বিস্ফোরণ
মাগুরায় প্রেসার কুকার বিস্ফোরণে ৩ জন আহত
মাগুরার শ্রীপুরে প্রেসার কুকার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নাজমুল ফকির (৪০), রাশিদা বেগম (৩৫) ও রাফিন (৪)।
পরিবার ও স্থানীয়দের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকালে রান্নাঘরে রান্নার সময় হঠাৎ প্রেসার কুকারের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
তাদের উদ্ধার করে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, আহত ৩ জনই এখন আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: রংপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত
মুন্সীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক ভবনের ৫ তলায় বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৬টার দিকে শহরের ইদ্রাকপুরে ভবনটিতে বিস্ফোরণের পরেই আগুন লাগে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল ইসলাম জানান, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত করা না হলেও ধারণা করা যাচ্ছে, ইলেকট্রিক ডিভাইস ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
দগ্ধরা হলেন- রিজভি আহমেদ রাসেল (৪২) ও রোজিনা বেগম (৩৫) (তারা স্বামী-স্ত্রী) এবং তাদের সন্তান রাইয়ান আহমেদ (৩) ও রিজভি আহমেদের মা সাহিদা খাতুন (৬৫)। তারা সবাই সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং রাসেল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। ভবনটিতে তারা ভাড়া থাকেন।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসীন জানান, তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো সোহেল রানা রানু বলেন, আজ সকালে বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে বুধবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনাথ মিত্র স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
আহতরা হলেন- সালাউদ্দিন (৩৮), মোহাম্মদ মামুন (৩০), মাসুম (২৫), আমির হোসেন সুমন (৩২), মো. রানা (৩০), কামাল আবেদীন (৫০), জীবন (২১) ও প্রকৌশলী খায়ের গাজী (৪৪)।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের পাশের বিএন ফিলিং স্টেশনের কর্মীরাও দগ্ধ হয়েছেন বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে আগুন
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী কামরুল হাসান বলেন, ‘ফিলিং স্টেশনে ৩ দিন ধরে গ্যাস লাইনের কাজ চলছিল। আমি জানতে পেরেছি যে আজ (বুধবার) পরীক্ষার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে আমাদের ফিলিং স্টেশনের ৪ জনসহ মোট ৮ জন দগ্ধ হন।’
বুধবার রাত ৮টা ৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (মিডিয়া সেল) উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন: ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নগরীর নিতাইগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- সীমা বেগম (৫০) ও তার ছেলে রোমান হোসেন (২৫)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িটিতে মা-ছেলে থাকেন। সীমা বেগম গৃহিণী এবং তার ছেলে রোমান স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
রাতে তারা বাসার লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পান। বিষয়টি কাউকে না জানিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। সকালে ঘুম থেকে উঠে সীমা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই আগুন ধরে ওঠে এবং সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-রাজশাহী ও গাজীপুরে ৩টি গাড়িতে আগুন
এতে সীমা বেগম এবং ঘুমিয়ে থাকা রোমানের শরীরেও আগুন লেগে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাসায় গিয়ে আগুন নেভায়। এরপর তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ এবং রোমানের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সীমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রোমানকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসে আগুন
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণে আহত ৪
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার তালতলা বাজারে সোমবার (২৭ নভেম্বর) একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- রবিন (১৯), রফিকুল ইসলাম (২৪), স্বরলাল দাস (৪৫) ও মোজাফফর (২৬)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা ব্যবহারের জন্য পানি রাখতে কেমিক্যালের একটি খালি ড্রাম কিনেছিলেন।
সকাল ৯টার দিকে তারা যখন ড্রামের ঢাকনা কাটছিলেন, তখন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার শ্রমিক আহত হন বলে তাদের সহকর্মী শফিকুল ইসলাম জানান।
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর মধ্যে রবিনের শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং রফিকুলের শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়েছে। বাকি দুইজন সামান্য আঘাত পেয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মৌচাকে ইউএনবি কার্যালয়ের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ১
বগুড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ, ট্রাক ও ভটভটিতে আগুন
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ১
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মনির বয়াতি (৪৮) এবং ওই এলাকার তালের আলীর ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম ফিরোজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
স্থানীয়রা জানান, ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন আজাহার মাঝির ঘরে সোমবার রাত ১১টার দিকে মনির বয়াতি ও ফিরোজ বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরিত হয়।
এতে মনির বয়াতি, ফিরোজ গুরুতর আহত হন। এ ছাড়াও আরও একজন তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন। এদিকে আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে আহত মনির বয়াতির মৃত্যু হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
গাইবান্ধায় ৮টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার
বগুড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ, ট্রাক ও ভটভটিতে আগুন
তফসিল বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বগুড়ায় বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ককটেল বিস্ফোরণ, ট্রাক ও ভটভটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় শহরের সাতমাথা টু বনানী রোডের কানছগাড়ী এলাকায় টায়ারে আগুন জালিয়ে ও রাস্তায় পুলিশের রোড ডিভাইডার দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে জামায়াতের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
এ সময় ওই এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে হরতালের সমর্থনে সেখান থেকে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল বের করে হয়। মিছিলটি ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে শুরু হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করেন। এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে শহরের ব্যস্ততম নামাজগড় মোড় থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি নামাজগড় গোরস্থান রোড দিয়ে নুরানী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াত-শিবিরের কয়েক’শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বনানী–সাতমাথা রোডে মিছিল হয়েছে।
অপরদিকে রবিবার রাতে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা এলাকায় খড়বোঝাই ভটভটিতে এবং ইউসুফপুরে রাস্তায় খালি ট্রাকে পেট্রোল দিয়ে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ার শেরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বগুড়ার শেরপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সেই দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন- উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মাস্টারের ছেলে রাকিবুল হাসান ও তার স্ত্রী মোছা. মীম খাতুন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত
শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালের দিকে নাস্তা তৈরি করতে রান্না ঘরে যান মিম খাতুন। এসময় চুলার সুইচে চাপ দিতেই হঠাৎ ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এতে মীম খাতুন দগ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে তার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা স্বামী রাকিবুল ইসলাম স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় ঢাকায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ২ কিশোর নিহত
ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে শনিবার ৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর আমরা পাইনি, বিষয়টির ওপর নজর রাখছি।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে ঢাবি কর্মীদের বহনকারী বিআরটিসি বাসে আগুন
ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং তারা খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ দগ্ধ হয়েছেন ১১ জন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
আহতরা হলো- মীম (৫), রাহিম (৭), সোলেমান (৫), ইয়াসিন (৫), মানিক (৯), তরিকুল (৩০), সোহেল (৪৫), কহিনুর (৪০), ইসমাইল ও সালমা (২৫)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে ১১জন ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন বলেন, চর কালিবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ভাড়া বাসায় বেলুন বিক্রেতা তরিকুল ও সালমা বসবাস করতেন। ঘরে রাখা ওই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দু'টি টিনের চালা উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২