শিক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ডিজিটাল জালিয়াতি এবং অবৈধ উপায়ে ভর্তির দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন-অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মো. রাকিব হাসান (সেশন ২০১৭-১৮), এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের ইশরাক হোসেন রাফি (সেশন ২০১৭-১৮)।
এছাড়া পরীক্ষায় অসুদপায় উপায় অবলম্বনের জন্য ৭২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ
প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের আমরা এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।’
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও যদি আমরা মনে করি, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, প্রয়োজন হলে সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম কোনো পরিস্থিতি ঘটেনি। যদি কোথাও হয় আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী শুরু
দীপু মনি বলেন, মহামারি এখনও চলমান। যদিও শনাক্তের হার পাঁচের নিচে নেমে এসেছে, তারপরও কিন্তু সারা দুনিয়ায় মহামারি চলমান। কাজেই পরিস্থিতির দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে হতে পারে, যাতায়াতের পথে হতে পারে, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে এবং কোথাও ঘটনা ঘটলে আমরা যেন ব্যবস্থা নিতে পারি এ বিষয়ে সচেতন এবং দৃষ্টি রাখছি। আমরা কোনো অভিযোগ বা খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জেন্টের অফিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।
অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সে মারা গেছে। আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণির একজনের করোনা হয়েছে। আমরা তার ক্লাসের সবাইকে করোনার পরীক্ষা করিয়েছি। সেখান আর কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত: বন্ধ ক্লাস
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ওই দুই শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন।
গত সোমবার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির দুই জন ও পঞ্চম শ্রেণির তিন জন ছাত্রীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়া হয়। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা শেষে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন বলেন, শিডিউল অনুযায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে করোনা উপসর্গে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবার বালিকার উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোছা. রিক্তা বানু বলেন, গত বৃহস্পতিবার শহরের হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে আরও অনেকের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ জন ছাত্রী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত শিশু পরিবারের ২৫ জন ছাত্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ জনসহ মোট ১৩ জন ছাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্ত সবাই আমাদের শিশু পরিবারের সদস্য। রিক্তা বানু বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৩ জন ছাত্রীকে আমরা আলাদাভাবে রেখেছি। তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তারা ভালো আছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩ কলেজছাত্রী করোনা আক্রান্ত
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মমতাজ ফেরদৌস বলেন, বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচজন ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আগামী এক সপ্তাহের জন্য ঐ বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, সরকারি শিশু পরিবার বালিকার ১৩ জন ছাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদেরকে আলাদাভাবে আইসোলেশনে রেখেছি। এর পাশাপাশি আক্রান্তের দিন থেকেই আমরা তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যক্ষেণ করছি। তারা বর্তমানে সুস্থ আছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বজায় রেখে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আমরা সব বিদ্যালয়গুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। যদি কোন শিক্ষার্থীর করোনার লক্ষণ দেয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তার নমুনা পরীক্ষা করছি।
তিনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের শ্রেণির শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, আমরা তাৎক্ষণিক সেসব শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছি এবং তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: শনিবারের মধ্যে বিমানবন্দরের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)’র এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জামিল।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যা!সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল। পারিবারিক কোনো একটি বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন তার সহপাঠীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।ওসি আমিনুল বলেন, তার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ‘মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। হতাশা পেয়ে বসেছে তাকে। কোনো কিছুতে স্বস্তি পাচ্ছেন না। বাবা-মা ক্ষমা করো। গুড বাই।’ এরকম কিছু কথা লিখে গেছেন। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও ময়না তদন্ত করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের ‘আত্মহত্যা’
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
দেশের গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর থেকে নেয়া হবে।
প্রথম দিন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
মুনাজ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি শুরু হবে। এরপর মানবিক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর এবং বাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বারবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে আবার পরিবর্তন করিনি। উপযুক্ত সময়ে যেনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকঠাকভাবে আমরা এসব তারিখেই পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা বাড়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা এক রিট মামলা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জানা গেছে, এর আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জন ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তবে হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিট মামলাটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন। তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা (রিটকারী পক্ষ) রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করুন।
আরও পড়ুন: টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে রিটের আদেশ রবিবার
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা এবং হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন। জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।
মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
১৯৭০ সালে বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পটুয়াখালী শহরের অবস্থিত লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ বিতরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে তার নির্দেশে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। সেই স্কুলটির জরাজীর্ণ একটি ভবনে জোড়াতালি দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে কিছুটা আশার সঞ্চার হয় স্কুল কর্তৃপক্ষও শিক্ষকদের। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি। বর্তমানে মামলার জটিলতার কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ ভবনটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: স্কুল মাঠ দখল করে ধান চাষ
সংশ্লিষ্টরা জানান, এক কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে একটি চারতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার কথা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের। স্কুলের জমি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশিদা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর জমি বুঝে পাওয়ার জন্য আবদেন করলে ইউএনও ভূমি কর্মকর্তাকে জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০২০ সালের ৪ মার্চ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জমি বুঝিয়ে দেন। বুঝিয়ে দেয়ার সাত দিন পর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর এক মাস যেতে না যেতেই স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মতলব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলার প্রেক্ষিতে আদালত চলমান নির্মাণ কাজ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
১০ ঘণ্টা পর স্কুলের টয়লেট থেকে বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী উদ্ধার
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ছুটির প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে বাকপ্রতিবন্ধী এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর বালিকা বিদ্যালয়ে থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টয়লেট আটকা পড়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটির পরে ওই ছাত্রী টয়লেটে যায়। এ সময় স্কুলের আয়া শাহানারা বেগম শানু তালা মেরে দেয়। কিন্তু বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সে আওয়াজ দিলেও কেউ শুনেনি। তাই ভেতরেই আটকা পড়ে সে।
এদিকে, ওই ছাত্রী বাড়িতে না আসায় তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এমনকি সহপাঠীদের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কুকুরের কামড়ে আহত ২০
পরে রাত ১০টার দিকে আল আমিন নামে স্থানীয় এক যুবক স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় টয়লেটের ভেন্টিলেটরে কারও হাত দেখতে পান। তিনি বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী টয়লেটের তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
তবে আয়া শাহানারা বেগম শানুরের দাবি, দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়, বিকাল ৪টার দিকে তিনি ওই টয়লেটের দরজায় তালা লাগিয়েছেন। তবে কেউ ভেতরে ছিল কি না সে দিকে খেয়াল করেননি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন জানান, তিনি বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অফিসে কাজ করেছেন। তখন এবিষয়টি তার নজরে আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীরিন আক্তার বলেন, ‘এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসানউল্লাহ চৌধুরীকে বিষয়টি তদন্ত করার নিদের্শ দিয়েছি। গাফিলতি হলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আইইউ শিক্ষার্থীদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা নিবন্ধনের নির্দেশ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউ ) কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষার্থীদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলেছে।
শুক্রবার আইইউ তথ্য,প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম শাহেদ হাসান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
যেসব শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তারা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দেয়া ওয়েব লিঙ্কে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারবেন।
কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ
৬০ বছরেরও বেশি পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পূর্ব কোণে নতুন কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেছে। একই স্থানে আরও দুটি ইউক্লিপটাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অভ্যন্তরে পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল খুলবে ৫ অক্টোবর
বিখ্যাত কৃষ্ণচূড়া গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে কিছু শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করে এবং গাছের টুকরো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ির দিকে রওনা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে আরও শতাধিক গাছ লাগানোর দাবি জানান এবং কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মনিরুল ইসলাম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন,‘আজকাল আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে ভালো লাগছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে থাকা কোমরহীন মানুষ ক্যাম্পাসকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না;বরং তারা গাছ কেটে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করছে। এটা খুবই হতাশাজনক। কৃষ্ণচূড়া গাছের অভিশাপ লাগুক তাদের কপালে।’
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কার্জন হলের উদ্ভিদ-সৌন্দর্যায়ন এবং ক্যাম্পাসের রোড মিডিয়ানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরিকালচার সেন্টারের দ্বারা পরিচালিত হয়।
সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন,‘এই গাছগুলো মূলত ঝুঁকির মধ্যে ছিল। গাছগুলো ছিল রাস্তার ওপরে। এছাড়া যে কোনো সময় গাছগুলো ভেঙে পড়তে পারতো। তাই গাছগুলো অপসারণের কোন বিকল্প ছিল না। আমরা এই জায়গায় দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগাব।’
পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘কৃষ্ণচূড়া গাছ সোজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাছটি হেলে পড়েছে এবং এর মূলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এটি যে কোন সময় ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারতো। তাই এটি অপসারণ করতে হয়েছে।’