রাষ্ট্রদূত
বিদায়ী ও নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকায় অবস্থানরত নবনিযুক্ত ও বিদায়ী কূটনীতিকদের সম্মানে রবিবার (৩০ জুলাই) নৈশভোজের আয়োজন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে বলেন, ‘বিদায়ী ও নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বিদায় ও স্বাগত জানানোর জন্য এটি আয়োজন করা হয়েছিল।’
তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি।
এদিকে রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
ডাচ-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষয়ীয় সম্পর্ককে মজবুত বলে স্বীকৃতি দিয়ে এটিকে আরও বাড়ানোর জন্য তার অবদানের জন্য পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, আইটি ও আইটিইএস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগ উভয় অর্থনীতির জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন: হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিব সার্কুলার অর্থনীতি, আধুনিক টেকসই কৃষি, সবুজ শক্তি এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডেল্টা পরিকল্পনায় ডাচ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এই খাতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ডাচদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ডাচ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নেদারল্যান্ডসের আরও সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত লিউয়েন বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি উভয় দেশের সমৃদ্ধির জন্য আরও জ্ঞান-থেকে-জ্ঞান (কেটুকে) এবং ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (বিটুবি) সংযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং স্টার্ট-আপ, দক্ষতা উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য ডাচ সরকারের প্রতিষ্ঠিত 'অরেঞ্জ কর্নারস' তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বৈঠক শেষে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন এবং স্মারক হিসেবে একটি উপহার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
সম্প্রতি ‘কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে’ একটি যৌথ বিবৃতি জারি করায় ‘অকূটনৈতিক আচরণের’ জন্য ঢাকায় ১৩ রাষ্ট্রদূতের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আশরাফুল আলমকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ঢাকাস্থ যেসকল দূতাবাস গণমাধ্যমে একটি যৌথবিবৃতি দিয়েছিলেন, আজ দুপুরে সেসব রাষ্ট্রদূতকে আমরা ডেকেছিলাম। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। ওনাদের যৌথ বিবৃতিটি ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে যথাসময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। ঘটনা সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ত্বরিত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, এসময় কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে সরকারকে পাশ কাটিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ’ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কিছু মৌলিক ত্রুটি ছিল যা বাংলাদেশ নির্দেশ করেছে এবং এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের দূতাবাস/হাইকমিশন স্বাক্ষর করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা কোনো সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিকে গুটি কয়েক কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেন নি।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
ঘটনাটি জানাজানি হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাৎক্ষণিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯শে জুলাই তারিখে কূটনীতিকবৃন্দের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই কিন্তু দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, যে দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ঘটনাটির সমালোচনা তারা করেছেন, সেই গুরুত্ব ও দ্রুততার সঙ্গে কিন্তু তারা সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক ও ত্বরিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে তারা মূল্যায়ন করেননি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই যৌথ বিবৃতিটির বস্তুনিষ্ঠতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবনার অবকাশ থেকেই যায়।’
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার বন্ধে কাজ করুন: দেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের কাজ করতে বলেছেন। যাতে মিথ্যার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভ্রান্ত না হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলতে চাই আপনাদের উচিত আমাদের দূতদের প্রচারণা সম্পর্কে অবহিত করা। তাহলে বিভ্রান্তি তৈরি হবে না। বিশেষ করে আমাদের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুরোতে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।’
ইতালির রাজধানী রোমে তার বাসভবনে ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে অবস্থানরত ১৫ জন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তিনি বলেন, কিছু লোক দেশে অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা কখনোই দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কিছু মানুষ আছে, যারা অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দোষী সাব্যস্ত বা অপরাধী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বিদেশে অবস্থান করে ক্রমাগত দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। ‘সবাইকে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করেছে, তাই তারা দেশের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারে। “তাদের কত আছে! তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।’
বিদেশিরা প্রায়ই ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে দু-একটি দেশ ব্যস্ত থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া, যারা খুনিদের আশ্রয় দেয় এবং অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হবে।’
আরও পড়ুন: সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু করুন: জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্তদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত, কিন্তু নিহত, আত্মীয়-স্বজন বা যারা দগ্ধ হয়েছেন তাদের কোনো পরোয়া করেন না।
র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করেছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে তারা তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলে।’
তিনি বলেন, তারা একদিকে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আওয়াজ তুলছেন, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন। বিশ্বব্যাপী দ্বৈতনীতি চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানবাধিকার রক্ষা করে, আর যারা মানবাধিকারের কথা বলে; তারাই মানুষ হত্যা করে।
দেশের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব খুনি তার বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছে, তারা এখনও সে দেশে পলাতক রয়েছে।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন রোমে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রবিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য জানায়, তারা বাংলাদেশে ‘বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকাল ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কথা বলার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
উচ্চশিক্ষার জন্য আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে উচ্ছ্বসিত: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে তারা ‘উচ্ছ্বসিত’।
তিনি জানান, মার্কিন সরকারের কাছে বাংলাদেশসহ যোগ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া একটি ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার’।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করা প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।’
মার্কিন দূতাবাস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য বিশেষভাবে একটি ‘সুপার ফ্রাইডে’ ইভেন্টের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র জরুরি ত্রাণ সহায়তায় আড়াই লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র হস্তান্তর
তুরস্কে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল এবং দ্বিতীয় সচিব ও দূতাবাসের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ওউজহান এরতুরাল ও রাষ্ট্রচার প্রধান রাষ্ট্রদূত আহমতে জমেলি মরিওলু।
এসময়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানান এবং এরদোয়ান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং সৃষ্ট মানবিক এ সংকট সমাধানে তুরস্কের সরকার ও নেতৃত্ব সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়াও তিনি তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও উচ্চপর্যায়ে উন্নীতকরণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পর্যটন ও সামরিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্ককে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে এরদোয়ানকে জানান।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-কে তুরস্কে স্বাগত জানান।
এরদোয়ান জানান, ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকারের ও জনগণের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়াও বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক আঙ্কারস্থ আনিতকবির-এ প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুক-এর সমাধীস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
আ.লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ নেই: কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ করার কোনো সুযোগ নেই বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসকে জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, তারা কানাডার হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, সবার জন্য সমান সুযোগ, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
বিএনপি নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো কানাডাও বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
খসরু বলেন, ‘মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ভোটাধিকারের প্রতি তাদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে এবং তাদের নৈতিক ভিত্তি উচ্চতর।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নির্বাচন নিয়ে কানাডার ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। ‘অন্যান্য পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো, এখানে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কি না তা নিয়ে কানাডারও ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত কানাডাও।’
তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তারা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জানতে চান। তারা সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিও জানতে চেয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
দুপুর ১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠক চলে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে।
বৈঠকে আমির খসরু ছাড়াও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তা ব্র্যাডলি কোটস উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কানাডিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, লিলি নিকোলস ও বিএনপি নেতারা ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব’সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘ কোন দল সরকার গঠন করবে তা নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবেন নাগরিকরা। এটি নির্ধারণের জন্য সুযোগ দরকার। আমরা আশা করি আসন্ন নির্বাচনে মত প্রকাশ, আলোচনা ও সংলাপের বিস্তৃত পরিসর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এবং আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তাদের (ইইউ দূত) বলেছি যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বৈঠকের কারণ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ইইউ’র একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে।
তিনি বলেন, ইইউ বিশেষজ্ঞ দলের সেই বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই বারবার বলে আসছে যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ আছে কিনা তা দেখতে তাদের দল এখানে আসবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বৈঠকে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি।
ফখরুল বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইইউ’র দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের