বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে ‘আইনি প্রক্রিয়া’ অনুসরণ করছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা তা অনুসরণ করছি।’
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।
মোমেন বলেন, ‘তবে আমরা রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের বিশ্বাস আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আমরা ওই ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’
এর আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরেক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে: শাহরিয়ার
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৮৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের নতুন বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত হয়েছে। নিমফিয়া পাবলিকেশন প্রকাশিত এ বইয়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উপস্থিতি, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও তার প্রেক্ষাপটসহ পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে ছয় বছর প্রত্যক্ষ কাজের অভিজ্ঞতার নানা দিকও ড. মোমেনের লেখনীতে উঠে এসেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বিষয়ক বিশদ আলোচনা বইটিতে স্থান পেয়েছে। এ নীতির ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এ বইয়ে প্রাধান্য পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ভাবনা, পদক্ষেপ ও মানবিকতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: ১২ বাংলাদেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘে উত্থাপিত বাংলাদেশের অনেকগুলো প্রস্তাব, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি।
ড. মোমেনের মতে, দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হল- মানবসম্পদ ও পানিসম্পদ। এ সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে না পারলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ দুটি সম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আমাদের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি প্যাকেজ পলিসি চালু করেছে। এগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতি। ‘বাংলাদেশ- একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ বইটিতে বিষয়গুলো যথাযথভাবে ফুটে উঠেছে।
কিশোরকালে ‘উষশী’পত্রিকা সম্পাদনা দিয়ে লেখালেখীর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে ড. একে আব্দুল মোমেনের। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি। ড. মোমেনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’, ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’, ‘বাংলাদেশ: রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ: উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন: ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, ‘বাংলাদেশ: ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’ ।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে সিলেট হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ
বিশ্বব্যাংক বিলম্ব করলে নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পে বারবার আগ্রহ প্রকাশ করা সত্ত্বেও অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করছে। তারা যদি না আসে তবে বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।’
রবিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা জোনের অধীনে নয়টি সেতু উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা অর্ধেক করতে আগামী দশকে বাংলাদেশকে প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং বিআরটি প্রকল্প আগামী বছর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কাদের।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
সারা দেশে করোনা মহামারির কারণে বিলম্বিত হওয়া রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কাদের বলেন, নির্মাণাধীন প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার পর সারা দেশে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
বর্তমান রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
কাদের সাফ জানিয়ে দিলেন যে বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যান্য গণতন্ত্রের মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে কোনো পক্ষপাত থাকবে না উল্লেখ করে আ.লীগ নেতা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে: সেতুমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ভাষণটি কোন স্তরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে একটি এডুকেশনাল এক্সপার্ট (শিক্ষা বিশেষজ্ঞ) কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার এক রিটের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশা দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি বের হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপক্ষ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির তালিকা আদালতের কাছে দাখিল করবেন। সেটা থেকে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত করবেন। ভাষণটা কোন পর্যায়ের বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে, কোন ক্যাটাগরিতে হবে সেটা একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। স্কুল-কলেজ না আরও উপরে-এটা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। এছাড়া কতদিনের মধ্যে এটা করতে হবে সেটার সময়সীমাও আদালত রায়ে নির্ধারণ করে দেবেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পরেও ৭ মার্চের ভাষণ সার্বজনীন ও প্রাসঙ্গিক
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য এবং ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দেন। এছাড়া পাঠ্যবইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না-তা জানতে সেদিন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালত এই রুলের ওপর শুনানি করে আজ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ নিয়ে বক্তব্য: বিএনপি নেতাদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় ৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা
১৫ আগস্ট: বঙ্গভবনে জাতির পিতার দোয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
মিলাদ মাহফিলে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রপতির সচিব, বঙ্গভবনের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মচারীরা অংশ নেন।
মিলাদের পর বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি কামনা করা হয়।
মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইফুল কবির।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
জিয়ার মদদে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার (১৫ আগস্ট) যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করবে দেশবাসী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে- ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং দশ বছর বয়সী শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, ভাই শেখ নাসের, কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার স্ত্রী আরজু মনি, শিশু সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ ও আবদুল নাঈম খান রিন্টুসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আঠারোজন সদস্য সেদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম) নিহত হন। একই দিনে খুনিদের কামানের গোলায় মারা যান রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস: নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত ডিএমপি
প্রধানমন্ত্রী সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং পেশাজীবী সংগঠন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করবে।
দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি টিভি ও রেডিও স্টেশনগুলো বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।
জাতীয় শোক দিবসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত ডিএমপি
জাতীয় শোক দিবসের আগে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম।
শনিবার ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘যদিও ১৫ আগস্টের আগে কোনও নিরাপত্তা হুমকি নেই, তারপরও আমরা কোনও সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারি না।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ আগস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জঙ্গিরা যদি অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয় তাহলে অনুষ্ঠানস্থলের দুই কিলোমিটার এলাকায় নাশকতামূলক কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে আমরা মনে করি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটবে না।’
আরও পড়ুন: শোক দিবসে আ’লীগের দুই গ্রুপের কর্মসূচি নিয়ে নাটোরে উত্তেজনা
শোক দিবসে বিটিভির অনুষ্ঠান ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত’
বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, খোন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যে সম্পৃক্ততা ছিল।
তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার করা হয়েছে কিন্তু এর পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে তা এখনও উদঘাটিত হয়নি। একদিন নিশ্চয়ই এটি বের হবে।’
বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন স্বেচ্ছায় রক্ত, প্লাজমা দান ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
পড়ুন: আগস্ট: বাঙালির শোকের মাস শুরু
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রধান কাজ ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনা এবং দেশ ও জনগণের বিষয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সে পথে না গিয়ে আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দরিদ্র এবং ক্ষুধার্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং তাদের জীবন-মান উন্নত করা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক।’
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল।
পড়ুন: স্বাধীনতা ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণ করে ১৫ আগস্ট ও জেল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী
৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সোমবার (২৬ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রেসিডেন্ট ইংয়ং চিউল কিম যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু কর্নারটি উদ্বোধন করেন।
ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে অন্যতম এবং কিউএস গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড র্যাং কিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৭৯তম। ইয়নসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই গ্রন্থগারটিতে ৩০ লক্ষাধিক বই, জার্নাল ও ম্যাগাজিন রয়েছে এবং ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।
পড়ুন: ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন
কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদকৃত ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ’, ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপলস হিরো’ ও বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পাশাপাশি উক্ত ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’-এ রয়েছে ইংরেজী ভাষায় লিখিত জাতির পিতার জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যসমৃদ্ধ বই।
‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’এর এ সকল বই থেকে দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য আত্মত্যাগ ও অনন্য ভূমিকাসহ বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।
পড়ুন: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিব কর্নার উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু কর্নারের বই কেনায় জালিয়াতি: স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ
এর ফলে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনা ও আদর্শ দক্ষিণ কোরিয়ার গণ্ডী পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্যের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭ ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৪’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
আরও পড়ুন: জনগণের জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ৫টি স্বর্ণপদক, ৯টি রৌপ্যপদক এবং ১৮টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য।
কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যতের জন্য বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই পুরস্কারের প্রচলন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে পরবর্তী সরকার এ পুরস্কার দেয়া বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তীত এই পুরষ্কারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ গঠন করে।
এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ কার্যকর করা হয়েছে।
প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ফরাসি সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি ফরাসি সংস্করণ ‘Journal de Prison’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন।
এ আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফরাসি লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড হেনরি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
বিশেষ বক্তা হিসেবে ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের অনুবাদক প্রফেসর ফিলিপ, বইটির প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি বারট্রান্ড।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ১৩ টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। পরিবার পরিজনকে ছেড়ে কারাগারে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব সচেতনতা তৈরিতে এক সোচ্চার কণ্ঠস্বর।’
বিশিষ্ট ফরাসী লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এ বইয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বর শুনতে পাই।’
বার্নার্ড তার বক্তব্যে কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন। প্রথমত তিনি ফ্রান্সে বসবাসরত শেষ প্রজন্মের মানুষ যিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
তিনি বলেন, ‘এ গ্রন্থের মাধ্যমে একদিকে যেমন মিষ্টতার প্রকাশ অনুভব করতে পেরেছি, তেমনি দৃঢ়তাও ফুটে উঠেছে। জনমানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধ আস্বাদন করতে পেরেছি। এটি স্থায়ীভাবে এ গ্রন্থে গ্রথিত হল। বঙ্গবন্ধু তার বইতে যে ভাবে ফরাসি বিপ্লবের কথা বলেছেন, ফরাসি জনগোষ্ঠীর সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছেন, সে একইভাবে ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট ফরাসি দার্শনিক অঁন্দ্রে মার্লোও বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে তার সমর্থন প্রকাশ করেন।’
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত আশা ব্যক্ত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তার জীবন দর্শন সারা বিশ্বের ফরাসি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে এ বইটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে।
ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘মুজিববর্ষে কারাগারের রোজনামচা বইটির ফরাসি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার, অনুবাদক, প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সশরীরে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ফ্রান্সে অবস্থিত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট গুণীজনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই অনুষ্ঠানটি একইসাথে অনলাইনে আয়োজন করা হয়।