বৈঠক
বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
লাইসেন্স, রেভিনিউ শেয়ারিং ও তরঙ্গ ফি বাবদ বকেয়া সব পাওনা পরিশোধ এবং বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একই দিন দুপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সঙ্গে সেবায় নতুনত্ব আনয়ন, বিটিসিএলের আলাপ অ্যাপে নতুন ফিচার সংযোজন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সেবার মানোন্নয়নসহ বিটিআরসির বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।
বৈঠকে টেলিটককে ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যতিত বিটিআরসির পাওনা ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ এবং পাওনা সংশ্লিষ্ট সব ডাটা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করবে বলে কমিশনকে জানায় টেলিটক। অন্যদিকে বিটিসিএলকে আইসিক্স, এনটিটিএন, আইপিটিএসপি এবং পিএসটিএন সংক্রান্ত সব ডাটা বিটিআরসির কাছে পাঠানোসহ উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট উন্নয়ন, গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিতে উদ্যোগ গ্রহণসহ বিটিআরসির সব পাওনা পরিশোধের বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের পরিচালক আফতাব মো. রাশেদুল ওয়াদুদসহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোদি বলেন, 'আমি সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
সোমবার টুইটারে শেয়ার করা এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী ও জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার পাঠানো অভিনন্দন পত্রে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে তার দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের অপরিবর্তনীয় অংশীদারত্বের সব ক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ভারত।
ওই বার্তায় বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বাংলাদেশ ও ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু মঙ্গলবার
বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী বৈঠক আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার (১৯ ও ২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে প্রথম দিন প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিঅ্যান্ডটি) অধীন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভার পাশাপাশি ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটির (আইজিসি) সভা হবে।
আরও পড়ুন: ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ পালন করবে
পরদিন হবে নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং ভারতের পোর্টস, শিপিং অ্যান্ড ওয়াটারওয়েজ মন্ত্রণালয়ের সচিব টি কে রমাচন্দ্রন নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
বাংলাদেশের পক্ষে এসব সভায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।
ভারত ইতোমধ্যে সভায় অংশগ্রহণের জন্য ২৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের তালিকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ পালন করবে
হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিলি সিপি ক্যাম্পে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ছোটখাটো সমস্যা বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে: শ্রিংলা
সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ, চোরাচালান, মাদক পাচার ও অনুপ্রবেশ রোধে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে দেন বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিং। এছাড়া উভয় বাহিনীর ব্যাটালিয়ন অধিনায়কসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিংয়ের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে সীমান্তে হত্যা ও মাদক চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, অবৈধ সীমান্ত পারাপার রোধ, কাঁটা তারের বেড়া কর্তন বন্ধসহ দুই বাহিনীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
কপ-২৮ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর)। এই বৈঠক আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সরকারের প্রতিনিধি/কর্মকর্তা পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপে গত ৬ দিনের আলোচনা শেষে এই আলোচনা শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর শুরু হওয়া কপ-২৮ সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকেই মূলত সব বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জানায়, সব দেশকেই কার্বন নির্গমন কমাতে হবে এবং এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে প্রথম রাউন্ডের ছয় দিনের আলোচনায় এই ইস্যুটির ব্যাপারে কোন সিদ্বান্ত গ্রহণ করা যায়নি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার এখন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
অর্থায়ন ও কার্বন নিগর্মন কমানোর বাধা অতিক্রম করতে পারছে না জলবায়ু আলোচনা। এই দুই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে উন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো। ফলে অর্থায়ন ও কার্বন নির্গমন কমানোর জটিল সমীকরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছে জলবায়ু আলোচনা।
এক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহের আলোচনায় উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার লস অ্যান্ড ড্যামেজ বা ক্ষয় ও ক্ষতি তহবিলের অগ্রগতি আশার আলো দেখাচ্ছে জাতিসংঘকে। এই আশা নিয়েই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সম্মেলনের দ্বিতীয় ধাপের মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা।
গত ৩০ নভেম্বর দুবাইয়ের এক্সিবিশন হলে উদ্বেধন হয়েছে জাতিসংঘের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন। পরদিন ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী প্রথম রাউন্ডের কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা।
আরও পড়ুন: পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
এবারের সম্মেলনের শুরুতে সবচেয়ে কঠিন ইস্যু মনে করা হয়েছিল বিগত মিশর জলবায়ু সম্মেলনে অনুমোদন হওয়া লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে অর্থায়ন এবং এই তহবিলকে কার্যকর করা। কিন্তু সম্মেলনের প্রথম দিনেই আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এই তহবিলে ১০০ মিলিয়ন তথা ১০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়ে এই ফান্ডকে কার্যকর করে দেয়। আয়োজক দেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশও এই তহবিলে অর্থ প্রদান করে। এ পর্যন্ত এই তহবিলে প্রায় ৫৮০ মিলয়ন বা ৫৮ কোটি ডলার জমা পড়েছে। ফলে এটি এখন কার্যকর হয়েছে। এই তহবিলের ট্রানজিশনাল কমিটি এই তহবিলের টাকা ব্যবহারের গাইডলাইন তৈরি করছে।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড কার্যকর হওয়ার পর সম্মেলনের সবচেয়ে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। ফলে আশা করা হয়েছিল, সম্মেলনের অন্যান্য কাজগুলোও সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু কার্বন নির্গমন কমানো এবং উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের আলোচনায় এসে এই আলোচনা বাধার সম্মুখীন হয়। বরং কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সম্মেলনের সভাপতির একটি বক্তব্যকে ঘিরে আলোচনা আরও জটিল আকার ধারণ করে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কার্বন নিগর্মন কমানোর মিটিগেশন বিষয়ক আলোচনায় মূলত উন্নত দেশ এবং দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিরোধ এই আলোচনাকে জটিল করে দেয়। ঐতিহাসিক দায় হিসাবে কার্বন দূষণকারী উন্নত দেশগুলোকেই কার্বন নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই আলোকে চীন, ভারত, রাশিয়া ও সৌদি আরবের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো বর্তমান কার্বন নির্গমন ব্যবস্থাকে সাইডলাইনে রাখতে চাইছে।
তারা বলছে, কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য উন্নত দেশগুলোর ঐতিহাসিক দায় রয়েছে। তাই এই কাজটি উন্নত দেশগুলোকেই করতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলো বলছে, কার্বন নির্গমনের এই কাজটি একযোগে ৯০ দশক থেকে যারা কার্বন দূষণ করছে তাদেরও করতে হবে। অন্যথায় বায়ুমন্ডল থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে কার্বন কমানো যাবে না। এক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশ, ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশ এবং ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যস্থায় এগিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
তারা বলছে, এই ইস্যু নিয়ে উন্নত দেশ ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধ করলে কার্বন নির্গমন কমানো যাবে না। সব দেশকেই কার্বন নির্গমন কমাতে হবে এবং এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে প্রথম রাউন্ডের ছয় দিনের আলোচনায় এই ইস্যুটির ব্যাপারে কোন সিদ্বান্ত গ্রহণ করা যায়টি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার এখন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
অর্থায়নের ক্ষেত্রেও একইভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছে। উন্নত দেশগুলো ২০০৯ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর জলবায়ু অভিযোজন ও মিটিগেশনে ১০০ বিলিয়ন করে ডলার দেবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা গত চার বছর ধরে পূরণ করছে না।
উপরন্তু, ২০২৩ সালে এসে একটি গোঁজামিলের হিসাব দিয়ে বলছে, তারা এবছর ৮৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
এখানেও সেই একই দাবি উঠেছে যে, যারা কার্বন নির্গমনের জন্য ঐতিহাসিকভাবে দায়ী তারাই অর্থায়ন করবে। কিন্তু উন্নত দেশ না হয়েও এবারের জলবায়ু সম্মেলন নতুন নজীর সৃষ্টি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা সম্মেলনের প্রথম দিনেই লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে ১০ কোটি ডলার দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে যে, উন্নত দেশ না হয়েও উন্নয়নশীল দেশ অর্থায়ন করতে পারে। এই নজির টেনে উন্নত দেশগুলো বলছে, আমিরাতের মতো যে সকল দেশগুলোর সামর্থ আছে তাদেরও উচিত জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন করা।
তবে জলবায়ু অর্থায়নের চাহিদা এখন ট্রিলিয়ন ডলারেও পৌঁছে গেছে। তাই অর্থায়নের পরিমাণও বাড়াতে হবে। সেই আলেচনা গত বছর (২০২২) থেকে শুরু হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো দাবি জানিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে এই অর্থায়ন প্রতি বছর ৫০০ বিলিয়ন ডলার করতে হবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলো সুস্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছু বলছে না। এই আলোচনা আগামী বছর শেষ হবে। সেখানেই ঠিক হবে, ২০২৫ সাল থেকে কত বিলিয়ন ডলার দিয়ে অর্থায়ন শুরু হবে এবং অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া কেমন হবে।
প্রথম সপ্তাহের আলোচনার মুল্যায়ন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থার নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘এই পৃথিবীর মানবজাতিকে বাঁচাতে এখন আমাদের উচিত এই সম্মেলনে সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমন কমানোর অঙ্গীকার করা। এখানে রাজনীতির কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সরকারগুলোর উচিত তাদের কর্মকর্তাদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেয়া।’আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘আমাদের শুধু ভাল সদিচ্ছা থাকলেই কার্বন নির্গমন কমাতে পারব না। কেবলমাত্র অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিই এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল এনে দিতে পারে। অর্থায়নই হচ্ছে এখন জলবায়ু প্রতিরোধের বড় চালিকাশক্তি। আলোচকদের এখন শেষ সপ্তাহে এসে এই দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া উচিত।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘কার্বন নির্গমন হ্রাস এবং অর্থায়ন বিষয়ে আলোচনা থমকে আছে। এই দুই বিষয় এখন সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ, কার্বন দূষণ পরিস্থিতির বৈশ্বিক মূল্যায়ন, গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন, প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে একমত হওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ ব্যবহারে নতুন করে গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সহজে এবং বেশি পরিমাণে অর্থ পায়। অর্থের প্রবাহ বাড়াতে না পারলে জলবায়ু পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি করা যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মূল্যায়ন নিয়ে ২৪ পৃষ্টার একটি দলিল (টেক্সট) প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন এই ২৪ পৃষ্ঠার দলিলকে চার দিনের মধ্যে একটি জায়গায় এনে অনুমোদন করা কঠিন কাজ।’
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলনে স্থানীয় জলবায়ু নেতৃত্বে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ
ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে প্রতিনিধি দলের এই বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদল আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান রিগার-ব্রাউন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার। ফরাসি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলাউম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ান জানোস্কি।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর
রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করবে আ. লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে রবিবার (২৬ নভেম্বর) মতবিনিময় সভা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও প্রাপ্ত মনোনয়ন ফরমের কপি নিয়ে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় এই বৈঠক করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ আবদুলাই সেক এবং আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন আইবেলি ইউএনবিকে বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সঙ্গে কথা বলি। এর মধ্যে রয়েছে সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, একাডেমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক অবদানকারী, শিক্ষাবিদ এবং আরও অনেক ধরনের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি।
তিনি বলেন, 'এই কথোপকথন আমাদের বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
তফসিল নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসছে ইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে আলোচনাকরতে বুধবার বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে।
আরও পড়ুন: বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার বিকেল ৫টায় কমিশনের সভা শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং তফসিল ঘোষণা করবেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন সভা করে থাকে। এরপর সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারের জন্য রেকর্ড করা হয়। সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার সময় ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কার সঙ্গে সংলাপ হবে, জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকের পর মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, 'কূটনীতিক হিসেবে আমরা সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ এবং আরও অনেক ধরনের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি।’
মুখপাত্র বলেন, এই কথোপকথন বাংলাদেশকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে তাদের সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
সহিংসতা বর্জন করে সংযম বজায় রাখার আহ্বান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুকের