দগ্ধ
রাজধানীতে ‘গ্যাস লিকেজ’ থেকে আগুন, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ‘গ্যাস লিকেজ’ থেকে আগুন লেগে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চার সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার ভোরে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আবু সাইদ (৩৮), তার স্ত্রী রেখা (২৯), তাদের মেয়ে সাফা (৯) ও ছেলে সাফিয়ান (৭)।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সাতারকুল এলাকায় তাদের ফ্ল্যাটে গ্যাস সরবরাহ লাইনের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর কল্যাণপুরে বস্তিতে আগুন
রাজশাহীতে শতাধিক পানের বরজ আগুনে পুড়ে ছাই
কেরানীগঞ্জ গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে যুবক দগ্ধ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বাণিজ্যিক ভবনের গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে এক যুবক দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ শুকুর ব্যাপারী (২৭) শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকার মোস্তফা ব্যাপারীর ছেলে। তিনি কালিগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন: ভগ্নিপতির দেয়া আগুনে ভাই-বোন দগ্ধ: বোনের মৃত্যু
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনের গ্যাস পাইপে থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় এক যুবক দগ্ধ হয়। আহতকে ঢাকার শেখ হাসিনা বর্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাস পাইপির গ্যাস সংযোজক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ শুকুরের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর।
রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
মৃতরা হলেন-জামালপুর জেলার নাদের (৫০) ও রাজবাড়ী জেলার মো. সিদ্দিক (৫০)।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রবিবার রাতে নাদের ও সোমবার ভোরে সিদ্দিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, সিদ্দিকের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং নাদেরের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩
এর আগে রবিবার দুপুরে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেলাল উদ্দিন (৫০) মারা যান।
বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরার বউবাজার মাটির মসজিদের পাশের গুদামে একটি ট্রাকে পণ্য বোঝাই করার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ হন।
রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় একটি গোডাউনে আগুনে পুড়ে দগ্ধ ৫০ বছর বয়সী এক শ্রমিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত মো. হেলাল উদ্দিনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন হেলাল উদ্দিন রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা এলাকার বউ বাজার মাটির মসজিদের কাছে একটি স্ক্র্যাপ গোডাউনে ট্রাকে মালামাল বোঝাই করার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়িয়া বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- মো. ইউসুফ (৫০), মো. সিদ্দিক (৫০), নূর নবী (৫১) ও নাদের (৪৫)। সবাই গোডাউনের শ্রমিক।
আহতদের মধ্যে সিদ্দিক ৫৪ শতাংশ, নূর নবী ৪২ শতাংশ এবং নাদের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় আগুন
গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেক নারীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হাসিনা মমতাজ (৪৮) নামের আরেক নারী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এই নিয়ে নিহতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়ালো।
এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন-হাসিনা মমতাজ, তার শরীর ৬৬ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে রবিবার রাতে মারা যান মো. আলম হোসেন (৪০),তার শরীর ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল এবং সোমবার সকালে মারা যান জজ মিয়া (৫০), তার শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আউট ডোর আবাসিক সার্জন ডাক্তার পার্থ শংকর পাল।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় জুতার কারখানায় আগুন, নিহত ৩
তিনি বলেন, গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাতজন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে আলম হোসেন ও জজ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় উচ্চনির্ভশীলতা কেন্দ্রে (এইচডিইউ)মারা যান। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসিনা মমতাজ নামের আরেক নারী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, এই দুর্ঘটনায় দগ্ধ আরও দু’জন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন- হাসিনা বেগম (৪০) ও শিশু হাফশা (৬)।
উল্লেখ্য রবিবার আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২ টায় ফতুল্লার আলীগঞ্জের আব্দুল বাতেনের টিনসেড বাসার পাশে রাখা গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ওই বাসার সাতজন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩
কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
রাজধানীর কলাবাগানে এফ এ আল বোরাক নামক একটি রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- রেস্তোরাঁর দুই বাবুর্চি সবুজ (৩০) ও নাহিদ (২২), দুই ওয়েটার মো. ফারহান (২০) ও মো. ফয়সাল আহমেদ (১৫) এবং বাবুর্চির সহকারী সরোয়ার হোসেন (২০) ও চা তৈরির কারিগর মো. তামিম(১৭)।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় বিসিকের নিটওয়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, সিলিন্ডারে গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় আগুন বাড়িয়ে দিতে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে এরা দগ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এদের মধ্যে সবুজ ও নাহিদকে স্কয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকি চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে সরোয়ার হোসেনের শরীরে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. তামিমের শরীরের দুই শতাংশ, ফারহানের ২ শতাংশ ফয়সালের এক শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর শ্যামপুরে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০জন দগ্ধ
ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জের বেপারীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার আলীগঞ্জের বেপারীপাড়া এলাকার আব্দুল বাতেনের টিনসেড বাড়ির পেছনে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বাস বা ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে সিগারেটের আগুন থেকে সিলিন্ডারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন অন্তত দশজন। তাদের মধ্যে ছয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তারা হলেন- আলম (৪০), জজ মিয়া (৫০), সাথী (২০), আসমা (৪০), হাসিনা (৩৮) ও শিশু হাফসা (৬)। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে শেখ রাসেল কমপ্লেক্সে আগুন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ আলম ও জজ মিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ঘটনার সময় তারা খবর পাননি। দুপুরের পর খবর পেয়ে সেখানে একটি দল পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, বাস বা ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করার সময় সিগারেটের আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন দগ্ধ হওয়ার তথ্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কাছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় সিলিন্ডারে কাজ করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভোজ্যতেল কারখানায় আগুন
সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ল ১৮ ঘর
বাগেরহাটে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
বাগেরহাটের শরণখোলায় অ্যাম্বুলেন্সের অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চালকসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সের মালিক আল-মামুন (৩০), চালক মিলন খান (৩২) ও সহকারী শিমুল (৩০)।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
অ্যাম্বুলেন্সের মালিক জানান, তারা তিনজনে মিলে শরণখোলার রায়েন্দা ফেরিঘাট এলাকার শ্বাসকষ্টের এক রোগীকে খুলনা নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীর বাড়ি যান। এই সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নেয়ার সময় হঠাৎ করে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়ে তারা তিন জন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে অগ্নিদগ্ধ দুইবোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিশ্চিত করেছেন তাদের বাবা আলাউদ্দিন খালেদ।
নিহত দুই বোন হলেন-চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাবরিনা (২৩), একই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সামিয়া খালেদ (১৮)। তাদের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে আগুন, দুই বোন দগ্ধ
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই বোনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বড় মেয়ে সাবরিনা খালেদ এবং সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছোট মেয়ে সামিয়া খালেদ মারা যান।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামে একটি পাঁচতালা ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে গেলে দুই বোন দগ্ধ হন। গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ভবনে আগুন, দুই বোন দগ্ধ
চট্টগ্রামে গ্যাসের চুলা থেকে লাগা আগুনে দুই বোন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ১৫ মিনিটে মহানগরীর বাকালিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়ির পঞ্চম তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- ভবনের বাসিন্দা আলাউদ্দীন খালেদের দুই মেয়ে সাবরিনা খালেদ (২৩) ও সামিয়া খালেদ (১৮)।
তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে শেখ রাসেল কমপ্লেক্সে আগুন
নগরীর চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা নিভিয়ে ফেলে। এ সময় দুইজন নারী দগ্ধ হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।’
তিন আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন লাগার পর সম্ভবত বিস্ফোরণের কারণে ভবনটির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে গেছে। এছাড়া পাশের দুটি ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। এছাড়া রান্নাঘরের কিছু আসবাবপত্র এবং শয়ন কক্ষের তোশক পুড়ে গেছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ল ১৮ ঘর
চাঁদপুরে আগুনে পুড়ে বৃদ্বার মৃত্যু