বেনাপোল
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের আগে বিএনপির ১০-১১ জন নেতা-কর্মী ভিডিও কনফারেন্স করেন: ডিবি প্রধান
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- যুবদল কর্মী মোহাম্মদ মনসুর আলম, রাসেল, সালাউদ্দিন, কবির হোসেন, দেলোয়ার, হাসান ও ইকবাল হোসেন স্বপন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বরিশালে কনস্টেবলকে মারধর, ছাত্রলীগের নেতাসহ আটক ৪
তিনি বলেন, ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নবীউল্লাহসহ আরও পাঁচজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনার আগে বিএনপির ১০-১১ জন নেতা-কর্মী ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু ও কাজী মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, 'ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করেন তারা।’
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের নির্দেশে লালবাগ থেকে যুবদলের বেশ কয়েকটি দল বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ শুরু করে। অগ্নিসংযোগকারীদের একজন ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন, তবে তদন্তের স্বার্থে আমরা এই মুহূর্তে তার পরিচয় গোপন করছি।’
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনজন উত্তর দিয়েছেন যে তারা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারেন। ‘২০১৩-১৪ সালে তারা বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা একত্রে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করে।’
ভিডিও কনফারেন্সের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ডিভাইসটি উদ্ধার করেছে ডিবি। মোবাইল ফোনটি কাজী মনসুরের। তিনি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানান হারুন।
হারুন আরও উল্লেখ করেন, গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নেওয়া হবে এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকাগামী ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের (ডিআরএম) নির্দেশে এ ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রকে অপহরণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
বেনাপোলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোল পোর্ট থানার বৃত্তিআঁচড়া গ্রামের একটি বিচালি গাদার ভেতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০টি ককটেল উদ্ধার করেছে ডিবি ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, সন্ত্রাসীরা বেনাপোল পোর্ট থানার বৃত্তিআঁচড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার বাড়ির পাশে একটি বিচালি গাদায় বিপুল সংখ্যক ককটেল মজুদ করা হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে যশোর ডিবি পুলিশ ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০টি শক্তিশালী ককটেল উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
তিনি আরও জানান, পুলিশ এ ব্যপারে তদন্ত শুরু করেছে। ককটেলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ১৮টি ককটেল উদ্ধার র্যাবের
বেনাপোল সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
যশোরের বেনাপোল পুটখালী সীমান্তে ভারতে পাচারের সময় ২ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ২০টি স্বর্ণের বারসহ আতিয়ার রহমান (৫৫) নামের এক স্বর্ণ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের পশ্চিম পাড়া থেকে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার আতিয়ার স্থানীয় পুটখালী গ্রামের মহর আলীর ছেলে।
২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশীদ আনোয়ার জানান, সোনার একটি বড় চালান ভারতে পাচার হবে এরকম একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুটখালী বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেরদার করে। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বাইসাইকেলে সীমান্তের দিকে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিজিবি'র অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
তিনি আরও জানান, এ সময় তার গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে তার শরীরে অভিনব কৌশলে কস্টেপ মোড়ানো অবস্থায় ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ স্বর্ণের ওজন ২ কেজি ৩৬০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, স্বর্ণের বারগুলো যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে এবং আতিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিজিবির অভিযানে ৩.৫১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
দশম দফায় অবরোধ: সারা দেশে ১৫৬ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরের বেনাপোলে ওড়নায় পেঁচানো দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বাহাদুরপুর বাজারের আব্দুর রহিমের বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তরুণ ওই দম্পতি হলেন- মৃত কালাম হোসেনের ছেলে মো. ইয়ামিন হোসেন (২৮) ও ইয়ামিনের স্ত্রী মোছা. তনু (২৪)।
পুলিশ বলছে, তারা ১ সপ্তাহ আগে উল্লিখিত বাসাটি ভাড়া নেন। ইয়ামিনের পোল্ট্রির ব্যবসা রয়েছে। দেনার দায়ে সে নিজের বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এই দম্পতির ৬ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিয়ের তিন দিন পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আজ ভোরে ঘরের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এলাকাবাসী জানালার ফাঁক দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এরপর আশেপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বাহাদুরপুর বাজারে একটি ভাড়া বাসা থেকে স্বামীর-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস করা হয়েছে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ। খালাস করার পর দেখো গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস না করায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে ৯০ টন পেঁয়াজ খালাস করে দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় ৩টি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশি ৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত ৬ দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। আজ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করা হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না করায় পচন ধরতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসে ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে পচনশীল ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এই বন্দর দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। উচ্চ শুল্ককরের পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমে গেছে।
মোটরপার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল, আপেল ও মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারকেরা বেনাপোল দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
আমদানি কমে যাওয়ায় এসব পণ্য থেকে প্রায় ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মূল কারণ হচ্ছে ব্যাংক থেকে এলসি ওপেন করা যাচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণেই আমদানি বাণিজ্যে এ ধরনের ধস নমেছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম আনু বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ১১০টাকা ৪২ পয়সা। এলসির সব টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করলেও ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এলসি করতে গেলে পিআই অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের উচ্চ মহলে ধর্না দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে এলসি করতে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ছিল ১১২ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। বাণিজ্যিক পণ্যের এলসি না হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য কম গেছে এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা নিশ্চিত হলে আশা করছি বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
সি অ্যান্ড এফের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা জানান, ভারতের নাসিক থেকে আসা আপেলসহ অন্যান্য উচ্চ পচনশীল পণ্যের চালান আসতে প্রায় তিনদিন সময় লাগে। ফলে পচে যায় অধিকাংশ কার্টুনের ফল। পচা মালের রাজস্ব আদায় করায় অধিকাংশ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশসেন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ডলার সংকট চলছে। ডলার সংকট দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলসি দিতে চাচ্ছে না। আর এলসি দিলেও ডলারের রেট অনেক বেশি। ডলার বাইরে থেকে কেনার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এলসি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেক কমে গেছে।’
বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামার কারণ আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়া। এলসি করতে ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে এলসি কমে গেছে। এলসি করতে ব্যাংকে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহী হচ্ছেন।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘জেনেছি ডলার সংকটে এলসি না হওয়ার আমদানি কম হচ্ছে। আগের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মোটরগাড়ি ও মোটরপার্টস থেকে ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আপেলসহ অন্যান্য ফলে আমদানিতে ২৪ কোটি ও ফেব্রিকস আমদানিতে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সর্বমোট ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি আছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্কফাঁকির উদ্দেশ্যে ‘আতা ফল’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে ‘পার্সিমন’ ফলের চালান আটক করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে চালানটি ভারত থেকে আমদানি হয়ে বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হলে শুক্রবার বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর ইয়ার্ড থেকে পণ্যের চালানটি জব্দ করে। পরে অভিযুক্ত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, প্রভা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৭০০ কেজি ‘আতা ফল’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চালানের মধ্যে মূল্যবান ‘পার্সিমন’ ফল নিয়ে আসে। এতে ৮ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্যের চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা করে রাজস্ব ও জরিমানার টাকা আদায় করা হয়।
অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বলেন, লাইসেন্সটি ভাড়া নিয়ে বেনাপোলের এক ব্যক্তি কাজ করেন। এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্যিক নিরাপত্তায় বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। কিন্তু সেটি প্রায় এক মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় বৈধ বাণিজ্যের ভেতর দিয়েই অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছে অসাধু আমদানিকারকরা।
বন্দর সূত্রে আরও জানা যায়, এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আগেও বন্দরে বৈধ আমদানি পণ্যের সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণায় শাড়ি, থ্রিপিস, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আটকের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে, ফলের ট্রাক ইচ্ছা করেই রাতে দেশে ঢোকায় আমদানিকারকরা। এতে কাস্টমস ও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে গভীর রাত পর্যন্ত বন্দরে খালাসের সুযোগ পান।
জানা গেছে, বিগত চার মাসে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ‘পার্সিমন’ ফল জাপানের জাতীয় ফল হিসেবে স্বীকৃত হলেও এটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে উৎপাদন হয়। এটি হিন্দিতে তেন্ডু ফল নামে পরিচিত। অনেকটা টমেটো আকারের বৃত্তাকার বীজশূন্য ফলটি উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ। ফলটি মূল্যবান ও আমদানি শুল্ক ‘আতা ফলের’ চেয়ে চার গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন আরও ৪২ বাংলাদেশি নারী-শিশু
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন আরও ৪২ বাংলাদেশি নারী-শিশু
বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও ৪২ জন নারী ও শিশু বাংলাদেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পুকুরপাড় থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার
তিনি আরও জানান, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় এসব নারী ও শিশুকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার মাহবুবুর রহমান ও পেট্রাপোল বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী রুবিনা খাতুন (ছদ্ম নাম) বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে তারা ভারতে গিয়েছিল। এরকম অনেকেই আছে। ভারতে গিয়ে বাসাবাড়ি বা কারখানায় কাজ করার সময় পুলিশের হাতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। সাজা শেষে কলকাতার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তাদের শেল্টার হোমের হেফাজতে নেয়। ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরপর বেসরকারি সংস্থা রাইটস যশোর ৩২ ও মহিলা আইনজীবী সমিতি ১২ জন নারী-শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাইটস যশোর এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিক হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর রাইটস যশোর ৩২ এবং মহিলা আইনজীবী সমিতি ১২ জনকে গ্রহণ করে নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ৪২ নারী ও শিশু দেশে ফিরেছে। ভারতে অনুপ্রবেশসহ নানা অপরাধে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে কিশোলয়, নবযাত্রা ও ধ্রুবাশ্রমসহ পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোরের বেনাপোলের সীমান্তবর্তী বারোপোতা গ্রাম থেকে ৩৫৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ এবং মো. জাহিদুল ইসলাম (২৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারোপোতা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে ফেনসিডিলসহ জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানা।
গ্রেপ্তার জাহিদুল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বারোপোতা সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে ৩৫৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় অন্য ২ জন পালিয়ে যান। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক