মামলা
নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন জানান, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
আগামী ১৫ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে এদিন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন মামলার দায়েরের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মামলার অপর আসামি হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর ও ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের এডমিন, বর্ণণাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান।
মামলায় অভিযোগ, গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। সেটা অনলাইনেও দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।’
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
এ বিষয়ে তিনি মামলায় বলেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি পিটিশন শুনানিতে অংশ নেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ‘এসব ষড়যন্ত্র কিসের আলামত, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্র আড়ারের রহস্যময় সিন্ডিকেট কারা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ওইদিন বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনও তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে লেখা হয় বলে বাদী অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,‘আসামিরা ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে আপত্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করে যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারার অপরাধ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ লাখ ভারতীয় জাল রুপি জব্দ, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৯৫ হাজার ভারতীয় জাল রুপি জব্দের দাবি করেছে এলিট ফোর্স।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বরেন্দ্রমোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জসীম (২৮) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শিংনগর এলাকার মৃত চাঁন মোহাম্মদের ছেলে।
র্যাব-৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বরেন্দ্রমোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় তিন লাখ ৯৫ হাজার ভারতীয় জাল রুপিসহ জসীমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ২০ স্বর্ণের বার জব্দ, ২ পাচারকারী আটক
চট্টগ্রামে অস্ত্র জব্দ, আটক ১
খুলনায় আপন ভাইকে হত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
খুলনার রূপসায় আপন ভাইকে হত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্য ইনতাজ মোল্লাকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ইসরাঈল মোল্লা ও গ্রেপ্তার ইনতাজ মোল্লা রূপসা উপজেলার পাচানী গ্রামের মৃত ইকলাস মোল্লার ছেলে।
র্যাব-৬ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ইউপি সদস্য মো. ইনতাজ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রূপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়। হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: রূপসায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার ইনতাজ মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইসরাঈল বাড়িতে অবস্থান করছে জেনে বড় ভাই ইনতাজ, ছোটভাই মারুফ ও বড় ভাইয়ের ছেলে সোহাগ পাঁচানি গ্রামে নিহতের বাড়ি আসে। তাদের চারজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনজন ইসরাইলের ওপর লাঠি ও ইট দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় ইসরাঈল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রেখে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাঈলকে মৃত ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় রূপসা থানায় ইসরাইল মোল্লার স্ত্রী বাদী হয়ে মৃতের বড়ভাই মো. ইনতাজ মোল্লা (৬৫), ছোট ভাই মো. মারুফ মোল্লা (৫০) এবং বড় ভাইয়ের ছেলে সোহাগ মোল্লার (২৫) বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রূপসায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। বর্তমানে ওই দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
এরপর নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় তিন সদস্যের একটি দলকে।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন।
গত বছরের (২০২১ সাল) ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে।
মার্কিন নাগরিক হত্যা: পুলিশ কমিশনারসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সাফায়েত মাহবুব ফারাইজিকে হত্যার অভিযোগে বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তয়াছের জাহানসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর, ভিকটিমের ‘বান্ধবী’ সুজানা তাবাসসুম সালাম, আফতাব, শাখাওয়াত, আসওয়াদ, বাড়ির মালিক কামরুল হক ও কেয়ারটেকার রিপন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে এ মামলা করেন ফারাইজির মা শামিমুন নাহার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৯ মার্চ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী সারোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জন্মদিন পালনের জন্য ভুক্তভোগী সাফায়েত মাহাবুব ফারাইজী ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন। এরপর সাফায়েত তার মা শামীমুন নাহার লিপির সঙ্গে আসামি সুজানা তাবাসসুম সালাম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদকে বন্ধু বলে পরিচয় করে দেন। মাঝে মধ্যে আসামি সুজানা তাবাসসুম সালাম দেখা করতে ভুক্তভোগী সাফায়েতের বাসায় আসতেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ইয়াবাসহ পুলিশ আটক
পরে এ মামলার বাদী শামীমুন নাহার জানতে পারেন, আসামিরা তাদের বাসায় নেশা গ্রহণ করেন এবং ছেলে সাফায়েতকে তা খেতে বলতেন। এরপর আসামি সুজানা তাবাসসুমকে ভুক্তভোগী সাফায়েতের সঙ্গে দেখা ও বাসায় আসতে না করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদ পরস্পর যোগসাজশে বাদীর বাসায় গিয়ে গালিগালাজ ও আঘাত করেন।
তখন বাদী ৯৯৯- এ কল করে রামপুরা থানা থেকে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি মীমাংসা করে। এরপর ভুক্তভোগী সাফায়েত আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বর বাদী ও তার ছেলে সাফায়েত গুলশানে কাজে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গুলশান থানায় যান। কিন্তু থানা তাদের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেনি।
এ ঘটনার দিন আসামিরা বাদীর বাড়িতে গিয়ে তাবাসসুমের সঙ্গে সাফায়েতের যোগাযোগ ও সম্পর্ক রাখতে বলেন। নাহলে সাফায়েত দেশে থাকতে পারবে না বলে জানায়।
গত ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী সাফায়েত বড়দিনের অনুষ্ঠান পালন করতে বের হন এবং রাত পৌনে ১২ টায় ফিরে আসেন। এ সময় আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদকে দেখে বাদী রাগান্বিত হন। তখন ভুক্তভোগী সাফায়েত তাদের নিয়ে চলে যান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী সাফায়েত আর বাসায় ফিরে আসেননি। এরপর ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভাটারা থানা এলাকা থেকে ভুক্তভোগী সাফায়েতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
চট্টগ্রামে অপহরণ করে মুক্তিপণ, ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
দুই মামলায় প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ফরিদপুরের প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে ট্রাইবুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
জানা গেছে, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, অর্থআত্মসাৎ, প্রতারণা ও সাইবার অপরাধে দেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধ ডজনের বেশি মামলার আসামি সিকদার লিটন। ফরিদপুর, খুলনা, পাবনা ও ঢাকার আদালতে মামলাগুলোর বিচার চলছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন তিনি। তবে প্রতারণা বন্ধ ছিল না। ছদ্মবেশে নানাভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থআত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। পরে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে যে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার দুটোই ফেসবুকে এসে অশালীন মন্তব্য ও কুৎসা রচনার অভিযোগে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুফিয়া বেগম রোজীকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় মামলা করা হয় লিটনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অপর মামলাটি দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুৎসা রটনা, মিথ্যাচার ও ভাবমূর্তি নষ্টের অপরাধে করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আকিবুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুটো মামলাতেই বিচার শুরু হলো সিকদার লিটনের। আগামী ৯ জুন থেকে বিচার শুরু হবে। প্রথম দিনই মামলার স্বাক্ষ্য নেয়া হবে।
নাসির-তামিমার বিচার শুরু
ডিভোর্স না নিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগের মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপর দিকে তামিমার মা সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন নাসির-তামিমার আইনজীবী মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: নাসির-তামিমার বিয়ে: অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নাজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ‘তামিমা যথাযথভাবে রাকিবকে তালাক দিয়েছেন। তা কার্যকরের বিষয় কাজী অফিসের। নাসিরের সঙ্গে যখন তামিমার বিয়ে হয় তখন কাবিননামায় তালাকপ্রাপ্ত লেখেন তামিমা। রাকিবকে তামিমা তালাক দিয়েছেন এটা তাদের ব্যাপার। এখানে সুমি আক্তারের (তামিমার মা) কোনো ভূমিকা নেই। তাই মামলার দায় থেকে সবাইকে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে শুনানিতে রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন,‘ ডিভোর্সের পরেও তামিমা-রাকিব একসঙ্গে থেকেছেন। আইনে আছে যিনি তালাক দেবেন তিনি নোটিশ জারি করবেন। কিন্তু তামিমা নোটিশ জারি করেননি। বরং ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া তালাকের পর রাকিবের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করেছেন তামিমা। এ বিষয়ে তামিমার মা সব জানতেন। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে আবেদন জানাচ্ছি।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে এই মামলার আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন শুরু করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ: পিবিআই
তারও আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করা হয়।
সেদিন নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নাসির-তামিমাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
না’গঞ্জ আদালতে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। একই সঙ্গে মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে উপস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ওরফে নাহিদ হেলালকে।
রবিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লা আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালতে মামলার এ আবেদন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
এ বিষয়ে মামলার বাদী একেএম ওমর ফারুক বলেন, ‘মুরাদ হাসান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য জাইমা রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন। জাইমা রহমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন সদস্য। তাকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও অশালীন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও অশালীন মন্তব্যে জিয়া পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য মুরাদ হাসানসহ উপস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ওরফে নাহিদ হেলালকে আসামি করে মামলার আবেদন করেছিলাম। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরে মামলা প্রত্যাহারে চাপ, সহোদরাকে নির্যাতনের অভিযোগ
নাটোরের গুরুদাসপুরে মামলা করায় দুই বোনকে নির্যাতন করে হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ইসরাত জাহান সুখি ও তার বোন সুমি খাতুনের বাড়ি ওই গ্রামে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
অভিযুক্তরা হলেন- আলমগীর ও সুজন। তবে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি সাজানো বলে দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী সুখি ও সুমি জানান, পারিবারিক বিরোধের কারণে তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেন। এরপর আলমগীর ও সুজন আলী তাদের স্ত্রীদের তালাক দেয়। মামলা প্রত্যাহার করানোর জন্য শুক্রবার রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, গৃহকর্তী আটক
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা পড়ুয়া শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইমাম হোসেন মিসকিন (৪৫) নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন অভিযুক্তের স্ত্রী ও ভুক্তভোগী শিশুর মা।
অভিযুক্ত ইমাম হোসেন উপজেলার চর সাহাভিকারি গ্রামের মিসকিন বাড়ির এনায়েত উল্যাহর ছেলে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানার বাড়িতে থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা করে ভুক্তভোগী শিশুটি (৮)। গত ২৭ জানুয়ারি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মধ্যরাতে নিজ শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে ইমাম হোসেন মিসকিন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী শিশুর মা। তারা বিচার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এর জেরে শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুর মা থানায় গিয়ে তার স্বামী ইমাম হোসেন মিসকিন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামকে আসামি করে মামলা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম সরকার বলেন, বাদীর এজাহার এফআইআর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশু নিজেই ফেনীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলামের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামে যুবক গ্রেপ্তার
৪ মাসের শিশু হত্যা: একজনের যাবজ্জীবন