মামলা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ভোলা মণ্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
এ রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- আব্দুল মান্নান, সানোয়ার হোসেন শাহাজ হোসেন ওরফে ইদা, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, দুলু মিয়া, শাহাজাহান আলী, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব , আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, আনিসুর ওরফে আনিসুর রহমান, দেলোয়ার, রিয়াজ ওরফে রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল ওরফে রেয়াজ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা ও কুয়াতপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে ভোলা মণ্ডল টাকার বিনিময়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিতেন। গত ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতে আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। আসামিদের মারধরে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মণ্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লা আমানকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার জন্য বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনা ছিল।
গ্রেপ্তার আমান উল্লাহ আমান ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য সচিব।
সিটিটিসি প্রধান আসাদ আরও বলেন, আমানউল্লাহ আমানসহ হামলাকারীরা আগে থেকেই পুলিশের মনোবল ভাঙতে এবং প্রয়োজনে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে 'চাঞ্চল্যকর' তথ্য পাওয়ার দাবি সিটিটিসি’র
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা আমান জানান, বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের সময় আমান তার অনুসারীদের নিয়ে মঞ্চের পাশে অবস্থান নেন।
এরই মধ্যে কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশে আমান বিপুল সংখ্যক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে ভিক্টোরি হোটেল লেন দিয়ে অগ্রসর হতে থাকে এবং পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে।
তিনি বলেন, বক্স কালভার্ট রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত ডিআর টাওয়ার এবং আশেপাশের স্থাপনায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপর আমানের অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, এ সময় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ ইটের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। ‘আমিরুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং লাশ রাস্তায় পড়ে ছিল কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করতে থাকে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে (২৮ অক্টোবর) কেন্দ্র করে এক সপ্তাহে খুলনায় নেতা-কর্মীদের নামে ১৫টি মামলা এবং দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীকে।
এর মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) নতুন ৩টি ও জেলার ৯টি থানায় নতুন ১২টি মামলা করেছে পুলিশ।
দলটির খুলনা মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন অভিযোগ করে বলেন, এজাহার নামীয় আসামি না হলেও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী, দাকোপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা এলাকা থেকে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বটিয়াঘাটা থানায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জলমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর তিন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ৩টি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মোট আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জনকে।
আরও পড়ুন:মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তেরখাদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২ নভেম্বর তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার হালদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মান্নানের ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে সাদা পোশাকের ৮ জন নিরালা এলাকায় মান্নানের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা সদর থানায় এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহিরসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই নিয়াজ মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বঙ্গবন্ধু টানেলে গাড়ি রেস, ৭ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে প্রাইভেটকার নিয়ে রেসে মেতে উঠা সাতটি গাড়ির বিরুদ্ধে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেছে টানেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্র্যাফিক) তানভীর রিফা বলেন, টানেলের ভেতর সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারে। কিন্তু রেসে অংশ নেওয়া গাড়িগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি গতিতে চালিয়েছে। যা টানেলের রুলস ব্রেক করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তাই কতৃপক্ষ মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় ৭.১ লাখ টাকা
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদদীন মেজবাহ।
তিনি বলেন, সিএমএম আদালতের জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আমরা জামিনের আবেদন দাখিল করেছি।
আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়েছে। তবে জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা আসেন। তারা লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট-পাটকেল ও ককটেলসহ নানা রকম অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধিক বাস-পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ইট-পাটকেল এবং ককটেলসহ (বিস্ফোরক) বেআইনি সমাবেশ ঘটায়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারণের ও যানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে। যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
নাটোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রী হত্যার পৃথক দু’টি মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমান জানান,২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বড়াইগ্রাম উপজেলার কেচুয়াকোড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হাসনা হেনাকে(২২) পিটিয়ে ও স্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী শরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় হাসনা হেনার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুলের মা সহ ৩ জন। একই সাথে আসামি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে অপর একটি স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম শফিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন।
২০১৭ সালের ২৭ মে পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো স্বামী শফিক। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও শফিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় বলে জানান আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে শনিবার দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পরে তিনি জানান, রাত ৮টার দিকে ফখরুলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির হরতালের মধ্যেই ডিবি ফখরুলের গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে আটক করে।
পরে তাকে ডিবির মিন্টু রোড কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের বাড়িতে এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে তাদের বাড়ির ভবন থেকে সব সিসিটিভি ক্যামেরা ডিভাইস ও ফুটেজ নিয়ে যায়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার ফিরে এসে তাকে (ফখরুল) তুলে নিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।’
রাহাত আরা বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করি জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেবে।’
শনিবার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়ার পর এ আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হওয়ার পর হঠাৎ করে সমাবেশ স্থগিত করে ফখরুল হরতাল ঘোষণা করেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা।
নয়াপল্টনের চারপাশে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি হঠাৎ করে সমাবেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অন্তত ১ হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে রবিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে ৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আরও মামলা দায়েরের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে থানা সূত্রে জানা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে মির্জা আব্বাসসহ ৮৪৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশনে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বিল্লাল হোসেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় বাদী হয়ে মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটতো না, এত মানুষের ক্ষতিও হতো না।’
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল সিগনাল সিস্টেম থাকায় একটি ট্রেনের সিগনাল দেওয়া হলে পরবর্তীতে লাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্য কোনো লাইনে সিগনাল দেওয়া যায় না। সকল লাইনে লাল বাতি জ্বলে থাকবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
কিন্তু ঘটনার দিন কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি সিগনাল মানেনি। যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ৩ জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম।
উল্লেখ, সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ ভৈরব রেলওয়ে জংশনে এগারো সিন্ধুর গোধূলি ট্রেনকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন ১ জন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
ফরিদপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা ও সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার মোল্যা। অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেন ওই সাতটি এতিমখানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানায় ভুয়া এতিম শিক্ষার্থী দেখিয়ে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ আত্মসাত করেন।
তাই দণ্ডবিধির ৪০৯/৮২০ ৮৬১৮৬৬/৪৭১/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করে দুদক বরাবরে অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ভাতা সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় কল্লোল সাহা ও মো. বাবুল আক্তার মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা