গুলি
উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক মাঝিকে (নেতা) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৭ জুন) রাত ৯টার দিকে উখিয়ায় ২ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নূর হোসেন ওরফে ভুট্টু ওই ক্যাম্পের মাঝি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ১০-২০ জন দুর্বৃত্তের একটি দল ঘরে ঢুকে ভুট্টুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে এনজিও এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তের ৩৭৪/১ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জিন্নাত আলী (৫২) রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট কলোনির মৃত মহিউদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, জিন্নাত আলীসহ আরও কয়েকজন দুপুরে বাড়ির অদূরে ভারতের সীমান্তে ঘাস কাটার সময় ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকরাদহ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে জিন্নাত আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় অন্যরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল জানান, পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জগদল ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল মোমিন জানান, গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে জিন্নাত আলী নামে এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তের শুন্যরেখা অতিক্রম করলে বিএসএফ টহল দল গুলি করে।
আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ কৃষক আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই কৃষক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ধজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আজম আলী ভূঁইয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের মৃত লোকমান ভূঁইয়ার ছেলে ইকবাল ভূঁইয়া (৪৫)।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ওই দুই কৃষক ধজনগর সীমান্তের সীমারেখার পাশে গরু চড়াচ্ছিলেন। এ সময় আচমকা বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটাগুলি নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। বর্তমানে দুইজনই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিকালে এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ জুন) রাত ৩ টার দিকে কুতুপালং ৬ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ বশির (১৯) ৬নং ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৫ থেকে ৩০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ওই রোহিঙ্গা যুবকের গলায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে এনজিও এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, কী কারণে এ যুবককে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রদলনেতা নিহত, আহত ১
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট সীমান্তের ৮৫৭ সাব পিলারের কাছে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ আলী (২৭) ওই ইউনিয়নের মেসের ডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৫৭ নম্বর প্রধান পিলারের জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট এলাকা সীমান্তে ভারতীয় ১৬৯ মেখলিগঞ্জের রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মীররাপা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে নিহত হন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, নিহত ইউসুফের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শোনার পরে বিওপি ক্যাম্পে যোগযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া কেন গুলি করা হয়ে তা জানতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
ফ্লোরিডায় সমুদ্র সৈকতের কাছে গুলি, আহত ৯
ফ্লোরিডার হলিউডে একটি সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে ৯জন আহত হয়েছেন।যেখানে স্মৃতি দিবসে জনাকীর্ণ সৈকতে লোকজন উন্মত্তভাবে ছুটে যায়।
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র ডিয়ানা বেটিনেচি বলেছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে একটি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মেমোরিয়াল হেলথকেয়ার সিস্টেমের মুখপাত্র ইয়ানেট ওবারিও সানচেজের মতে, আহত ৯জনের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তিনজন শিশু রয়েছে। তিনি বলেন, আহতদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।
বেটিনেচি বলেন, এক থেকে ১৭ বছর বয়সী চারটি শিশু এবং ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত সোমবার একজনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং অন্যরা স্থিতিশীল ছিল। হাসপাতালটি একজন ১৭ বছর বয়সীকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণনা করছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না।
বেটিনেচি জানান, সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ আগে গুলি চালানো হয়। মারামারি শুরু হয়, অন্তত একটি বন্দুক টানা হয় এবং গুলি চালানো হয়। অন্তত একজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, তবে পুলিশ আরও সন্দেহভাজনকে খুঁজছে।
পুলিশ প্রধান ক্রিস ও'ব্রায়েন বলেন, হাজার হাজার লোক ওই এলাকায় ছিল এবং কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে এসেছিল, যাদের মধ্যে কয়েকজন কাছাকাছি ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের আইন মেনে চলা নাগরিকরা আছে যারা আমাদের সমুদ্র সৈকতে আসে এবং এটি একদল অপরাধীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়।’
হলিউড ওশানফ্রন্ট ব্রডওয়াকে একটি কনভেনিয়েন্স স্টোর, একটি বেন অ্যান্ড জেরির আইসক্রিম স্টোর এবং একটি সাবওয়ে স্যান্ডউইচের দোকানের কাছে গুলির ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুক হামলায় নিহত ৩
আলভি কার্লটন স্কট-৩ বলেছিলেন যে তিনি সৈকতে ছিলেন যখন তিনি হঠাৎ অসংখ্য গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি গাছের আড়ালে লুকিয়েছিলেন এবং তারপর একজন পুলিশ অফিসার লোকদের সরে যেতে বলার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
জেমি ওয়ার্ড, যিনি ব্রডওয়াকেও ছিলেন, বলেছিলেন যে বেশ কয়েকজন যুবক দোকানের সামনে লড়াই করছিল যখন একজন বন্দুক টেনে গুলি চালালেনা শুরু করে।
সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে জরুরি চিকিৎসা কর্মীরা এগিয়ে আসছেন দিচ্ছেন এবং একাধিক আহত ব্যক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন।
পুলিশ বলেছে তদন্ত অব্যাহত থাকায় অফিসারদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে। আধিকারিকরা পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনের জন্য একটি এলাকাও সেট করেছেন।
হলিউডের মেয়র জোশ লেভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের গুলির শিকারদের সাহায্য করার জন্য তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য ভাল সামারিটান, প্যারামেডিক, পুলিশ এবং জরুরি কক্ষের ডাক্তার এবং নার্সদের ধন্যবাদ।’
হলিউড বিচ হলো একটি জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত গন্তব্যস্থল ফোর্ট লডারডেলের প্রায় ১১ মাইল (১৭ কিলোমিটার) দক্ষিণে এবং মিয়ামি থেকে ২০ মাইল (৩২ কিলোমিটার) উত্তরে। স্মৃতি দিবসের ছুটির কারণে সমুদ্র সৈকতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী দেখার আশা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় করতোয়া নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক পাথর উত্তোলন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন এমনটিই অভিযোগ পাওয়া যায়। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর ওই শ্রমিক রবিবার রাতে মারা গেছেন।
নিহত পলাশ হোসেন (৩৫) তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাগি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়েদ হাসান জানান, দুপুরে পলাশসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি করোতোয়া নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করছিলেন।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
এক পর্যায়ে গিংরিচ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পলাশ আহত হয়।
পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তবে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি সদস্যরা বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বলে জানান গেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পলাশ হোসেন (৩৫) তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাগি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
এদিকে ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে বগুলাহাগি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে স্থানীয় কয়েকজন পাথর শ্রমিকের সঙ্গে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করছিলেন পলাশ। এ সময় ভারতের গীনগছ ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল টিম নদীর পাড়ে থাকা চা বাগান থেকে পাথর শ্রমিকদের উদ্দেশে গুলি ছোঁড়েন। এতে একটি গুলি পলাশের পেটের বাঁ পাশে লাগলে নদীর পানিতে পড়ে যায় সে। এসময় বাকি পাথর শ্রমিকেরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে কয়েকজন শ্রমিক ঘুরে এসে তাকে উদ্ধার করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান বলেন, আহত পাথর শ্রমিকের পেটের বাঁ পাশে একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তার পেটে গুলি লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, ভূড়ির কিছু অংশ সেই ক্ষত দিয়ে বের হয়ে এসেছে। তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমান্তে আমরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থাকি। অনবরত আমাদের টহল থাকে। তবে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে।
তিনি আরও বলেন, যার একাংশ বাংলাদেশে, অপর অংশ ভারতে। তবে ঘটনার পরপরই আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: ৪দিন পর আজ লাশ হস্তান্তর
খুলনায় সমাবেশে ১৫ নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার দাবি বিএনপির
খুলনায় পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে খুলনা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিকালে নগরীর খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন দাবি করেছেন পুলিশের হামলায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, ‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ তাদের উপর গুলি চালালে দলের অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ আহত হয়।’
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবায়দুল হক রুবায়েদ, ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আশিকুর রহমান অনি, সিটি কলেজের সদস্য সচিব আরিফ মোল্লা তুর্জো, সদর থানা সদস্য শাহিল, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ কিমিয়া সাদাত, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান এবং দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের আহত হওয়ার ছবি থেকে বোঝা যায় পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে, প্রাণঘাতী গোলাবারুদ নয়।
এছাড়া সমাবেশস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ ও আহতদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোনো উস্কানি ছাড়াই সমাবেশে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়, লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপিরি এই নেতা।
তুহিনের মতো একই সুরে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, কোনো উস্কানি ছাড়াই পুলিশ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের হামলার সময় প্রেসক্লাবের ভেতরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল ও আনিদ্রা ইসলাম অমিতসহ ২৫ থেকে ৩০ জন দলীয় নেতাকর্মী আটকা পড়েছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির লোকজন কোনো অজুহাত ছাড়াই আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমরা টিয়ারশেল ব্যবহার করতে বাধ্য হই।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার চেষ্টা করে তাদের ওপর হামলা চালায়।
বিএনপির সদস্যদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে এড়িয়ে যান।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ, ভুয়া মামলা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে জনসভার নির্ধারিত সময় ছিল।
জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়া মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কালেক্টর নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মানিকছড়ির সাপছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭ ) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমার ছেলে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউপিডিএফ সদস্য রুপান্ত চাকমা ওরফে লেজা চাকমা সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনার পর পরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মানিকছড়ি দক্ষিণ দিকে চলে যায়।
তবে তারা কোন দলের লোক, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল আমিন জানান, মানিকছড়ির সাপছড়িতে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়েছি।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওনা দিয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
চাঁদপুরে অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২