শিক্ষার্থী
রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুমমেটের দেয়া পোস্টের জেরে মানসিক চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড় এলাকায় ‘বাচ্চু মিয়ার মেস’ নামে একটি ছাত্রী নিবাসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাবিনা ঐশী৷
বাড়িওয়ালা ও মেসে অবস্থান করা অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাবিনা ঐশী ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ওই মেসে একই কক্ষে থাকেন। কিন্তু ১৩তম ব্যাচের ঐশীর বান্ধবী লাবিবা ইসলাম নিয়মিত গ্রুপ স্টাডির নামে রাবিনা ঐশীর কাছে এসে থাকে এবং নিয়মিত আড্ডা দেন। এতে প্রায় দুই মাস ধরে সমস্যায় ভুগছিলেন নদী।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শনিবার নদী মেস মালিক সোহাগ আলীকে এই সমস্যার কথা জানালে তিনি ঐশীকে গেস্ট সংখ্যা ‘লিমিটে’ আনতে বলেন। এটিকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং ঐশী এই ঘটনা তার বিভাগের মো. এরশাদ হোসাইনকে জানালে তিনি একই ব্যাচের প্রণব চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আরও কিছু আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাড়িওয়ালাকে খুঁজতে খুঁজতে মেয়েদের মেসের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জুবায়দা ফৌজিয়া নদী অভিযোগ করে বলেন, মেসে ঢুকে এরশাদ, প্রণবসহ আরও কয়েকজন তাকে শাসান। তিনি বলেন, ‘উনারা মেসে ঢুকে আমাকে বলে তোরে মাইরা ফালাইয়া রাইখা যামু; কেউ টেরও পাইব না, তোর বাপ-মা শিক্ষা দেয় নাই? ক্যাম্পাসে কেমনে ফ্রিলি চলিস দেইখা নিমু নে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় নদী সাহায্যের জন্য তার বন্ধু রিয়াজসহ অন্যান্যদের ডেকে আনেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাড়িওয়ালা দুই গ্রুপকে নিয়ে নিচে নেমে যান। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ সে সময় উপস্থিত থাকায় বাড়িওয়ালা ও শিক্ষার্থীদের সাথে বসে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে রুম পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে রুমে ফিরে জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ‘জীবন ও সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কায়’ আছেন উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার ওই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়লে মানসিক চাপে পড়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঐশী।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহজালাল বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার। তাই আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল বলেন, আমার কাছে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। আরেকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাড়াহুড়ো করছি না। দু’পক্ষের কথা শুনেই সমাধান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুবির প্রথম প্রো-ভিসি ড. হুমায়ুন
৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেল জেলখানায়!
নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হামিদ সিকদার হিমেলকে পাওয়া গেছে টাঙ্গাইল জেলখানায়। সোমবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রাব্বী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত খাদ্য অধিদপ্তরের উপ খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে হামিদ আটক হন। ওই দিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের দণ্ড দেয়া হয় তাকে।
মো. আতাউর রাব্বী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিভিন্নভাবে হিমেলের পরিবারের ঠিকানা ও ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবারই সে ফোন নম্বর মনে নেই বলে জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এর আগে গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর আসার কথা বলে বের হন হিমেল। এরপর থেকেই তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকে। এ বিষয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাবি শিক্ষার্থী হিমেলের চাচাত ভাই মাহফুজ তালুকদার শাহবাগ থানায় জিডি করেন। সখীপুর উপজেলার জামালহাটকোড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেলের বাবা বিল্লাল সিকদার সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। হামিদ সিকদার হিমেল ঢাবির রসায়ন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তিনি ঢাকার সখীপুর থানা স্টুডেন্ট (ডিএসটিএস) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।
ডিএসটিএসর সভাপতি সাদ্দাম হোসেন উদয় বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়ে তাকে খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে সে এমন অপরাধের সাথে জড়াবে এটি আমাদের ভাবনার বাইরে ছিল।’
তাৎক্ষণিক অনলাইন মিটিং করে হিমেলকে ডিএসটিএস অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
ডাকাত সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর
২০১১ সালে রাজধানীর সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ঢাকার একটি আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই ভোরে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের আমিনবাজারে ছয় শিক্ষার্থীকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে তিনজন মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাকিরা রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার মডেল থানা পুলিশ ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর মামলার বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল তিন্নি হত্যা মামলার রায়
বিবস্ত্র করে নির্যাতনে বেগমগঞ্জে ওসিসহ ৩ পুলিশকে বরখাস্তের রায় স্থগিত
শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান হলেন অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ডি’এর অর্থনীতি বিভাগের গবেষণা কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিদায়ী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জোয়ার্দার এবং নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহতদায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। আমাদের এইসব শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি গবেষণার মান অনেক ভালো। আশা রাখছি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নতুন বিভাগীয় প্রধান আরও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, বিভাগীয় প্রধান পদটি আমার জন্য একটি নতুন সংযোজন। এই বিভাগটি আমার। বিভাগের সার্বিক কল্যাণের জন্যে আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো। এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা ও দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরুউল্লেখ্য, অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে শাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শাবিপ্রবি ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রায় দুইবছর শিক্ষকতা করেন।
অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, দুইবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে শাবিপ্রবির ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বেও কর্তব্যরত আছেন।
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সোমবার ক্যাব’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিআরটিসির কার্যালয়ে বাস ডিপো ব্যবস্থাপকদের সাথে এক বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমি এই মুহূর্ত থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, বিআরটিসির পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহনেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেবে। আর না নিলে দায়ী পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রীর ঘোষণার পরও বিষয়টি পুরোপুরি বাস্তায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টিকারী নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল, ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একটি খসড়া গণপরিবহন আইন অনুমোদন করলেও, সেখানে হাফ ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি চরম অবমাননা করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার জন্য দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার গণপরিবহন আইন সংশোধনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার গণপরিবহন ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করলেও গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় না করে নিজেদের ইচ্ছামতো দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে গণপরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এছাড়া ভাড়া নির্ধারণের সময় গড় ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন দেখিয়ে ভাড়া আদায় দেখালেও কার্যত দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহনের ঘটনা যেন স্বাভাবিক। ভাড়া নির্ধারণে অতিরিক্ত অযৌক্তিক ব্যয় ও মাইলেজ এর বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়াটিও ত্রুটিপুর্ণ বলে মন্তব্য করে, গণপরিবহন মালিকদের স্বার্থে এই প্রক্রিয়াটি রহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে অধিকাংশ সময় গণপরিবহন শ্রমিকদের হাফ পাস বা হাফ ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছেই। অথচ গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা মুখে মুখে বুলি আওড়ায়, শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার নিয়ম অনুসারেই ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। কিন্তু বাস্তবে সেই চিত্রের কোনো ছিটেফোঁটাও নেই। এছাড়া ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নগরের বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো অর্ধেক ভাড়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে চলেছে পুরো বর্ধিত ভাড়াও। এ যেন রীতিমতো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে আর্বিভূত হয়েছে। একই সাথে দরিদ্র, অস্বচ্ছল ও শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল মুক্তিসংগ্রামে দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের ভূমিকা অনন্য। দেশে চলমান ভোগ্যপণ্য ও সেবার ক্রমবর্ধমানে ঊর্ধ্বমুখী দামে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকিতে। গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া দিয়েই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে অনেক পরিবারের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
ধর্ষণের হুমকির বিচারের দাবিতে বদরুন্নেসার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া এবং সহপাঠীকে বাসের হেলপার কর্তৃক ধর্ষণের হুমকির বিচারের দাবিতে রাজধানীর বকসীবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সাথে যোগ দেন আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।
রবিবার সকালে বদরুন্নেসা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে কলেজের গেটের সামনেই আটকে দেয়। পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সেখানে জড়ো হয়।
এক পর্যায়ে কলেজের গেট খুলে দেয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বকসীবাজার মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে চানখাঁরপুল থেকে বকসীবাজার ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং বুয়েট অভিমুখী রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহত
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বুলবুল আহম্মেদ ও রানা হোসেন এবং ফিনান্স বিভাগের মো. ইমদাদুল। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী লালন হোসাইন, মার্কেটিং বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আসিফ হোসাইন এবং সঙ্গীত বিভাগের ওয়াজিদ তাওসিফ। অভিযুক্তরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজুর কাছের ‘ছোটভাই’ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি রবিউল ইসলাম নামে একই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সমালোচনার মুখে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সাজু হলটিতে গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশনা দেন। বিষয়টিতে খুশি হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন।
তাদের এ পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আলাদা করে মারধর করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ছাত্রলীগ নেতা লালন হোসাইন ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে নির্যাতন করেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লালন হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমাদের হলে গেস্টরুম হয় না। তাদের নির্যাতনের প্রশ্নই আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। অপর অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ লালনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেন।
এদিকে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর সবার সাথে বসেছিলেন। যাদের মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা কিছুই বলছে না। সামনে যাতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে ইউএনবিকে জানান। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের হলে গেস্টরুমে যে কোনো ধরনের জামায়েত করার জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এমন কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবুও আমি সংশ্লিষ্ট ব্লকের হাউস টিউটরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা এতোদিন চার-পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি স্কুলের মাধ্যমে টিকা দিয়েছি। এক্ষেত্রে নিবন্ধনসহ নানা বিষয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কবে থেকে কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়টি বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং কিছুদিনের মধ্যেই আমরা এই কার্যক্রম শুরু করতে পারব। যে স্কুলগুলোতে ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হচ্ছে সেগুলোতেও এই টিকা কার্যক্রম নিয়মিতভাবেই চলবে।
আরও পড়ুন: এ মাসেই তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রীএর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নতুন উদ্যোগ অনলাইন ড্রাগ লাইসেন্স উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি জিএমপি গাইডলাইন, আয়োর্বেদিক, হারবাল ও হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের মোড়ক উন্মেচন করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও টিকা নেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাভারে কুয়েটের শিক্ষার্থীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
সাভারে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের হারুরিয়া পৌর এলাকার ডগরমোড়া এবং আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েটের) শিক্ষার্থী সবুজ মন্ডল (২২) বাগেরহাট জেলার চাঁদপুর গ্রামের নিরঞ্জন মন্ডলের ছেলে।নিহত অপরজনের পরিচয় জানা যায় নি।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ভাকুর্তার হারুরিয়া এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত বাইশ বছরের এক যুবকের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসীর ধারণা অজ্ঞাত ওই যুবককে দুর্বৃওরা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। অপরদিকে সাভার পৌর এলাকার ডগরমোড়া মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কালকিনির পালরদি নদী থেকে নিখোঁজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন তারা।
এর আগে ১৬ নভেম্বর বিকালে কলেজ থেকে বাসে করে বাসায় ফেরার সময় অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে হয়রানি করেন চালক ও সহযোগী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বাসে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই মূলত আন্দোলনে সরব হওয়ার কথা জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তামিম নামে ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক সহপাঠীকে বাসে হয়রানি করা হয়। বাসের চালকের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্ধেক ভাড়া নিতে চায় না। বরং তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ জন্য আমরা অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
পরবর্তীতে নিউ মার্কেট থানার ওসি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তাদের দাবি মানা না হলে আগামী শনিবার বা রবিবার আবারও আন্দোলনে নামার কথা জানান ঢাকা কলেজের এ শিক্ষার্থী।
আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন।
এ বিষয়ে জানতে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
এর আগে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইম্পেরিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে গলাধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে রামপুরায় রাইদা পরিবহনের অন্তত ৫০টি বাস আটকে রাখেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার দাবি মেনে নেয় রাইদা বাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: যাত্রীরা ট্রেনে যেতে না পারায় স্টেশনে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ