শিক্ষার্থী
এক মাস পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এক মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
দীপু মনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি সরকার এক ঘোষণায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বৃদ্ধির কারণে থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিধিনিষেধ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
৩৬ দিন পর ক্লাসে ফিরলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
অচলবস্থা কাটিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও করোনাকালীন ছুটি শেষ করে টানা ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর বিভিন্ন বিভাগে ফের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন বিভাগে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। এতে করে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ফের মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতে সরকারি বিধিনিষেধ উঠে গেলে সশরীর ক্লাস শুরু হবে। যেহেতু নতুন করে সরকার কোনো বিধিনিষেধ করেনি, তাই আজ (মঙ্গলবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের রুটিন অনুযায়ী সব পর্যায়ের ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, একমাস পর আবারও শিক্ষার্থীদের সাথে সশীরের ক্লাসে ফেরা হয়েছে। করোনা ছুটির পর শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করেই ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হতে দেয়া হচ্ছে। ক্লাসগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ওইদিন জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সবধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে এতদিন আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ২৬ জানুয়ারি টানা সাতদিনের অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয় এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাংলায় সহজ বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে বাংলায় বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ব্যবহার সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বিকাশ ছাড়া কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।’
তিনি বলেন, আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিতে হবে। এটি ছাড়া আমরা উন্নতি করতে পারব না।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা ও গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান এমনকি শিল্পসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈজ্ঞানিক পরিভাষার ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক শব্দের কঠিন পরিভাষা ব্যবহার সবার বোধগম্য নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত শব্দ এবং আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় তা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞানে ইংরেজি, ফরাসিসহ অনেক ভাষার শব্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলা ভাষায় প্রায় আট হাজার বিদেশি শব্দ আছে ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই বিষয়ে এতটা রক্ষণশীল হওয়া উচিত নয়, বিজ্ঞানের সহজ শিক্ষার জন্য বাংলা ভাষায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক পরিভাষাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত করতে হলে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে চর্চা ও গবেষণা জরুরি।’
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
ঢাবিতে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া এ দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসও খোলা থাকবে।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুধু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে একই হলের অন্য এক ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ এফ রহমান হলের ২০২০-২১ সেশনের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ছাত্র মোল্লা তৈমুর রহমান হল প্রভোস্টের কাছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রোকন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
লিখিত অভিযোগে মোল্লা তৈমুর অভিযোগ করেছেন, তাকে এত জোরে চড় মারা হয়েছিল যে, এরপর কয়েক ঘণ্টা তিনি কানে শুনতে পাননি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাজী মুহম্মদ মহসিন খেলার মাঠে একজন সিনিয়রের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রোকনের সঙ্গে তার বিতণ্ডা হয়।
আরও পড়ুন: বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
পরে রোকন আমাকে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও হল প্রশাসনকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
মোল্লা জানান, তিনি ভয় পেয়ে হল থেকে বেরিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল খান বলেন, ‘আমরা আজ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা জানতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
ঢাবি শিক্ষক ফারুক শাহ ও ড. মুমিত আল রশিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের এ এফ রহমান হল কমিটি তদন্তে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
বিষপানে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
স্কলারশিপের জন্য ৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন চেয়েছে দ.কোরিয়া
স্কলারশিপের জন্য ৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন চেয়েছে দ.কোরিয়া
গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (জিকেএস), ২০২২-এর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ৫ মার্চের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কোরিয়ায় স্নাতক অধ্যয়নের জন্য ১৪ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তির সুযোগ দেবে।
বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুণ জোর দিয়ে বলেছেন, তরুণরা হচ্ছে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ভবিষ্যত সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও উপাদান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে হয়ত আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কোরিয়ায় পড়ার সুযোগ পাবেন।
ঢাকায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস সম্প্রতি কোরিয়ান সরকার দ্বারা স্পনসর করা স্নাতক অধ্যয়নের জন্য ২০২২ গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (জি কে এস) প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২ জি কে এস গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের জন্য আবেদন দুটি ভিন্নভাবে গ্রহণ করা হবে; দূতাবাস ট্র্যাকের জন্য পাঁচজন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্র্যাকের জন্য ৯ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
দূতাবাস ট্র্যাকের জন্য আবেদনগুলি ঢাকায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্র্যাকের আবেদন সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জমা দিতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য বৃত্তি হবে কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রামের এক বছর সহ তিন বছরের জন্য এবং কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রামের এক বছরের সহ চার বছরের জন্য ডক্টরাল ডিগ্রি বৃত্তি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ২৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি কে এস প্রোগ্রামে অধ্যয়নের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন যার মধ্যে ১৩৭ জন স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে এবং ৩৫ জন আন্ডারগ্রাজুয়েট ছিল। ২০২১ সালে ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জিকেএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়ায় গিয়েছিল যার মধ্যে ১৪ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং তিনজন আন্ডারগ্রাজুয়েট ছিল। ১৪ টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে সাতটি ডক্টরাল এবং অন্য সাতটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই বছর ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের তাদের বিভাগ পরিবর্তনের একটা সুযোগ দেয়।
ভবিষ্যতে এই ইউনিট বাদ দেয়া হতে পারে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমাদের আজকের সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের বিষয়টি ছিল।”
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোনের আওতায় আনার পরিকল্পনা ইউজিসির
ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন, ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।
প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
লালমনিহাটে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে নার্সিং হল থেকে নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার লালমনিরহাট নার্সিং কলেজ ক্যাম্পাসের ৮০০ বর্গফুট নামক আবাসিক ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আল আমিন সরকার আবির (২০) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শহর গোপিনপুর (আষারিয়া চালা) গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় ভালোবাসা দিবসে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
আল আমিন সরকার আবিরের রুম মেট রনি আহমেদ বলেন, দুপুরের খবারের সময় হলে আমরা আমাদের হলের সব শিক্ষার্থী খেতে যাই। খাবার শেষে ফিরে তার কক্ষ ভিতর থেকে আটকানো দেখি। পরে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বিষয়টি অধ্যক্ষ ছাহেবা বোগমকে অবগত করি।
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও ওই হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আল আমিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় এসএসসিতে ফেল করে ছাত্রীর আত্মহত্যা!
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।’
নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান ভারতের
ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নাগরিক বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে ইউক্রেন ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ভারতীয় নাগরিক যারা ইউক্রেনে অবস্থান করছে তারা তাদের উপস্থিতির বিষয়টি সম্পর্কে দূতাবাসকে যেনো অবহিত করে। যাতে প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা করলে চড়া মূল্য দিতে হবে, পুতিনকে বাইডেনের হুঁশিয়ারি
ভারত এর আগে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ সংকটের একটি ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গত মাসে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনাসহ ইউক্রেন সংক্রান্ত উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিয়েভে আমাদের দূতাবাস স্থানীয় উন্নয়নও পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য টেকসই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১৩ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে মস্কো। যা ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করেছে যে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র