মামলা
নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিবসহ ৫ নেতার হাজিরা
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা প্রদান করেন।তাদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন ও এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পাঁচ নেতা আসামিরা হলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শাহবাগ থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলা দুইটি করা হয়। যা এখনো তদন্তাধীন আছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
চট্টগ্রামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও একজন নিহত হওয়ার জেরে চট্টগ্রামে ছাত্রদলের মশাল মিছিল থেকে দু’টি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি পিকআপে আগুন দেয়ার ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন ভাঙচুরের শিকার গাড়ির এক মালিক। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
তবে নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ছাত্রদলের ঝটিকা মিছিল থেকে আলমাস সিনেমার মোড়ে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুইটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়ির মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
সিএমপির পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) অতনু চক্রবর্তী বলেন, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে 'আলমাসের মোড়ে দু’টি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে আগুন দেয়ার কোনো ঘটনা আমরা শুনিনি। ভাঙচুর করা গাড়ি দুটি থানায় আছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।'
তিনি জানান, রাতে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করেছেন। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। সিসিটিভি দেখে গাড়ি ভাঙচুরকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে হত্যা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করি আমরা। শুনেছি আমরা মিছিল শেষ করে চলে আসার পর কে বা কারা গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত নন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে ঘায়েল করতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকালে
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডুতে মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামি সজীব আহমেদ অপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজীব আহমেদ অপু হরিণাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ছাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে অপুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. রাসেল জানান, জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা বাজারে নিহত জনির মোবাইলের দোকান আছে। অপু কয়েকদিন আগে ওই দোকান থেকে ৬১ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল বাকিতে ক্রয় করে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে আসামি অপু দোকানে ঢুকে জনিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার পর থেকেই র্যাব আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে অপু কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি গ্রামে অবস্থান করছে।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
খুলনায় বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে টেলিকমিউনিকেশন ভবন, খুলনা (কেপিআই) ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তিক্ষেত্রে ক্ষতি সাধনসহ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন কবির বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
এসআই শাহিন কবির বলেন, ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫৫মিনিটে আসামিরা বর্তমান সরকার উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে টেলিকমিউনিকেশন ভবন, খুলনা (কেপিআই) ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধনসহ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর কাজের ষড়যন্ত্রমূলক কাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়।
যা ১৯৭৪ সালের দ্য স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৫ (৩) ২৫- দ্য এক্সপ্লোসিভ সাবসটেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮ এর ৪ ধারার অপরাধ করেছে বলেও জানান এসআই।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ: ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ: ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।
পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন রবিবার ভোরে ঢাকা মহানগর যুবদলের (দক্ষিণ) আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিএনপির ১৫ জনকে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনের নামে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার পল্টন থানা পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জানমালের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে প্রায় ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পরে ওই এলাকায় একটি ক্রুড বোমা বিস্ফোরিত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানান এসআই শামীম।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জের তিন থানায় বিএনপি, জামাত ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) একযোগে তিন থানায় মোট ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ৬৯, ফতুল্লা থানায় ৭১ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫৬ জনকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিম্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। প্রতিটি মামলার বাদী পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে নাশকতার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা সংখ্যা ২।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০/৫৫ নেতাকর্মী লাঠি ও হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে ও শ্লোগান দেয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মিছিল থেকে ৩/৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ টুকরা লাল টেপে মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাঁচের অংশ।
এর আগে ২৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে বিএনপির ৩৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন।
ফতুল্লা থানায় বিএনপির ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার সস্তাপুরে বিএনপির ৭০ নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় হাতে মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, চাপাতি, ককটেল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্লোগান দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরায় ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ টুকরা লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, ৪টি লোহার রড, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৮টি বাঁশের লাঠি, একটি মাঝারি আকারের পোড়া টায়ার ও ভাঙা কাঁচের অংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার শহরের চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমানের দাবী, রাত ৮টায় শহরের চাষাঢ়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গলির সামনে একদল ব্যক্তি ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ মামলা নিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশ নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রেখেছে। তবে পুলিশ বা ক্ষমতাসীনরা যত চেষ্টাই করুক ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ রুখতে পারবেনা। প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে গত ১৪ দিনে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি মামলার বাদী পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা নতুন ‘গায়েবী’ মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি’র সঙ্গে দেখা করে এবং এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি চিঠিও তাকে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলটি দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা এবং ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে দলের পরিকল্পিত সমাবেশ নিয়ে আইজিপির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুলু বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বোমা নিক্ষেপ করে গায়েবী মামলা করছে। ‘আমাদের লোকজনকে গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই আমরা
আমাদের মহাসচিবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইজিপির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছি।’
তিনি জানান, তারা আইজিপিকে আরও বলেছেন যে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ‘আমরা এর একটি প্রতিকার চেয়েছি এবং তিনি আমাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও তাদের দলের ৫০ নেতাকর্মীকে হাইকোর্টের গেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার জনসভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবী’ মামলা করা হয়েছে। ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানালে আমরা বোমা ফাটাবো কেন?
বিএনপি মহাসচিবের চিঠি দিয়ে বুলু বলেন, ২২ আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় হাজার ৭২৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫ হাজার ৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৬৯টি গায়েবী মামলার তালিকা আইজিপিকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
এছাড়া গ্রেপ্তার ৫৫৯ বিএনপি নেতাকর্মীর তালিকাও পুলিশ প্রধানের কাছে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা সমাবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন। ‘আমরা বলেছি নয়াপল্টনে সভা করতে চাই। আমরা ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর নয়াপল্টন আমাদের সভাস্থলের জন্য দু’টি চিঠি (ডিএমপিতে) পাঠিয়েছিলাম। আমরা দ্বিতীয় কোনো ভেন্যু চাইনি।’
তিনি বলেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘আমরা বলেছি এটা আজ আমাদের বিষয় নয়...আমাদের স্থায়ী কমিটি এবং মহাসচিব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার(২৯ নভেম্বর) ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে তাদের দল যাতে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ভারতীয় দম্পতির কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলার রায়ে এক ভারতীয় দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে ১০ বছর ও স্বামী রামবিলাস চৌধুরীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক আব্বাস
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ভারতের পচিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিপুর থানার গৌরীমারী ধুমবালু কলোনীর মৃত রামপরিয়াক চৌধুরীর ছেলে রামবিলাস চৌধুরী (৫৫) ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরী (৪৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দলদলী ইউনিয়নের মহামারী এলাকা থেকে একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ ভারতীয় নাগরিক রামবিলাস চৌধুরী ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে আটক করে র্যাব।
পরে র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ আলী ভুইয়া বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ১৩৫ ভারতীয় জেলে
কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে লিটন বিশ্বাস(৩০) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে লিটন বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন মস্তক উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ।
আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিটনকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পাবনায় বিএনপির সাত নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
জানা যায়, ২০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ট্রাফিক মোড়ের ঘোড়াস্ট্যান্ডে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
অপরদিকে বিএনপি বলছে ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সমাবেশে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যেই তাদেরকে হয়রানির জন্য গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিমেল রানা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান সুইট, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক তরুণ।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
তসলিম হাসান খান সুইট বলেন, পাবনা শহরে ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা না ঘটলেও নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিয়েছে। চলমান আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই জন্য পুলিশ রহস্যজনক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশে পাবনা থেকে যাতে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন, এখান থেকে যাতে বিএনপি নেতারা সাধারণ লোকজনকে সমাবেশ নিয়ে যেতে না পারেন, সেই ষড়যন্ত্র হিসেবে মামলা করছে পুলিশ।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রবিবার বিকালে শহরে ককটেল বিস্ফোরণ করে নাশকতার সৃষ্টি করেছে। পরে সেখানে গিয়ে তিনটি ককটেল পাওয়া যায়। পরে অনুসন্ধানে বিএনপি নেতারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সেদিন রাতেই সাত জনের নাম উল্লেখ ও বাকিদের অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে