জাতীয় সংসদ
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প বিল সংসদে পেশ
দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যাকে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট বিল, ২০২২’- সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ সুবিধা পেতে পারবেন।
ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে বিলের খসড়া তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ। বয়স্ক জনগোষ্ঠী যখন কর্মহীন, রোগাক্রান্ত, পক্ষাঘাত, বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ অবস্থায় পড়বে তখন এটি তাদের জন্য সহায়ক হবে।
খসড়া আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। ৭৫ বছর বয়সের আগে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে, তার মনোনীত ব্যক্তি (নমিনি) বাকি সময়ের জন্য পেনশন পাবেন। তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে। সরকার চেয়ারম্যান ও বাকি চার সদস্য নিয়োগ দেবে।
অর্থমন্ত্রী গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান থাকবেন যেখানে অন্য সদস্যরা হবেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, পিএমও সচিব, বিএসইসি চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি ও নির্বাহী চেয়ারম্যান।
গভর্নিং বডি প্রতি বছর কমপক্ষে তিনটি সভা করবে। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে এবং পূর্বানুমতি সাপেক্ষে দেশের যেকোনো স্থানে এর শাখা স্থাপন করা যাবে। এই পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছায় হবে যদি না সরকার এটিকে বাধ্যতামূলক করার জন্য কোনো গেজেট জারি না করে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে, যা শুক্রবার থেকে তা কার্যকর হচ্ছে।
এবারের বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য-‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২২ অনুমোদিত হয়।
এর আগে বুধবার কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে অর্থ বিল ২০২২ পাস হয়েছে।
সংসদীয় অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও বেসরকারি ব্যয় তহবিল নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করে সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন।
এর আগে, এসব দাবির মধ্যে বিরোধীদলের সংসদ সদস্য মোট ৬৬৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন, ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পরে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টি, বিএনপি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র সদস্যসহ মোট ১৩ জন সংসদ সদস্য বাজেটের ওপর তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
তারা হলেন-কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, পনির উদ্দিন আহমেদ, হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, মোকাব্বির খান, রুমিন ফারহানা এবং রেজাউল করিম বাবলু।
পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তবে এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর তারা আলোচনা করেন।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মধ্যাহ্নভোজের বিরতি না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাবি পাসের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে গিলোটিন প্রয়োগ করেন।
সংসদে বিলটি পাস হওয়ার সময় বিরোধী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা সভায় উপস্থিত থাকলেও বিল পাসের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তোলেননি।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে: বিএনপি
পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০৫৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় টোল থেকে আদায় করা হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত নারী আসন-৩১ এর এমপি মমতা হেনা লাভলী।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে চলাচলকারী যানবাহন থেকে সংগৃহীত টোল দিয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ৩৫ বছরে ১৪০ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকারের দেয়া সমস্ত ঋণ পরিশোধ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোকে সংযোগকারী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
এছাড়া পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলপথে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি খরচ দুই দশমিক ৪৩ টাকা এবং আয় শূন্য দশমিক ৮২ টাকা।
অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে প্রতি টন খরচ সাত দশমিক ৯৪ টাকা এবং আয় হয়েছে তিন দশমিক ১৮ টাকা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম দিনে ২ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য রেলওয়ের ব্যয়ের প্রোফাইলের ভিত্তিতে রাজস্ব ও ব্যয়ের তথ্য উপস্থাপন করেন মন্ত্রী।
তিনি বিগত পাঁচ বছরের (২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১) রেলের আয়ের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছেন।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরে ৩৬ কোটি ১৭ লাখ যাত্রী ও দুই দশমিক আট কোটি টন পণ্য পরিবহন করেছে।
এ সময়ে রেলওয়ের আয় হয়েছে ছয় দশমিক আট কোটি টাকা বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ গণপরিবহন রেলওয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন হওয়ায় দিন দিন যাত্রী পরিবহন বাড়ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ টাকার বেশি টোল আদায়
পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
করোনায় চাকরি হারিয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী: মন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর থেকে পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলার সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগের কারণে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থান পেয়েছেন।
চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৮৪টি দেশে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার নারী অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন।
মন্ত্রী বিদেশে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনগুলোর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
ভোলার আ.লীগ সাংসদ আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো অভাব নেই।
আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলার সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে বলেন, বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি সয়াবিন তেল মজুদ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং টিম এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ীদের জরিমানা করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন কেউ থামাতে পারবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
প্রতিবন্ধকতা থাকলেও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনার সময়েও দেশের প্রবৃদ্ধির হার সাফল্যজনক ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তবে আগামী বাজেটের জিডিপি লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব।তিনি বলেন, করোনার সময়ও দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল সাফল্যজনক। যা পৃথিবীর মধ্যে উল্লেখযোগ্যও ছিল। দেশের খেটেখাওয়া মানুষের শ্রম আর প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে সিলেট সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রীজাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের যাতে উন্নয়ন হয়, মঙ্গল হয় সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই সাহসী নারী ও দেশের উন্নয়নে একাগ্রচিত্ত। কোভিডের সময় অনেক গণমাধ্যম বলেছিল গেল গেল, দেশ শেষ। দেশের আর উন্নয়ন হবে না। কিন্তু আল্লাহ মেহেরবান কোভিডের সময় আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪। যা অত্যন্ত সাফল্যজনক ও বিশ্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল।মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ধরা হয়েছে। অনেক বড় বাজেট। এগুলো অর্জনে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। কোভিডের প্রতিবন্ধকতা আছে, ইউক্রেনের প্রতিবন্ধকতা আছে। এরপরও আমরা আশাবাদী। কারণ আমরা প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতা অর্জন করতে জানি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিহত করতে প্রবাসীদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহবানজনপ্রতিনিধিরা বেশি দুর্নীতি করেন না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘দেশে ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৫২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। ৬৫ হাজারের মধ্যে ৫২ জন এটা ‘নাথিং’। দেশে সুশাসন আছে বলেই জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতিতে জড়ান না।’এর আগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্র্যতার হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং অতি দারিদ্যতার হার ১০ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ হার আরও নেমে আসবে।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কল্যাণের পাশাপাশি বিশ্বে অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে বাংলাদেশ।সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ আটজন সাবেক সংসদ সদস্য ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মৃত্যু এবং সীতাকুণ্ড ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদে আজ (রবিবার) সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
অন্য সাতজন সাবেক সংসদ সদস্য হলেন- জুবেদ আলী (নেত্রকোনা), সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী (টাঙ্গাইল), বি এম নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা), শাহ জিকরুল আহমদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল জলিল (শরীয়তপুর) ও ড. আশিকা আকবর (টাঙ্গাইল)।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
এসময় মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
রবিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বিতর্ক এবং অনুমোদিত হবে।
বিকাল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
আগামী ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট প্রস্তাব পেশ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১৮ মে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী জাতয়ি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন।
গত ৬ এপ্রিল একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তদশতম অধিবেশন আটটি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন ৫ জুন শুরু
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৪১ কোটি টাকা পেল সংসদ
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের তীব্র সমালোচনা বিরোধীদলের সাংসদদের
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এই আইনের কারণে তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন না।
মঙ্গলবার ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২’ শীর্ষক বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন সংসদ সদস্য বিষয়টি তুলে ধরেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি যদি (ক) সেই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা (খ) সংসদে সেই দলের বিরুদ্ধে ভোট দেন তাহলে তার আসন শূণ্য হবে। কিন্তু সংসদ সদস্য হিসেবে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হবে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন তোলেন সংসদের এত ক্ষমতা আছে কি না?
আরও পড়ুন: বন্দর এলাকার দূষণ রোধে সংসদে আইন পাস
তিনি বলেন, সব ক্ষমতা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাদের হাতে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বলার ক্ষমতা কি কারো আছে? কেউ কি তার দলের বিরুদ্ধে কথা বলে এমপি হিসেবে থাকতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, যতদিন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ থাকবে ততদিন সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ নেই। স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতার আলোকে সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শামীম বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর এমপিরা বিক্রি হয়ে গেছে। এই অভিজ্ঞতা থেকেই বাংলাদেশের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাস্তবতা হচ্ছে দলের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না, দলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া যায় না। ফলে সংসদে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটছে না।
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ হলে পৌরসভায় প্রশাসক, সংসদে বিল পাস
পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
পেটেন্ট মালিকের স্বত্ব ১৬ বছরের বদলে ২০ বছরের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে।
রবিবার সংসদে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন আজ শুরু
বিলে বলা হয়েছে, পেটেন্টধারী ব্যক্তি এখন থেকে ২০ বছরের জন্য স্বত্বের মালিক থাকবেন, এরপর তা ‘জনগণের’সম্পদ হয়ে যাবে। আগের আইনে এর মেয়াদ ছিল ১৬ বছর।
নতুন বিল অনুয়ায়ী, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যেকোনও পণ্য পেটেন্টযোগ্য হবে।
গৃহহীনদের খুশি দেখতে পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে ঘর ও জমি পেয়ে নিঃস্ব মানুষের মুখে হাসি দেখতে পাওয়া তার সবচেয়ে বড় আনন্দ।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাবার স্বপ্ন ছিল (গৃহহীন মানুষদের ঘর দেয়া)। তাই তারা খুশি হলে আমি আনন্দের অশ্রু ধরে রাখতে পারি না।’
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদের কিছুই নেই তাদের মুখে হাসি ফোটানো তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার
তিনি বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত এবং এর মতো কিছুই নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অনেক মানুষের জমি, বাড়ি-ঠিকানা নেই। আর সে কারণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের বিনামূল্যে জমি ও বাড়ি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দিয়েছিলেন কেউ ১০০ বিঘার বেশি জমির মালিক হতে পারবে না যাতে উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীনদের দেয়া যায়।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু গুচ্ছ গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে ঘর দেয়ার কাজও শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমার একমাত্র কাজ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দিয়ে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।