বিস্ফোরণ
বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা তেলবাহী ট্যাঙ্কার এমটি ইবাদি ১-এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের পূর্বপাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
তিনি জানান, আমরা স্পিডবোটে করে নদীতে টহল দিচ্ছিলাম। তখন তার লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তারপর নগরী সংলগ্ন চাঁনমারি ঘাটে নৌপুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, লাশ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে এবং নিখোঁজ ছিলেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা, জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রি-রোলিং মিলের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতজনে।
নিহত ব্যক্তি মো. ইব্রাহিম (৩৫)।
বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ২৮ শতাংশ দগ্ধ ইব্রাহিম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (১০ মে) সকালে মারা যান।
এর আগে গত ৪ মে বিকালে মিলের ভেতরে লোহা গলানোর সময় বিস্ফোরণে সাত শ্রমিক আহত হন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার এক শ্রমিক এবং শুক্রবার আরও তিনজন মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার শংকর (৪০), ইলিয়াস আলী (৩৫) ও আলমগীর (৩০) এবং রাজবাড়ী জেলার নিয়ন (২০)।
এদিকে, গত ৬ মে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লালমনিরহাট জেলার গোলাম রাব্বানী (৩৫) ও জুয়েল হোসেন (২৫)।
পুলিশ আরও জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকার ধুপখোলা বাজারে তিতাসের গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান শাওন (২২)। তিনি নাটোর জেলার সদর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান শাওনের শরীর ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
এর আগে, সোমবার রাজধানীর ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল (৪২), মেহেদী হাসান শাওন (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), আব্দুর রহিম (৫০), মিম আক্তার (২২), আলিফ (২২), মিজানুর রহমান (৩২)।
এদের মধ্যে আব্দুর রহিম ও শাওনের শরীর যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ শতাংশ পুড়েছিল।
আহত সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকালে ওই এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করছিলেন ওয়াসার এক ঠিকাদার।
সকালে ওয়াসার ঠিকাদার কর্তৃক খননের সময় গ্যাসের পাইপলাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে।
পরে তিতাস গ্যাসের একটি জরুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত শিক্ষিকার মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া এলাকার একটি রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ-এ।
নিহত গোলাম রব্বানী (৩৫) লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গোলাম রব্বানী মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, তার ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় রি-রোলিং মিলের শ্রমিকরা লোহা গলানোর সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে সাত শ্রমিক আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার এক শ্রমিক মারা যান এবং শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যান।
এদিকে বিস্ফোরণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্যালাইন তৈরির কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
না.গঞ্জে স্টিল মিলে বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (আর আই সি এল) কারখানায় বিস্ফোরণে চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মিলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারখানাটি পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কারখানাটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন। সেখানে আমি সহ বিদ্যুত বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। আমাকে আহ্বায়ক এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে সদস্য করার কথা তিনি বলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি লিখিত কোন নির্দেশনা পাইনি। লিখিত নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করব।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা অভিযোগ না দিলে দোষীদের অভিযুক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (আর আই সি এল) কারখানায় লোহা গলানোর ভাট্টি (চুল্লি) বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই এক শ্রমিক নিহত ও ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণে ১জন নিহত, আহত ৬
নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া এলাকার একটি রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণে আরও দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার-এ।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ফজর আলীর ছেলে ইলিয়াস আলী (৩৫), আলমগীর(৩০) ও রাজবাড়ীর নিয়ন (২০)।
আহত চারজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াস মারা যান। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, তার ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিয়নের মৃত্যু হয়। তার ৯৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় রি-রোলিং মিলের শ্রমিকরা লোহা গলানোর সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে সাত শ্রমিক আহত হয়েছেন।
পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শংকরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণে ১জন নিহত, আহত ৬
ঢাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দুই নারীসহ ৯ জন দগ্ধ
রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণে ১জন নিহত, আহত ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আরআইসিএল স্টিল নামের একটি কারখানায় লোহা গলানোর সময় ভাট্টি বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার আরআইসিএল স্টিল মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শংকর (৪০)।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কা, মোটরসাইকেল চালকসহ নিহত ২
আহতরা হলেন- মো. জুয়েল (২৫), গোলাম রব্বানী রাব্বি (৩৫), ইব্রাহিম (৩৫), ইয়াসিন (৩৫), নিয়ন (২০) ও আলমগীর (৩৩)। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকরা কারখানার ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। এ সময় ১৫ জন শ্রমিক ছিলেন। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ৭ জন গুরুতর দগ্ধ হন। আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিক শংকরকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক। আরও কয়েকজন হয়ত দগ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে আনা হয়নি।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণে ১জন নিহত, আহত ৬
পটুয়াখালীতে বরফ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ১০
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি বরফ কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকায় মেসার্স খান আইস ফ্যাক্টরিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাসেল খান ফ্যাক্টরির মালিক একেএম ফরিদের শ্যালক। এছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০জন। তার মধ্যে প্রেমানন্দ ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী বাউফল হাসপাতালে ও মো. ইব্রাহিম ও আফজাল নামের দুইজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিসুল হক জানান, রাত ১১টার দিকে কারখানার ভেতরে অ্যামোনিয়া গ্যাস ভর্তি একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই রাসেলের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, কারখানার ৭০০ মিটার এলাকা জুড়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পর আরও ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণে আগুন
চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণে আগুন
চট্টগ্রামের বক্সিরহাট ওয়ার্ডের রাজাখালী এলাকায় একটি চারতলা ভবনের নীচতলায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিস্ফোরণে ভবনের নীচের অংশ ধসে পড়েছে।
বিস্ফোরণের পর পরই ওই ভবনের নীচতলায় অবস্থিত জনতা কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) আগুন লেগে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের এই কোল্ড স্টোরেজের চারতলা ভবনের নীচতলার অনেকাংশ ধসে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ভোর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চালায়।
আহতদের মধ্যে চারজন হলেন- মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো. মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন, আহত ২
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, রাজাখালী এলাকায় জনতা কোল্ড স্টোরেজ নামে একটি শুটকি কারখানায় বিস্ফোরণের কারণে আগুন লাগে। এতে অ্যামোনিয়া গ্যাস আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ফাইটাররা।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো.আব্দুল হালিম জানায়, বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করে। কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে আমরা উদ্ধার করেছি। চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের কারণে ভবনের চারপাশের মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের কারণে চারতলা ভবনের নীচতলা অনেকাংশ ধসে পড়ে। ভবনের সব বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, রাজাখালীর আগুন ও বিস্ফোরণে আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৫
সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
সিরিয়ায় একটি মারাত্মক স্থল মাইন বিস্ফোরণে রবিবার অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা সানা বলেছে যে বিস্ফোরণটি বেসামরিক লোকদের আঘাত করেছে, যারা গ্রামাঞ্চলে ট্রাফল খুঁজতে যাচ্ছিল এবং দক্ষিণ দেইর ইজ-জোর প্রদেশে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুতে রাখা একটি স্থল মাইনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। এলাকাটি জঙ্গিদের সাবেক ঘাঁটি।
একদিন আগে সানা জানিয়েছে যে ছয়জন লোক - যারা ট্রাফলের সন্ধানে যাচ্ছিল - হোমসের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চলের মরুভূমিতে আইএসের রেখে যাওয়া একটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মাইন বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়েছে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রবিবার নিহতের সংখ্যা ৯ জন বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি বলেছে যে এই ঘটনাটি ৩০ শিশু সহ যুদ্ধ থেকে অবশিষ্ট মাইন এবং অন্যান্য বিস্ফোরক বস্তুর বিস্ফোরণের ফলে এ বছর নিহত বেসামরিক লোকের সংখ্যা ১৩৯ -এ দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
ট্রাফলগুলো একটি মৌসুমী খাবার যা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে। যেহেতু ট্রাফল শিকারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বড় দলে কাজ করে, তাই আইএস জঙ্গিরা বারবার তাদের ওপর হামলা করেছে। মরুভূমি থেকে তাদের অপহরণ করতে, কাউকে হত্যা করতে এবং অর্থের জন্য অন্যদের মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য তাদের শিকার করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে, আইএস স্লিপার সেলগুলো কেন্দ্রীয় শহর সুখনার কাছে ট্রাফল সংগ্রহকারী কর্মীদের আক্রমণ করে, এতে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই শ্রমিক এবং কিছু সিরিয়ার সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীও ছিল।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩