সৌদি আরবের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি কোম্পানির পণ্য বাজারে রয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি এসকল পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে তাই এখানে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। মেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সৌদি বায়ার, বাংলাদেশি অভিবাসীগণ ও বিভিন্ন দেশের মানুষ মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি কক্সবাজারে তার দু’দিনের সফর সম্পন্ন করেছেন। ১২-১৩ সেপ্টেম্বরের তার এই সফরটি ঠিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পঞ্চম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) জাপানের ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদানের পর অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি ইউনিসেফের লার্নিং ও মাল্টি-পারপাস সেন্টার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক ও স্মৃতি কেন্দ্র এবং ডব্লিউএফপির একটি অ্যাগ্রেগেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও, এফএও-ডব্লিউএফপি দ্বারা উদ্ভাবনী পুনরুদ্ধারের স্থানগুলো জাপান সরকারের অর্থায়নে ক্যাম্প ১১ এবং সম্প্রতি জাপানের অবদানের অধীনে চালু হওয়া ইউএনএইচসিআরের উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালের অধীনে সবুজ পাইলট প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাপানের অর্থায়নে ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর