সিনেমা
শুরু হচ্ছে ‘রাজকুমার’ সিনেমার শুটিং
শাকিব খানের সঙ্গে মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফির জুটি নিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমার ঘোষণা এসেছিল বেশ আগে। তবে এতদিন এ নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। এরমধ্যে শাকিবের কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়ে যায়। অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমাটির শুটিং।
কোর্টনি কফি এরইমধ্যে ঢাকায় এসেছেন ‘রাজকুমার’ এর শুটিংয়ে অংশ নিয়ে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন শাকিব ও কফি। সেখানেই ফ্রেমবন্দি হন তারা আর সেখানেই খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সিনেমাটির পরিচালক হিমেল আশরাফ।
আরও পড়ুন: বলিউডেও দ্যুতি ছড়ালেন জয়া
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কফির সঙ্গে শাকিব ছবি পোস্ট করে লিখেছেন ‘রাজকুমার’ আসছে।
হিমেল আরও জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকায় শুরু হবে ‘রাজকুমার’ সিনেমার শুটিং। শুটিং হবে পাবনা ও আমেরিকায়। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছর রোজার ঈদে।
উল্লেখ্য, বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রপতির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান, হিমেল আশরাফ, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, ‘প্রিয়তমা’র নায়িকা ইধিকা পাল ও কণ্ঠশিল্পী কোনাল।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
মারা গেছেন পরীমণির নানা
চিত্রনায়িকা পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের শ্রদ্ধেয় নানুভাই... পরীমণির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমণি নানুভাইকে নিয়ে এখন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় তার নিজ গ্রামের পথে। সেখানেই নানীর পাশে নানুভাইকে শায়িত করা হবে।'
আরও পড়ুন: এই সিনেমার জার্নিটা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে: পরীমণি
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবাই পরীর জন্যে, পরীর নানুভাইয়ের জন্যে দোয়া ও প্রার্থনা করবেন। যেন পরপারে তিনি শান্তিতে থাকেন। পরী যেন সহ্য শক্তি পায়। আহা! নানুভাই আপনাকে কোনোদিন ভুলব না। আমার দেখা আপনি অসাধারণ সুশিক্ষিত একজন মানবিক মানুষ। আপনার ভালোবাসা অমলিন। শ্রদ্ধা আর ভালবাসা রইল।’
উল্লেখ্য, ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন পরীমণি। পরে ঢাকায় নানার সঙ্গেই থাকতেন এ নায়িকা।
আরও পড়ুন: বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি: বাঁধন
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর পর দেশের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে। তবে সেই বিরতি ঘুচতে যাচ্ছে এবার।
সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হলেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমায়। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে এই তারকাকে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে সিনেমার নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়।সেখানে সিনেমা প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘সিনেমার নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি খুনের গল্প। তবে এর পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গল্প নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না। ছবিটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি, যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারি। শুটিং শেষ করে, মুক্তির আগে বাকি সব অনুভূতি জানাব।’
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বাঁধন চলতি সময়ে নারীপ্রধান চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এই সিনেমাতেও তেমনটা হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি পরিচালককে সব সময় বলেছি যে আপনি কেন সবসময় কোনো পুলিশ হিসেবে ছেলেকে দেখেন? কোনো নারীকে কেন ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হিসেবে দেখেন না? সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর পুলিশে অনেক নারী কর্মচারী–কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও তো চরিত্র আছে। আছে গল্প। সে রকম জায়গা থেকে পরে ভাইয়া এই গল্প ঠিক করেন। এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। এটা আমার জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। তাই কাজ করার আগে মন্তব্য করতে চাই না।’ সংবাদ সম্মেলনে সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘অ্যাকশন থেকে বের হয়ে এবার খুনের রহস্যে ঢুকে গেলাম। ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া এই কেসের তদন্তে আমি নিজে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পরপরই।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবির শুটিং শুরু হবে। মুক্তি পাবে আগামী বছরের রোজার ঈদে।
সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও আরো অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্তসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
প্রতি বছরের মতো এবারও নভেম্বরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫৪তম আসর। যেখানে ‘ফিচার ফিল্ম’ বিভাগের প্রতিযোগিতায় রয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ইরানি সিনেমা ‘ফেরেশতে’।
এটি পরিচালনা করেছেন মুর্তজা অতাশ জমজম। এছাড়া ইরানের সঙ্গে ‘ফেরেশতে’র যৌথ প্রযোজনায় রয়েছে জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে জুটি বাঁধলেন শুভ ও সোহিনী
সিনেমাটি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে জয়া আহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর জীবন কাটে সংগ্রাম করে। এমনই এক চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে।’
জয়া আরও বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে। কারণ পুরো টিম ইরানি ভাষায় কথা বলে। এটি একটি বিষয় ছিল। কিন্তু সিনেমার তো ভাষা সব এক। সে কারণেই এটি বাধা হতে পারেনি।’
সিনেমাটিতে জয়া আহসান ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও অভিনয় করেছেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী।
প্রসঙ্গত, এই উৎসব ছাড়াও আসন্ন জানুয়ারিতে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে ‘ফেরেশতে’।
আরও পড়ুন: টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন অ্যাডল্ফ খান
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
নতুন সিনেমায় আরিফিন শুভ
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশজুড়ে চলছে আরিফিন শুভ বন্দনা।
সিনেমায় তার অভিনয় দেখে হল থেকে বের হতে হতে কেউ চোখ মুছছেন, তো কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দর্শকের এমন ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকা আরিফিন শুভ এবার জানালেন নতুন কাজের খবর।
নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন মিঠু খান। সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও কাহিনী বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। দ্রুতই সিনেমাটির শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।
নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন আরিফিন শুভ।
আরও পড়ুন: শুভ’র প্রশংসায় নাসিরুদ্দিন শাহ
তবে বরাবরের মতই সিনেমাটির কাজ শেষ না করে বিস্তারিত কথা বলতে নারাজ এই নায়ক। শুধু এটুকুই জানালেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরও কিছু আছে।’
এরই মধ্যে সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে রক্তের সঙ্গে প্রযুক্তির এক মিশেল দেখা যাচ্ছে।
ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিতও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করছেন- মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এই সিনেমার গল্প কখনো জানতে চাইনি: আরিফিন শুভ
শেষ হচ্ছে শুভ-বিন্দুর অপেক্ষা
নতুন জুটির ‘মেঘের কপাট’ মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল
চলতি মাসের একাধিক বাংলা সিনেমা রয়েছে মুক্তির তালিকায়। এর মধ্যে আগামীকাল (৩ নভেম্বর) প্রেক্ষাগৃহে আসবে ‘মেঘের কপাট’।
ওয়ালিদ আহমেদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাকিব হোসেন ইভন, সিন্ডি রোলিং, সাবরিনা তন্বী, আফরোজা মোমেন, রেজাউর রহমান রিজভী, রেহানা পারভীন হাসি, জামান সাইফ, রাজু আহসানসহ আরো অনেকে।
চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন ওয়ালিদ আহমেদ ও আফরোজা মোমেন।
‘মেঘের কপাট’ চলচ্চিত্রটির মুক্তি প্রসঙ্গে পরিচালক ওয়ালিদ আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের প্রতি সম্মান রেখে কেবল ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত লায়ন সিনেমাসে ৩ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ‘মেঘের কপাট’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নভেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশি যেসব চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ
সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
প্রতিটি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি না তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো কতটা বড় জনগোষ্ঠির ভালো লাগার কারণ হয়েছে চলচ্চিত্রটি, নিদেনপক্ষে এরই ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে চলচ্চিত্র শিল্প। কিন্তু যখন এ দুয়ের সংমিশ্রণ ঘটে তখনি জন্ম মাস্টারপিসের। আজকের নিবন্ধে ঢালিউড ইতিহাসের ব্যবসা সফল সেরা চলচ্চিত্রগুলো একত্রিত করা হয়েছে। এগুলো সিনেমার বিচারের সকল মানদণ্ডের ঊর্ধ্বে, কেননা এগুলোর অধিকাংশই এখনো অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে বেশি আয় করা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বিষয়ে।
সর্বাধিক ব্যবসা সফল ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
প্রিয়তমা (৪১.২৩ কোটি টাকা)
২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রোমান্টিক অ্যাকশন ছবিটির পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ লেখক হিমেল আশরাফ। এটি ছিলো তার দ্বিতীয় মুভি নির্দেশনা। ভার্সেটাইল মিডিয়ার ব্যানারে আরশাদ আদনান প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির গল্পকার ছিলেন প্রয়াত ফারুক হোসেন।
হৃদয়বিদারক প্রেম কাহিনী নিয়ে বানানো এই মুভির নায়ক সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা শাকিব খান। তার বিপরীতে অভিনয় করেন কোলকাতার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পল।
২০২৩-এর ২৯ জুন প্রকাশের পর প্রথম সপ্তাহেই প্রিয়তমার সংগ্রহ ১০ কোটি টাকা। বাংলাদেশি সিনেমার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে দ্রুততম সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। এটি ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কৃত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র এবং সেই সঙ্গে সর্বকালেরও সর্বাধিক আয়কারী বাংলাদেশি মুভি। শুধু তাই নয়, এটি এখন পর্যন্ত শাকিব খানের ক্যারিয়ারেরও সর্বোচ্চ বক্স অফিস রেকর্ডধারী সিনেমা।
প্রিয়তমা ২২-তম বাবিসাস (বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার) অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ সম্মান বিভাগে সেরা অভিনেতা এবং সেরা অভিনেত্রী সহ সর্বমোট নয়টি পুরস্কার জিতে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
বেদের মেয়ে জোসনা (২০ কোটি টাকা)
তোজাম্মেল হক বকুল রচিত ও পরিচালিত এই মুভিটি বাংলাদেশের মুভি আর্কাইভের সেরা মুভিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর গল্প নেওয়া হয়েছিল একই নামের অনেক পুরনো গ্রাম বাংলার এক নাটক থেকে। রাজপুত্রের ও বেদের মেয়ের প্রেম কাহিনীর এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ।
২০ লাখ টাকা বাজেটের এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৯ সালের ৯ জুন। ২০২৩-এর আগ পর্যন্ত এটি সর্বোচ্চ আয়কৃত চলচ্চিত্রের স্থানটি দখল করে ছিল। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে অনুসারে এটি বাংলাদেশের সেরা ১০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি।
চলচ্চিত্রটির গানের অডিও ক্যাসেট মুক্তির এক মাসের মধ্যে এক লাখ কপি বিক্রি হয়। হাসান মতিউর রহমানের লেখা ও মুজিব পরদেশীর গাওয়া 'আমি বন্দি কারাগারে' গানটি পরবর্তী কয়েক যুগ ধরে মানুষের মুখে শোনা যেতো। এটি বাদে বাকি সবগুলো গানই লিখেছিলেন পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল। তন্মধ্যে এন্ড্রু কিশোর ও রুনা লায়লার গাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ গানটি আজও অমর হয়ে আছে।
স্বপ্নের ঠিকানা (১৯ কোটি টাকা)
এম এ খালেক পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি এখনও অনুপ্রাণিত করে কিংবদন্তির নায়ক সালমান শাহের বাকি মুভিগুলো দেখতে। নুরুল ইসলাম পারভেজের গল্পে ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ গড়েছিলেন ছটকু আহমেদ। ১৯৯৫-এর ১১ মে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় সালমান শাহের নায়িকা ছিলেন শাবনূর ও সোনিয়া।
মুভিটি ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তথাকথিত ধনী-দরিদ্র পরিণয় এবং ত্রিভুজ প্রেমের গল্প ভিত্তিক চলচ্চিত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন করেছিলো।
সালমান শাহের স্বতন্ত্র অভিনয় ছাড়া স্বপ্নের ঠিকানা-এর বিশেষ দিক ছিলো এর গানগুলো। ‘এই দিন সেই দিন কোনও দিন’সহ ছবির প্রায় সব কটি গান ছিলো তখনকার সময়ে রেডিও’র টপচার্টে। গানগুলো পরিচালনা করেছিলেন প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত নির্দেশক প্রয়াত আলম খান।
আরও পড়ুন: আনকাট ছাড়পত্র পেল শাকিব খানের 'প্রিয়তমা'
হাওয়া (১৬ কোটি টাকা)
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে যে কাজগুলো দেশীয় সিনেমাকে পুনরায় তুলে ধরেছিলো সেগুলোর মধ্যে এই হাওয়া একটি। মেজবাউর রহমান সুমন রচিত ও পরিচালিত এই রহস্য-নাটক ঘরানার সিনেমাটির প্রযোজনায় ছিলো সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।
ছবিতে আকর্ষণীয় অভিনয় দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবং উদীয়মান তারকা নাজিফা তুশি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, এবং রিজভী রিজু।
মাঝ সাগরে মাছ ধরার সময় এক দল জেলে তাদের মাছ ধরার জালে আবিষ্কার করে সুন্দর ও রহস্যময় এক তরুণীকে। আর এরপর থেকেই ঘটতে শুরু করে অদ্ভূত সব ঘটনা।
এমন রোমাঞ্চকর পটভূমির সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই। ছবিটি বাংলাদেশের অস্কার কমিটি ৯৫-তম অস্কারের 'সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম' বিভাগের জন্য নির্বাচন করেছিলো। এছাড়াও এটি স্থান পেয়েছিলো ৮০-তম গোল্ডেন গ্লোব প্রতিযোগিতার শর্টলিস্টে।
প্রিয়া আমার প্রিয়া (১৫ কোটি টাকা)
বদিউল আলম খোকন পরিচালিত এই ছবিটির মাধ্যমেই শুরু হয় শাকিব খানের আকাশ-সম তারকা-খ্যাতি অর্জন। ২০০৮ সালের ১৩ জুন মুক্তি পাওয়া এই রোমান্টিক অ্যাকশন ছবিটিতে তার নায়িকা ছিলেন সাহারা। ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্য ছিলো পুরী জগন্নাদের আর সংলাপ লিখেছিলেন শচীন নাগ।
আশা প্রোডাকশনের ব্যানারে বানানো ছবিটি মুক্তির বছর বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে। মুভিটি ২০০৮ সালের ঢালিউড বক্স অফিসে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়। এর মাধ্যমে এটি বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ উপার্জনকৃত মুভিগুলোর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়। এমনকি ২০১৯-এর আগ পর্যন্ত এটিই ছিলো শাকিব খানের অভিনয় জীবনের সর্বোচ্চ আয়কৃত ছবি।
শাকিব খান এই কাজের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কার, এবং ইউরো-সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সমিতি, সিনেমাটির নির্মাতা শ্যাম বেনেগালসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সিনেমার দুটি দৃশ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য রয়েছে। যা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে সমাজের কাছে হেয় করে।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিনেমার ওই অংশ বাতিল করে নোটিশ গ্রহীতাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি গত ১৩ অক্টোবর দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুক্তি পাবে ২৭ অক্টোবর।
ভারতের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমায় জাতির জনকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। খন্দকার মোশতাক আহমদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। কিশোর শেখ মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
এ ছাড়া রেণু (শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব) চরিত্রে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, এ কে ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চু, টিক্কা খান চরিত্রে জায়েদ খানসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (ছোট রেনু), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান) ও এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া)। সিনেমাটিতে ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- শ্রীজা ভট্টাচার্য, রাজেন মোদি, দেবাশীষ নাহা, সোমনাথ, কৃষ্ণকলি গাঙ্গুলি, আবির সুফি, অরুণাংশু রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশের ৬০ ভাগ ও ভারতের ৪০ ভাগ ব্যয়ে নির্মিত এই বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শেষ হয়। আগামী ২৭ অক্টোবর সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
কলকাতার পরিচালকের সিনেমায় হিরো আলম
এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হিরো আলম। এবার দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলার পরিচালকের সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় 'মিয়া ভাই' শিরোনামে সিনেমাটির মহরত।
জানা যায়, সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন কলকাতার নির্মাতা জামাল উদ্দিন। মহরত অনুষ্ঠানে এই নির্মাতা জানান, কলকাতায় তার জনপ্রিয়তার কারণে তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন তিনি।
‘মিয়া ভাই’ সিনেমায় বাংলাদেশ থেকে থাকছেন রিয়ামনি। এছাড়াও থাকবেন কলকাতার বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
হিরো আলম বলেন, ‘কলকাতায় আমার জনপ্রিয়তা আছে বলেই তারা আমাকে সিনেমায় নিচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক নির্মাতারই হয়তো হিরো আলমের দিকে নজর পড়েনি। তাদের হয়তো মনে হয়নি যে হিরো আলমকে দিয়ে ভালো কাজ করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে যেহেতু মনে করেছে আমাকে নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব, সেটা অবশ্যই আমার জন্য গর্বের।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে হিরো আলম অভিনীত প্রথম ছবি ‘মার ছক্কা’ মুক্তি পায়। সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন মঈন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
সারাদেশে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পেল বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় সাধারণত মধ্যাহ্নভোজের পরেই থাকে। এবারের চিত্রটাও তেমন।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় আজ দুপুর ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টার শোতে দেখানো হয় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। প্রথম শো শেষ হয় প্রায় সন্ধ্যা ৬টায়। ততক্ষণে সাংবাদিকদের ভির জমে হল থেকে বাহির হওয়ার দরজায়।কারণ ভেতরে দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখছেন আরিফিন শুভ। এরইমধ্যে সবার জানা এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই চিত্রনায়ক।
শো শেষ হতেই হলভর্তি দর্শক বের হওয়া শুরু করল, সঙ্গে ছিলেন আরিফিন শুভ।এমন সময় মুজিব কোর্ট পরা একজন তরুণ দর্শককে দেখে এগিয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম কেমন লাগলো সিনেমাটি?
তার ভাষ্য, ‘জাতির জনককে আমরা এতদিন পরে জেনেছি, এবার সিনেমার পর্দায় তাকে দেখে ভিন্ন এক বঙ্গবন্ধুকে মনে হয় চিনলাম। যা পড়েছি সেই ঘটনাগুলো যেন চোখের সামনে দেখছি। আরিফিন শুভকে ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে চরিত্রটিকে এতটা বাস্তব রূপে তুলে ধরার জন্য। এছাড়া অন্য চরিত্রেগুলো যারা আছেন সবাই দারুণ করেছেন।’
শিউলি আক্তার নামে একজন দর্শক এসেছেন তার সন্তানকে নিয়ে। সিনেমাটি দেখার পর অনুভূতি জানাতে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু পেলাম। মনে হলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি সিনেমা তো এমনই হবে। আমার সন্তানকে নিয়ে এসেছি আমাদের জাতির জনককে পর্দায় দেখাতে। আমাদের নতুন প্রজন্মের উচিত সিনেমাটি দেখা। যেহেতু বই পরার চর্চা এখন কমে গেছে, সেই জায়গা থেকে এই সিনেমায় যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে তাই অনেক বিষয় জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় ৭টার শো দেখার জন্য দর্শক এরইমধ্যে প্রবেশ করছে তখন। মূল ফটকের সামনে বেশ ভিড়। তার সঙ্গে আরিফিন শুভ যেহেতু সেখানে তাকে ঘিরে ভক্তদের বাড়তি একটি ভিড় রয়েছেই। সিনেমা দেখার পর নায়ক যখন চোখের সামনে, তখন এমনটা যেন চিরচেনা চিত্র।
এদিক-সেদিক দেখতে দেখতে কথা হলো কলেজপড়ুয়া একজনের সঙ্গে। সিনেমার পর্দায় বঙ্গবন্ধুকে দেখে তার অনুভূতি জানতে চাইলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশি অনেক সিনেমা দেখি যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে দেখানো হয়। আমাদের দেশের সিনেমায় এই চর্চা খুব একটা নেই। গুটিকয়েক সিনেমায় দেখা গেলেও ঠিক যেন হয়ে উঠছিল মনে হয়নি। তবে এবারের অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। এই সিনেমা অনেক কথা বললো। শুধু গল্পের গাঁথুনি নয়, সিনেমাটির নির্মাণ ছিল আন্তর্জাতিক মানের। আর সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পর্দায় এতো ডিটেইলস দেখতে পেলাম। আরিফিন শুভকে বেশ মানিয়েছে। আর বেশ আবেগঘন অবস্থায় হল থেকে বের হয়েছি।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ট্রেলার প্রকাশে পর এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। কিন্তু মুক্তির পর চিত্রটা ভিন্ন। ছোট-বড় সকল দর্শকের মুখে প্রশংসা সিনেমাটি নিয়ে। কেউ বলছেন কেঁদেছেন আবার কারও মনে আরও গভীরভাবে গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু। এটিই হয়তো একটি সিনেমার স্বার্থকতা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ পরিচালনা করেছেন বলিউড পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন- নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
প্রকাশ্যে এলো 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' সিনেমার গান