মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসী ব্যবসায়ী সুমন বেপারি (৪০) তার মালয়েশিয়ান স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বাড়ি এসেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উপজেলা সদরস্থ এ আর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে।
সুমন বেপারির বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে।
জানতে চাইলে সুমন বেপারি ইউএনবিকে জানান, ঈদের সময় দেশের সড়ক- মহাসড়কে জ্যাম লেগেই থাকে। তাই সময় বাঁচাতে ও ঝামেলা এড়াতে স্বল্প সময়ে (২০-২৫ মিনিটে) তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি এসেছেন।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে প্রবাসী আটক, স্বর্ণ ও সিসা জব্দ
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পেরতুয়ান আগাং এবং প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরীর জন্য শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ উন্নতমানের বাংলাদেশি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যথাক্রমে ইস্তানা নেগারা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আম গ্রহণ করেন।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে এক হাজার কেজি আম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন কূটনীতিক উপপ্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।
হাইকমিশন আশা প্রকাশ করে বলেছে, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি আম ও কৃষি পণ্যকে একটি সম্ভাবনাময় আইটেম হিসেবে প্রচারে সহায়তা করবে।
পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিনিয়োগে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
জুন মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গরুপের বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান ও দেশটির প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, জুন মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়া লোক পাঠাতে পারবো। তবে কি পদ্ধতিতে কর্মী যাবে, সকল রিক্রুটিং এজেন্সী লোক পাঠাতে পারবে কি না এ বিষয়ে এমওইউ চুক্তি অনুযায়ী সিলেকশন করবে মালয়েশিয়া।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এখন বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি যা আছে তার সংখ্যা ১৫২০। আমরা কিন্তু এই তালিকা তাদের পাঠিয়েছিলাম। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, সমঝোতা অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করার অধিকার কিন্তু মালয়েশিয়ার। যেহেতু তারা লোক নেবে সেহেতু অধিকার তাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের আশ্বাস কাতারের শ্রমমন্ত্রীর
তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্টরা যারা ব্যবসা করতে চায় তারা নিজেরাই নিজের ব্যবসা খুঁজবে।
মন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাইগ্রেশন কস্ট জিরো। কিছু অংশ বাংলাদেশের প্রান্তে খরচ আছে সেটি কর্মীকে বহন করতে হবে। আর বিমান টিকেট থেকে শুরু করে বাদবাকি যাবতীয় খরচ নিয়োগকর্তার। আগের সমঝোতায় বিমান টিকেট একটি ছিল আর এখন আসা যাওয়া দুটির খরচ নিয়োগকর্তার।
জিরো কস্ট বলতে একদম ফ্রি কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একজন কর্মী এদেশ থেকে গেলে তার মিনিমাম খরচ আছে, যেমন পাসপোর্ট, মেডিকেলসহ কিছু খরচ। যেটি আমরা গতবার ১ লাখ ৬০ হাজার ছিল। এবার আরও কম খরচ হবে। তবে কত টাকা হবে সেটি পরে জানানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ৫ বছরে ৫ লাখ লোক নেয়ার কথা। তবে আমার ধারণা এ বছরই ৫ লাখ লোক যেতে পারবে কেননা তাদের সে চাহিদা আছে।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
প্রবাসীদের জন্য ‘ই-লকার’ চালু করবে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকসহ প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য দেশটির সরকার ‘ই-লকার’ চালু করবে। ই-লকারে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা বিন জাইনুদিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৈঠকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিফেন্স সার্ভিস এশিয়া (ডিএসএ) উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মালয়েশিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সভায় মিলিত হন।
পড়ুন: মালয়েশিয়া পাচারকালে বাংলাদেশিসহ ৫৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ২
ই-লকারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশিদের তথ্যসমূহ ডাটাবেজ আকারে সন্নিবেশ করার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার অনেক কাজ করেছে। এনআইডি, পাসপোর্টসহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি বা মালয়েশিয়ায় কেউ যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হয় সে লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন। এক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য মালয়েশিয়া প্রস্তাব করেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়ায় অনেক নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন হবে বিদায় বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী আনা হবে বলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
বাংলাদেশ আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকবে মর্মে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
মালয়েশিয়া পাচারকালে বাংলাদেশিসহ ৫৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ২
সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারকালে উখিয়া থেকে এক বাংলাদেশিসহ ৫৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছেপটখালী সমুদ্র উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী, ১০ জন শিশু ও ২৩ জন পুরুষ রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচারকালে ৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ১
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উখিয়ার ছেপটখালী সমুদ্র উপকূল থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৫৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোহাম্মদ সোহেল ও মুছা সলিমুল্লাহ নামে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, সংঘবদ্ধ দালাল চক্র মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে উখিয়া ও টেকনাফ উপকূলের গভীর পাহাড়ি এলাকায় জড়ো করে। পরে তাদেরকে সাগরে অপেক্ষামান ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তোলে। দালাল চক্র তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা করে অগ্রিম হাতিয়ে নেয়।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক জানান, মূলত দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এসব রোহিঙ্গাদের। প্রথমে ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে উপকূল থেকে রওনা দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্র সীমানায় অপেক্ষামান রেখে বড় ইঞ্জিন ট্রলারে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল দালাল চক্রের।
আরও পড়ুন: ভাসানচর পৌঁছেছে আরও ১২৮৭ রোহিঙ্গা
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আরও ৭১৮ রোহিঙ্গার যাত্রা
শ্রীনগরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার শ্রীনগর উপজেলার কেউটখালী বিল থেকে রবিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদরাসার ছাত্র রাকিব হোসেন (১৩) লস্করপুর চকেরবাড়ি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেনের ছেলে এবং ওই এলাকার আজিজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
পরিবারের দাবি, মাদরাসা থেকেই সে নিখোঁজ হয়।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৪ জনের লাশ উদ্ধার
তবে লস্করপুর আজিজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের দাবি করে বলেন, রাকিব মাদরাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় হয়তো নিখোঁজ হয়েছে। মাদরাসা থেকে নয়।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত রাকিবের হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নজরদারিতে রেখেছে।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলজোড় নদীতে নিখোঁজ: ২ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এফটিএ স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল আমদানি করে থাকে। চলমান ভোজ্যতেলের বিশ্ব পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া পাম অয়েল এর দাম কমালে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রি এবং কমোডিটি বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারুদ্দিনের নেতৃত্বে আগত ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বর্ডারহাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিক খুলে দিয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এফটিএ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশের আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে, মালয়েশিয়া এগিয়ে এলে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব। এতে করে উভয় দেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা যন্ত্রপাতি ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩০৬ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। একই সময়ে এক হাজার ৫৭৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। মালয়েশিয়ার পাম ওয়েল, ফার্নিচার, চকলেট, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে এ সকল পণ্যের কারখানা স্থাপন করলে অধিক লাভবান হবে। এখানে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, ফলে কম খরচে এ সকল পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি ফার্নিচারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে ফার্নিচার রপ্তানি করে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষের পথে। এখানে মালয়েশিয়া ফার্নিচার, কৃষিপণ্য প্রসেসিংসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সফররত মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রি এবং কমোডিটি বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশিদার। উভয় দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার ফার্নিচার, রাবার জাত পণ্য, চকলেট ও শুননো খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে। উভয় দেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক এবং আগত প্রতিনিধি দলের মালয়েশিয়ার ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মাদ জায়েদি বিন মোহা. কারলি,ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি (ইন্টারন্যাশনাল) মিসেস জাইমে ইয়াহ, মালয়েশিয়া পাম অয়েল বোর্ড এর ডিরেক্টর জেনারেল দাতুক ডা. আহমদ পারভেজ বিন গোলাম কাদির, মালয়েশিয়ার পাম অয়েল কাউন্সিল এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মিসেস আজরিয়াহ বিনতে আজিয়ান, মালয়েশিয়ার টিম্বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান মিসেস নোরিদা বিনতে ইউসুফ, মালয়েশিয়ার রাবার বোর্ডের ডিরেকটর জেনারেল দাতো জাইরোসানি বিন মোহা. নূর, মালয়েশিয়ার টিম্বার কাউন্সিল এর পরিচালক খায়রুল বিন আনোয়ারসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
খায়রুজ্জামানকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় আটক সাবেক বাংলাদশি হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান তার স্বামীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন। তবে এ সত্ত্বেও তাকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘তার (খায়রুজ্জামান) ফেরত আসার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
সোমবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে (এ বিষয়ে) কোনো দ্বিমত নেই।
প্রয়োজন হলে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কেননা শরণার্থীর একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত খায়রুজ্জামান আটক
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড গ্রহণ করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মতে, শরণার্থী হলো এমন মানুষ যারা যুদ্ধ, সহিংসতা, সংঘাত বা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে এসেছে এবং অন্য দেশে নিরাপত্তা খুঁজতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে সব ক্ষেত্রে ঠিক আছে এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল সে কখনোই শরণার্থী হতে পারে না। ‘যদি তাই হয়, সব অপরাধী বিশ্বের যে কোনো দেশে শরণার্থী মর্যাদা চাইবে। এটা যৌক্তিক নয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিনকে উদ্ধৃত করে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটকের বিষয়টি জানায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যথাযথ আইন মেনেই তাকে আটক করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেয়ার আগে তাকে খালাস দেয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু খায়রুজ্জামান দেশে ফিরে না এসে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে সেখানেই থেকে যান বলে দ্য স্টারের খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীতকরণে জোর মালয়েশিয়ার
এরপর থেকে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন।
আটকের ব্যাপারে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অপরাধ করার জন্য এবং তার নিজ দেশের সরকারের অনুরোধে’ তাকে আটক করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান আটক
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিনকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘যথাযথ আইন মেনেই তাকে আটক করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেয়ার আগে তাকে খালাস দেয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামি গ্রেপ্তার
কিন্তু খায়রুজ্জামান দেশে ফিরে না এসে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে সেখানেই থেকে যান বলে দ্য স্টারের খবরে বলা হয়েছে।
এরপর থেকে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন।
আটকের ব্যাপারে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অপরাধ করার জন্য এবং তার নিজ দেশের সরকারের অনুরোধে’ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাবেক এই হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩
২০ বছর চালকের ছদ্মবেশে থাকা ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীতকরণে জোর মালয়েশিয়ার
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীত করার ওপর জোর দিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ। দু’দেশের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশ্বাসও দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোন করলে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন ড. মোমেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ড. মোমেন এবং দু’দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই ত্বরান্বিত করতে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার
মালয়েশিয়ার সব খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগদানের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে দেশটির সরকার- মালয়েশিয়ার সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন চ্যানেলের মাধ্যমে আরও বেশি কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধও করেন ড. মোমেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করে ড. মোমেন। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য মালয়েশিয়ার অব্যাহত সমর্থনের অনুরোধ জানান তিনি।
পাঁচ লাখের বেশি করোনার টিকা অনুদান হিসেবে দেয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল মানবিক পদক্ষেপের জন্য পুরো বিশ্ব কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ- জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: আসছে ৫০ টাকার স্মারক রৌপ্য মুদ্রা
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে আরও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্নের ওপর জোর দেন।
আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের দ্বীপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ে কাজ করতেও সম্মত হয়েছেন।
ড. মোমেন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাইফুদ্দিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি পরবর্তীতে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা ইইউ’র