মামলা
আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেওয়া হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা এটিই প্রথম মামলা।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৬১ জন নিহত হয় দাবি করে অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় জামিন পান আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকারের' সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অধিকার কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত এলাকা ও এর আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ সময় সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান বিএনপি সমর্থকরা। পরে পুলিশ তাদের আদালত থেকে বের করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্যের বাসভবন এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী থানায় এসব মামলা হয়। একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক এবং অন্যটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় দু’টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দু’টিতে ৭ জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের ৩ তলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পর দিন শুক্রবার বিকালে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় ৩টি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ২টি মামলা দায়ের করার কথা নিশ্চিত করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
অধিকারের সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলার রায় পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তা পিছিয়ে এ তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করা হয়। মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসিরুদ্দিন এলান জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
এ ঘটনায় একই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর রহমান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভাইকে হত্যার অপরাধে চার ভাই ও এক বোনসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের খালিশাখালি গ্রামের গ্রামের মতিউর রহমানের চার ছেলে নজরুল (৩৮), খোকন (৪০), সাত্তার (৩৫) ও বকুল (৪৮) এবং মেয়ে চম্পা আক্তার (৩৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
বাকি দুই আসামি হচ্ছে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন এবং মকু'র ছেলে মো. সৈয়দ (৫০)। আসামিরা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি নজরুল বিচার চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি দিলিপ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ির সীমানায় গাছকাটা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রিটন মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তার ভাই-বোনেরা। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালে ১৯ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
নাশকতার মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জনের বিচার শুরু
১১ বছর আগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানার দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
মামলার অপর আসামিরা হলেন- যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে অগঠনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্কাটনের মিন্টো রোড থেকে ময়লার গাড়ি নিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল থেকে বিজয়নগরের দিকে আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ জন গাড়ি থামিয়ে হেলপারকে মারধর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তারা গাড়িও ভাঙচুর করেন। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পল্টন থানায় মামলা করেন আয়নাল।
মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মারা গেছেন শফিউল বারী বাবু।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
গাইবান্ধায় বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির ৩৬জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ মোট ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ব্যবহার ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিক জানায়, সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নেয়। সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালে গাইবান্ধা শহরের জেলা বিএনপি অফিস থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পৌর শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ তাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে।
এসময় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, কাঁদানে গ্যাস, শটগানের গুলিসহ মোট ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় বের হওয়া মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান-উল-ইসলাম জানান, পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাদের একজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। হাসপাতাল রোডের জামে মসজিদ এলাকা থেকে মধ্যম বাজারে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের অগ্রসর হতে বাধা দেয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিএনপি সমর্থকরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান, তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়।
ওসি বোরহান জানান, সংঘর্ষের সময় তারা ২ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনেতা ও নোবেল বিজয়ীদের একটি খোলা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতির ‘সূর্য সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন: নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, এমনকি ১০০ বছর পরেও জাতি তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং লজ্জিত হবে এই ভেবে, দেশের সরকার এমন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করেছে।
ড. ইউনূস এদেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যারা তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে চায়, তারা নতুন করে জন্ম নিলেও তার মতো মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে না।
তিনি বলেন, এই অনিবার্য সত্যটি স্বীকার করুন ও তাকে হয়রানি করা বন্ধ করুন এবং (তার বিরুদ্ধে) মামলা বন্ধ করুন।
এর আগে সোমবার ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জনেরও বেশি বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা এবং সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
ব্রিকসে প্রবেশের 'ব্যর্থতা'কে বিএনপি কীভাবে দেখছে