মামলা
আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ডিবি পুলিশ, থানায় মামলা
কুমিল্লা থেকে আসামি ধরতে চট্টগ্রামে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। এ সময় হামলাকারীরা গ্রেপ্তার করা দুই আসামিকেও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা বিটাক মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বাঁশের জাগ উচ্ছেদ, পুলিশের ওপর হামলা
পুলিশ জানায়, গত ডিসেম্বরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় শাকিল হোসেন নামে এক তরুণ নিহত হন। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামি সিএমপির পাহাড়তলীর বিটাক মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এমন সংবাদ পেয়ে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের নিয়ে ফেরার পথে তাদের সহযোগীরা ডিবির ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা ডিবির গাড়িও ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয় স্বীকার করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন,‘কুমিল্লা জেলা ডিবি বিটাক মোড়ে আসামি ধরতে যে আসবে সেটা আমাদের ইনফর্ম করেনি। যদি করত তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করতাম। তখন এই ধরনের একটা অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হত না। এখন তাদের কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাদের চাওয়া অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা হবে।’
দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী, খোরশেদ আলম চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খান, এ এম মাইনুল হক ও তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানা, মোবারক উল্লাহ, নেজামুল হক, হোসনে আরা বেগম, মো. ইউনুস, শেখ সোহরাওয়ার্দী, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মো. এরশাদুল হক, হাসিনা ভূঁইয়া, নূর নাহার বেগম, হাসান মুরাদ, দিদারুল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গোলমান আরা বেগম, আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু ও মাহবুব মিন্টু। মামলার এজাহারের প্রধান আসামি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায়, মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরেও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ পুলিশ সদস্য আটক
মামলার সকল আসামি অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিল ২৪ জন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পান। দুদক অভিযোগপত্র দেয়ার সময় আরও তিনজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। বাকি ২০ জনের দুদক আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আমরা আদালতের কাছে সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত সব আসামিকেই বেকসুর খালাস চেয়ে আবেদন করলে আদালত সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।দুদক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়া, যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক।দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলা দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন।
আরেও পড়ুন: দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
অভিযোগ পত্রে কেবিএম সিরাজ উদ্দিন, হাফেজ আহমদ ও খায়রুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়। এর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ মে আদালত তাঁকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে এজাহার নামীয় ২০ জন আসামি মূল বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ২০টি দোকানের পজিশন গ্রহণ করে ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধের সাথে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মবিনুল ইসলামের সাক্ষ্য স্মারকে উল্লেখ করা হয়, মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উক্ত দোকান ইজারা সংক্রান্ত পত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেননি। প্রতিটি আবেদনপত্রের ওপর নিজের মনগড়া দোকানের মূল্য ও মাসিক ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক লিখিত বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আদালতের নির্দেশে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরেও পড়ুন: ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই: নারী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার পূর্বধলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে আসামির স্বজনরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব ভিকুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারামারি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বুলবুলকে (২৮) পূর্ব ভিকুনিয়া গ্রামের জনৈক আশরাফ আলীর বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় খবর পেয়ে আসামি বুলবুলের ভাই নজরুল ইসলাম (৪৮), মুঞ্জুরুল ইসলাম (৫০) ও বুলবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু (২৪)পুলিশের পথরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তাদের হামলায় এএসআই (উপপরিদর্শক) আমিনুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক বুলবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা: গ্রেপ্তার ২২
ঝিনাইদহে ‘জ্বীনের বাদশা চক্র’ এর ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা (৪০) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে ৩ পুলিশ গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার জানান, ২০১৫ সালে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। তখন থেকেই তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এরপর তার স্বামী তার বাবার কাছ থেকে প্রমোশন বাবদ ৭০ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি ১৫ লাখ টাকা এনে দেয়াতে তার ওপর স্বামীর নির্যাতন বাড়তে থাকে। এছাড়া তার স্বামী প্রতিদিন নেশা করে এসে তাকে মারধর করতো।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অপহরণ ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।
ঘুষ লেনদেন মামলা: বাছিরের ৮ ও মিজানের ৩ বছর কারাদণ্ড
অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ৩ জানুয়ারি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি: নিরপেক্ষ তদন্তে ১০ আইনজীবীর রিট
এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
এরপর নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় তিন সদস্যের একটি দলকে।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন।
গত বছরের (২০২১ সাল) ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে।
জৈন্তাপুরে আলোচিত পুতুল হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের জৈন্তাপুরে বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর পুতুল বেগম হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামি স্বামী ওমর ফারুক দোলন (২৭) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের দায়রা ও জজ অতিরিক্ত ৩য় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভুঞা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।মামলার বিবরণে জানা যায়, উমর ফারুক দোলন বাবা মিঠু চন্দ, সৎ বাবা হেলাল মিয়া, মা খোদেজা বেগম (পূর্ব নাম শিপা চন্দ) জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা। ওমর ফারুক দোলন ২০১১ সালে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার রফিক আহমদের মেয়ে পুতুল বেগমকে বিয়ে করে। পুতুল বেগম নগরীর স্কলার্স হোম স্কুল মেজরটিলা শাখায় চাকরি করতো। ওমর ফারুক দোলনও এই প্রতিষ্ঠানে পিয়নের কাজ করতো। বিয়ের পরে তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ সৃষ্টি হয়। ফলে পুতুল বেগম মায়ের কাছে সন্তানসহ চলে আসেন। গত ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর পুতুল বেগমকে ফোন করে উমর ফারুক দোলন জাফলংয়ের ভ্যালি বোর্ডিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
তখন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বাবা রফিক মিয়া কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১ নভেম্বর পত্রিকায় প্রকাশিত অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধারের খবর দেখে পুতুল বেগমের বাবা-মা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চুড়ি ও কাপড়চোপড় দেখে তাদের মেয়ে পুতুল বেগমের লাশ বলে শনাক্ত করেন।দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই আলোচিত মামলায় ২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে সিলেট দায়রা ও জজ অতিরিক্ত ৩য় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভুইঞা ৩০২ ধারায় আসামি ওমর ফারুককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম।বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সবুজ, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট ময়নুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জিল্লুর হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাটে ভবনের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে ওই দেয়াল ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহত লিজা আক্তার (৮) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমুরবুনিয়া গ্রামের মিলন খানের মেয়ে। লিজা কয়েক দিন আগে তার দাদীর সঙ্গে নানা দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
নিহত লিজার নানা দেলোয়ার হোসেন জানান, বাড়িতে তার নাতী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। খেলার ফাঁকে সে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল বেয়ে উঠতে যায়। এসময় দেয়াল ধসে তার মাথার উপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, চালক গ্রেপ্তার
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিয়া নওরীন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরায় ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখার অভিযোগে ডিডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল হক (৪৫) পাটকেলঘাটা থানা প্রেসক্লাব সভাপতি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার থানা প্রতিনিধি এবং পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার বলেন, ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান জানান, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অধস্তনদের বিরুদ্ধে বেনামী দরখাস্ত, স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় পাটকেলঘাটার জহুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জহুরুল ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ও অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিয়ের দায়ে চারটি মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের(ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় প্রায় দুই শতাধিক টং দোকান সরিয়ে এক কিলোমিটার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়।বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন (অঞ্চল-১)।এ সময় করোনা প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনা বাড়াতে প্রায় ৫শ’ মাস্ক বিতরণ করা।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
নগরীর প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আশুলিয়ার গার্মেন্ট কর্মী মো. তানিম হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে টাকা আদায়ের ঘটনায় প্রত্যেকের ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত আরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতেরা হলেন- গামেন্ট কর্মী সোহেল রানা, ফরহাদ হোসেন, মো. আশিকুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ জুলাই সকাল ৯ টায় নিখোঁজ হয় নিহত তানিম। এর তিনদিন পরে আশুলিয়ার খাগান গ্রামের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে পুলিশ লাশটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ময়নাতদন্তে পাঠায়। তখন পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে।
আরও পড়ুন: রিকশাচালক হত্যায় বিজিবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
অন্যদিকে, তানিমকে খুঁজে না পেয়ে তানিমের স্ত্রী নূরুন্নাহার ১০ আগস্ট রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তানিমের মা সাইদা সুলতানা আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তার ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এ মামলা এজাহার হিসাবে গণ্য করার জন্য আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তদন্তে জানা যায়, আসামিরা তানিমের কণ্ঠ মোবাইল ফোনে ধারণ করে নিহতের মায়ের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। সোহেল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কারণ এবং অংশগ্রহণকারী সবার নাম বলে দেয়। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর নিহতের মা সাঈদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন