বরখাস্ত
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিলেও কোনো কারণ উল্লেখ করেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, 'দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২'-এর ধারা ৪(১) এর অধীনে ডিএজি ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন আইন কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির সময় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং তার পদত্যাগের জন্য নির্ধারিত কোনো কারণ ছাড়াই রাষ্ট্রপতি যে কোনো সময় তার চাকরি বাতিল করতে পারেন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিশ্ব নেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রস্তুত করা একটি বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ডিএজি ইমরান অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ডিএজি ইমরান) অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নিযুক্ত। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলতে হবে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিতে হবে। তিনি সেগুলোর কোনোটি করেননি।’
আরও পড়ুন: ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
তালগাছ উপড়ে ফেলায় ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ
সড়ক নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে ৩০টি তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের বরখাস্তের পাশাপাশি চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন হয়েছে: এনামুর
রবিবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. সোহেল।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, তালগাছ নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এক মাসের মধ্যে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন।
৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিতে বলেছেন আদালত।
নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরিমানাকৃত টাকা দিয়ে সেখানে তালগাছ লাগাতে এবং তা সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী কামরুজ্জামান।
সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে তালগাছ উপড়ে ফেলায় গত মে মাসে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়, ‘উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে।’
বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে গত ৭ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সে অনুসারে মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার হাজির হন। আর ইউএনও প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রুল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কচুয়াবাসীকে রক্ষায় চেয়ারম্যানের ৫ হাজার তালগাছ রোপণের উদ্যোগ
অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ
মাগুরায় হাজত থেকে আসামির পলায়ন, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মাগুরার মহম্মদপুর থানার হাজত থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিন ও ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মোহাম্মদ পাপ্পুকে সামমিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সেফ হোম থেকে ১৭ বাসিন্দার পলায়ন
পলাতক আসামি সোয়েব মোল্যা (৩০) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রো’নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুরির অপরাধে নড়াইলের আদালতে সোয়েবের ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু সাজার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
২৩ জুলাই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় দেখা যায় আসামি হাজতে নেই। এ সময় হাজতখানার সামনের রড ভাঙা পাওয়া যায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল পাপ্পু ও এএসআই শাহীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরখাস্ত
ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে ৭২ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া সার্কেলের (নড়িয়া-জাজিরা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার (৩ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ববি শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে ৪ আনসার সদস্য বরখাস্ত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ জন্য সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন বিবেচিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, রাসেল মনির বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বিএসআর) পার্ট-১ বিধি ৭১ অনুযায়ী খোরপোষ পাবেন।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দায়িত্বে অবহেলা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
অভিযুক্ত মো. রুহল্লাহ চৌধুরী জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম–১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর শ্যালক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধান এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এক স্কুলের ১৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি!
প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা ও অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সম্পদের ক্ষতি করায় স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে এসব অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে। তার দ্বারা অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে সাতকানিয়ার চরতীতে মোবাইল কোর্টে জব্দকৃত বালু ও অ্যাস্কেভেটর চুরির ঘটনায় জিম্মাদার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।
বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ ঘরে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও সংঘর্ষ: দুই মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, শিষ্টাচারহীনতা ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পুড়ুন: চট্টগ্রামে পথশিশুকে মারধরের অভিযোগে কনস্টেবল বরখাস্ত
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী এতথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট করেন।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর গত ১৫ মার্চ এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রবিবার হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এরপর গত বছর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি রিট করেন।
রিট বিচারাধীন অবস্থায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি।
গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।
ভোটগ্রহণ ২৫ মে।
তবে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তার মায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচনেতার মা মেয়র পদে বিজয়ী হন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত আট জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল পাওয়ায় ছয়জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন- জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।
আরও পড়ুন: উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
একইসঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন- সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতকোত্তর, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়)।
এর আগে এদিন দুপুরে যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বোর্ডের ৯০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি ৮২তম রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। এ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত বোর্ড তাদের প্রতিবেদন পেশ করে।
পরবর্তীতে রিজেন্ট বোর্ড ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জাল সনদধারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোম সারাদেশ খুলনা যবিপ্রবির ল্যাবে ৮ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত
লকডাউন হচ্ছে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন
রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যার ঘটনায় ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’র ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রুবেল হত্যা মামলা পিবিআই প্রধানকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ সুপারের নিচে নয়-পিবিআইয়ের এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে এই হত্যা মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে পুনঃতদন্ত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রিট আবেদনটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত রাখতে বলা হয়েছে। আদালত ৫ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) ওই তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হলে শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন ও আদালতের সামনে ভুল তথ্য উপস্থাপনের জন্য হাইকোর্ট এসআই মাসুদুর রহমানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমানকে কেস ডকেটসহ ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ সকালে হাইকোর্টে হাজির হন পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
শুনানির শুরুতে হত্যা মামলা ৪২ ঘণ্টায় অবিশ্বাস্য সময়ে তদন্ত প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, আপনার মতো পুলিশ অফিসার দরকার। আপনি মাত্র ৪২ ঘণ্টায় হত্যা মামলা তদন্ত শেষ করলেন? এ সময়ের মধ্যে কখন সাক্ষী নিলেন, কখন ঘুমালেন, কখন খাওয়া-দাওয়া করলেন তা আমাদেরকে দেখান। আর কতটি মামলা আপনি এভাবে তদন্ত করেছেন, সেগুলো কত সময়ে শেষ করেছেন তার তালিকা দেন।
এসময় পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, এটা আমার প্রথম তদন্ত।
এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, অভিযোগপত্র দ্রুত দিলেও সমস্যা, আবার দেরি করে দিলেও সমস্যা।
আদালত বলেন, তাহলে আমরা একটা মক ট্রায়াল করি। একটি হত্যা মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দী নিয়ে তা টাইপ করে কত দ্রুত অভিযোগপত্র দিতে পারেন, সেটা আমরা দেখতে চাই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেটা দেখার এখতিয়ার আপনাদের আছে।
এক পর্যায়ে আদালত দাখিল করা নথিতে দেখতে পান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার মামলার একটি তদন্ত প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে নথিতে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
এ সময় আদালত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানকে ভর্ৎসনা করে বলেন, কেন আপনি এটা দিলেন। আপনার কাছে তো রেফারেন্স চাওয়া হয়নি। বেশি স্মার্টনেস দেখাচ্ছেন। নিজেকে বেশি স্মার্ট মনে করেন? হাইকোর্টের সঙ্গে বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না। একেবারে কারাগারে পাঠিয়ে দেব।
এরপর মামলার কেস ডকেট দেখার জন্য রিটকারী আইনজীবী শিশির মনিরকে দেন। আদালত কেস ডকেট দেখে আসতে বলে দুপুর ২টায় শুনানির জন্য ধার্য করেন।
তারপরে দুপুরে শুনানিতে মিশির মনির আদালতে, তদন্ত প্রতিবেদনের ত্রুটি তুলে ধরেন।
তিনি আদালতকে বলেন, ২ ঘন্টা ১০ মিনিটে ১৩ সাক্ষীর জবানবন্দী টাইপ করে রেকর্ড করা হয় দুটো ভিন্ন জায়গায়। প্রতি ৯ দশমিক ৫ মিনিটে একজনের জবানবন্দী টাইপ করে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেছেন যে কাগজে লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু জবানবন্দীগুলো টাইপ করা।
এছাড়া তিনি ডায়েরিতে বলেছেন যে তিনি ১০টা ৩৫এর সময় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন এবং ১টা ৪৫মিনিটে থানার উদ্দেশে রওয়ানা করেন।
অপরপক্ষে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে যে তিনি ১১ টার সময় কোর্টে আসামিকে নিয়ে যান এবং ৩ টায় মানিকগঞ্জ কারাগারে আসামিকে প্রেরণ করা হয়।
পরে আদালত শুনানি নিয়ে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্তের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, লাশ রাত দেড়টায় উদ্ধারের পর সুরতহাল করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এরপর মামলা, আসামি গ্রেপ্তার, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানচিত্র তৈরি, সাক্ষ্যগ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পেরিয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ মাত্র ২২ ঘণ্টায়। পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অর্থাৎ লাশ উদ্ধার থেকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র ৪২ ঘণ্টা। একটি খুনের মামলার তদন্তে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়। দুই দিনের কম সময়ে খুনের মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনায় অনেকে প্রশংসা করলেও প্রশ্ন তুলেছেন আইন ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তারা বলছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে রকেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে। এটা ব্যতিক্রমী ও আশ্চর্যজনক ঘটনা।
পুলিশের এমন তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল।
পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামের একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
ছাত্রীনিবাসে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতন ও ভয় দেখানোর অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা ও চার কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
শনিবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে ইবি উপাচার্য প্রফেসর শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন-ইবি ছাত্রলীগের পরিসংখ্যান বিভাগের সহ-সভাপতি শানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগী তাবাসসুম ইসলাম, অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের মাওবিয়া জাহান, চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মি এবং আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইবির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর এম মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এম আলমগীর হোসেন ভূইয়া, প্রক্টর প্রফেসর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান প্রমুখ।
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্তরা ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী ভিকটিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের কক্ষে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে অন্তরা ভিকটিমকে কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে এবং ঘটনাটি তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করে।
ভিকটিম বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবেন বলেও হুমকি দেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী।
১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও আইনজীবী গাজী মোহাম্মদ মহসিন হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছিলেন।
এরপর ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডরমেটরি থেকে প্রভোস্টকে অপসারণ করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত