মামলা
নিজের স্বামী প্রমাণ করতে ১৪ বছর লাগল বিউটির
বিয়ের তিন বছর পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন স্বামী রাছুল আমিন। নিরূপায় হয়ে আইনের আশ্রায় নেন বিউটি খাতুন। তলবি দেনমোহর দাবি করে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, মামলার পর নিজে আসল স্বামী নয় প্রমাণ করতে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেন স্বামী রাছুল আমিন। কাবিনসহ বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর করে প্রতারণার মহাজাল বিস্তার করেন। এ নিয়ে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কাবিন জালিয়াতি করার অভিযোগে মামলাও করেন। নিজে রাছুল আমিন নয় দাবি করে মামলায় তিনি গোলাম রছুল নাম ধারণ করেন। ১৪ বছর মামলা চলার পর রছুল আমিন ওরফে রাছুল আমিন বিজ্ঞ আদালতের পর্যবেক্ষণে দোষী প্রমাণিত হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পারিবারিক আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. ফরিদুজ্জামান বাদীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাঢ়িপাড়া গ্রামে এই ঘটনাট ঘটে এবং গত ২৬ অক্টোবর উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
২০০৪ সালের ২৬ জুন একই উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রছুল আমিন ওরফে রাছুল আমিনের সাথে গ্রামের ইসমাইলের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এই দম্পত্তি তিন বছ সংসারও করেন। এখনো বিউটি বেগম তার স্ত্রী।
এদিকে পিতার বাড়িতে ফেলে রেখে বিউটি বেগমের কাছে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন রাছুল আমিন। অবশেষে ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বিউটি।
মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে রাছুল আমিন নিজেকে গোলাম রছুল হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেন। বাদী বিউটি বেগমের দাবি মিথ্যা প্রমাণের জন্য বিবাদী যত রকমের আইনগত বিধান আছে তার সুযোগ নিয়ে মামলাটি নিষ্পতিত্তে বাধা দেন। আর এই ভাবেই ১৪ বছর কেটে যায়।
বাদী বিউটির লিখিত আরজিতে উল্লেখিত রাছুল আমিন মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিকারী গোলাম রসুল একই ব্যক্তি বলে রায় দেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে
রায়ে উল্লেখ করা হয়, মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ে প্রমাণের জন্য যেসব বিধান আছে তা বাদী বিউটি বেগম প্রতিপালন করেছেন। বিয়ের ইমাম, কাজী (নিকাহ রেজিষ্টার) ও বাদীর ভাই বিউটি বেগমের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সার্বিক আলোচনা থেকে বিজ্ঞ আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে বৈধভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তারা ঘর-সংসার করেছেন এবং এখনো তাদের মধ্যে বৈবাহিক অবস্থা বহাল আছে। ফলে বাদী তার দেন মোহর বাবদ বিবাদীর বিরুদ্ধে এক লাখ এক টাকার ডিক্রি প্রাপ্তির অধিকারী। বাদী তার দেনমোহর ও ভরণপোষন বাবদ বিবাদীর বিরুদ্ধে সর্বমোট চার লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৯ টাকার ডিক্রি লাভ করেন। রায় ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে ডিক্রিকৃত সমুদয় অর্থ বাদীকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
বারহাট্টায় সৎ ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন
নেত্রকোণার বারহাট্টায় জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৎ বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বড় ভাই আলামিন মিয়া (৪০) বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা ওই উপজেলার গোড়াউন্দ গ্রামের রব মিয়া ছেলে।
নিহত পলাশের ছোট ভাই মো. পিতাস বলেন, আমার বড় ভাই পলাশ মিয়া ও সৎ বড় ভাই আলামিন মিয়াসহ আমরা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির উঠানে আলোচনা করছিলাম জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে আলামিন উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার সময় পলাশ মারা যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে কৃষক নিহত
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় রাজহাঁস মারাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। শুক্রবার নাটিমা ইউনিয়নের নস্তিপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মফিজ মোল্লা (৪৫) ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
নস্তিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন জানান, নিহত মফিজ মোল্লার প্রতিবেশী কামালের রাজহাঁস মারাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মফিজ ও কামালের পরিবারের মাঝে ঝগড়া হয়। এসময় মফিজ সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে গেলে কামাল ও তার পরিবারের লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে মফিজের ভাই লাবুকেও মারধর করে তারা। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মফিজের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে যশোরে রেফার্ড করা হয়।যশোর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। নিহতের লাশ এখনও এলাকায় পৌঁছায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষক নিহত
ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত
ভোলায় শিশু ধর্ষণ: চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির দাদি তাকে রেখে বাড়ির পাশের ঘরে গেলে অভিযুক্ত শিশুটির চাচাতো ভাই শামীম (১৮) শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে শামীম পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চরফ্যাশন শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, শামীমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কুড়িগ্রামে প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন
শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পানিহাতা সীমান্ত থেকে শুক্রবার ভোরে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে দুটি মৃত হাতি উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকা থেকে একটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার হয়েছিলো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন ও বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম মৃত বন্যহাতি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঘটনাস্থলে থাকা বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের গোপালপুর বীট কর্মকর্তা মো. শাহআলম মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রামে মৃত বন্য হাতিটি দেখা যায়। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি পুরুষ, বয়স আনুমানিক ২ বছর হতে পারে। হাতিটি অসুস্থ্ হয়ে মারা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা পরিবেশবাদী সংগঠন বার্ড কনজারভেশন অব শেরপুর এর সভাপতি সুজয় মালাকার জানান, হাতিটির কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা গর্ত খুড়ে হাতিটি মাটিচাপা দিতে চেষ্টা করছিলো।
আরও পড়ুন: তাহিরপুর সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে মেঘালয়ে ফিরে গেছে ৪ বন্য হাতি
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল পানিহাতা এলাকার লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিয়ে আসছিলো। স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছিলো।
এদিকে, গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে বনবিভাগ।
হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একটি বিপন্ন এশিয়ান হাতি হত্যার ঘটনায় জেলায় প্রথমবারের মতো চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলার মালাকোচা এলাকার কৃষক আমেজ উদ্দিন, তার ভাই সোমেজ উদ্দিন, মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল।
বৃহস্পতিবার বালিজুরী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তিনি বাদী হয়ে শ্রীবরদী আদালতে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়েরের পর শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৬ ধারায় তফসিল-১ লঙ্ঘনের জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আদালত চার আসামিকে তলব করে মামলার শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
৯ নভেম্বর, উপজেলার সোনাঝুরী টিলায় স্থানীয় কৃষকদের সবজি চাষের জমির আশেপাশে বসানো বিদ্যুতায়িত জিআই তারে আটকে খাবার খুঁজতে আসা একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, জমিগুলো আসলে বন বিভাগের মালিকানাধীন এবং কৃষকরা সেখানে অবৈধভাবে চাষাবাদ করছেন। তিনি বলেন, বনের জমি দখল করে কৃষিকাজ বৃদ্ধির কারণে এলাকায় বন্য হাতি আসতে শুরু করেছে।
জেলার হাতি প্রশিক্ষক দলের আদনান আসিফ জানান, গত ২০ থেকে ৩০ বছরে শেরপুরের গারো পার্বত্য অঞ্চলের বিশাল এলাকা ছোট হয়ে গেছে।পাহাড়ি এলাকায় মানব হানাদারদের কারণে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে গেছে এবং অবশিষ্ট কয়েকটি হাতির খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বন কর্মকর্তাদের মতে, গত দুই দশকে শেরপুর জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৩০টি বন্য এশিয়ান হাতি মারা গেছে।
তাদের মধ্যে অনেকে গুলি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, কিংবা বিষক্রিয়ায় মারা গেছে এবং কেউ কেউ বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: কক্সবাজারে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি’র ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্ৰকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এ মামলা করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ কুমার দাস খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি গ্রহণ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। তবে বাকি দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: থ্রিএমটিতে প্রথম হলেন খুলনার সুমাইয়া রহমান
এর আগে, আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানেও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়। ওই জিডির কপিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরাধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আনসার সদস্য নিহত
৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে মোহাম্মদ মুছা নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার আশরাফ আলী রোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মুছা নগরীর খুলশী থানার হীল সাইড আবাসিক এলাকার রৌশন টাওয়ারের হাজী খায়ের আহম্মদের ছেলে।সিএমপির খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ‘মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর করা ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার আসামি ছিলেন মোহাম্মদ মুছা। গাড়ি ব্যবসার আড়ালে তার ছেলে মাসুদ পারভেজকে দিয়ে এসব প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। তাকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতের কাছে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে ৭ স্তরের নিরাপত্তা
অঝরে কাঁদলেন ওসি প্রদীপ!
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অঝরে কাঁদলেন মামলার ২নং আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। সিনহা হত্যাকান্ডের ১৫ মাস পর এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে কান্নারত অবস্থায় তাকে দেখা গেলো।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় আদালত কার্যক্রম শেষে এজলাস থেকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কাঁদলেন তিনি। এসময় হাতকড়া পরানো প্রদীপের দুই পাশে ছিলেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস ও পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আনা-নেয়ার সময় এভাবে প্রকাশ্যে কখনো কাঁদেননি ওসি প্রদীপ। সপ্তম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কেন কাঁদলেন তিনি এটা জানার আগ্রহ জনে জনে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, 'মেজর অব. সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন শিগগিরই তার অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। তিনি যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে অপরাধ করেছেন সেই অনুশোচনা তার মধ্যে কাজ করছে। এবং তার অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত নিশ্চিত হবে ভেবেও হয়তো কেঁদেছেন।
এদিকে এ মামলার ৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালত।
৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের জেরা অসমাপ্ত রেখে ৭ম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষের দিন আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কাঁদেন ওসি প্রদীপ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
সিরাজগঞ্জে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য আটক
সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের নারীসহ চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১২’র সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার মাসুমপুর উকিল পাড়া মহল্লায় জনৈক নুরুজ্জামানের ৪তলা বাসায় তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর উত্তর পাড়া মহল্লার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পুঠিয়া বাড়ী মহল্লার মো.আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৭), হোসেনপুর মহল্লার মো. আলী আশরাফের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (২৮)ও ধানবান্ধী মহল্লার মো. মানিক শেখের মেয়ে মোছা. উন্নতি খাতুন ওরফে মিথিলা (২০)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন, প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য আটক
র্যাব-১২’র সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার পাবনা রোডের ফল ব্যবসায়ী মো. রঞ্জু সরকার মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দোকানের ফল কেনার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যায়। এসময় পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে মো. রঞ্জু সরকারকে কৌশলে মোছা. উন্নতি খাতুন ওরফে মিথিলা তার ভাড়া বাসায় নিয়ে অন্যায়ভাবে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে উন্নতি খাতুন ওরফে মিথিলা আটক আসামিদের সহায়তায় রঞ্জু সরকারকে মারধর করে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। এমতাবস্থায় রঞ্জু সরকারকে উদ্ধারের জন্য তার পরিবার র্যাব-১২’র কাছে একটি লিখিত আবেদন জানায়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়।
র্যাবের ধারণা এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রতারক চক্রের মূল হোতা আটক