মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবক আটক, অবৈধ অস্ত্র জব্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে দুইটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আড়গাড়াহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক যুবক রনি আহম্মেদ(১৬) উপজেলার এখলাসপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
রাতে র্যাব-৫ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার আড়গাড়াহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় দুইটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলিসহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী রনি আহম্মেদকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের ১৮ চামড়াসহ দুই পাচারকারি আটক
মোবাইলে মেসেজে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, আটক ২
মাগুরায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী মিয়াসহ তিনজনের নামে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. লাল্টু মিয়া বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন নহাটা বাজারের চালের ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দে।এদিকে একই অভিযোগে নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মঞ্জুর রহমান নামে অপর এক চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৯০০ কেজি ভিজিএফের চালসহ আটক ১
থানা-পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার নহাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ, অসহায় ব্যক্তির জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ওই চাল তাঁদের মধ্যে বিতরণ না করে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ইউপির চেয়ারম্যান আলী মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন নহাটা গ্রামে চাল ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২২ বস্তা চাল (১ হাজার ১০০ কেজি) উদ্ধার করেন।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নহাটা বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী মঞ্জুর রহমানের গুদামে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন ইউএনও মো. শাহিন হোসেন। এ সময় মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভিজিএফের ২৯ বস্তা চাল জব্দ
তবে চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আলী মিয়া বলেন, ‘মেম্বারদের (ইউপি সদস্য) উপস্থিতিতে ৩২২ বস্তা চাল এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ লোকের মধ্যে তিন দিন ধরে বিতরণ করেছি। মাস্টার রোলে সদস্যদের স্বাক্ষর আছে। ভিজিএফের চালে গন্ধ থাকে। তাই গরিব মানুষ ওই চাল খেতে চান না, ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। উদ্ধার হওয়া চালের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও সাহেব আমার কাছে ভিজিএফের ৩০০টি কার্ড দাবি করেন। কিন্তু তালিকা চূড়ান্ত হওয়ায় তাঁকে কোনো কার্ড দিতে পারিনি। তাই আমার ওপর তাঁর রাগ ছিল।’
কার্ড চাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকেরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁরা কিছু কার্ড চেয়েছিলেন। তাঁরা রাজনীতি করেন। এ জন্য তাঁদের কার্ডের দরকার হয়। আমি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি। এর সঙ্গে ভিজিএফের ওই চাল উদ্ধার বা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরীকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা মামলাটি রেকর্ড করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। কমিশন মামলা তদন্ত করবে।’
আইসিটি মামলা: লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন জিআর শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন, উইমেন চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর লিপা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিষ্মিতা সিমন্তি।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর আগাম জামিন
সূত্র জানায়, গত তিন অক্টোবর ঢাকার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে এ মামলায় আরেক আসামি উইমেন চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা লীনা হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক পত্রিকা আল বাইয়েনাত সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে তসলিমা নাসরিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহজাহানপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
মামলার এজাহারে বলা আছে, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুপ্রীতি ধর, সুচিষ্মিতা সিমন্তি ও লীনা হকরা প্রায়ই পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক লেখা প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনও ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছিল,‘পয়গম্বরও আরব দেশে ইহুদি পুরুষদের মেরে ওদের মেয়েদের নিজের সঙ্গীদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন।’ লেখিকার এ বক্তব্যে মামলার বাদীর দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন নামঞ্জুর
চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আসামির পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হলে, আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাইকোর্ট বেঞ্চ ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে আজকে আত্মসমর্পণ না করে বরং সময়ের আবেদন করে। তার এই আবেদনে আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। ভোলা হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন না করায় আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তারএসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিহত মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা। ২০১৬ সালের ২৭ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে ভোলাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ভোলার স্বীকারোক্তি মতে ভোলার সহযোগী মনিরের হেফাজত থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মিতু হত্যা ও অস্ত্রের দুই মামলায় ভোলাকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: পলাতক ৩ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাপ্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিন বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট আট জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তারএজাহারে সাবেক এসপি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার, কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু, ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা ও শাহজাহান মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। যদিও এদের মধ্যে দু’জন পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছে দু’জন। পুলিশের মতে, নিখোঁজ রয়েছেন কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্বদানকারী মুসা।এছাড়া স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।
জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ: ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগে একটি মামলায় পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলমসহ তার এক সহযোগীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সরকার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের গাড়াতিপাড়া এলাকার কালু মিঞার সাথে জমি নিয়ে হাড়িভাসা এলাকার সোহরাব আলী (৩৫), সুরমান আলী (৩২), মকবুল হোসেন (৫২) ও সাদ্দাম হোসেনের (২২) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কালু মিয়াকে ভুয়া কালু মিয়া দাবি করে তারা আদালতে দুটি মামলাও করে। পরে মামলা দুটি খারিজ করে দেয় আদালত। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা কালুমিয়ার প্রায় এক একর জমি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় কালু মিয়া জমি উদ্ধারে আদালতে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
এর মধ্যেই আসামিরা হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম, ১ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাহেরা খাতুনের সহযোগিতা কালুমিয়াকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ নেয়। বিষয়টি জানতেন না কালু মিয়া। পরে তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে কালুমিয়াকে হুমকি দিতে থাকে। ওয়ারিশে মৃত দেখানোয় তাকে মেরে ফেললেও কিছু হবে না বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি শুনে কালু মিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখতে পান তাকে মৃত দেখিয়ে রেজিস্টারে ওয়ারিশের বর্ণনা রয়েছে।
নিজেকে মৃত দেখানোয় বিস্মিত হন কালু মিয়া। পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কালু মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম, ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাহেরা খাতুন এবং বিরোধীয় সোহরাব আলী, সুরমান আলী, মকবুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেনের নামে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অভিনব কায়দায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আসাদ্দুজামান বলেন, ওই মামলায় সাত জন আসামী মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে মকবুল হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাননি হেলেনা জাহাঙ্গীর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ড. বশির উল্লাহ জানান, তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেসড রিজেক্ট) করেছেন। ফলে তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত সপ্তাহে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। ৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়। ওইদিনই দিবাগত মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে। পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। এরমধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
হাইকোর্টে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার তার আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী জামিন আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ওই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তার আবেদনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৯০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
ওইদিনই মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সড়ক দুর্ঘটনায় সংবাদকর্মীর বাবা নিহত
রাজধানীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সংবাদ কর্মী মো. সামসুদ্দিন আহম্মেদ মিশুর বাবা স্বপন তাবরীজ (৬৫)। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রায়েরবাগ এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহতের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাসাবো এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান স্বপন তাবরীজ। সেখান থেকে রাতে রায়েরবাগের বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ খালেক বলেন, চট্টগ্রামগামী একটি মাইক্রো বাসের চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাস শনাক্তকরণ এবং চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিকসহ নিহত ৩
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মীসহ নিহত ২
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরা সদর উপজেলায় নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গোপালগ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফা খাতুন (২) এর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার ধলহারা গ্রামে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে শিশুসহ ৫ মৃত্যু, নিখোঁজ ৭
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর আলম জানান, শনিবার সকালে শিশুটি নানা বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় সবার অজান্তে ঘরের পেছনে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। কিছু সময় পর বাড়ির সবাই তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে অবশেষে তাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে। এসময় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কালিয়ার স্কুলছাত্র তামজিদ হত্যা মামলায় ৫ আসামির খালাশ
নড়াইলের কালিয়ায় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে২০১১ সালে সতীর্থ খেলোয়াড়ের ব্যাটের আঘাতে স্কুলছাত্র মো.তামজিদ খন্দকার (১৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পাচঁ আসামির সকলকেই বেকসুর খালাশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর বৃহস্পতিবার নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.কেরামত আলী আসামিদের খালাশের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা
আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাড.কাজী বদরুল আলম জানান, কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় ছেলেদের ক্রিকেট খেলার সময় বিগত ২০১১ সালের ১২ মার্চ বিকালে ওই গ্রামের তৈয়ব খন্দকারে ছেলে কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র তামজিদ তার সহপাঠী সতীর্থ খেলোয়াড় একই গ্রামের তারিকুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমানের ব্যাটের আঘাতে আহত হয়। পরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৫ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলাটি নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বিচারের জন্য ন্যস্ত হলে আদালত ১৬ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে গত বুহস্পতিবার আসামীদেরকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড.নূর মহম্মাদ ও অ্যাড.মো.তোজাম্মেল হক। রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অ্যাড.নুর মহম্মাদ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।