আন্দোলন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ওরা অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ঈদের পর আন্দোলন করছে। তবে কোন ঈদের পর করবে, সেটা অবশ্য জানি না। আমরাতো জানি, আন্দোলন মানে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এবং সত্যিকারের ইস্যু ছাড়া কোনো আন্দোলন হয় না। সে কারণেই বিএনপির সব আন্দোলনই শুধুমাত্র হাঁকডাকে সীমাবদ্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৭) জুন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, যারা অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, স্বৈরশাসন চালিয়েছে, কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে, গ্রেনেড মেরে মানুষ হত্যা করেছে; তাদের হাতে গণতন্ত্র কখনো নিরাপদ নয়, ছিলও না। কাজেই তারা আজ গণতন্ত্রের জন্য যতোই মায়াকান্না করুক, দেশবাসী জানে, গণতন্ত্র কার হাতে নিরাপদ।
দীপু মনি বলেন, জনগণ জানে, গণতন্ত্র এখন শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। জনগণ তার পাশে থেকে আবার তাকে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখবে। আজ আমাদের যে উন্নয়ন-অগ্রগতি, আমরা আরও ভালো থাকতে চাই।
বঙ্গবন্ধুকণ্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমেই তা সম্ভব। এটি জনগণ জানে। কাজেই বিএনপি অর্থাৎ যারা গণতন্ত্র এবং মানুষ হত্যাকারী, তাদের আন্দোলন হাঁকডাক এ পর্যায়েই থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, আইনের মাধ্যমে মাদকের ব্যবহার কিছুটা কমানো যেতে পারে তবে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে, যুব সমাজকে এই অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
এছাড়া রাষ্ট্রের উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে সকল নাগরিককে মাদকবিরোধী দায়িত্ব নিতে হবে।
রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে আইইউবিএটির সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জনগণই সরকার, মাদককে রুখতে জনগণকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদককে পরাজিত করতেই হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিবীদ যিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং ২০৪১ সালের মাঝে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজে নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মাদক। বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুক, নারীর প্রতিসহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, নৈতিক অবক্ষয় সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মাদক।
প্রতিটি পরিবারে মাদক নির্মূলে নারীরা তাদের সন্তানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সকল উন্নয়নেই নারীরা বড় ভূমিকা রাখছে, তাই এখানেও রাখতে পারে। নারীরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই।
আরও পড়ুন: আহমেদ ফিরোজ কবিরের মায়ের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
পদ্মা সেতু বিএনপির ১৪ বছরের আন্দোলনকে ঢেকে দিয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১৪ বছরে বিএনপির আন্দোলনকে ম্লান করে দিয়েছে এক পদ্মাসেতু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু সম্প্রসারিত করেছে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত।
রবিবার সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সেতুভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগে নবদুয়ার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা করে। গতকাল রাত পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
আজ রবিবার বিকাল নাগাদ ৮০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেতুমন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৩৫ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে পদ্মাসেতু নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে ৪ কিস্তিতে প্রায় ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে তা সংরক্ষণে সকলকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপির জনসমর্থন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সহ সেতু বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।
তিনি বলেন, অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমেরিকার স্যাংশনে আওয়ামী লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর কারণে আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? তারা বলে আমরা ভয় পাই না। এখন এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাপতে শুরু করেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন র্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করে হত্যা করেছে?
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার ভোট আমি দিতে পারব, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরি হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোক আরও বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
আমাদের আন্দোলন দ্রুত চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার উৎখাত করতে বিএনপির চলমান আন্দোলন দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে কাজ করায় তাদের আন্দোলন ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তা দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন রাস্তায় তাদের জীবন দিয়েছেন, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং অনেককে গুম ও হত্যার শিকার করা হয়েছে, কিন্তু মানুষ গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সকল গণতান্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হই।
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ সুগম করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা একটা কথাই বারবার বলছেন অগ্নিসংযোগ হবে, বিএনপি আবার আগুন নিয়ে খেলবে। তবে এটি একটি পরিকল্পিত বিবৃতি এবং তারা নিজেরাই এই ধরনের কার্যক্রম চালাতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
সোমবার দুপুরে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতাকালে এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল ইতোমধ্যে সহিংসতার কথা বলে কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে, কারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের জন্য সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সহিংসতা ছড়ানোর অংশ হিসেবে খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা ও পটুয়াখালীতে বিএনপির সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। ‘তারা (আ.লীগ) এটা করছে কারণ তারা মনে করে সহিংসতাই প্রতিবাদ থামানোর একমাত্র উপায়। তারা সহিংসতা সৃষ্টি করে জনগণের দাবি চাপা দিতে চায়।’
বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’-শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, তাদের দল বর্তমান সরকারকে হটিয়ে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ‘অনেক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে... যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।’
আরও পড়ুন: আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
তিনি সকল পেশাজীবীদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ ও ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ‘লুণ্ঠন’ চালিয়ে যেতে আবারও ভোট চাওয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদেরও তাদের অধীনে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়াই আহ্বান জানাচ্ছে। তারা (সরকার) ইতোমধ্যেই আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর খেলা শুরু করেছে।
ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো ‘সাজানো’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং তারা এই ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি বলেন, তাদের দল সহিংসতা ও সংঘর্ষে জড়াতে চায় না, কারণ তাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায় করা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্দলীয় (নির্বাচনকালীন) সরকারের জন্য আমাদের দাবি মেনে নিন এবং তারপরে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, কয়দিন পরপর বিএনপির নানা আন্দোলনের ঘোষণা আসলে ‘কাগুজে বাঘ’ এবং ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এক দফা আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই এক দফা বহু আগে থেকেই তারা দিয়েছে। বিএনপি মাঝে মধ্যেই এক দফায় যায়, আবার দফা বাড়ে; কিছুদিন পরপর এই ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আগেও তারা এ রকম ১০ দফা, ১৪ দফা, ১২ দফা, সর্বশেষ ১৭ দফা দিয়েছিলো। তাদের জোটের আকারও বাড়ে আবার কমে, অ্যামিবার মতো নিজেরা ভাগ হয়ে আবার দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। আর মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের সার্কাসও মানুষ দেখছে। মানুষের কাছে এগুলো এখন হাস্যরস আর কৌতুক।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ইঙ্গিত মোশাররফের
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং আন্দোলন সফল করতে দলের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি জনগণের ওপর গুলি না চালাতে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দেন।
এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে অংশ নিতে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কঠোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘দুঃশাসন’, লুণ্ঠন ও দমন-পীড়নে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
'মিথ্যা মামলায়' দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কমলাপুর এলাকার পীর জঙ্গী মাজার সড়কে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখা।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'গায়েবি' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঘন ঘন বিদ্যুত বিপর্যয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের 'সবক্ষেত্রে' দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ হিসেবে আরও ২০টি নগর ও জেলায শহরে সমাবেশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার খুলনায় এবং শনিবার লালমনিরহাট, রাজবাড়ী ও পটুয়াখালীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ হামলা ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে মনে করিয়ে দিতে চাই তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক…আপনাদের জনগণের সেবা করার কথা। কিন্তু আপনারা এখন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুলি চালাচ্ছেন।’
তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে আপনাদের অনেকের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) অনেক সমস্যায় পড়ার আশংকা আছে। তাই আমরা বলছি আপনারা এখনই নিজেদের সংশোধন করুন। আপনারা এখন থেকে জনগণের পক্ষে দাঁড়ান। ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের ওপর গুলি চালাবে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে, দেশের জনগণ ও তাদের সরকার তাদের ক্ষমা করবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসতে গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাট ও দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ তাদের ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেশবাসীকে চরম সমস্যায় ফেলেছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে বলে দেশে আইনের শাসন নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। ‘তাই মানুষ এখন এই সরকারের পতন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ‘যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, অতীতের মতো বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা বিএনপির দায়িত্ব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা হামলা করলে তাদের দলও পাল্টা হামলা করবে।
তিনি ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিন্দা করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যারা মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছে তাদের মনে রাখতে হবে যে সবসময় আপনার ইউনিফর্ম থাকবে না। যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যা করছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে করণীয় ঠিক করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠক হয়।
দুই ঘন্টার বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহতভাবে চলছে সেটা আপনারা দেখতে পারছেন এবং এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসমস্ত কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা সকলে মিলে একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট (যৌথ ঘোষণা) করব, এ ব্যাপারেও আমরা সিদ্ধান্ত আমরা দিয়েছি। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য যতগুলো দল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে সকলে মিলে আমরা একটি যৌথ ঘোষণা দেবো জাতির সামনে। এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আলোচনার একটা জায়গা হচ্ছে- অতীতে যেভাবে আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে, বর্তমানের আন্দোলন এর চাইতে আলাদা। এটা আপনাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে বলছি। আমরা কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি না, আমরা এই সরকার বদল এবং এই যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসীন হয় তাদের কাঠামো বদলের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য সরকার পরিবর্তনে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অপরাপর বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ভাবেন, বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রুপরেখা আমরা আপনাদের সামনে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরবো- সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত হয়েছে। খুব সময়ের মধ্যে সেটা আমরা তুলে ধরবো বলে আশা করছি।’
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি