আন্দোলন
অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পূর্ব গোপালনগর এলাকায় শাওনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে যুবদল কর্মী রাজা আহমেদ শাওনকে হত্যা করেছে। এছাড়া শাওন যুবদলের প্রমাণিত ও পরীক্ষিত একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণের অনেক ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
নিহত শাওন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সে যুবদলের কর্মী নয় বলে পুলিশ ও সরকার এখন মিথ্যাচার করছে। সরকার সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লংঘন করছে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে শাওন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। অন্যথায় অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।
দুপুরে বারোটায় নিহত শাওনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রায় বিশ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তুর্কি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন,কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।
মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা নিজেদের মিছিলে মারামারি করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, আর দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’
স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলেন অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এমনটা মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিক ভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার তা কঠোর ভাবে দমন করবে।’
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোন অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক; সময় হলে মূল্যবৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের ১৭তম দিনেও ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শ্রমিকেরা ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেরীর পার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এদিন জেলার দেওরাছড়া চা বাগান, প্রেমনগর চা বাগান, মৌলভী চা বাগান, মাজদিহি চা বাগান ও হামিদিয়া চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদরে আসেন।
এছাড়াও, ৯টি বাগানের শ্রমিকেরা চা বাগানের ভেতর বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে শ্রমিকরা যাতে কাজে যোগ দেন এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন বাগানে গিয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে কাজে যোগদানের আহ্বান করেছেন।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
কিন্তু মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট।
২ দফা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন।
এরপর গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে নতুন মজুরি ঘোষণা করবেন। তার আগ পর্যন্ত চলমান ১২০ টাকা মজুরি রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের।
সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা।
তাদের দাবি তিনশ’ টাকা মজুরি দিতে হবে অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পরবর্তীতে মজুরি বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি ২০১৯ সালেই বৃদ্ধি করা উচিৎ ছিল: গবেষক আশ্রাফুল
চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করলো খুবির শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাসে মঙ্গলবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকালে অপরাজিতা হলের এক ছাত্রী বটি দিয়ে গলা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইলেকট্রনিক ডিভাইস, রাইস কুকার ও ছুরিসহ সব ধরনের সরঞ্জাম জব্দ করার নোটিশ জারি করে।
ঘোষণার পর পরই হলের শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরের তালা ভেঙে আন্দোলন শুরু করে এবং রাত ১০টার পর তাদের দাবির পক্ষে ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
এই সময় আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা হাদী চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে এবং রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করে।
প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল-রান্নায় রাইস কুকার ও অন্যান্য পাত্র ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা শিক্ষার্থীদের হয়রানির জন্য ক্ষমা চাওয়া, অভিভাবক ও নারী আত্মীয়দের হলে থাকার অনুমতি দেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করা এবং হলগুলোতে খাবারের মান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নত করে একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র পদত্যাগ দাবি
অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা রিম্মি বলেন, তাদের সকল দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ আমরা চাইনা সন্তানেরা কষ্ট পাক। তাদের হল, তারা যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবে চালাবো। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী কখনও পতিপক্ষ হতে পারে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলন কোনো চক্রান্ত হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে এবং তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের চেনেন। আমি তাকে অনুরোধ করতে চাই... আপনি স্পষ্টভাবে তাদের নাম প্রকাশ করুন দয়া করে। জাতি জানতে চায় তারা কারা।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সরকার পতনের যে কোনো আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে চাই যে আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে সরিয়ে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কোনো চক্রান্তের প্রশ্নই আসে না। আওয়ামী লীগই ২০০৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে বিএনপিকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিল এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল... এমনকি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছিলেন যে রাতে ভোট হয়েছে এবং তারা নিজেরাই করেছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারা আবারও আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের [ষড়যন্ত্রকারীদের] সবাইকে চিনি,’ তিনি বলেছিলেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক সাংবাদিককে দমন ও হত্যা করেছে, অনেককে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়েছে এবং মিডিয়াকে আটকানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। ‘আওয়ামী লীগের জন্য এটা স্বাভাবিক কারণ এটা তাদের মৌলিক চরিত্র। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়াও দলের চরিত্র। এই দল যা বলে তার ঠিক উল্টোটা করে।’
৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনে নতুন করে রদবদলের মাধ্যমে যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের সদস্য তাদের এসপি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।রবিবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সে কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেসক্লাবে রোজ মিটিং করছে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।তিনি বলেন, ‘তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না; তাদের কাজ তারা করবে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কিনা এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তার এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এদেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভায় ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিবিদরা ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়া আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধা নিবদেনস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এই ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেই দিকে নজর রাখবে।অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ জন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসু না হয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগ রুলস যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা উড়াবেন তাদের নিয়ম মেনে উড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রেলের অব্যবস্থাপনা: চলামান আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়মের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
সোমবার রাতে রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন রনি।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে মিটিং থেকে বেরিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি।
আরও পড়ুন: রেলের প্রতিবাদ: কমলাপুর স্টেশনে ঢুকতে রনিকে বাধা
মহিউদ্দিন রনি বলেন, বৈঠকে রেলের যাবতীয় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন করেছি। তারা আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, রনির দাবির সঙ্গে রেলওয়েও একমত। রেলের টিকিট সিস্টেম আরও উন্নত করা হচ্ছে।। সিস্টেম উন্নত করার নির্দেশ দিয়ে সহজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রনিকে রেলের অংশীজন কমিটিতে রাখা হবে। যাতে তিনি তার পরামর্শ ফোরামে বলতে পারেন।
গত ৮ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনে SOHOZ.com-এর কাছে প্রতারিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রনি ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলে রেল যোগাযোগ চালু
যাইহোক, তিনি এই প্রতারণার অভিযোগ ভোক্তা অধিকার সংগ্রাহক পরিষদের কাছে করলে, তারা এটি তদন্ত করে এবং SOHOZ.com-কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। যার মধ্যে থেকে রনিকে ২০ জুলাই ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
Shohoz-Synesis-Vincen JV এ চলতি বছরের ২২মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনা শুরু করে। গত চার মাসে, সফলভাবে লাখ লাখ টাকায় লেনদেন মাধ্যমে টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
বিএনপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একযোগে আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠনে সম্মত হয়েছে।
রবিবার জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রবের রাজধানীর উত্তরার বাসায় দল দুটির মধ্যে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে তাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বৈঠক শেষে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি তারা দেশ ও এর শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠবে। আন্দোলন নিজেই তার গতিপথ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।’
রব বলেন, তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য একই সঙ্গে ‘স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা এবং এর নিপীড়নমূলক অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে অপসারণ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা জনগণের সঙ্গে একত্রে মাঠে থাকব, যারা আমাদের গন্তব্য নির্ধারণ করবে। মাঠে আন্দোলনের কৌশল তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
টঙ্গীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে রেলওয়ে শ্রমিকদের একটি অংশ বিক্ষোভ ও রেললাইন অবরোধ করায় সোমবার ঢাকা ও অন্যান্য জেলার মধ্যে এক ঘণ্টার জন্য রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এই সময়ে ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা প্রবেশ করে নি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩০ জুন অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৮ হাজার শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। এর প্রতিবাদে টঙ্গী সেকশনের শতাধিক শ্রমিক বেলা ১১টা থেকে রেললাইন অবরোধ করেন।তাদের দাবি, অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ছিল, তারা সেভাবেই থাকতে চায়। আউটসোর্সিং প্রত্যাহারের দাবি করেন।
আজ (সোমবার) বিকাল ৫টার মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চাকরি ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি ফিরে না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু
মানবাধিকার প্রেক্ষাপটে প্রশংসিত ‘জানা গানা মানা’
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এখন জয়জয়কার। বিশেষ করে তাদের গল্প নির্বাচনের কারিশমা দেখা যাচ্ছে নিয়মিতই। আলোচানার টেবিলে এবার রয়েছে মালায়ালাম সিনেমা ‘জানা গানা মানা’। মানবাধিকার প্লট নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।সিনেমাটির গল্প শুরু হয় হায়দ্রাবাদের এক কলেজ প্রফেসরের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দিয়ে। যা নিয়ে দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়। এরপর কলেজ ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে পড়ে স্থানীয় পুলিশ এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আদালতে নেয়ার কথা থাকলেও এনকাউন্টারে তাদের হত্যা করা হয়। এতে হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রশংসা করে দেশবাসী।
সিনেমার এই জায়গা থেকে ঘটনা মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। প্রশ্ন উঠে মানবাধিকার নিয়ে। এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে কেস উঠলো আদালতে। যার পক্ষে লড়েন অ্যাডভোকেট অরবিন্দ স্বামীনাথান। পুরো সিনেমায় উঠে এসেছে বর্তমান ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষার্থীদের ওপর ধর্মীয় মৌলবাদী শাসন, এছাড়াও রয়েছে পুলিশের অত্যাচারসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহযোগিতায় অনন্ত জলিল১ ঘণ্টা ৬৫ মিনিটের এই সিনেমার গল্প লিখেছেন শারিস মোহাম্মদ। পরিচালনায় রয়েছে ডিজো হোসে অ্যান্টনি, আর প্রযোজনা করেছেন সুপ্রিয়া মেনন ও লিস্টিন স্টিফেন।‘জানা গানা মানা’ তেলুগু, তামিল, হিন্দিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, সুরজ ভেঞ্জারামুডু, মমতা মোহনদাস, শারী, ধ্রুবনসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: ব্রিটনির থেকে ১০০ গজ দূরে থাকতে হবে আলেকজান্ডারকে