রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্রকে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বোঝা দরকার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে তার কথা হয়।
ডেপুটি সেক্রেটারি ও প্রতিমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
শাহরিয়ার ও শেরমান কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৬১-এর ভিয়েনা কনভেনশনে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির বিষয়েও কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূতরা বরাবরের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
শারম্যান বাংলাদেশে তার বেশ কয়েকটি সফরের কথা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য শাহরিয়ারকে অভিনন্দন জানান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এই টেলিফোন কলটি ১২ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল কিন্তু পরে তা পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
বিএসইজেড বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম পরিবেশ প্রদান করতে পারে: ইটো নাওকি
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সদ্য চালু হওয়া বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড) নিঃসন্দেহে শুধু জাপানি কোম্পানি নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি থেকেও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
তিনি বলেন, বিএসইজেড সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুবিধা এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে এসইজেড’র দেয়া আছে।
নাওকি বলেন, ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে ১০০টিরও বেশি কোম্পানি এখানে কাজ করবে। যেখানে মোট দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এই অঞ্চলে বিএসইজেড সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ সরবরাহ করতে পারে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বিএসইজেড’র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০টি জাপানি কোম্পানি এবং ১০টি বিদেশি কোম্পানি বিএসইজেডে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে উন্নীত হবে এবং এই সরকারের অধীনে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিস্ময়কর অর্জন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বিএসইজেডের সাফল্য অবশ্যই তাদের সেখানে যেতে পথ দেখাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশটি ভিশন ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য রাখে। আমি আবারও বলতে চাই যে জাপান তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য একটি জয়-জয়কার অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে কাজ করবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় তার মেয়াদ শেষ করে আগামী সপ্তাহে তিনি জাপানে ফিরবেন এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে গত তিন বছরে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আন্তরিকভাবে আশা করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং সুমিতোমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসায়ুকি হায়োডো বক্তব্য দেন।
বিএসইজেড হল বাংলাদেশের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যা জাপানি কোম্পানি দ্বারা ডিজাইন করা এবং তৈরি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে সহযোগিতার ইচ্ছা পোষণের আট বছর পেরিয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমাদের নেতাদের উদ্দেশ্য অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে। কোভিড-১৯ সহ আমরা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল। কিন্তু বেজা নাম দিয়েছে 'বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড)।' আমি বিশ্বাস করি বেজা এবং সরকার এটা করেছে এই প্রত্যাশা নিয়ে যে এটি বাংলাদেশে ফ্ল্যাগশিপ এসইজেড হয়ে উঠবে।’
নাওকি বলেন, এটি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ(এফডিআই) বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে।
এই মাসে বিএসইজেড উদ্বোধনের পর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এমআরটি লাইন-১ এবং লাইন-৫ উত্তর আগামী ২০২৩ সালে নির্মাণ শুরু করবে। তারপর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ টার্মিনাল-৩ এর আগামী অক্টোবরে একটি সফট-ওপেনিং করবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরও নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৪ সালে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই বছরে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু চালু হবে।
তিনি বলেন, জাইকার এই মানসম্পন্ন অবকাঠামো প্রকল্পগুলো দেশকে বদলে দেবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সুযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে ক্রমাগত কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে জাপান ও বাংলাদেশের উচিত হাতে হাত মেলানো।
তিনি বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য যে বিএসইজেড একটি দুর্নীতিমুক্ত স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (এসইজেড) হিসাবে ঘোষণা করেছে। একটি ন্যায্য এবং অনুকূল বিনিয়োগ এবং ব্যবসার পরিবেশের জন্য দুর্নীতি দূর করতে তার দৃঢ় সংকল্প দেখাচ্ছে।’
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলটি এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। এবং লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সুমিতোমো কর্পোরেশনের সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসায়ুকি হায়োডো বলেছেন যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অত্যন্ত বিশেষ এবং সরকার ও বেসরকারি দু’টি খাত দ্বারা দৃঢ়ভাবে সহযোগিতাপুষ্ট।
কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসায় ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছি।
হায়োডো বলেন, তারা টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে অবদান রাখছেন।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
মুদ্রা বিনিময় ও বাংলাদেশকে আর্থিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও তার দেশ নিজেদের আর্থিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে একসঙ্গে কাজ করছে।
শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘চায়না’স নিউ জার্নি’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, ‘বৈঠকগুলোতে আমরা কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে আমাদের সত্যিই কিছু ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এগুলো হচ্ছে- মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা ও চীনা ইউয়ান বা রেনমিনবি (আরেমবি) এর সঙ্গে বাণিজ্যের ছাড়পত্রসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করার আগে আমাদের অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা ও অসুবিধাও আছে যেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে না
চীন ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে না: রাষ্ট্রদূত লি
ঢাকা-সিউল সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অব্যবহৃত প্রতিভা খুঁজবে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর একসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং বার্ষিকীকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে কোইকা অ্যালামনাই নাইট-২০২২-এ বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘটানোর জন্য আমার অনেক পরিকল্পনা এবং চিন্তা রয়েছে। তবে এর জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
যদিও দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও বিপুল অব্যবহৃত সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক কোরিয়ার তৃতীয় এবং অষ্টম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে কোরিয়ার সম্পর্কের স্তরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোইকা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (কেবিএএ) সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রধান এজেন্ট এবং সহায়ক হতে পারে এবং হওয়া উচিত।
এ বছর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলে (ইডিসিএফ) অর্থায়নের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোরিয়ান সরকার। যা আগামী পাঁচ বছরে শূন্য দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে।
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন(কেবিএএ) -এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে ‘কোইকা অ্যালামনাই নাইট’ নামে গ্র্যান্ড বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: তৃতীয় এফএমসি: বিস্তৃত অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্মত ঢাকা ও সিউল
নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’: বিএনপি
বাংলাদেশের গত সাধারণ নির্বাচনের সময় ‘রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি’ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত (নির্বাচন সম্পর্কে)যা বলেছেন তা একেবারেই সত্য।
তিনি বলেন, সরকার এখন ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলছে যা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য করতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
‘আপনারা(সরকার) যখন মানুষকে হত্যা করেন, তাদের গুম করেন, রাতে দিনের ভোট দেন এবং ভোট না দিয়ে নিজেকে সরকার ঘোষণা করেন, তখন ভিয়েনা কনভেনশন কোথায় দাঁড়ায়?’ -ফখরুল প্রশ্ন করেন।
এর আগে সোমবার, জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ -এর উদাহরণ সম্পর্কে শুনেছেন এবং কিছু পুলিশ আগের রাতে ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে’ – যা তিনি অন্য কোনো দেশে শোনেননি।
‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ কখনই পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান আশা করে যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ খুলেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়... এই দিনে ও যুগে কেউ কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়ে খেয়াল খুশি মতো কিছু করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার বা উত্তর কোরিয়ার মতো ‘অবরুদ্ধ’ দেশ নয় যে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি (বাংলাদেশ) মোটামুটি একটি স্বাধীন দেশ। যারা আমাদের (উন্নয়ন) অংশীদার এবং যারা এখানে বিনিয়োগ করে এবং দেশকে আর্থিক সহায়তা দেয় তারা এটা (নির্বাচন) সম্পর্কে কথা বলতে পারে।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্ররোচিত করছে বলে সরকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এর মানে হচ্ছে, ‘বিএনপি দেশের জনগণের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেদিকে নজর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
চীন ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে না: রাষ্ট্রদূত লি
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, এই অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিশ্রুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পূর্বাভাস দেখছি (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে)। আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
রাষ্ট্রদূত লি বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের মতোই একই মত পোষণ করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, চীন রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই। বিশ্বব্যাপীও চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই।’
তিনি আরও বলেন, চীন কখনোই দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে না এবং তাদের কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা বা বৈষম্য করার কোনো বিশেষ কারণ নেই।
লি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর (উইঘুর মিডিয়াতে যা দেখা যায়)।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা ভারতকে কখনোই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না। ব্যক্তিগতভাবে, আমি ভারতের একজন বড় ভক্ত। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
তিনি সমস্যা সমাধানের ‘এশিয়ান ওয়ে’ অনুসরণ করার ওপর জোর দেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করে। চীনা রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ইউএনবির কূটনৈতিক সংবাদদাতা একেএম মঈনুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কারিগরি সমস্যা হুবেই থেকে বাংলাদেশিদের আনার ক্ষেত্রে বাধা: লি জিমিং
বাংলাদেশে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত
প্রাথমিকভাবে নেপাল বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। একইসঙ্গে হিমালয়ের দেশটি একটি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রীকে এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বর্তমানে একটি মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
করিম রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর নেপাল বাংলাদেশে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবে’।
ভারতের জিএমআর গ্রুপের তৈরি করা ৯০০ মেগাওয়াট আপার কর্নালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহারের জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেননা বন্দরটি বুড়িমারী বন্দরের চেয়ে কাছাকাছি।
তিনি নেপালের প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে এসে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে।
শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং তার কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নেপালের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তার কথা তুলে করেন। তিনি সেগুলোকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ কর্মসূচিতে নেপালের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বাংলাদেশে সফরের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি বাড়িয়েছে।
তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের দ্রুত ও সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন: ‘আমার স্বীকার করা উচিত যে চীন-সম্পর্কিত ইস্যুতে এখনও কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পার্থক্য, জ্ঞানভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব বা ভুয়া খবর থেকে উদ্ভূত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো অনিবার্যভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধুত্বপূর্ণ ভিত্তিকে ক্ষুন্ন করবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, তথাকথিত কোনো ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ নেই এবং বাংলাদেশ সরকার এটা ভালো করেই জানে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ঋণের সঙ্গে জিডিপি অনুপাতের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ এবং সামগ্রিক ঋণের পোর্টফোলিওর ৩৭ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘অন্যদের মধ্যে, চীনের ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৭ শতাংশ, সামগ্রিক ঋণের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যে বাংলাদেশে চীনের ঋণ যেকোনো আর্থিক প্রান্তিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কথা উল্লেখ করেন। যিনি বহুবার বলেছেন যে ‘বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপালে বেড়ানে যান। নেপালে হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লাট-এ উৎপাদিত প্রায় পাঁচশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও এ বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এছাড়া নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নেপাল সফর করেন। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুনমাত্রা যুক্ত হবে। মঙ্গলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক করবে। পদ্মাসেতুর সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।
বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
নরওয়ের একদিনের রাষ্ট্রদূত হলেন বৈশাখী
মেয়েদের অধিকার ও সমান সুযোগের পক্ষে কথা বলতে একদিনের জন্য বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন ঢাকার তরুণ কর্মী বৈশাখী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নরওয়ের দূতাবাসে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
এটি ছিল বিশ্বব্যাপী ‘মেয়েদের নেতৃত্ব গ্রহন’ ক্যাম্পেইনের অংশ, যেটি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতীকী কার্যক্রম।
মেয়েদের সক্রিয়তা এবং নেতৃত্বে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রতি বছর প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল তার 'গার্লস গেট ইকুয়াল' ক্যাম্পেইনের অধীনে ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই প্রচারণা চালায়।
এই বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ১০ বছর পূর্তি হয়েছে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সারা দেশে এই ধরনের বেশ কিছু দায়িত্ব গ্রহনে সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি