বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তরুণ প্রজন্মের পথচলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একজন মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ১২ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। বাঙালি জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বিসর্জন দিয়েছেন তাঁর সমস্ত সুখ, শান্তি এবং পারিবারিক কল্যাণ। দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে দুঃসাহসিক আন্দোলনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মুলত একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে সেই দেশটির তরুণ সমাজ। বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা তারুণ্যকেই উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে। এখন এই অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষার দায়িত্ব বর্তমান তরুণ প্রজন্মের। এই দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তরুণদের শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে এই ফিচার।
বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তরুণদের জন্য শিক্ষা
নেতৃত্ব
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক, সমন্বয়কারি এবং সর্বপরি একজন যুগান্তকারি নেতা। তিনি তরুণ সমাজের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তরুণরা খুব দ্রুত তাঁর চিন্তা ও আদর্শ নিজেদের মাঝে লালণ করতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের তরুণদের মধ্যে অভূতপূর্ব সংহতি আনতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু যেখানেই যেতেন, হাজার হাজার তরুণ তাকে ঘিরে জড়ো হতো। ১৯৬৬ সালে তার ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতে দেশের লাখ লাখ তরুণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এটিকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ। তরুণ ছাত্র-জনতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আন্দোলনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের ক্ষমতার ঘাঁটি নাড়িয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর নির্দেশে এদেশের তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন তরুণদের অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার উৎস। এই জনপ্রিয় নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন বর্তমানের প্রতিটি তরুণের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
আত্মবিশ্বাস
লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বাসে অটল হওয়াটা ছিলো হিমালয়ের মতো। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতন, কারাবরণ ও অপমান সত্ত্বেও তিনি দেশপ্রেমের আদর্শ থেকে তিল পরিমাণ বিচ্যুত হননি। নিজের আদর্শ, বিঃশ্বাসের প্রতি অগাধ আস্থাই বঙ্গবন্ধুকে একজন সফল রাজনীতিবিদের পরিণত করেছিলো। ঠিক এমনি একটি ব্যক্তিত্ব দরকার আজকের তরুণ সমাজের জন্য। বহুকষ্টে অর্জিত সোনার বাংলার স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে তরুণদের এমনি বৈশিষ্ট্যের অধিকারি হওয়া দরকার, যেখানে সে নিজের জায়গায় অটল থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সমূহ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
অকুতোভয়
তরুণ মুজিব ছাত্রজীবন থেকেই এদেশের মানুষের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে লড়াই করেছেন। মৃত্যুভয় তার ছিল না। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এক দীর্ঘ সময় কেটেছে কারাগারে। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি পরে আদেশ দিতে না পারি”। তার মানে তিনি অনুমান করেছিলেন যে, তাকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া বা এমনকি হত্যা করা হতে পারে। এ কারণে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন। অর্থাৎ প্রাণের হুমকি আছে জেনেও তিনি পিছপা হননি। তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণাটি শুরু হয়েছিলো এই শব্দগুলো দিয়ে- “এটি সম্ভবত আমার শেষ ভাষণ। কিন্তু আপনাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।” এ থেকে বোঝা যায় যে, তিনি চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। একজন আত্মত্যাগী মানুষের লক্ষ্য অর্জনে কোন কিছু বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না। আর এই আগুন-ই দরকার আজ প্রতিটি তরুণের বুকে।
পড়ুন: বঙ্গমাতার ত্যাগ ও অকুণ্ঠ সমর্থনেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবতাবাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলা গড়ার। বাঙালির প্রতি তাঁর পরম মমতা ও ভালোবাসা তাঁকে বাঙালি জাতির হৃদয়ে চির উজ্জ্বল করে রেখেছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বিবিসির ডেভিড ফ্রস্টকে বলেছিলেন, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হল জনগণের প্রতি আমার ভালবাসা। আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল- আমি তাদের খুব বেশি ভালবাসি।” তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, সেটি হলো- “মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা মেয়েদের বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও। তাদের বাসার ঠিকানা হবে ধানমন্ডি-৩২।” এমন কথা যিনি বলতে পারেন তিনি নিঃসন্দেহে মহামানব। আজ প্রতিটি প্রাণেরই দাবি, দেশের মানুষের প্রতি এমন নিঃস্বার্থ ভালবাসার।
নিষ্ঠা
বাংলাদেশে স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সফল রাজনৈতিক জীবন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইরত বাঙালিদের ওপর অত্যাচার সত্ত্বেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর কঠোর আপোষহীন মনোভাব গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। তাঁর জীবন যুবসমাজকে নৈতিকভাবে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে নিপীড়ন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুপ্রাণিত করে। জাতিকে বিকশিত করতে তিনি প্রতিটি নাগরিককে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তার সৎ সাহসের মুল চালিকা শক্তি ছিলো তার ন্যায়পরায়ণতা। আর এই সত্য বলার সাহস এবং সঠিক বস্তুকে আদায় করার দাবী আজও বাঙালীকে শেখায় ঘুরে দাড়াতে।
পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
সৃজনশীলতা
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর দর্শন সম্পর্কে জানতে হলে তাঁর লেখা তিনটি বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া এবং গভীরভাবে উপলব্ধি করা উচিত। তিনি অত্যন্ত সপ্রতিভ ভাবে তাঁর ‘অসমাপ্ত স্মৃতিকথা’, ‘দ্যা প্রিজন ডায়েরিস’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চায়না’ বইগুলোতে তাঁর ভেতরকার সত্ত্বাকে ব্যক্ত করেছেন। তাঁর 'অসমাপ্ত স্মৃতিকথা' ও 'কারাগারের ডায়েরি' বই দুটিতে বিস্ময়কর ভাবে চিত্রায়ন ঘটেছে বাঙালি জাতির উত্থান ও স্বাধীনতা অর্জনের একটি অবিচ্ছেদ্য ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র।
চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা
রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চের তাঁর সেই কালজয়ী ভাষণ আজও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। এই ভাষণ যুগে যুগে তরুণ প্রজন্মকে আলোকিত করেছে। এই ভাষণ সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল এবং স্বাধীনতার জন্য তাদেরকে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ভাষণের প্রতিটি শব্দে তাঁর অভাবনীয় বাগ্মীতা প্রকাশ পায়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের শক্তিশালী সব দেশগুলোর সামনে তিনি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান নিয়ে কথা বলেন। এমনকি কর্মসংস্থানের অভাব এবং পণ্য আমদানির উচ্চ মূল্যে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সংগ্রামের কথাও বলেছিলেন তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুখপাত্র। বর্তমানেও সমাজ সংস্কারের জন্য এমনি স্পষ্টবাদী এবং প্রভাবশালী বক্তার প্রয়োজন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
দেশপ্রেম
বাঙালী জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তিনি শিখিয়েছেন প্রকৃত দেশপ্রেমের অর্থ। এদেশের মানুষের জন্য তাঁর পরম আত্মত্যাগ কখনোই ম্লান হবে না। তিনি সব সময় ছিলেন জনগণের জন্য এবং জনগণের নেতা। আর এটি কোনো সময়ের সীমাবদ্ধতা দিয়ে আবদ্ধ করা যাবে না। তাঁর এই অনুসরণীয় আদর্শ এখনও পূর্ণাঙ্গ দেশপ্রেমিক তৈরি করতে সক্ষম। পাক হানাদার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন ও অপমান তাঁর দেশপ্রেমকে টলাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে এখনকার তরুণদের মননে, চিন্তায়, মেধায় ও চেতনাতে দেশপ্রেমকে লালণ করতে হবে।
সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে তাঁর সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং বাংলাদেশের সব প্রান্তে সংগঠনের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছিলেন। ধীরে ধীরে সংগঠনটি বহুলাংশে সমর্থনের মঞ্চ পেলে তিনি শুরু করেন ৬ দফা আন্দোলন। তিনি জানতেন যে, একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক মেরুদন্ড ছাড়া তিনি একটি স্বাধীন জাতির বৃহৎ লক্ষ্য ও স্বপ্ন অর্জন করতে পারবেন না। এভাবে সাময়িক সফলতার চেয়ে বৃহৎ অর্জনের চিত্র অবলোকন করা একজন নিখুঁত নেতার গুণাবলি। আর এই বৈশিষ্ট্যটি এখন খুবই প্রয়োজন।
আদর্শ নাগরিক
“বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির মাঝে স্বাধীনতার অর্থ নিহিত নয়। স্বাধীনতা মানে মাথা উচু করে সম্মানজনক ভাবে জীবন যাপন করা। নৈতিকতার সাথে আত্মসমালোচনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সর্বপরি আত্মশুদ্ধি ছাড়া একজন আদর্শ নাগরিক হওয়া যায় না।” বঙ্গবন্ধুর এই কথাটি ছিলো সে সময়ের তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কথাটির শব্দগুলো কোন সময়ের গন্ডিতে বাধা নয়। এটি এখনো প্রতিটি তরুণের জন্য প্রযোজ্য। একটি মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে এমন কোন ভাষা, সংস্কৃতি অথবা নিয়ম-কানুন চাপিয়ে দেয়া হলে প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার প্রতিবাদ করা।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রুল
শেষাংশ
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে তরুণদের শিখতে প্রস্তুত হতে হবে এবং তাদের ভবিষ্যত জীবনের পথের পথপ্রদর্শক হিসাবে লালন করতে হবে। তরুণদের চিন্তাধারায় আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে; তাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও দক্ষ এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক হতে হবে। মাদক, জঙ্গিবাদ এবং অন্যান্য সামাজিক পাপাচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর এবং চির আপসহীন হতে হবে। তরুণদেরও তাদের নিজস্ব সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে হবে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে তাদের আদর্শ ও দর্শন অনুসরণ করতে হবে।
‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে গ্যালারি কসমস শুক্রবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্রেভহার্ট’- শিরোনামে দিনব্যাপী চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী রফিকুন নবী, বীরেন সোম এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেবেন গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত এবং কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান।
বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীতে সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন। এ আয়োজনে মিডিয়া ও নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্যুরিয়ার।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনের আগে ১২ জন শিশু শিল্পী ও চিত্রশিল্পীদের একটি দল প্রদর্শনীর স্থানে এক বিশেষ গ্রুপ আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে এবং জাতির পিতার প্রতি তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীরেন সোম, অলকেশ ঘোষ, নাসির আলী মামুন, আফরোজা জামিল কঙ্কা, ভাস্কর রাশা, শাহাজাহান আহমেদ বিকাশ, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবু কালাম শামসুদ্দিন, দেবদাস মালাকার, দিলীপ কর্মকার, সৌরভ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বশির, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মানিক বনিক, কামরুজ্জোহা, আজমল হোসেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার শাকিল ও মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
দর্শকরা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম ভার্চুয়াল প্রদর্শনী শুরু
শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
জাতির পিতার সমাধিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের স্ত্রীদের কল্যাণমূলক সংগঠন ‘ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন (ফোসা)’-এর নির্বাহী কমিটি।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফোসা’র নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন, পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আয়েশা আখতার (ডালিয়া), সভাপতি ও পররাষ্ট্র সচিবের স্ত্রী ফাহমিদা সোমা জাবিন এবং নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরে ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক, অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতি সমাধি কমপ্লেক্সের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সের জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এসময় ফোসা’র সহসভাপতি আবেদা আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েমা হক-সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফোসা'র উদ্যোগে রাজধানীতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
ফোসা’র উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের কর্মময় জীবনের নানাদিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন, আজ আমরা (বাংলাদেশ) যে জায়গায় পৌঁছেছি, তা অনেক আগেই অর্জন সম্ভব হতো।
সরকারি সফরে কম্বোডিয়ায় থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও শেখ কামালের বন্ধু বিশিষ্ট সাংবাদিক এম. শফিকুল করিম।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোও দিবসটি পালন করেছে। শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্মরণ সভায় শেখ কামালের কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো: হাছান মাহমুদ
অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শুরু হলো শোকের মাস
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর মাস শুরু হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপদগামী সেনা কর্মকর্তা জাতির জনকসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যা করে।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডটি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কুৎসিত অধ্যায় কারণ আত্মস্বীকৃত খুনিরা শুধু জাতির প্রতিষ্ঠাতাকে একাই হত্যা করে নাই, আরও অনেককেও হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: শোকের মাস আগস্ট শুরু
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাদ, ভাগ্নে ও প্রখ্যাত সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার গর্ভবতী স্ত্রী আরজু মনি এবং সামরিক সচিব কর্নেল জামিল। তাদেরকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকার কারণে তারা বেঁচে যান।
যারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শোকের মাসে ফরিদপুর আ’লীগের খাদ্য সহায়তা বিতরণ
তবে, এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ তার দলের ২৪ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হলে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা হামলা থেকে রক্ষা পান।
এই জঘন্য হামলার কথা জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।
এ উপলক্ষে প্রতি বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলো মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না।
কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু বঙ্গোপসাগর উৎসব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু বঙ্গোপসাগর উৎসব ২০২২।
বুধবার (৮ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে শুরু হওয়া এই উৎসবের যৌথভাবে আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি সংস্থা সেফ বাংলাদেশ।
উৎসবে দিনভর বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নীল অর্থনীতি নিয়ে সেমিনার, সৈকত ভলিবল ও সার্ফিং।
এদিন সকালে লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। পরে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এতে সেফসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও পর্যটকরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল: উভয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন শেরপুর পৌরসভা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।
সাজ্জাদুল হাসান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র জয় করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। তাই এই সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। সমুদ্র পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে আমাদের সুনীল অর্থনীতির সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্র পরিচ্ছন্ন থাকলে সমুদ্র দর্শনার্থীদের মনেও পরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।
শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে দেশের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব -১৭) ২০২২ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব - ১৭) ২০২২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ রাসেল। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শন কূটনীতিকদের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা। আর এ সময় তারা বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ পেয়েছেন।
পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প কীভাবে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে এ সফরে কূটনীতিকদের সঙ্গে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাদের ব্যাখ্যা করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে পদ্মা সেতুর প্রভাব সম্পর্কে মিশন-প্রধানকে ব্যাখ্যা করেছেন।
চান্দিনায় মহিচাইল ২০ শয্যা হাসপাতালের অন্তঃবিভাগের উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে কুমিল্লার চান্দিনার ‘মহিচাইল ২০ শয্যা হাসপাতাল’ এর অন্তঃবিভাগের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: ফ্রাঙ্কফুর্ট ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা: বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন
তিনি বলেন, এছাড়া করোনা মোকাবিলায়ও আমাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সবাইকে সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
কুমিল্লা চান্দিনা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।