বেনাপোল
ভারত থেকে করোনা পজিটিভ নিয়ে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি
চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভারত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন হাবিবুর রহমান (৬০) ও হাবিবুল্লাহ সোহান (৩০) নামে দুই বাংলাদেশি।
বুধবার বেলা ১২টায় ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে আসলে পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা আরেক ব্যক্তি কামাল হোসেনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
করোনা পজিটিভ দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার হাবিবুর রহমান (পাসপোর্ট নং ইএফ-০২৬৭১৭৭) এবং একই জেলার হাবিবুল্লাহ সোহন (পাসপোর্ট নং এ-০১৮৪৯৪০৬)।
আরও পড়ুন: বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান জানান, করোনা পজিটিভ শনাক্ত দুজন ও তাদের সঙ্গে থাকা কামাল হোসেনকে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল থেকে যশোর আইসোলেশনে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রেড জোনে তাদের ভর্তি করা হবে। সেখানে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুই যাত্রী ভারতে চিকিৎসা শেষে করোনা পজিটিভ হয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার
বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে সারাদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও স্থবির বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল সি অ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর রবিবার থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
বেনাপোলে ৫০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
যশোরের বেনাপোল থেকে ভারতে পাচারের সময় পাঁচ কেজি ৮৪০ গ্রাম ওজনের ৫০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে বেনাপোল-যশোর সড়কের নতুনহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইলের কালিয়ার খোকা মোল্লার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৪৩) ও একই এলাকার হারিয়াস সরদারের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৫)।
৪৯ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর তৌফিক মাহমুদ জানান,যশোর থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ভারতে পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোলগামী একটি মোটরসাইকেল থেকে দুজনকে আটক করে। পরে তাদের তল্লাশি করে ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এ গুলোর সিজার মূল্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতে সোনা পাচার করে আসছেন বলে জানান আটক ব্যক্তিরা। বিনিময়ে তাদের স্বর্ণের বার প্রতি তিন হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেয়া হতো। বিজিবি স্বর্ণের মূল মালিককে আটকের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চাঁদপুরে ট্রেন থেকে সোয়া কেজি ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে বন্দরের অভ্যন্তরে ২৪ নম্বর শেড থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।
বোমা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।
পুলিশ জানায়, বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রয়েছে-এমন গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ বন্দরের ২৪ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে চারটি বোমা উদ্ধার করেছে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে বোমাগুলো বন্দরের অভ্যন্তরে রেখেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। গোটা বন্দর এলাকায় বিরাজ করছে আতংক ।
ওসি জানান, বন্দরের শ্রমিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাল কসটেপ দিয়ে জড়ানো অবস্থায় চারটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বোমাগুলো রাখা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচেছ। বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম, বন্দরের পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাই গত চার মাসে রেলপথে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিন টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ আট কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, মেশিনারিজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ৪ জুন থেকে রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে চার থেকে পাঁচটি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল ও প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের চার মাসে আট কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সাথে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।
বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
প্রতিবেশী দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের সাইকেল র্যালির একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল নো-ম্যান্সল্যান্ডে আসলে তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যশোর সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজুর রহমান।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের সাইকেলিং র্যালির নেতৃত্ব দিয়েছেন কর্নেল মোহিত সিং।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বিজিবির
সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ সাইকেলিং র্যালিতে অংশগ্রহণ করবে। চতুর্থবারের মত সাইকেল যাত্রাটি যশোর সেনানিবাস থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে।
সাইকেল র্যালিটি যশোর সেনানিবাস থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, জীবননগর হয়ে দর্শনা গিয়ে শেষ হবে। ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের আর একটি সাইকেলিং র্যালি দর্শনা বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
সাইকেল র্যালিতে অংশ নেয়া ভারত-বাংলাদেশ সেনা সদস্যরা দুই দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলো যেমন পরিদর্শন করবেন, তেমনই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মনে রেখেছেন এমন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও স্থবির বেনাপোল বন্দর
২০১৬ সালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে এই ধরনের যৌথ সাইকেল র্যালির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে মার্চে প্রথম সাইকেল যাত্রার আয়োজনে অংশ নেন দুই দেশের সেনা সদস্যরা।
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বিজিবির
বেনাপোল বন্দর ও সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি সদস্যরা। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা ট্রাকের তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করছে এবং ওই ট্রাক পণ্য খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে তেল পাচার রোধে তদারকি করতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যদের।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের যখন মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ২০ পয়সা তখন ভারতে মূল্য ছিল প্রতি লিটার ১০১.৫৬ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১১৮ টাকা ৭৮ পয়সা)। ৪ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার করা হয় ৮০ টাকা। তখন ভারতে ডিজেলের দাম কমিয়ে করা হয় ৮৯.৭৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১০৫ টাকা)।
প্রতি লিটারে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দাম বেশি ২৫ টাকা। আর এ কারণে ডিজেল পাচারের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। আর এ সুযোগটা নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় এক শ্রেণির পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে তেল পাচার ও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে তেল পাচারের সংবাদ প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
বিজিবি’র হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ভারত থেকে আসার সময় যে তেল ছিল তা আমরা লিখে রেখেছি। যাওয়ার পথে ওই ট্রাকের তেলের পরিমাপ করা হচ্ছে। যদি বেশি পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনও এরকম কোন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, ওপারে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন তেল পাম্প থেকে ব্যারেল ভরে এনে বন্দরের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে রেখে এসব ডিজেল পাইপের মাধ্যমে ভারতীয় ট্রাকের ট্যাংকিতে ভরে দিত। আর এ কারণে বন্দরের আশেপাশে গড়ে ওঠে ডিজেল পাচারের একটি সিন্ডিকেট। বিজিবি কড়াকড়ি আরোপ করায় এসব সিন্ডিকেট চুপসে গেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, ভারতে জ্বালানি তেল পাচার রোধে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়াতে হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার ফলে আমরা আমদানি করা পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে খাতায় নোট করে রাখছি। ট্রাকগুলো ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। পূর্বের এন্ট্রি করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়েই ট্রাক ছাড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৩ দিন ধরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ
পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও স্থবির বেনাপোল বন্দর
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে রবিবারও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড আনলোড ও খালাশ বন্ধ রয়েছে। ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা বন্দরের আশপাশে অবস্থান করে পণ্য খালাশ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। বন্দরের অভ্যন্তরে কোন ট্রাক,কাভার্ড ভ্যান ও ট্রেইলর প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান পরিবহন নেতারা।
দেশের সিংহভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাঁচামাল আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে। ধর্মঘটের কারণে বন্দর থেকে কাঁচামাল ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে সংকটের আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মো.মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্মঘটে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বন্দর থেকে কোন মালামাল খালাশ হয়নি। ফলে বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট ও পণ্যজট। শ্রমিকরা বন্দরে কোনো ট্রাক প্রবেশ কিংবা বের করতে না দেয়ায় সেগুলোও ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বলেন,পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য ব্যহত হচ্ছে। বন্দরে শতশত ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। এতে করে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও বাড়ছে। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যার প্রভাব পড়বে জনগণের ওপর।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো.আজিজুর রহমান বলেন, পরিবহন ধর্মঘটে বন্দর থেকে কোনও পণ্য খালাশ হয়নি। যদিও দু দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য ও যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন:বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোলে আটকে আছে পণ্যবোঝাই ৭০০ ট্রাক
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায় এই চালান।
বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন।
১৭টি ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ রপ্তানি করে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫২ রপ্তানিকারকের প্রত্যেককে ৪০ টন করে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, আজ দ্বিতীয় দিনের মত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা
ভারত ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন শর্ত প্রত্যাহার
ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শর্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে করোনা নেগেটিভ পাসপোর্ট যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন বলবৎ থাকছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে এখন থেকে ভারত ফেরত যেসব যাত্রীর ৭২ ঘণ্টার আরটিপিসিআর করোনা নেগেটিভ সনদ থাকবে শুধুমাত্র তারাই সরাসরি নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। তবে যেসব পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনার উপসর্গ বা পজিটিভ তাদেরকে অবশ্যই আইসোলেশনে থাকতে হবে।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রত্যাহার ও হোম কোয়ারেন্টাইনন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে। ভিসা এবং আরটিপিসিআরের ৭২ ঘণ্টার করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলে তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য শর্ত শিথিল করল সরকার
বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি