বেনাপোল
বেনাপোলে আটকে আছে পণ্যবোঝাই ৭০০ ট্রাক
ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে জায়গার অভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে দেখা যায়, রপ্তানি পণ্যবোঝাই প্রায় ৭০০-৮০০ ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
বন্দরের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অবকাঠামোগত তেমন একটা উন্নয়ন হয়নি। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে জায়গা সংকট প্রতিদিনের। বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন ভারত রপ্তানি বাণিজ্যের বাংলাদেশি পণ্যের মাত্র ১৫০ ট্রাক পণ্য গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করে ভারত।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সয়াবিন স্ট্রাকশন, চাউলের ভূষি ও রেডিমেট গার্মেন্টস সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানির জন্য অপেক্ষা করছে বেনাপোল বন্দরে। কিন্তু ভারতে রপ্তানি হচ্ছে মাত্র ২০০ ট্রাক পণ্য। ফলে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দর এলাকায় প্রধান সড়কে পড়ে থাকছে। এতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানি সমস্যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
ভারতে পাচার হওয়া ৭ তরুণী দেশে ফিরলেন
প্রায় দুই বছর পর ভারতে পাচার হওয়া সাত বাংলাদেশি তরুণীকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন- যশোরের শিরিনা বিশ্বাস, কুড়িগ্রামের আঞ্জুমান সুমি, ফরিদপুরের মৌসুমি আক্তার, চট্রগ্রামের রিয়া আক্তার, শ্রীপুরের সোহাগী আক্তার মিম, খাগড়াছড়ির জাকিয়া আক্তার ও সুনামগঞ্জের সুমা আক্তার। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে এসব তরুণীদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থার হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
পাচারের শিকার তরুণীরা জানান, ভালো কাজ দেয়ার নাম করে তাদেরকে সীমান্ত পথে ভারতে নেয় দালালরা। পরে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরছে তারা।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার এ.বি.এম. মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এসব তরুণীরা দুই বছর আগে ভারতে যায়। পরে তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে।
খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। এরপর রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
তিনি জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে তরুণীদের যশোর গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদেরকে আইনি সহায়তাসহ কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। গতরাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পণ্যচালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কাস্টমস হাউসে পাঠিয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজ।
লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ মেট্রিক টনের তরল অক্সিজেন আমদানি করে। ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে ইন্ডিয়া লিমিটেড
১৩টি চালানে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন ট্যাংকারে করে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলযোগে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট রাতে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। ১৩টি চালানে এ পর্যন্ত লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামে আমদানিকারক ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে গতরাতে ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়ে খালাসের অপেক্ষায় বেনাপোল রেল স্টেশনে আছে। সরকারি ডিউটি পরিশোধ করেই তরল অক্সিজেনের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। বিকালে পণ্যচালানটি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
ভারতের উপহার: আরও ৪০ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেল বাংলাদেশ
ভারত সরকারের উপহারের তৃতীয় চালানে আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার কথা রয়েছে।
চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে করোনা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহারের ঘোষণা দিযে়ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য শর্ত শিথিল করল সরকার
সিঅ্যান্ডএফ উত্তরা মোটরসের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, ভারত সরকারের উপহারের এই অ্যাম্বুলেন্স কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে আজই রওয়ানা হবে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহার স্বরূপ তৃতীয় চালানে বৃহস্পতিবার সকালে ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পৌঁছায়। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আসবে।’
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
ভারত সরকারের উপহারের প্রথম চালানের একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ২১ মার্চ, ৭ আগস্ট ৩০টি ও বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ৪০ টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে। এ নিয়ে দেশে এলো মোট ৭১ টি অ্যাম্বুলেন্স। উপহার হিসেবে আসা প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে।
ভারতের উপহার আরও ৪০ অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ভারতের দেয়া আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে বুধবার এসে পৌঁছেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, গত মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলার যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ১৭ আগস্ট ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী চালানের ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন পেট্রাপোলে এসেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বাকি ৩৮টি অ্যাম্বুলেন্স সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। এই উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের প্রতিফলন করে।
আর পড়ুন: ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর ভারতের
মোদির উপহারের ৩০ অ্যাম্বুলেন্স শিগগিরই ঢাকায় আসছে
বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে দশম চালানে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে একটি বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে পৌঁছায়।
ভারতের দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের একটি ট্রেন চক্রধরপুর বিভাগের রাউরকেলা থেকে দশম অক্সিজেন এক্সপ্রেস রওয়ানা দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটিতে ১০টি কনটেইনারে ১৯৮ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) রয়েছে।
এ নিয়ে গত ২৭ দিনে রেলে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন। বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছাবে। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেনটি আবার এ পথ দিয়ে ভারতে ফিরে যাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
রেলপথে অক্সিজেন আমদানিকারক লিনডে বাংলাদেশ আর রপ্তানিকারক ভারতের লিনডে। রেলের পাশাপাশি সড়ক পথেও আমদানি হচ্ছে অক্সিজেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত ২১ জুন থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সড়ক পথে আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন।
এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত যে অক্সিজেন উৎপাদন করে তার বড় একটি অংশ বাংলাদেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ ও তার চাহিদার প্রায় সবটুকু আমদানি করে ভারত থেকে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ টন অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে অক্সিজেন আমদানিকারকরা হচ্ছে লিনডে বাংলাদেশ, এক্সপেট্রা অক্সিজেন, পিউর অক্সিজেন, বেঙ্গল অক্সিজেন ও ইসলাম অক্সিজেন আমদানি করে থাকেন। এর মধ্যে লিনডে বাংলাদেশ ও এক্সপেট্রা অক্সিজেন নামে দুই আমদানিকারক ৮০ শতাংশ অক্সিজেন আমদানি করে। রেলপথে শুধু লিনডে বাংলাদেশ অক্সিজেন আমদানি করে।
বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ জানান, মাঝে ভারতে করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করায় চিকিৎসা খাতে বাড়ে অক্সিজেন সংকট। এতে গত ২১ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তাদের দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসায় গত ২১ জুন থেকে তারা আবারও অক্সিজেন রপ্তানি শুরু করে বাংলাদেশে। গত দুই মাসে সড়ক পথে ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ১৯ আগস্ট ১৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৭ দিনে ১০টি চালানে লিনডে বাংলাদেশ নামে আমদানিকারক ১ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছে। অক্সিজেনের চালান দ্রুত ছেড়ে দিতে সবসময় বন্দর, কাস্টমস ও রেল বিভাগের স্পেশাল টিম কাজ করে আসছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারি কমিশনার কল্যাণ মিত্র চাকমা বলেন, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের পর দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সিরাজগঞ্জে খালাসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন বেনাপোল দিয়ে ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিএসএফ কর্তৃক ভারতীয় ট্রাক চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়ে়ছে ভয়াবহ যানজট।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ট্রাক চালকররা যখন পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের দিকে আসে তখন ভারতের জয়ন্তিপুর বিএসএফ ক্যাম্পর সদস্যরা তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।
বিএসএফের এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানি করবে না বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। যার অধিকাংশই শিল্প কল কারখানাসহ শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতে সমস্যার সমাধান হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে পৌঁছেছে
ভারতে পাচারকালে ৭ বস্তা কয়েনসহ আটক ১
বেনাপোলে ভারতে পাচারের সময় ৭ বস্তা কয়েনসহ এক মুদ্রা পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আমড়াখালি চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আবদুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার কাগমারী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
বিজিবির যশোর-৪৯ ব্যাটালিয়নের শার্শার আমড়াখালী চেকপোস্টের সুবেদার শাহীন রহমান বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি যে ভারতে পাচারের জন্য বিপুল পরিমাণ কয়েন নিয়ে নাভারন থেকে ইজিবাইক করে এক ব্যক্তি বেনাপোলে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির তল্লাশি জোরদার করে আমড়াখালি চেকপোস্টে ইজিবাইকটি থামিয়ে ৭টি বস্তায় থাকা ৮৩ হাজার কয়েনসহ আসামিকে আটক করা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, বেনাপোল আমড়াখালি চেকপোস্ট থেকে ৭ বস্তায় ২ টাকার ও ১ টাকার মোট ৮৩ হাজার কয়েনসহ আবদুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
তিনি বলেন, করোনাকালে মাদক, পাচার, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে টহল দিচ্ছে বিজিবি। আটক আসামির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছ।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবপাচারকারী চক্রের ২ সদস্য আটক
মানবপাচার প্রতিরোধে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্র সচিব
রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
বেনাপোল দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে পৌঁছেছে
ভারতীয় রেলের চতুর্থ চালান আরও ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’। রবিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে এটি বাংলাদেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বেনাপোল অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ভারতের টাটানগর থেকে ১০টি কন্টেইনারে করে তরল অক্সিজেনবাহী এই বিশেষ ট্রেনটি সকাল ৭টায় যাত্রা করে।
অন্য তিনটি অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন ২৪, ২৮ ও ৩০ জুলাই বাংলাদেশে মোট ৬০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন সরবরাহ করেছে।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কের আনুষ্ঠানিকতার পর ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম দিকে যাত্রা করে। এখানেই কন্টেইনারগুলো নামানো হবে।
আরও পডুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ টন অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রেল স্টেশন থেকে মেডিকেল অক্সিজেন বহনকারী ট্রেনটি অবিলম্বে ছেড়ে দেয়া হয়।
লিন্ডে ইন্ডিয়ার রপ্তানি করা এই এলএমও’র আমদানিকারক লিন্ডে বাংলাদেশ।
এই বছরের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভারতীয় রেলওয়ে দেশটির ৪৮০ রাজ্যে তরল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য বিশেষ অক্সিজেন ট্রেন পরিষেবা চালু করে।
বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের মধ্যে জীবন রক্ষাকারী গ্যাস সরবরাহের জন্য অক্সিজেন এক্সপ্রেস আসছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ টন অক্সিজেন আমদানি
তৃতীয় ধাপে আরও ১০টি কন্টেইনারে ২০০ ম্রেট্রিক টন তরল অক্সিজেন নিয়ে ভারত থেকে 'অক্সিজেন এক্সপ্রেস' ট্রেনটি বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশে করেছে। শুক্রবার বিকেলে বেনাপোল বন্দর থেকে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস
২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন বহনকারী ট্রেনটি ভারতের টাটানগর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড শুক্রবার ২০০ টনের তরল অক্সিজেন আমদানি করে। বিকেলে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়।
সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেন আবারও ভারতে ফিরে যাবে। তৃতীয় ধাপে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেসের মোট ৬০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হলো বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এই অক্সিজেন রপ্তানিকারকও ‘লিন্ডে ইন্ডিয়া’। আর বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।
আরও পড়ুনঃ ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আসছে
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আ: জলিল জানান, তৃতীয় ধাপে ২০০ টন তরল অক্সিজেন নিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’র ট্রেনটি আজ দুপুরে বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। কাস্টম ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের দিন বেনাপোল দিয়ে ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, ১০ টি কন্টেইনারে করে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। দ্রুততম সময়ে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ সাপেক্ষে কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে খালাস দেয়া হয় অক্সিজেন।