লাইফস্টাইল
কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
কান পেতে রই হচ্ছে দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন। মানসিক দুর্দশায় জর্জরিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এই ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি কাজ করে। উদ্যোগটা অভিনব হলেও এই কাজটি নিতান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশে নজির রয়েছে। বরং বাংলাদেশে আরও আগেই এরকম কার্যক্রম শুরু হওয়াটা জরুরি ছিল। এবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রতিষ্ঠানটির শুরুর গল্প
একবার যুক্তরাজ্যের এক ধর্মযাজকের খুব প্রিয় একজন মানুষ আত্মহত্যা করল। এতে প্রচণ্ড মনোকষ্টে ভুগলেও ধর্মযাজক শোককে শক্তিতে পরিণত করলেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, মানসিকভাবে পর্যুদস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে শক্তি-সাহস যোগাবেন এবং বেঁচে থাকার প্রেরণা দেবেন।
১৯৫২ সাল থেকে শুরু করলেন টেলিফোনের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত লোকদের মানসিক সেবা দেয়া। সেখানে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মকর্তা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের কথা শুনত। নিজেদের দুঃখের কথা বলতে যেয়ে তারা খেয়াল করত যে তাদের বুকের বোঝাটা কমে আসছে। সে সময়ের জন্য এটি ছিল এক অভিনব উদ্যোগ এবং এটি ব্যাপকভাবে বেশ সফলতাও পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
এই কাহিনীটি থেকে শিক্ষা নিয়েই মূলত কান পেতে রই সংগঠনের অভিযাত্রা শুরু।
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা নেবার সময় বাংলাদেশের ইয়েশিম ইকবালের কাজ করার সুযোগ হয়েছিল বোস্টন শহরের টেলিফোনের মাধ্যমে মানসিক সেবা দেয়া একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সেখানে প্রায় তিন বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন।
সেখান থেকেই ইয়েশিমের পরিকল্পনায় কান পেতে রই’র গোড়াপত্তন হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রতিদিনি বাড়তে থাকা আত্মহত্যার সংখ্যাকে কমাতে আত্মহত্যাপ্রবণ লোকদের মানসিক সমর্থন দিতে ২০১২ সালে তিনি শুরু করলেন কান পেতে রই’র প্রাথমিক কার্যক্রম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ এর ২৮ এপ্রিল।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমসমূহ
কান পেতে রই (http://shuni.org/) এ আছে কিছু নির্দিষ্ট হেল্পলাইন, যেগুলোর মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত মানুষের কল গ্রহণ করে তাদের কথা শুনে তাদের মাঝে থাকা নিঃস্বঙ্গতা, এবং আত্মহত্যার প্রবণতা দূর করতে সহায়তা করা হয়। এই কাউন্সেলিংয়ের প্রতিক্রিয়া বেশ ফলপ্রসূ আর এই সেবার জন্য কোন ধরনের চার্জ নেয়া হয় না।
করোনা মহামারির আগে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হতো। শুধু বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা কথা বলার সুযোগ ছিল।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেবা দাতা সাজিদা ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগে করোনা মহামারির ভেতর নাগরিকদের জন্য কান পেতে রই’র সেবা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়।
কাউন্সিলিংয়ের সময় বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন, পরীক্ষায় খারাপ করা, পারস্পরিক অভিমান প্রভৃতির কারণে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই পদ্ধতির নাম ‘বিফ্রেন্ডিং’ যেটি মূলত কাউন্সিলিংয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মডেল।
কান পেতে রই গ্রাহকদের কোন তথ্য নিজেদের প্রচারের স্বার্থে ব্যবহার করে না। কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া থাকে কলকারীদের পরিচয় সম্পর্কিত কোনো তথ্য জিজ্ঞাসা না করার। এমনকি স্বেচ্ছাসেবীদের অত্যন্ত কঠোর গোপনীয়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়।
অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কলকারী ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ফেললে তা নোট না করার জন্যও প্রশিক্ষকরা স্পষ্টভাবে বলে দেন। সর্বপরি এখানে মূল ফোকাস ব্যক্তিগত পরিচয় নয়; কলকারীর মানসিক সমস্যা সমাধান।
এতে করে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে কোন অস্বস্তি ছাড়াই কান পেতে রই’তে ফোন দিতে পারেন। একই সঙ্গে গ্রাহকদের এক রকম নির্ভরতার জায়গা তৈরি হয়, যেটা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এখন পর্যন্ত কান পেতে রই আট বছর ধরে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ২০ ভাগরেই প্রধান সমস্যা আত্মহত্যার প্রবণতা।
কান পেতে রই দলের সদস্যর
কান পেতে রই’র প্রতিষ্ঠাতা ইয়েশিম ইকবাল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের স্নাতক। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন।
তিনি ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন হেল্পলাইন সমন্বয়কারী রোজি হোসেন, জনসংযোগ ও যোগাযোগ সমন্বয়কারী সওগাত মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী অরুণ দাস, আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুবিনা জাহান রুমি ও আউটরিচ এক্সিকিউটিভ আশিক আব্দুল্লাহ শুভ। সঙ্গে রয়েছে প্রশিক্ষিত পরিশ্রমী এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী, যারা যে কোন কল অবিলম্বে গ্রহণ করে তার জরুরি কাউন্সিলিং নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে মনযোগ দিয়ে কথা শোনার পদ্ধতি, বিপদের মাত্রা উপলব্ধি করার উপায় ও বন্ধুর মত আচরণ। মানসিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত বিশেষত আত্মহত্যা প্রবণ ব্যাক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে প্রত্যেককে প্রস্তুত করা হয়
এখানের কাজের পদ্ধতি হলো শিফটিং বা পর্যায়ক্রমে। একজন স্বেচ্ছাসেবক চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে তিন ঘণ্টা করে কাজ করতে পারে। প্রতিটি কল গ্রহণের সময় হেল্পলাইনের তত্ত্বাবধায়করা পুরো কথোপোকথোনটি মনিটরিং করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
কান পেতে রই’র সময়োপযোগিতা
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আত্মহত্যার কারণে মৃতের সংখ্যা শতকরা ২.০৬ ভাগ বাংলাদেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের আত্মহত্যার হার ছিল ৩.৭০, যা ২০১৮ থেকে শতকরা ২.৭৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনসংখ্যা সংক্রান্ত জটিলতার পাশাপাশি পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে জীবন ধারণে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্টের ফলে ভাঙন ধরছে সম্পর্কগুলোতে। ইতোমধ্যেই রীতিমত প্রসার লাভ করা পরস্পর থেকে দূরত্বে থাকার বিষয়টিকে যেন আরও গতিময় করেছে করোনা মহামারি। এই নেতিবাচক উত্তেজক পরিস্থিতিগুলোর কারণে অতিরিক্ত আবেগের তাড়নায় চরম অবস্থায় মানুষ ধাবিত হচ্ছে আত্মঘাতী ঘটনার দিকে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘটে গেল ২০২২ সালের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। একই সঙ্গে দেশব্যাপী ১২টি আত্মহত্যা।
এমতাবস্থায় মন খারাপের লাগাম টেনে ধরার জন্য কিছু শক্ত হাতের প্রয়োজন। প্রয়োজন নিঃস্বার্থভাবে আলো জ্বালানো মানুষের অন্তরের গহীনে অন্ধকূপের মত জেঁকে বসা অন্ধকারে। হোক সেটা কোন বন্ধুর অন্তরঙ্গ আলাপে বা কোন টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট কোন নাম্বারে ফোন করার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডালিমের খোসার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
সবশেষে বলা যায়, কান পেতে রই বাংলাদেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন হিসেবে একটি যুগান্তকারি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের চলমান প্রতিকূল প্রেক্ষাপটে তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়াটি খুব ধীর গতির হলেও মানুষের মনে আশা জাগাচ্ছে। নিদেনপক্ষে যে মানুষগুলো তাদের থেকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তারা সেই অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে আরও কিছু হতাশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে। অর্থাৎ আলোকের দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়া থেমে নেই। আসলে এরকম প্রেরণা ও সাহস যোগানোর চর্চা শুধু কান পেতে রই’রই দায়িত্ব নয়; প্রতিটি মানুষেরই হওয়া উচিত।
মধু কি সত্যি অমৃত?
মৌমাছিরা তাদের এনজাইম ঘটিত ক্রিয়াকলাপ ও তরলের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে উদ্ভিদের চিনিজাত নিঃসরণ থেকে মধু তৈরি করে। বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা মোম ও রজন দিয়ে মৌচাক তৈরি করে তাতে মুধ সঞ্চয় করে। মৌয়ালরা সেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকে। এই আঠালো ও মিষ্টি স্বাদের খাবারটি রান্নাবান্নায় ও বাণিজ্যিক পানীয় তৈরিতে মিষ্টিবর্ধক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া অসামান্য পুষ্টিগুণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিভিন্ন ধরনের মধু
বাংলাদেশে হরেক রকমের মধু পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুন্দরবন মধুর জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা। এখানকার মধুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হানিপ্ল্যান্ট গাছের খলিসা ফুলের মধু বা পদ্ম মধু। খলিসা ফুল হয় সাদা আর এর মধুর রং বেশ গাঢ় এবং খুব কড়া ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফাল্গুমাস অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিলে এই মধু পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এরপরেই চৈত্র মাসে আসে হালকা লালচে রঙের ও মিষ্টি পশুর ফুলের মধু। আষাঢ় মাসের বাইন মধু আবার খলিসা কিংবা পশুর মধুর মতো এতটা কড়া স্বাদের নয়।
সাদা রঙের কেওড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে একটু টক থাকে। এই মধু জ্যৈষ্ঠ মাসে পাওয়া যায়। শীতের সময় বেশি মেলে সরিষা ফুলের মধু। এই সাদাটে ও খুব ঘন মধুটি খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়।
মেরামতের পর উন্মুক্ত হলো সুলতানের ৩ ছবি
প্রায় এক বছর পর শিল্পী সুলতানের ৩টি ছবি সুলতান কমপ্লেক্সে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মাধ্যমে ঢাকায় মেরামত ও সংস্কার করতে নেয়া দুটি ড্রইং ও একটি পেইন্টিং ছবি ছবি ‘ফসল সংগ্রহ’, ‘মাছ শিকার ও ‘জমি তৈরি’ সুলতান কমপ্লেক্সে প্রতিস্থাপন করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির একটি টিম ছবিগুলো উন্মুক্ত করে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম, এনডিসি জাহিদুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার ও সুলতান কমপ্লেক্সের কিউরেটর হায়দার আলী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মলয় কুন্ডু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা শেখ হানিফ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অন্ধত্ব নিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন সুলতানের পালিত কন্যা নিহার বালা
এদিকে শিল্পীর জীবনের শেষ মুহূর্তে আঁকা অসমাপ্ত দু’টি ছবি ‘স্নানরত কলসি কাঁখে নারী’ ও ‘কাজিয়া (কাইজ্যা)’ ছবি মেরামতের জন্য জরুরি হলেও এখনও তা মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না জানা গেছে।
সৈয়দা মাহবুবা করিম জানান, শিল্পীর নষ্ট হওয়া ‘স্নানরত কলসি কাঁখে নারী’ও ‘কাজিয়া (কাইজ্যা)’ দু’টি ছবি এ মুহূর্তে নেয়া হচ্ছে না। তবে শিল্পকলা একাডেমির নিদের্শনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে এসব ছবি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
সুলতান কমপ্লেক্সের জন্য একটি আধুনিক পরিবেশসম্মত গ্যালারির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বর্তমানে যে গ্যালারিতে শিল্পীর ছবি রাখা হয়েছে এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে ছোট ছোট সমস্যা যাতে ঠিক করা যায় সে জন্য জেলা প্রশাসন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের কিউরেটর ও জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া বাকি ছবিগুলো রিপিয়ারের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি একটি প্রস্তাবনা দিবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পর্যায়ক্রমে ছবি সংস্কারের ব্যবস্থা করবে।
নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
নিপা ভাইরাস একটি জুনোটিক ভাইরাস। এটি বাঁদুড় থেকে বিভিন্ন মাধ্যম (বিভিন্ন পশু বা খাবার) হয়ে অথবা সরাসরি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। বাংলাদেশে খেজুরের রস খেকো বাঁদুড় হচ্ছে নিপা ভাইরাসের প্রধান উৎস।
বাঁদুড় খেজুরের রস খাওয়ার সময় তাদের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা খেজুরের কাঁচা রসের সঙ্গে মিশে রসকে দূষিত করে। এর ফলে সংক্রামিত ব্যক্তি শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা ও মস্তিষ্কের প্রদাহ জনিত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
চলুন জেনে নিই কীভাবে নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাবেন?
নিপা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভের কোন টিকা নেই, তাই এই ভাইরাস এড়ানোর একমাত্র উপায় প্রতিরোধ। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো হলো-
খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি বাঁদুড়ের উৎপাতমুক্ত রাখা
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার খেজুর গাছগুলোর খেজুর রসের স্বাদ বাড়তে থাকে। এ সময় গাছগুলোতে রাতের বেলা শুরু হয় বাঁদুড়ের উৎপাত। তাই সংক্রমণ রোধ করার প্রচেষ্টায় প্রথমে খেজুর রস সংগ্রহের জায়গা অর্থাৎ এই গাছগুলো বাঁদুড়ের সংস্পর্শে আসা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক আবরণ যেমন- বাঁশ, ধোইঞ্চা, পাট কাঠি ও পলিথিনের স্যাপ স্কার্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো খেজুর রস সংগ্রহের স্থান থেকে বাঁদুড়কে দূরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে যারা নিয়মিত খেজুর রস সংগ্রহ করেন বিশেষ করে গাছিদের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।
খেজুর রস সংগ্রহের সরঞ্জামাদি পরিষ্কার রাখা
গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাড়ি ব্যবহার করা হয়। শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গাছগুলোতে একটি করে মাটির হাঁড়ি ঝুঁলে থাকতে দেখা যায়। বাঁদুড় খেজুর রস খাওয়ার সময় মল-মূত্র ত্যাগ করে এগুলো দূষিত করে ফেলে। এই ময়লাগুলোর মাধ্যমেও নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। তাই প্রতিবার রস সংগ্রহের সময় হাঁড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্য উপরোল্লিখিত স্যাপ স্কার্টগুলো ব্যবহার করা হলে বাঁদুড় বা অন্যান্য পাখির ময়লা লাগার সম্ভাবনা থাকে না।
সংগৃহীত খেজুর রস অন্যান্য পশুর সংস্পর্শে না রাখা
প্রতিরক্ষামূলক বেষ্টনী থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করলেই কাজ শেষ নয়। সংগৃহীত রস বাড়ির যে জায়গাটিতে রাখা হচ্ছে সে জায়গাটিতে গরু বা ছাগলের আনাগোনা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা বাঁদুড় থেকে প্রায় সময় গরু-বাছুর ও ছাগলেও নিপা ভাইরাস ছড়ায়। অতঃপর এগুলো খেজুর রস রাখার জায়গাগুলোকে দূষিত করে ফেলতে পারে। এই বিষয়টি বিশেষ করে যারা খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকেন বা গাছিদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
এই সংক্রমিত গবাদি পশু খেজুর রস দূষিত করা ছাড়াও সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে এসে মানুষের মধ্যে নিপা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই গৃহপালিত পশু পরিচালনার সময় গ্লাভস ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে থাকা নিরাপদ। তাছাড়া বাড়ির যে স্থানটিতে খেজুর রস রাখা হয়েছে সেখানে বাঁদুড়ই এসে দূষিত করে দিয়ে যেতে পারে। তাই বাড়িতে বাঁদুড় বা অন্যান্য পশুর ধরা ছোয়ার বাইরে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন খামার করার সময়েই বাদুড়মুক্ত স্থান নির্বাচন করা উচিত। আর প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলো সপরিবারেই ত্যাগ করা উচিত।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডালিমের খোসার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
ঘুরে বেড়ানোর সময় যারা প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে উপলব্ধি করতে চান তাদের জন্য বহু প্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা হলো ক্যাম্পিং। এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রকৃতির বন্যতাকে সুক্ষ্মভাবে পরখ করার আমেজ দেয়। সেখানে ভয় ও উত্তেজনাকে ছাপিয়ে সরবে আবির্ভূত হয় রাতভর আড্ডা আর পূর্ণিমার আলোয় ঝিঝি পোকার ডাক। ব্যস্ততার বেড়াজাল থেকে রেহাই দিয়ে ঠিক এমনি অভিজ্ঞতা দিতে পারে ঢাকার কাছেই কিছু দারুণ ক্যাম্পিং সাইট। তাই হুট করে কোন এক শীতের সকালে ক্যাম্পিংয়ের সরঞ্জাম সঙ্গে করে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তবে তার আগে চলুন জেনে নিই, তেমন কিছু জায়গার খোঁজ।
ঢাকার কাছেই দশটি ক্যাম্পিং সাইট
দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ, গাজীপুর
গাজীপুরে অবস্থিত এই ক্যাম্পটি প্রথমবারের মত বেসরকারিভাবে প্রকৃতির মাঝে নির্মিত ক্যাম্প। এখানে ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি ব্যবস্থা আছে রোপ সাইক্লিং, ক্লাইম্বিং, আর্চারিসহ দারুণ কিছু আউটডোর এক্টিভিটিসের। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস অব্দি দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশে ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ দিয়ে থাকে। এক্টিভিটিসগুলোর ওপর নির্ভর করে স্কুল, পরিবার অথবা করপোরেট গ্রুপগুলোর ক্যাম্পিং প্যাকেজ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশ জনের একটি দলের প্রতি দুই সদস্যের এখানে তাবুতে থাকার জন্য ভাড়া পড়ে আড়াই হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
বৃন্দাবন রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের অনেকগুলো রিসোর্টের মধ্যে বৃন্দাবন রিসোর্টটি আলাদা হওয়ার মূল কারণ হলো এর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সাজানো স্থাপনা। তাই এটি ঢাকার ভ্রমণপিপাসুদের পরিপাটি ক্যাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ। ঢাকার থেকে মাওনা ফ্লাইওভার দিয়ে শিশুপল্লী পার হয়ে কিছুদূর সামনে গেলেই গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের বৃন্দাবন রিসোর্ট। পুরো যাত্রায় বাস ও রিকশায় মোট খরচ হতে পারে প্রায় ১৭০ টাকার মত। এই রিসোর্ট এরিয়ার মধ্যে ক্যাম্পিং খরচ জন প্রতি ২০০ টাকা।
নীলা বর্ষা রিভার কুইন, সাভার
পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণ ও ঘুড়ি উড়ান; সর্বপরি ক্যাম্পিংয়ের আদর্শ জায়গা নীলা বর্ষা রিভার কুইন। স্থানীয় বাসিন্দারাসহ ঢাকার ভ্রমণপ্রিয়দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাভারের এই রিসোর্টটিতে পৌঁছাতে নৌকা যোগে ছোট্ট নদী পার হতে হয়। ঢাকা থেকে প্রথমে সাভার থানা স্ট্যান্ড যেয়ে সেখান থেকে মিনিট দশেক পায়ে হেঁটে ভাগলপুর ঘাট। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে বংশী নদী পার হলেই ক্যাম্পিং সাইট।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
ভারতীয় উপমহাদেশের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী প্রাচীন নগরী কলকাতা। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত এই জনবহুল শহরটি ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ও একমাত্র প্রধান নদী বন্দর। বিখ্যাত সব রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের পদরেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে আনন্দ নগর হিসেবে খ্যাত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ভ্রমণের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নিন।
কলকাতার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
বিশাল শ্বেত-শুভ্র এই মার্বেল ভবনটি কলকাতার গর্ব বুকে ধারণ করে সমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত এই স্থাপনাটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট।
বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
বাগেরহাটের রামপালে গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’মঞ্চস্থ হয়েছে। শনিবার রাতে রামপাল উপজেলার ডাকরা বধ্যভূমি সংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই বিশেষ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।
নাটকে শিল্পিদের অভিনয়ে উঠে এসেছে ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও নির্মম নিযার্তন। স্মৃতিচারণ করা হয় রাজাকার বাহিনীর হাতে শহীদদের ঘটনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মঞ্চায়িত এই নাটক এলাকার কয়েক হাজার দর্শক উপভোগ করেন। এর আগে নাটকের পটভূমি সম্পর্কিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: টিআইসিতে তির্যকের নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের অনেকে মনে করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বহু আরামে চলে এসেছে। এ জন্য কাউকে কোন ত্যাগ তিতিক্ষা বা মূল্য দিতে হয়নি। আসলে স্বাধীনতা অর্জন যে আমাদের জন্য কত কঠিন ছিল, শুধু মক্তিযোদ্ধা নয়, সাধারণ মানুষকেও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কত মূল্য দিতে হয়েছে, তা চিন্তার বাইরে।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা মিমি বলেন, ‘আমরা আসলাম, নাটক দেখলাম, বাড়িতে গিয়ে সব ভুলে গেলাম বিষয়টি তা নয়। আমরা চাই এই নাটকের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সেই নারকীয় হত্যার ঘটনা খোদাই করে দিতে। যাতে সবাই মুক্তিযুদ্ধ ও গনহত্যার সঠিক তথ্য মনে রাখতে পারে।’
এ ব্যাপারে নাট্যকার শামসুল হাদী বলেন, ‘খুবই অল্প সময়ের এই নাটকে আমরা চেষ্টা করেছি ডাকরা গণহত্যার সম্পূর্ণ ঘটনা তুলে ধরতে। আমাদের মঞ্চায়িত নাটক সবার ভালো লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের বিজয়মেলায় ‘লাল জমিন’ নাটক মঞ্চস্থ
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, বাগেরহাট জেলা কালচারাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, বাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম।
ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
ওজন কমানোর জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। একদম শূন্য ক্যালোরির হওয়ায় অতি সাধারণ এই খাবার পানি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরকে সরাসরি হাইড্রেটেড রাখতে পারে। যারা ইতোমধ্যে নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন তাদের সুষম খাবারের সঙ্গে আর কোন পানীয়র সংযোজনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে একটু মুখরোচক ও শরীরের তাৎক্ষণিক চাঙ্গা ভাবের জন্য যারা পানির সঙ্গে যথাযথ পুষ্টিও পান করতে চাইছেন তাদের জন্যও রয়েছে উপযুক্ত উপায়। ১০ কার্যকরী পানীয়র ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
ওজন কমানোর জন্য ১০ পানীয়
জাম্বুরা ও ডালিমের শরবত
ওজন কমাতে জাম্বুরা খুবই কার্যকরী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং পোস্ট-গ্লুকোজ ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত করে দেহের স্থুলতা কমায়। আর ডালিম প্রদাহ কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে যা মূলত ওজন হ্রাসের দিকে ধাবিত করে।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
নারকেলের পানি
অল্পের মধ্যে পুরো একবেলা আহারের জন্য নারকেলের জুড়ি নেই। এর পানি ক্ষুধা দমন করে এবং অল্পতেই তৃপ্তি মিটিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি কিডনির সঠিক কার্যকারিতার জন্যও ভালো।
মধু দিয়ে লেবুর শরবত
লেবু এবং মধুর মিশ্রণ ওজন কমানোর জন্য সেরা পানীয়গুলোর মধ্যে একটি। কারণ মধু অন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলশ্রুতিতে দেহ স্বাস্থ্যসম্মত ওজন হ্রাসের দিকে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, টক্সিন বের করে দেয়, শরীরে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার
এই বহুল জনপ্রিয় কম ক্যালোরির ভিনেগারটি মুখের রুচি বাড়ায়, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, উচ্চ রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। ফলে অন্যান্য মুখরোচক ফ্যাটযুক্ত খাবারের একটি সেরা বিকল্প হিসেবে এটি কাজ করে।
পেঁপের শরবত
পেঁপের সুস্বাদু শরবত অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
লবণের একাধিক প্রকারভেদ থাকলেও সাধারণভাবে শব্দটির মানে হিসেবে সবাই খাবার লবণকেই বুঝে নেয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড বৈজ্ঞানিক নামে এই খনিজ উপাদান মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীকূলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি এবং খাবারের মৌলিক স্বাদগুলোর মধ্যে একটি।
বিভিন্ন রান্নায় অপরিহার্য সাদা রঙের এই খাদ্য উপাদানটি শুদ্ধতার নিরীক্ষায় হেরে যায় গোলাপি রঙের হিমালয় লবণের কাছে। পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণও বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর বিশ্বব্যাপী প্রসারের পেছনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর অসামান্য উপকারিতা দায়ী। এই হিমালয় লবণ কড়চাই নিয়ে এবারে ফিচার।
পিংক সল্ট: পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধ লবণ
হিমালয় লবণ পাকিস্তান অংশের পাঞ্জাব থেকে উত্তোলন করা শিলা লবণ। প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর আগে হিমালয়ের স্ফটিক লবণের সমুদ্রতল লাভায় নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তা সহস্রাব্দ ধরে চাপা পড়ে ছিল বরফের নিচে, যা এটিকে ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূষণ থেকে রক্ষা করেছিল। এখন এটি একমাত্র অপরিশোধিত, প্রক্রিয়াবিহীন ও প্রাকৃতিকভাবে হাতে উত্তোলন করা হয় লবণ। আর এভাবেই এটি পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
সমুদ্রতলের বিশুদ্ধ অবস্থা হিমালয়ের লবণকে প্রক্রিয়াজাত টেবিল লবণের চেয়ে বেশি খনিজ সমৃদ্ধ করে তুলেছে। ফসফরাস, ব্রোমিন, বোরন ও জিঙ্কসহ এতে প্রায় ৮০ খনিজ উপাদান রয়েছে। এর স্ফটিক পাথরের হওয়ায় সূক্ষ্ম টেবিল লবণের চেয়েও বড় ও স্বল্প পরিমাণে সোডিয়াম সমৃদ্ধ।
স্থানীয়দের মতে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম হিমালয় লবণের মজুত আবিষ্কার করে। ১২০০ দশকে পাঞ্জাব গোত্রের জানজুয়ার লোকেরা সর্বপ্রথম খনি থেকে লবণ উত্তোলন করে।
পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
অম্লতা হ্রাস
হিমালয় লবণ একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করে। এটি শুধু গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর করে না, বদহজমও সারায়।
রক্তচাপ কমানো
হিমালয় লবণ প্রাকৃতিকভাবে আয়োডিনে সমৃদ্ধ, যা খাদ্য কোম্পানিগুলো কৃত্রিমভাবে টেবিল লবণে যোগ করে। হিমালয় লবণের প্রাকৃতিক আয়োডিন শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য তৈরি, অন্ত্রকে পুষ্টি শোষণ করতে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে খুব কার্যকর।
হাড় গঠন
পিংক লবণ হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু খনিজ রয়েছে যা হাড়ের গঠন ও ঘনত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
গলার সংক্রমণ
এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে, হিমালয় লবণ গলনালীতে যে কোনও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। গরম পানিতে লবণটি দ্রবীভূত করে গার্গেল করলে ফোলাভাব সাড়তে পারে এবং যেকোনো জ্বালাপোড়া প্রশমিত হতে পারে।
ত্বককে নরম ও ময়শ্চারাইজ করে
গোলাপী লবণ দিয়ে গোসল করলে ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা বাড়তে পারে। এভাবে ত্বক নরম ও কোমনীয় হয়ে উঠবে। এতে কেবল মুখের ত্বকের মৃত কোষগুলোর বৃদ্ধি বন্ধ হবে না, ত্বক পূর্বাপেক্ষা আরও মসৃণতা পাবে।
বাংলাদেশে হিমালয় লবণ
চওড়া দাম থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব জুড়ে হিমালয় লবণের মার্কেট ক্রম বর্ধমান। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মত বাংলাদেশে হিমালয় লবণের বাজার খুব একটা প্রসার না পেলেও এখানকার অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের মতই বাড়ছে এর দাম। খুচরা মূল্যে প্রতি কেজির দাম ২১০ থেকে ২৯০ টাকায় বর্তমানে সরাসরি ভোক্তারা এই লবণ কিনতে পারছেন। তবে অনলাইন বাজারগুলোতে আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকেজিং করা লবণের দাম তোলা হচ্ছে আরও ওপরে।
আরও পড়ুন:অতিরিক্ত আবেগ হতে পারে শরীরের ক্ষতির কারণ
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে পিংক সল্ট-এর ১০০ গ্রামের দামই ৫ থেকে ৮ ডলারে বিক্রি হয় যা সাধারণ খাবার লবণের চেয়ে বিশ গুণ বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে হিমালয় লবণের মূল্য পড়ছে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬৫ রুপি। স্বনামধন্য ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন-এ হিমালয় লবণের মূল্য প্রতি ৪০০ গ্রামের জন্য পড়ছে ১৫০ রুপি।
পরিশেষে বলা যায়, পুষ্টিগুণ অনুযায়ী সর্ব সাকুল্যে পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণ একটি সুষম খাদ্য উপাদান হতে পারে। মূল্যের পার্থক্যে সাধারণ খাবার লবণের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম সহজলভ্য হলেও পর্যটন শিল্প কেন্দ্রীক শহরগুলোতে অভিনব খাবারের রেসিপিতে এটি একটি অভিজাত সংযোজন।
অতিরিক্ত আবেগ হতে পারে শরীরের ক্ষতির কারণ
রাগ, ভয় ও দুঃখ মানুষের খুব স্বাভাবিক আবেগের পরিস্ফুটন হলেও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় এগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এগুলোকে চিন্তা করা যায় অনেকটা মানুষের ভেতরে বাস করা ভয়ঙ্কর কোন দানবের সাথে। ভুলবশত হঠাৎ ছাড়া পেয়ে গেলে ভেতরে লুকিয়ে থাকা এই দানবগুলোই মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত এই আবেগগুলোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর। তাই এগুলোর অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশভঙ্গি এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ডোজের মতই মানবদেহের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। এই ফিচারের মাধ্যমে জানা যাবে সেই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো।
অতিরিক্ত আবেগের শারীরিক প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত রাগ
যখন কেউ অত্যাধিক রাগান্বিত হয় তখন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলো শরীরে অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ করে। শারীরিক পরিশ্রমের প্রস্তুতির জন্য মস্তিষ্ক অন্ত্রের দিকে সঞ্চালিত রক্ত সরিয়ে পেশীর দিকে সঞ্চালন করে। ফলশ্রুতিতে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাস বৃদ্ধি পায়, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ঘামতে থাকে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
অতিরিক্ত ক্রোধ থেকে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যায় মধ্যে আছে মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, অনিদ্রা, উৎকন্ঠা বৃদ্ধি, বিষন্নতা, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক।
প্রচন্ড দুঃখের অনুভূতি
দুঃখিত বোধ করাটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তা বিষন্নতায় রূপ নিতে পারে। এর ফলে সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ বা রাতে অনিদ্রা হতে পারে। এ রকম বিষন্নতায় মাথাব্যথা, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রবল মাত্রায় এটি কখনও কখনও স্নায়বিক রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত কোন কাজে মনোনিবেশ করতে অক্ষমতা, স্মৃতিশক্তির সমস্যা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার অসুবিধার মতো লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়।
দীর্ঘস্থায়ী ভীতি
এর শুরুটা হয় বাইরের কোন উৎস থেকে পাওয়া যে কোন ধরনের হুমকির মস্তিষ্কের সংবেদনশীল সিস্টেমগুলোকে আলোড়িত করার মাধ্যমে। মস্তিষ্কের হুমকি সনাক্তকরণ অংশগুলো উদ্বেগ বা ভয়জনিত উত্তেজনার স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এই পরিবর্তনগুলোই দীর্ঘ পরিসরে ব্যাধিতে পরিণত হয়। দীর্ঘস্থায়ী ভীতির ফলে মাথাব্যথা রূপ নেয় মাইগ্রেনে, শরীরের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় পরিণত হয় এবং হালকা শ্বাসকষ্ট পরিণত হয় হাঁপানিতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক আবেগের প্রভাব
সুখের অনুভূতি
আনন্দ ও সুখের দিগ্বিজয়ী অভিব্যক্তি হাসিতে ম্লান হয়ে যায় সকল বিবাদ ও কষ্ট। হৃদয়গ্রাহী হাসি শারীরিক উত্তেজনা এবং চাপ থেকে মুক্তির প্রতিষেধক যা দেহের পেশীগুলোকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শিথিল রাখে। স্ট্রেস হরমোন হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধক কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত রাখে। হাসি শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা সামগ্রিকভাবে সুস্থতার অনুভূতি বাড়ায়।
রক্তনালীগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে হাসি যা হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসি প্রায় ৪০ ক্যালোরি বার্ন করতে পারে, যা এক বছরে তিন থেকে চার পাউন্ড ওজন হারানোর জন্য যথেষ্ট। সুখী মানুষদের রক্তে ক্রমাগতভাবে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কম থাকে তাই তাদেরকে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় না।
আশাবাদের দৃষ্টিভঙ্গি
বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক হলেও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা ব্যাপক। কারণ এটি মূলত হতাশার বিপরীত তাই এক্ষেত্রে হতাশা থেকে উদ্ভূত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো এখানে থাকে না। পাশাপাশি আশাবাদীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকে বলে প্রতিদিনি নতুন উদ্যম নিয়ে নিজেদের যত্ন নেয়। নিজের মধ্যে ভালো কিছুর আশা জন্মানোর অনুশীলন করাটা দুশ্চিন্তা দূর করার সেরা উপায়। আর তাই এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলশ্রুতিতে স্নায়ুতন্ত্র বিপজ্জনক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
সর্ব সাকূল্যে নেতিবাচক আবেগের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আবেগের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে জীবন ধারণের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। যে কোন পরিস্থিতিতে আবেগ প্রকাশের আগে ভালো ভাবে চিন্তা করা, কৃতজ্ঞতা বোধ ও ক্ষমার চর্চা করা এবং সর্বপরি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবন ধারণকে স্বাস্থ্যকর করা যেতে পারে।