বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এছাড়া ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সেখানে জাতির পিতার সমাধিতে দোয়া করতে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া যান।
তিনি জাতীয় শিশু দিবসের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'দুঃখের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ই মার্চের শপথ।'
মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরও পরিস্ফুটিত হয়েছে'।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চই কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল যে চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।'
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এছাড়া মেট্রোরেল ও পাতাল রেলের কাজও চলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জনগণ দেশের উন্নয়নের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা হাই স্কুল কাম মাদরাসা মাঠে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ। তাই বাংলাদেশের মানুষ এখন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন চায়।
সম্মেলনে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি সশরীরে নতুন স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা হিসেবে যা যা করণীয় ছিল বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাষণকালে তা করে দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সাত কোটি বাঙালি মানুষ হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, সোনার বাংলা অর্থাৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে। যেমন; (তারা দুজনেই) সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ইতোমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে-বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবেনা। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে-সে পর্যায়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারিতে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, কিন্তু বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং: মোমেন
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাটির কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাজাহান খান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
লন্ডনে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন
লন্ডনে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’- থিমভিত্তিক বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম লন্ডনে তিন দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২’-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’- থিমভিত্তিক বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’- স্থাপন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে এবারের মেলায় ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ নামে স্থাপিত প্যাভিলিয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারের মাধ্যমে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আরও উৎসাহিত করা।”
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: লন্ডনের কাছে আরও কার্যকর ভূমিকা চায় ঢাকা
হাইকমিশনার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহেই ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট-এ অংশ নিচ্ছে এবং এর ফলে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ট্যুরিজম অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ মিলিয়ন পর্যটক প্রতি বছর বাংলাদেশে যাচ্ছেন, যা আগে ছিলো মাত্র ১ মিলিয়ন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে বর্তমানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই শিল্পের অবদান ৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে পর্যটক আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পর্যটকদের ইকো ট্যুরিজমে এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোয় আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন পর্যটন রোড শো করবে।”
লন্ডনের এক্সেল সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের ১০ টি শীর্ষস্থানীয় ট্যুর অপারেটর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ প্রদর্শন এবং তাদের বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজের প্রচার করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলায় আগত বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির শিল্পীদের লোকনৃত্য ও বাংলাদেশের ঐতিয্যবাহী বিভিন্ন ধরনের পিঠা উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে তথ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে মঙ্গলবার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট ভাইয়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বনানী কবরস্থানে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা ১০ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি।
তার দুই মেয়ে হাসিনা ও রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে যান।
পড়ুন: শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
দুজনেই সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের পরিবারের অন্যান্য শহীদদের কবরে পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ দেশে যথাযথভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সরকার ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
পড়ুন: ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
আগারগাঁওয়ে পথ শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকীতে পথ শিশুদের মাঝে খাদ্য ও শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের নিচতলায় এসব সামগ্রী শিশুদের হাতে তুলে দেন এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অসহায় ও শোষিত মানুষের নেতা। এই বিশেষ দিনে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এরূপ উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুর দর্শনেরই প্রতিফলন।’
তিনি এ সময় এসোসিয়েশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে আরও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান জাকির হোসেন, সহ সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, তথ্য গবেষণা সম্পাদক হাসানুজ্জামান, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, আল আমিন মৃধা, বাটারফ্লাই স্কুল ফর ডিপ্রাইভড চিলড্রেন হাজারিবাগের সমন্বয়ক মো. ওয়ারেশসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ কেন দেয়া হবে না, জানতে চান হাইকোর্ট
বঙ্গবন্ধুর প্রতি মার্কিন দূতাবাসের শ্রদ্ধা
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
দূতাবাস জানিয়েছে, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর অনন্য-সাধারণ জীবনের কথা স্মরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।’
তিনি ছিলেন সম্মানজনক ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া প্রথম বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম।
দূতাবাস জানিয়েছে, ‘এই অপূরণীয় ক্ষতিতে আমরা শোকাহত।’
পড়ুন: শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে
জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা