শিক্ষার্থী
শৌলমারীতে কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দী জীবন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী শৌলমারী ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঝুকিঁ নিয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করছেন। শুধু শিক্ষকরাই নন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীসহ শৌলমারী চরের মানুষজনও পড়েছেন চরম বিপাকে।
স্থানীয়রা বলছেন, এনিয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এই বিষয়ে চরবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা গেছে, তিস্তা নদীতে শৌলমারী চরে গড়ে উঠে কালিকাপুর ও শৌলমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যায়লের শিক্ষকরা উপজেলা শহর থেকে যার চরে। কিন্তু বিদ্যালয়ের এক মাত্র যাওয়ার রাস্তাটি কাঁটাতারে বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড। ফলে তারা কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে নুয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
এই রাস্তা দিয়েই মূলত চরবাসীর যোগাযোগ উপজেলার মূল ভূখন্ডের সাথে। সরকারিভাবে প্রতিবছরই রাস্তাটি মেরামত করা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। সেই রাস্তাটিও সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ‘ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ এর সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাঁটাতারে ঘিরে দখলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শৌলমারী সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইতি মনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলে যাওয়া আসা করছি। এখন সেই রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একজন নারী শিক্ষক হয়ে ওই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে যাতায়ত কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো মুশকিল। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
ওই স্কুলের আর এক সহকারি শিক্ষক সানিউর রহমান সানি জানান, ‘ওই রাস্তাটি দিয়ে শুধু আমরা না স্কুলের শিক্ষার্থী আর অভিভাবকরাও যাতায়াত করেন। বর্তমানে সেটি কাঁটাতারে ঘেরা থাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরতে হয়। সে কারণে বাধ্য হয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে যাতায়াত করছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
চারবাসীদের ভাষ্য মতে, বন্ধ থাকা ওই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মণ ফসল বিভিন্ন হাটে বাজারে যেত। আবার এলাকাবাসী চিকিৎসা, কেনাকাটার জন্যও ওই রাস্তা ব্যবহার করতো। কিন্তু সেই রাস্তা কাঁটাতারে ঘিরে রাখায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে খুলছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল। সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাবো। শুধু আবাসিক কার্ডধারী ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। আপাতত গণরুম থাকছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুবিধাসমূহও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২ নভেম্বর
সভায় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্যরা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টায় আবাসিক হলগুলো খোলা ও ক্লাস যথারীতি চালু করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১ তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের হল খুলছে ২২ অক্টোবর
এর আগে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে আবাসিক হলগুলো খোলার আগে এক প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, হলে কোনভাবেই গণরুম না রাখা, যাদের শিক্ষা জীবন শেষ তারা কোনভাবেই যেন হলে থাকতে না পারে ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করে হলে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া হল খোলার আগে ও পরে সার্বক্ষণিক হলে প্রভোস্টসহ হাউস টিউটরদের অবস্থানের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর মুহাম্মদ মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারকে একটি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পেইনটি উদ্বোধন করা হবে এবং ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দিয়ে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
টিকা কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য টিকা প্রার্থীদের অবশ্যই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা বিশ্ববিদ্যালয় আইডি সঙ্গে আনতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম ১৯ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যারা ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অধীনে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা যদি কোন ডোজ সেখানে নিয়ে থাকেন তবে তারা এখানে পরবর্তী ডোজ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
তবে যারা অন্য কোন ভ্যাকসিন সেন্টারে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের অবশ্যই সেই সেন্টারে টিকা নিতে হবে।
ডিএসসিসি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে ইতোমধ্যে যে শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে তারা এসএমএস পাওয়ার পর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে একই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
করোনা মহামারির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাস্টার্স এবং অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তথ্য দেয়ার আহ্বান
১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
সারাদেশে নয়, শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। যাদের বয়স ১২ বছরের অধিক, তাদেরকে একটি টিকা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটিও যে কোনো জায়গায় দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রেও কিছু কারিগরি সহায়তার বিষয় রয়েছে। হয়তো শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষার্থীদের সেই টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা কখন, কীভাবে দেয়া শুরু করতে পারব, তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথাবার্তা চলছে।’
আরও পড়ুন: নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আবাসিক হলগুলোতে উঠে পড়া শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হলগুলিতে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ এবং পূর্ব অনুমতি ছাড়া সেখানে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেনো নেয়া উচিত নয় তা জানতে চেয়ে ছাত্রদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৭ অক্টোবরের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে বিভিন্ন হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনার অন্তত একটি ডোজ নেওয়ার শর্তে পাচঁ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে মাস্টার্স এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
বাগেরহাটে গত দেড় বছরে তিন সহস্রাধিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার এসব কিশোরী মেয়েরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তারা পড়ালেখা বন্ধ করে এখন স্বামীর সংসার করছে। এদিকে, বাল্যবিবাহ রোধ করতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন হওয়া জরুরি বলে জেলা প্রশাসক মনে করছে।
শিক্ষা বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলায় করোনাকালীন সময়ে তিন হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সময়ে প্রায় ৪০০ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় অনেক মা ও শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ে।
করোনাকালে বাল্যবিয়ের শিকার নীলাঞ্জনা (ছদ্মনাম) বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গত বছর নভেম্বর মাসে তার বিয়ে হয়। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা এবং লেখাপড়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে সে ওই বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা পেশায় একজন হকার।
বিয়ের তিন মাসের মধ্যে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী নীলাঞ্জনা জানায়, বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরিবারে অভাব অনটন মা-বাবাকে ভাবিয়ে তোলে। পরিবারের সিদ্ধান্তে সে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ের পর সে স্বামীর সংসারে চলে যায়। কিছুদিন পর স্বামী তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যে সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে। এখন সে আবারও পড়ালেখা করতে চায়। পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় নীলাঞ্জনা।
পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদের সামনে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া এবং আত্মঘাতী হওয়ার মতো এ ধরনের আইনবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এবং আইনবহির্ভূত শাস্তির শিকার ১৪ শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া দেশের যেকোনো শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনমূলক ঘটনা প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুন, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। এর আগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাউছার ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যা শুধু বেআইনি নয় শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননাকর। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তাই আমরা রিট করেছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এ ঘটনায় পাচঁ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় অন্তত ১৩/১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। চুল কেটে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের দীর্ঘ বৈঠক হয় এবং প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়া হয়। তবে ওই শিক্ষক ঘটনাটি সাজানো বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন।
জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুলকেটে দেয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত সেই প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন যে,সমবয়সীদের অবমাননার জন্য বিতর্কিত শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিন বাতেনকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হোক। যদিও তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবাদের দ্বিতীয় দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশ স্টাডি বিভাগের হাবিব, জাহিদ, সীরাত ও জাকারিয়া নামে চারজন শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে হাবিবকে সাজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য শিক্ষকদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে আটকে রাখে।
ছাত্রনেতা শামীম হোসেন,আবু জাফর হোসেন এবং নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা আবদুল লতিফ জানান, শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একটি সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বলে জানান আবদুল লতিফ।
বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী জানান,ফারহানা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চুল কাটতে বলে।১৪ জন ছাত্র ছাড়া বাকি সবাই তার নির্দেশ মেনে চলে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা সোমবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বর্জন করে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
এদিকে, ঘটনার শিকার নাজমুল হাসান তুহিন আত্মহত্যার চেষ্টায় ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছেন।বর্তমানে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
আগামী ১৮ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১৫তম (জরুরি) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ সার্বিক অন্যান্য প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরে ১ অক্টোবর থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
সভা শেষে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। এদিন থেকে মাস্টার্স ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং ২৬ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
তিনি বলেন, হলে ওঠার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, টিকা গ্রহণের সনদ/রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি স্ব স্ব হলে জমা দিতে হবে।
এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আশা করছি যে সময়ের রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে সময়মতো সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাবে।’
তিনি বলেন, শুধু জিপিএ-৫ এর পেছনে না না ছুটে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। দেশ ও সমাজের জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে। এবং ২০২৩ সাল থেকে সেটি বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। নতুন পাঠক্রমে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। সর্বস্তরে বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ সাল থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন। তিনি সবসময় শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। তার জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে আমরা সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। আমরা শিক্ষা পরিবার এ জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা গাছ লাগাবে, সেটির পরিচর্যা করবে। এর মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যয়ী হবে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসির সময়সূচি প্রকাশ