দগ্ধ
ঢাকার কাপ্তান বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৩
রাজধানীর কাপ্তান বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন তিনজন।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সুইপার কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আগুনে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহাখালী বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
২২ ঘণ্টা পর সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার মাসদাইরে বিস্ফোরণের পর ভবনে আগুন লেগে এক নারী ও তার তিন বছরের ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় ভবনের ৫ম তলায় বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে।
আহতরা হলেন- কুলসুম আক্তার ও তার ছেলে খালিদ।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স- এর উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় ১০ তলা ভবনের ৫ম তলায় বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে। এতে কুলসুম ও তার ছেলে আহত হয়।
তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
তবে কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
রাজধানীর নিকেতনে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ২
রাজধানীর নিকেতনে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণে দুই যুবক দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে গুলশানের নিকেতন সোসাইটির ৬ নম্বর রোডে ছয়তলা বাড়ির পঞ্চম তলার একটি ফ্লাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আগুনের দগ্ধ আহতরা হলেন- গোপাল মল্লিক (২৮) ও মিজানুর রহমান (২০)।
তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, খবর পেয়ে তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। বাসা থেকে দুই যুবককে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ৬টা ৫৩ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এসি বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে আহত ৪
ময়মনসিংহে আগুনে দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বেপারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত খোদেজা খাতুন (৭০) ঐ গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিউলের পরিবারটি দরিদ্র পরিবার। বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় কুপিবাতির আলোতে চলতো তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম। সোমবার রাতে খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়লেও বিছানার কাছে কুপিবাতির আলো জ্বালানো ছিল। রাতের কোনো এক সময় কুপির আগুন মশারিতে ধরে যায়। পরে সেই আগুন বিছানায় ছড়িয়ে পড়লে শুয়ে থাকা খোদেজা মারাত্নক দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বৃদ্ধা অনেকদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন। পরিবারের কারও অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও জানায় ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটিতে আগুন লেগে হেলপারের মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
রাজধানীর ধামরাইয়ে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন-গার্মেন্টস শ্রমিক মো. মঞ্জুরুল (৩২), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দুই বছরের মেয়ে মরিয়ম, জোসনার বড় বোন হোসনা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৮)। সবার স্থায়ী ঠিকানা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩জন দগ্ধ
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মঞ্জুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, জোসনার ৪০ শতাংশ, মরিয়মের ১৫ শতাংশ, হোসনার ২৫ শতাংশ ও সাদিয়ার ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক প্রতিবেশি সুফিয়ান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামের বাসিন্দা জোসনা তাদের ভাড়া বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গ্যাসের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিস্ফোরণটি ঘটে।
রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে সবাই সন্দেহ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় হোটেল-ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩জন দগ্ধ
রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উত্তরখানের আটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ডালিয়া রহমান (৩৫), ডালিয়ার মা আলেয়া বেগম (৫৯) ও ডালিয়ার ভাতিজি অঞ্জনা রহমান (৩০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ডালিয়া তার মা ও ভাতিজির সঙ্গে রান্নাঘরে চা বানানোর জন্য গিয়ে চুলা জ্বালালে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভৈরবে জুতার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিট
তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে আলেয়া ৬০ শতাংশ এবং অঞ্জনা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এবং অগ্নিকাণ্ডে সামান্য আহত ডালিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস পাইপলাইনে লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: শার্শায় জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন আহত
রাজশাহীতে অগ্নিকাণ্ড: গ্যারেজের ৫ গাড়িসহ বহুতল ভবনে আগুন
ফতুল্লায় গ্যাস লাইন লিকেজে মা-মেয়ে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে মা ও তার শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে।
শনিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার আলামিনবাগ এলাকায় পুলিশ সদস্য সারোয়ার জাহানের বাড়ির ভাড়াটের ঘরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ মা ও মেয়েকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
তবে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
দগ্ধরা হলেন, নার্গিস আক্তার (২৮) ও মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৬)।
নার্গিসের স্বামী মনির মিয়ার বন্ধু সোলায়মান মিয়া জানান, মনির অটোরিকশা চালক। শনিবার মনিরের গাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি মাহফিলে যান তিনি। রাতে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, আগুনে মনিরের স্ত্রী ও শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। পরে বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের আগুনের ঘটনায় নার্গিস আক্তারের শরীরের ৭০ শতাংশ ও মেয়ে মরিয়মের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকটের কারণে না’গঞ্জে এক বছরে ২৭ জন দগ্ধ ও ৫ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ২
গ্যাস সংকটের কারণে না’গঞ্জে এক বছরে ২৭ জন দগ্ধ ও ৫ জনের মৃত্যু
গ্যাস আছে কি না; চুলায় চাবি দিয়ে চেক করেছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের গৃহবধূ আফরোজা। গ্যাস না থাকায় সঠিকভাবে বন্ধ করতে পারেননি চুলাট। ভোর সাড়ে ৫ টায় স্বামী-সন্তানদের জন্য রান্না করতে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে চুলার কাছে নেয়া মাত্র বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আফরোজার। এছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তার স্বামীসহ দুই সন্তান।
একই ভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে গত বছরের ডিসেম্বরে আড়াইহাজারে একটি বাড়িতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের কারো মৃত্যু না হলেও দগ্ধ হয়েছিল শরীরের বিশাল অংশ। শুধু সিদ্ধিরগঞ্জ আর আড়াইহাজার নয়, গত ১২ মাসে নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি গ্যাস বিস্ফোরণে ২৭ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছে ফতুল্লায় ১৮ জন দগ্ধ হয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজারে চারজন করে আটজন দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া রূপগঞ্জে দগ্ধ হয়েছের একজন।
এদের মধ্যে ফতুল্লায় মারা গেছেন চারজন এবং সিদ্ধিরগঞ্জে আরও একজন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
ভুক্তভোগী এক পরিবারের সদস্য আমেনা বেগম বলেন, ‘দিনে বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না। তাই চেক করার জন্য চুলায় চাবি দেয়া হলেও পরে গ্যাস না থাকলে বন্ধ হয়েছে কি না বুঝার উপায় থাকে না। তাছাড়া গ্যাসের অবস্থান গন্ধের কারণে বুঝা যেতো, এখন সেটাও পাওয়া যায় না। তাই এই ধরণের বিস্ফোরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
এবিষয়ে সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, এই ধরণের দুর্ঘটনার প্রধান কারণ অসাবধানতা। তিতাস কর্তৃপক্ষ পাইপ লিকেজের ব্যাপারে সচেতন হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। আরও কমবে সচেতনতামূলক প্রচারণা করলে।
তিনি বলেন, তল্লা মসজিদের ঘটনা তারই একটি বড় অবহেলার একটা বড় উদাহর। সেখানে তিতাসের বড় একটা দায় লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি আগে গ্যাসের গন্ধে উপস্থিতি নিশ্চিত হতো, এখন সেই গন্ধের প্রখরতা নেই।
নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস উপমহাপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ জানান, বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অসাবধানতা। তাই সচেতনতাতেই বেশি গুরুত্ব দিতে বলবো সাধারণ মানুষকে। আমরা চাই মানুষ সব সময় সতর্ক রাখতে। তাই গ্যাসের বিলের কাগজেও গ্যাস ব্যবহারের নিয়ম লিখে দেয়া হয়। মানুষকে সচেতন করতে আমরা এখন থেকে মাইকিংও করবো। পাশাপাশি ক্যামিকেল মিশ্রিত (গন্ধ যুক্ত) গ্যাস সরবরাহ করবো। যাতে গন্ধ শুকে মানুষ গ্যাসের উপস্থিতি টের পেয়ে সচেতন হতে পারে।
তবে, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহাম্মদ জানান, প্রতিদিনই অগ্নিকাণ্ডসহ গ্যাস বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে সচেতন করি। মহড়ার পাশাপাশি মসজিদ, মন্দির আর বাসাবাড়িতে প্রচারণা চালাই। তবে, বেশির ভাগ মানুষ ব্যস্ততার কারণে শুনতে চায় না। তাছাড়া কেউ যদি কারো এলাকায় ক্যাম্পেইন করানোর জন্য ডাকে, আমরা প্রস্তুত আছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেক নারীর মৃত্যু
তিনি বলেন, ৭টি উপায়ে রান্নাঘরে গ্যাস বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমত রান্না করার পর চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করে রাখা। রান্না ঘরের ওপরে ও নিচে ভ্যান্টিলেটরের ব্যবস্থা করা, ঘরের মধ্যে গ্যাসের গন্ধ পেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরের দরজা জানালা খুলে দেয়া এবং সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে দেয়া। রান্না করার সময় অন্তত আধা ঘণ্টা আগে রান্না ঘরের দরজা জানালা খুলে রাখা। এতে করে আটকে থাকা গ্যাস থাকলে সেটা বের হয়ে যাবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার চুলা থেকে দূরে রাখা এবং সিলিন্ডারটি দরজা জানালার কাছে বা বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখা। রান্নাঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে কোনোভাবেই লাইটার জ্বালানোর চেষ্টা না করা ও মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রিক্যাল সুইচ অফ বা অন না করা।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০জন দগ্ধ
মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাসের আগুনে চারজন দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং একজনকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সংযোগ ভুল করে চালু রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- রাশেদুল ইসলাম (৪৫), তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০), তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮)। তাদের গ্রামের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্যা গ্রামে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
গুরুতর অবস্থায় ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আর ফারুককে ভর্তি করা হয়েছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, রাশেদ ৮৫ শতাংশ, সোনিয়া ২০ শতাংশ ও শিশু রিফাত ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। সোমবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ ফারুক হোসেন বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে উঠে দোকানে যাওয়ার জন্য আমাকে ঘুম থেকে উঠতে ডাকাডাকি করেন। ঘুম থেকে উঠে আমরা কক্ষের ভেতর কিছুটা বিকট গন্ধ অনুভব করি। এ সময় রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কী ঘটেছে আর বলতে পারি না।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রাখতে পারে বাড়ির লোকজন। কোনো কারণে আগুন জ্বালানোর পর বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিএনজি স্টেশনের সিলিন্ডারবাহী গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৭
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, মা-ভাই দগ্ধ
গাজীপুরে সিএনজি স্টেশনের সিলিন্ডারবাহী গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৭
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে থাকা সিলিন্ডারবাহী গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে এ আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানায়, দগ্ধদেরকে প্রথমে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তোদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।