বিস্ফোরণ
হাটহাজারীতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের উৎপাদন সাময়িক বন্ধ
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলীতে অবস্থিত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কারখানার উৎপাদন ও ডেলিভারি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার জাফর আলম সহ স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আল রাজী ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের জিএম ইব্রাহীম খলিল ও ম্যানেজার এডমিন মোবিন হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এই কারখানায় যদি সরকারি নীতিমালা মেনে যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরী করা হয় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে যতদিন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঘটনায় তদন্ত শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত এই কারখানায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড উৎপাদন ও ডেলিভারি বন্ধ রাখার জন্য আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেছি।
আল রাজী ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের ম্যানেজার এডমিন মোবিন হোসেন খান জানান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। সরকারী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কারখানা থেকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কোন চালান বাহিরে যাবেনা।
ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের জিএম ইব্রাহীম খলিলও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিন সদস্য এখনও নিখোঁজ আছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য মারা গেছেন।
সোমবার বিকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের থেকে নিহত ও নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার জানান, সীতাকুণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকি নিখোঁজ তিন জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় সৃষ্ট আগুন এবং রাত পৌনে ১১টায় কন্টেইনার বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত যে ৯ জন ফায়ারম্যানের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে ভয়াবহ আগুন ও কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৫০ নয় ৪১ বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা থাকায় মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের একজনকে একাধিকবার গণনায় আনার ফলে ভুল হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘একই মরদেহ দুবার কাউন্ট হয়েছে। পরে সবগুলো মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন পাওয়া গেছে। গণনার ভুলে লাশের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মূলত এখন পর্যন্ত ৪১টি মরদেহ পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
চমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমাদের কাছে ৪১টি মরদেহ আছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪১টি লাশ পেয়েছি। তার মধ্যে গতকালই ১৮ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের। হস্তান্তর করা হয়েছে ২১টি মরদেহ। মৃতদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের।’
এর আগে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্বৃতি দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্ফোরণে ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শরিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থবাহী কন্টেইনারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় বিস্ফোরণ ঘটলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি: চোখের জলে ইব্রাহিমকে বিদায়
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: দুই শিশুকে নিয়ে স্বামীর খোঁজে ঘুরছেন রেশমি
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকে গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধানে ছবি হাতে নিয়ে এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেশমি। কিন্তু কোথাও নেই স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক শাহজাহানের খোঁজ। এভাবে প্রিয়তম স্বামীর খোঁজে গৃহবধূ রেশমির চোখে গভীর শোক আর দুশ্চিন্তার অশ্রু।
আজ সোমবার দুপুরে রেশমি এসেছেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। কোলে তিন মাসের ছেলে সন্তান রিহাদ, বাম হাতে ধরেছিলেন তিন বছর বয়সী আরেক ছেলে রিহানকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের সামনে দেখা গেছে রেশমিকে।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
রেশমি জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নাজিরহাটে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক শাহজাহানের সঙ্গে শনিবার রাতে তার শেষ কথা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন কাভার্ডভ্যান নিয়ে ভাটিয়ারী যাচ্ছে। আগেও অনেকবার সেই ডিপোতে গিয়েছিল। কিন্তু এবার গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সেই রাত থেকেই রেশমি বিভিন্ন স্থানে ছুটোছুটি করেছেন, কিন্তু খোঁজ মেলেনি তার।
রেশমি বলেন, ‘জানিনা কোথায় গেলে তাকে (স্বামী) ফিরে পাবো। অন্তত লাশটা পেলেও সান্ত্বনা পেতাম।’
একইভাবে সন্তানের খোঁজ পেতে ডিএন নমুনা দিতে এসেছেন হেমায়েতুল্লাহ নামে এক বাবা।
নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার বাসিন্দা হেমায়েতুল্লাহ শনিবার গভীর রাত থেকেই প্রিয় সন্তানকে খুঁজে দিশাহারা। ছেলে মাইনুদ্দিনের (২০) ছবি নিয়ে কাঁদছিলেন এই বাবা।
তিনি জানান, আশুলিয়া থেকে কাভার্ডভ্যানে মালামাল নিয়ে চট্টগ্রামের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এসেছিলেন তার ছেলে। শনিবার রাতে তার ছেলে ভিডিওতে আগুনের সেই দৃশ্য বাবাকে দেখাচ্ছিলেন। এরপর থেকে আর সন্তানের কোনো খোঁজ পাননি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ সিরাজগঞ্জের শফিউল
এছাড়াও কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মো. রাসেলের (২০) খোঁজে তার স্বজনরা ডিএনএ নমুনা কেন্দ্রে ভিড় করছেন। রাসেল গাড়ি ওয়ারিং এর কাজ করতেন। এ রকম আরও বিপুলসংখ্যক স্বজন ভিড় করেন ডিএনএ নমুনা কেন্দ্রের সামনে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটে বেড়াচ্ছেন অনেকে। একটিবারের জন্য যাতে প্রিয়জনকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত আসছেন ডিএনএ নমুনা কেন্দ্রে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের বাইরে স্থাপিত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের বাইরে বিপুল মানুষের ভিড়। স্বজনদের কান্না, আহাজারি। শোকাহত অনেকে বুকে নিখোঁজ স্বজনের ছবি লাগিয়ে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। অনেকে ডিএনএ দেয়ার জন্য তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসকরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ স্বজনের বিপরীতে ১২ জন নিকট আত্মীয় স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে যদি কারো অবহেলার কারণে ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যে অপরাধ করেছে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। আমরা কোন অপরাধকে দায়মুক্ত করিনি। তদন্ত হচ্ছে, আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
মন্ত্রী আজ সোমবার (৬ জুন) সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অপরাধকেই আমরা দায়মুক্ত বলি না। যে অপরাধ করছে, আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগুনের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর দোষীরা চিহ্নিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, অবহেলা বা দায় থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যত বড় শক্তি শালী হোক না কেন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ ঘটনায় কারও বিন্দুমাত্র অবহেলা বা দায় থাকলে অবশ্যই তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
এর আগে দুপুরে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত ও ২শতাধিক মানুষ আহত হয়।
পড়ুন: এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বেসরকারি একটি কন্টেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত আরও ১৩০ জনের মত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান ও চমেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রাসায়নিক পণ্যের কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কারখানাটির দুই শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে।
তারা হলেন-মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের ঘটনাটি দুর্ঘটনা না কি নাশকতা সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিষয়টি দুর্ঘটনা না কি নাশকতা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এতো বড় একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি দুর্ঘটনা না কি নাশকতা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার (০৫ জুন) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় ও সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন এবং সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে। তারা ঝাপিয়ে পড়েছেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আমাদের সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা সেখানে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে যেখানে রক্ত দেয়া লাগে সেখানে রক্ত দেয়ার জন্য, সার্বিক সহযোযোগিতার জন্য।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
ঘটনা ঘটার পর তদন্তের কথা বলা হয়, আগে কেন মনিটরিং করা হয় না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার আগে কীভাবে খতিয়ে দেখবে। ঘটনা ঘটার আগে খতিয়ে দেখার কোন সুযোগ আছে কি? সুযোগ নেই। তাদের সমস্ত কম্প্লায়েন্স ছিল কি না সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। তারা সমস্ত কম্প্লায়েন্স করা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা জবে।
দাহ্য পদার্থ থাকলে উদ্বারকাজের সময় অন্যভাবে ফায়ার সার্ভিস কাজ করত, সেই বিষয়ে মালিকদের কম্প্লায়েন্স ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় বসে সেটি বলতে পারব না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি খতিয়ে দেখছে। যদি তাদের কম্প্লায়েন্স না থাকে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে। আর কম্প্লায়েন্স থাকার পরও এটি ঘটলে সেটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটিও বেড়িয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
সীতাকুণ্ডে হতাহতদের সহায়তায় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়
আমিরাতে গ্যাস বিস্ফোরণে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক নিহত, আহত ১২০
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আবুধাবিতে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২০ জন আহত হয়েছে, এসময় একজন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভারত ও পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির খালিদিয়া পাড়ায় সোমবার বিস্ফোরণে একজন ভারতীয় মারা গেছেন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিস্ফোরণে একজন পাকিস্তানি নিহত ও অন্যরা আহত হয়েছে। পাকিস্তানি কূটনীতিকরাও রাজধানীর একটি থানা পরিদর্শন করেছেন এবং বলেছেন যে আমিরাত কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্তের বিষয়ে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলা, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ছয় রোহিঙ্গার মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তারা হলেন- ৫৯ বছরের নূর আলম ও তার ছেলে ১২ বছরের আনোয়ার কামাল।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
তিনি জানান, গত ১২ মে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ছয় রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়। প্রথমে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে নূর আলম ও আনোয়ার কামালের মৃত্যু হয়।
গেল ১২ মে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নূরুল আলমের স্ত্রী গ্যাসের চুলায় রান্না বসাতে গেলে সেখানে পাইপে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। এতে আশেপাশে থাকা ছেলে ও বেড়াতে আসা লোকজন দগ্ধ হয়। তখন তাদের বসতিটিও পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ রোহিঙ্গা দগ্ধ
পতেঙ্গায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ রোহিঙ্গা দগ্ধ
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার রান্নার গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ছয় রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
দগ্ধরা হলেন- নুর আলম, তার স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও পাশের বাড়ির আরও দুজন।
উখিয়া ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক জানান, দগ্ধদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ ৪ জনের মৃত্যু
তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১/ইস্ট এর ব্লক-ডি ৪ এর নূর আলমের বাড়িতে রান্না করতে গেলে গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।