শিক্ষার্থী
নীলক্ষেত অবরোধ করে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করার দাবিতে এবং প্রতীকী ‘গণ আত্মহত্যা’ কর্মসূচি পালন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত মিছিল বের করেন।
সাত কলেজ আন্দোলনের সমন্বয়ক তসলিম চৌধুরী বলেন, আমরা গত ১৬ আগস্ট ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা এই প্রক্রিয়ার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এ কারণে আমরা আবারও আমাদের দাবি আদায়ে এখানে এসেছি। আমাদের কথা না শোনা পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না।
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে একে বর্ষ থেকে আরেক বর্সে উত্তীর্ণ হতে ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। এ ছাড়া সিজিপিএ শিথীল করে তিনটি বিষয়ে মান উন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
বিক্ষোভ করতে গিয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে নীলক্ষেত মোড় শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে এক স্কুলেই ১০৭ শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত!
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে (বাওয়া) ১০৭ শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের দামপাড়া এলাকার বাওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অভিভাবকদের ধারণা, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
বিদ্যালয়টিতে দুই শিফটে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ১৪২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির। এর মধ্যে মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থী রয়েছে ৬৮ জন ও ডে শিফটের শিক্ষার্থী ৩৯ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নবম শ্রেণির মর্নিং শিফটে ১৪ শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফ উল হাছান চৌধুরী বলেন, মর্নিং শিফটের ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ছয় শিক্ষক ও এক আয়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়েছেন। দু’জন চিকিৎসাধীন। এক মাসের মধ্যে তারা সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, ডে শিফটের ৩৯ শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত। তারা চিকিৎসা নিচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ে আসছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। পাশ দিয়ে গেছে নালা। সেটিও আবর্জনায় ভর্তি। বিদ্যালয়ের শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন। বিভিন্ন স্থানে ময়লা জমে আছে। তাদের দাবি, দিনের একাংশ সন্তানরা বিদ্যালয়ে কাটায়। এখানে তাদের মশা কামড়াতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, এক বিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিদ্যালয়টিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর পাশাপাশি মশার ওষুধ ছিটানো জরুরি।
বিদ্যালয়ে মশকনিধনের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হয়েছে বলে দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মশা যেকোনো জায়গা থেকে কামড়াতে পারে। বিদ্যালয়ে দুদিন আগেও মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। শিক্ষকেরাও শ্রেণিকক্ষে ডেঙ্গু সম্পর্কে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৩ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের উর্ধ্বগতি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র
ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ১৬৫ নম্বর কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের একযোগে পদত্যাগ
পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, পারিবারিক সমস্যা ও একাডেমিক ঘাটতির কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, দুঃখজনক ঘটনার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সারাদেশে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিনেই হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছেলে ও ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্রীসহ মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি।
রুটিন অনুযায়ী এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২ হাজার ৬৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৩১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা দাবিতে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
একইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তারা প্রশাসন, কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
হামলায় ১১জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি: ২৩ দিন পর উদ্ধার
এর আগে সোমবার রাতে খুমেক হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় খুমেকের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী সেখানে জড়ো হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানায়। পরে তারা এক হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হন।
ছাত্রদের হামলায় তিনজন দোকানী আহত হন এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ কেনা নিয়ে এক দোকানীর সঙ্গে খুলনা মেডিকেল শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানী তাকে মারধর করেন। বিষয়টি অন্য ছাত্ররা জানার পরে ওষুধের দোকানে গেলেওষুধের দোকানীরা তাদেরকেও মারধর করে। এতে ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। ঘটনার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ছাত্ররা আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে রবিবার (১৩ আগস্ট) বহিষ্কৃত ছাত্র ও সংবাদকর্মী ইকবাল মনোয়ারের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বহিষ্কারের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিহাব উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: কুবির হলের ডাইনিংয়ে নেই ভর্তুকি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
আদালতের আদেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল স্বাভাবিকভাবে তার একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ফ ম আবদুল মঈনের বক্তব্য বিকৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠে দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি ইকবালের বিরুদ্ধে। এর ফলে গত ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট ইকাবলের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করার কোনো প্রমাণ নেই এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী একটি শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও এ ধরনের বোর্ডের অস্তিত্ব নেই। সুতরাং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক জারি করা স্থগিতাদেশ অবৈধ এবং এর এখতিয়ারের বাইরে।
নোটিশে বলা হয়, ইকবাল পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেদন নিয়ে ভিসির কোনো সমস্যা থাকলে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার তার আছে, কিন্তু তা না করে উপাচার্য তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ইকবালের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে তার বহিষ্কারাদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে ইকবাল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তিনি তার স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
গত ৩১ জুলাই কুবি’র উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ২ আগস্ট ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।
ইকবাল দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিক সমিতির অর্থসম্পাদক।
ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ৯ আগস্ট আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ ৮ জনকে ইকবালের পক্ষে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছিল, তিন দিনের মধ্যে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে উচ্চ আদালতে যাবেন ইকবাল।
নোটিশে আরও বলা হয়, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া তার সংবাদে উল্লিখিত উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর থেকে প্রতীয়মান হয়, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।
এছাড়া গত ৬ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়ে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যের নিকট চিঠি দিয়েছেন ইকবাল। এখন পর্যন্ত সে চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোন বোর্ড এবং বিধি তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় কুবি প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইকবাল তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন, যার সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, কোনো সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে।
তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবুহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করেছেন মর্মে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইকবালকে তার অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ইকবাল।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিল শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও জামিনে মুক্ত হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার পর নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার শপথ নিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে বুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং এই শপথ গ্রহণ করে।
শপথে বলা হয়, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য আমার উপর অর্পিত সমস্ত ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব যথাসাধ্যভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমি সকল অন্যায় ও বৈষম্য সম্পর্কে সচেতন এবং তার বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব।’
শিক্ষার্থীরা শপথে আরও বলেন, ‘আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে আমরা সম্মিলিতভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ধরণের সন্ত্রাসবাদ এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে প্রতিরোধ করব। আমরা নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরণের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মূলোৎপাটন করব। যাতে আর কোনও নিরপরাধ প্রাণ হারায়। এখন থেকে কোনো নিরপরাধ ছাত্র যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তা আমরা নিশ্চিত করব।’
শপথ গ্রহণের পর একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
সুনামগঞ্জ থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছি এবং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয়, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।’
তারা বলেন, ‘আবারও, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদ হত্যার তদন্তের সময় র্যাগিং এবং অসহযোগিতার জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া আশিকুল ইসলাম বিটুকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেছি। আমরা এমন একজন কুখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে ক্লাস করব না এবং যদি বুয়েট কর্তৃপক্ষ তা করে। দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা ক্লাস বর্জন করতে দুবার ভাবব না।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান।
বুধবার (০২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারহান সাদিক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, আসামিদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান আদালত। দীর্ঘ ৪০ মিনিট উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৩২ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তাদের প্রত্যকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকার মাধ্যমে জামিন দেন।
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরাঘুরি শেষে তারা তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাটের এলাকায় যাচ্ছিলেন। ডাম্পের বাজার এলাকা থেকে তাহিরপুর থানার পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, গত বছরের মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড