চাঁদাবাজি
আমার নামে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যে বা যারা আমার নামে চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লাইন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে অপরাধ করবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। যে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল, তাকে ধরা হয়েছে। তার কাছে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমার নামে চাঁদা দাবির বিষয়টি শোনার পরেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ব্যবস্থা নিয়েছে।
যারা এ ধরনের চাঁদাবাজি যার নামেই করবে সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে অস্ত্রসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় সাঈদীর কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদী।
এছাড়া, সে তার সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল বলেও স্বীকার করে।
অভিযান শেষে সাঈদীকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা রাস্তায় বের হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহাম্মেদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন সাঈদীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তারা র্যাবের আভিযানিক দলের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করে। তখন র্যাবের আভিযানিক দল জোবায়ের আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করলে অন্যরা ছত্রভঙ্গ হয় যায়।
তবে আক্রমণে র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তাদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা হয়।
গণকমিশনের তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একটি বই প্রকাশ করেছেন। তারা এর ভেতরে কী লিখেছেন আমি জানি না। তারা যাদের সন্ত্রাসের দায়ভার দিচ্ছেন কিংবা দুর্নীতি করেছেন, তা আমরা দেখিনি কিংবা ইনকোয়ারি (তদন্ত) করিনি। তাই এটার সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারবো না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অব সি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণ করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজশাহীতে চাঁদাবাজির মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাগমারায় মারপিট করে অর্থ ছিনতাই ও চাঁদা দাবির মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আ’লীগ নেতার নাম সরদার জান মোহাম্মদ (৫০)। তিনি বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ্যে মারপিট করে এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনতাই ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জান মোহাম্মদকে। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছী গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩২) বাদী হয়ে গত ২৬ মার্চ বাগমারা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন তার ভাতিজা জুবায়ের হোসেন (২২) স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত ২৫ মার্চ বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মির্জাপুর বিরহী বটতলা মোড়ে আসামিরা প্রকাশ্যে তার পথ রোধ করে মারপিট করে এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে নেয়। সেই ব্যাগে এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিল।
এছাড়াও ওই এলাকায় ব্যবসা করার জন্য জুবায়েরের কাছ থেকে আসামিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আহম্মেদ বলেন, মামলার প্রধান আসামি হিসেবে জান মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের পর তিনি এলাকা থেকে পালিয়ে রাজশাহী শহরে এসে আত্মগোপন করে ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার দিবাগত ২টার দিকে নগরের হেতেমখা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, এ মামলায় ছিনতাইয়ের কোনো ধারা নেই। মারপিট করে টাকার ব্যাগ চুরি ও চাঁদা দাবির ধারায় মামলাটি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুরে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার
দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সাত সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা ও বান্দরবান থেকে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ রাউন্ড গুলি ও ছয় হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একে এম হাফিজ আক্তার বলেন, রবিবার চাঁদাবাজির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী।
তিনি জানান, গত ১৯ নভেম্বর পূর্ব বাড্ডা আলিফ নগর এলাকায় জেনারেটর ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খান ওরফে টুটুলকে সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা সঠিক সময় না দিলে সন্তানসহ পরিবারের উপর হামলা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয় তাকে। ২১ নভেম্বর বিকালে টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ব্যক্তি প্রবেশ করে। এসময় চাঁদার টাকা দাবি এবং পিস্তল দিয়ে গুলি করে তারা। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার
হাফিজ আক্তার জানান, গ্রেপ্তার কাউসার, জীবন নিরু, আসলাম ও মহিউদ্দিন দুবাইপ্রবাসী চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ক্যাডার বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। পরে তদন্তে প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে জিসানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
জিসান দুবাইয়ে থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দিয়ে এদেশে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তারা যেন এ ধরনের অপরাধ আর করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাফিজ আক্তার।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মেহেদেী অস্ত্রসহ আটক
খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনের সাত বছরের কারাদণ্ড
খুলনার আলোচিত চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদলতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কনেস্টবল মোল্লা মেসবাহ উদ্দিন (পলাতক), কনেস্টবল মো. ফরহাদ আহমেদ, কনেস্টবল মোস্তাফিজুর রহমান (পলাতক), আরমান শিকদার জনি ও মো.বায়েজিত। উল্লেখিত কনেস্টবলরা খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
আদলত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দৌলতপুর বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেটের সামনে শান্তি রানী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে ওই আসামিরা মো.শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাক নামে দুই ব্যক্তিকে আটকে রাখে। এ সময় আসামি মেজবাউদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আরও পড়ুন: কেরোসিন-ডিজেলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। দর কষাকষির একপর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি দৌলতপুর থানাকে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী দু’জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন (যার নং ১১)। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো.বাবলু খান তাদের পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: মানসম্মত মোবাইল সেবা নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন পেছাল
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলার চার্জ গঠন পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলার নথিপত্র একসাথে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক আদালতে মামলার অতিরিক্ত চাপ ও স্টেনো না থাকায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম জানান, স্টেনোগ্রাফার না থাকার প্রেক্ষিতে চার্জ গঠনের তারিখ পেছানো হয়েছে। একই সাথে আদালতে ৩ আসামি অব্যাহতির আবেদন করেছে।
আদালতে মামলা জটের কারণে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী। পরবর্তী ধার্য তারিখে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন ও আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের ব্যাপারেও শুনানি হবে।
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এর মধ্যে ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র নারী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ও চাঁদা দাবি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলাটির অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ: নতুন করে গঠন হবে মামলার অভিযোগ
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান জানান, এসমি কলেজ ছাত্রবাসে আলোচিত এ ধর্ষণের অভিযোগে একটি ও ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।
অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান জানান, বাদীপক্ষ মনে করে একই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দুই আদালতে বিচারকাজ পরিচালিত হলে সাক্ষীরা দুই আদালতেই সাক্ষী দিতে হবে। এতে নানা অসঙ্গতি দেখা দিবে। এতে বিচার প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই দু’টি মামলাই একই আদালতে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। পরে হাইকোর্ট দুটি মামলা একই আদালতে বিচারের আদেশ দেন।
এ আদেশের পর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা একসাথে বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৭ জানুয়ারি আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।
পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অর্থসহ আটক ৫: র্যাব
চট্টগ্রাম মহানগরীর অলংকার এলাকায় চাঁদাবাজির অর্থসহ ৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন-চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার মো. হাবিব আহাম্মদের ছেলে মো. আজাদ (৩৪), কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. অহিদ (৩৮), ভোলার লালমোহনের মো. জামাল হোসেনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩০), চট্টগ্রাম রাউজানের গোপাল দের ছেলে নারায়ন দে (৫১) এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর আবুল হোসেনের ছেলে মো. সিদ্দিক হোসেন (৪৫)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, নগরীর অলংকার এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ জোরপূর্বক ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে-গোপন সূত্রে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ৫ জনকে আটক করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করার কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
যশোরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে নিহত ১
যশোরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে রবিউল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ প্রহরায় থানা থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রবিউল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের সালেকের ছেলে আব্দুল মালেক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল তিন টার দিকে তারা যশোর থেকে একটি ইজিবাইক কিনে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চুড়ামনকাঠি তেল পাম্প পার হয়ে যাওয়ার সময় রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে তাদের ইজিবাইক থামাতে বলে। তারা ইজিবাইক না থামিয়ে চালাতে থাকে। এসময় রবিউল দৌড়ে ইজিবাইকে উঠে এবং পুলিশ পরিচয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে। তারা এসময় চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে ঘটনা শুনে রবিউলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন বলেন রবিউলের শরীরে চাপা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বিকাল চার টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ সহ হাসপাতালে আনা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ২ ডাকাত নিহত
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন রবিউল ইসলাম এক জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তার নামে থানায় হত্যাসহ দুইটি মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন বিকালে চুড়ামনকাটিতে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় লোক জন তাকে গণপিটুনি দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়। পরে থানায় থাকাকালীন অবস্থায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে তাকে আবারও যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
সড়ক পথে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন। ধর্মঘটের কারণে রবিবার সকাল থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জানান, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃজেলা বাসগুলো সিলেটের বাইপাস সড়কে গেলেই শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে কিছু চাঁদাবাজ ৫০ টাকা করে গাড়ি প্রতি জোর করে আদায় করে। এ বিষয়ে বাস চালকসহ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সিলেটের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের জানানো হয়। তারা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলেও শনিবার পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন: বাস ধর্মঘটে অচল দেশের বিভিন্ন জেলা
শ্রমিকরা জানান, বিষয়টি সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, সিলেট বিভাগের ডিআইজিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের জানানো হয়। কিন্তু কোন কিছুতেই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। উল্টো চাঁদাবাজরা বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করায় বাইপাস সড়কে বাস গেলেই শ্রমিকদের মারধর করা হয়। হয়রানি চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে এই ধর্মঘটের অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস মালিক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া জানান, চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনার নালিশ করেও বিচার না পেয়ে ধর্মঘট ডেকেছে আন্তঃজেলা বাসের শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা সিলেটের বাইপাস সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি তাদের সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলাম। যেহেতু বিষয়টি আমার জেলার মধ্যে নয়, এজন্য আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিআরটিসি বাস চলাচলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধা
চাঁদাবাজির অভিযোগে বগুড়ায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার
বগুড়ায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর আদেশে শুক্রবার রাতেই তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বগুড়া সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ আল মোস্তফা ও কনস্টেবল মাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নৌপুলিশের ওপর জেলেদের হামলা: আটক ৫
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এএসআই মোস্তফা ও কনস্টেবল মাহিদুর মোটরসাইকেলযোগে সদর থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মম ইন ইকো পার্কে যান। এ সময় তারা ডিউটিতে ছিলেন না এবং সাদা পোশাকে ছিলেন। তারা পার্কে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীতে আটক করে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। এনিয়ে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। পরে অন্যান্য লোকজন দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করে। এ খবর পেয়ে মম ইন ইকো পার্কের কর্মকর্তারা দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় জেনে তাদেরকে নিরাপদে থানায় পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি পুলিশেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ওই রাতেই তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীর তল্লশী করে টাকা হাতিয়ে নেয়া: বগুড়ায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই আব্দুল্লাহ আল মোস্তফা জানান, তারা মোটরসাইকেলযোগে মম ইন ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে পল্লী মঙ্গল যাচ্ছিলেন। পার্কের একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে কিছু লোক আমাদেরকে চিনতে না পেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পরিচয় দেয়া হলে তারা চলে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইসোলেশনে থাকা হাজতির পলায়ন: ২ পুলিশ প্রত্যাহার
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ডিউটি ছাড়া তারা মম ইন পার্কে গিয়েছিল। সেখানে সংঘটিত একটি ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত চলছে।
অবৈধ আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, দেশে কোন আইপি টিভির অনুমোদন নেই। অনুমোদনহীন ও অবৈধ আইপি টিভির বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেবে সরকার। এবং যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত সাতশ’ আইপি টিভির আবেদন জমা পড়েছে, যাচাই বাচাই শেষে অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এছাড়া অনলাইন পোর্টালের অনুমোদন কার্যক্রম চলমান আছে, বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে শেরপুর সার্কিট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের অনুদানের চেক বিতরণ উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এদিন শেরপুরে আসেন। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকাভুক্ত জেলার ৪৬ জন সাংবাদিকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি। এসময় প্রত্যেক সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুনঃ নিয়মনীতিহীন আইপি টিভি'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রথম দফায় জেলার ১৬ জন সাংবাদিক এ অনুদান পেয়েছিলেন।