সরকারবিরোধী
কোনো আন্দোলন হলেই অনুপ্রবেশ করে সেটাকে সরকারবিরোধী প্রচারণায় পরিণত করে বিএনপি: কাদের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এই নিন্দা জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোটা সংস্কারের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিশৃঙ্খলা ও ষড়যন্ত্র করাই তাদের ক্ষমতা দখলের একমাত্র কৌশল হয়েছে।’
তিনি বলেন, যখনই কোনো আন্দোলন হয়, তখনই বিএনপি নেতারা সেখানে অনুপ্রবেশ করে সেটাকে সরকারবিরোধী প্রচারণায় পরিণত করে।
সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন।
এই দাবিকে কেবল ‘সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী’ বিএনপি-জামায়াত জোটের দাবি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হয়।
তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবিধানিকভাবে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। নানা উসকানি ও বিশৃঙ্খলা সত্ত্বেও সরকার বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও সহিংসতা থেকে জনগণকে রক্ষা করে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়েও তিনি বলেন, 'কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে’ গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুধু সন্ত্রাস ও সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সাধারণ শিক্ষার্থীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাইবার অপরাধীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে দেশের বদনাম করার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল স্টেশন ও বিটিভির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। জনমনে শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ দৃঢ়তা প্রদর্শন করবে।’
এসব সহিংস ঘটনায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে বলেও জানান মন্ত্রী। ‘এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। নিহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে মির্জা ফখরুলের দাবি মিথ্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে হতাহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।’
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ফখরুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে অসম্পূর্ণ মন্তব্য করে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও অর্থদাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন ও সহিংসতায় ড. ইউনূসের 'সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা' খতিয়ে দেখা দরকার: কাদের
৩ মাস আগে
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা দিনব্যাপী হরতাল চলছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ দফায় অবরোধসহ ২৯ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলগুলোর এটি চতুর্থ দফায় হরতাল কর্মসূচি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার সড়কে গণপরিবহনসহ বেশ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
হরতাল শুরুর ঠিক আগে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
শনিবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হরতাল পালন ও সফল করার জন্য তিনি দেশবাসী, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
১১ মাস আগে
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অক্টোবরের শেষদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দেশের বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছিলেন,‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা আমরা বারবার তুলে ধরেছি।’
সাংবাদিকরা রুশ কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূতাবাসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
১১ মাস আগে
‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের পরিকল্পনা বিএনপির’
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা দৃশ্যত আত্মগোপনে চলে গেলেও, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান আন্দোলন জোরদার করতে ফের রাজপথে নামতে পারেন বিএনপি নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে তারা ইতোমধ্যে হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিরতিহীন আন্দোলন করার কৌশল তৈরি করেছেন।
তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কী করতে হবে সে বিষয়ে তাদের দল সমমনা দলগুলোরও মতামত নিয়েছে এবং অধিকাংশ দল কোনো বিরতি ছাড়াই অবরোধ বা হরতাল কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের কৌশল অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং তফসিল বাতিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ইসি যদি তাদের আল্টিমেটামে কর্ণপাত করে, তাহলে তারা তাদের কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশে রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসি কীভাবে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং গ্রেপ্তার দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে ইসির ভূমিকাও তারা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির দাবি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ বিরোধী নেতা ও অনুসারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখকে দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এখন গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
অন্য দলের নীতিনির্ধারকরা হয় মারা যান বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয় থেকে যান।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও পলাতক রয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের গোপন আস্তানা থেকে পথ দেখান।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই তারা তাদের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে মহাসড়ক ও সড়কে পিকেটিং বাড়ানোর মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমাদের দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই তফসিল ঘোষণার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নামবেন।’
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব রাষ্ট্রযন্ত্র কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার মনে করতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা হবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন বাতিলের উদাহরণ আমরা দেখেছি। বিএনপি রাজপথে থেকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। জনগণ এবার সরকারকে নির্বাচনের নামে নাটক করতে দেবে না।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এবার ব্যর্থ হবে না। ‘তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। আমরা তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি পূরণে বাধ্য করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তাদের দল কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে তা প্রমাণ করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
১ বছর আগে
ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নানা জল্পনা-কল্পনা ও ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার নয়াপল্টনে তার পুনর্নির্ধারিত মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপি ছাড়াও ৩৭টি সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি তুলে আদায়ে বিভিন্ন মহানগরীতে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ-এরও নয়াপল্টনে বিএনপির অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ এড়াতে কর্মদিবসে তাদের নির্বাচিত স্থান ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তারা শুক্রবার তাদের কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা একটি কঠিন কাজ হবে। কারণ, বিরোধী দল এবং ক্ষমতাসীন উভয় পক্ষই স্বল্প দূরত্বে এবং একই সময়ে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে দলটি বিরতিহীন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা চলছে বিএনপির মহাসমাবেশের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে।
বিভিন্ন জেলা সংবাদদাতাদের কাছ থেকে ইউএনবি ডেস্কে পৌঁছেছে এমন খবরে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে সড়ক, রেল বা নৌপথে ঢাকায় এসেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
তবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে এবং সমাবেশস্থলে পৌঁছার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, শুক্রবারের মহাসমাবেশের আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সমাবেশ বানচাল করতে বিভিন্ন উসকানি দেওয়ার অভিযোগও করেন।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার তাদের সমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য উভয় রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে তাদের মহাসমাবেশ কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে মুক্তাঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
উভয় দলের সমর্থকদের সমাবেশে কোনো লাঠি, বাঁশ ও ব্যাগ বহন না করার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন এবং কর্মসূচি সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্বাস বিএনপির মহাসমাবেশে ইতিবাচক মনোভাবের জন্য ডিএমপি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিএনপিকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সমাবেশের পথে জনগণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোনো বাধা থাকবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের মহাসমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, তাদের পুনঃনির্ধারিত মহাসমাবেশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আবার জড়ো হতে শুরু করে এবং পরে দলের সিনিয়র নেতার নির্দেশে এলাকা ফাঁকা করে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপি নেতাদের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আগামীকালের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় সমর্থকদের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
বিএনপির পাশাপাশি বিকাল ৩টায় পুরানা পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চ, ফকিরাপুলে ১২ দলীয় জোট, বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পূর্ব পান্থপথে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আরামবাগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবারপার্টি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। একই সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ অধিকার পরিষদ (কিবরিয়া), ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে গণ অধিকার পরিষদ (নূর), মালিবাগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং শাহবাগে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এছাড়া সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং বেলা ১১টায় বিজয়নগরে এবি পার্টি সমাবেশ করবে।
এর আগে বুধবার রাতে, পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি বৃহস্পতিবার গোলাপবাগ মাঠে কর্মসূচি করতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার তাদের মহাসমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
বিএনপির পদক্ষেপের পর আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গত শনিবার ফখরুল তাদের চলমান যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
১ বছর আগে
আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ইঙ্গিত মোশাররফের
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং আন্দোলন সফল করতে দলের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি জনগণের ওপর গুলি না চালাতে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দেন।
এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে অংশ নিতে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কঠোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘দুঃশাসন’, লুণ্ঠন ও দমন-পীড়নে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
'মিথ্যা মামলায়' দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কমলাপুর এলাকার পীর জঙ্গী মাজার সড়কে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখা।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'গায়েবি' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঘন ঘন বিদ্যুত বিপর্যয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের 'সবক্ষেত্রে' দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ হিসেবে আরও ২০টি নগর ও জেলায শহরে সমাবেশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার খুলনায় এবং শনিবার লালমনিরহাট, রাজবাড়ী ও পটুয়াখালীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ হামলা ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে মনে করিয়ে দিতে চাই তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক…আপনাদের জনগণের সেবা করার কথা। কিন্তু আপনারা এখন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুলি চালাচ্ছেন।’
তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে আপনাদের অনেকের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) অনেক সমস্যায় পড়ার আশংকা আছে। তাই আমরা বলছি আপনারা এখনই নিজেদের সংশোধন করুন। আপনারা এখন থেকে জনগণের পক্ষে দাঁড়ান। ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের ওপর গুলি চালাবে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে, দেশের জনগণ ও তাদের সরকার তাদের ক্ষমা করবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসতে গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাট ও দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ তাদের ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেশবাসীকে চরম সমস্যায় ফেলেছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে বলে দেশে আইনের শাসন নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। ‘তাই মানুষ এখন এই সরকারের পতন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ‘যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, অতীতের মতো বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা বিএনপির দায়িত্ব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা হামলা করলে তাদের দলও পাল্টা হামলা করবে।
তিনি ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিন্দা করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যারা মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছে তাদের মনে রাখতে হবে যে সবসময় আপনার ইউনিফর্ম থাকবে না। যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যা করছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
১ বছর আগে
সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে করণীয় ঠিক করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠক হয়।
দুই ঘন্টার বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহতভাবে চলছে সেটা আপনারা দেখতে পারছেন এবং এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসমস্ত কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা সকলে মিলে একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট (যৌথ ঘোষণা) করব, এ ব্যাপারেও আমরা সিদ্ধান্ত আমরা দিয়েছি। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য যতগুলো দল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে সকলে মিলে আমরা একটি যৌথ ঘোষণা দেবো জাতির সামনে। এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আলোচনার একটা জায়গা হচ্ছে- অতীতে যেভাবে আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে, বর্তমানের আন্দোলন এর চাইতে আলাদা। এটা আপনাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে বলছি। আমরা কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি না, আমরা এই সরকার বদল এবং এই যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসীন হয় তাদের কাঠামো বদলের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য সরকার পরিবর্তনে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অপরাপর বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ভাবেন, বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রুপরেখা আমরা আপনাদের সামনে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরবো- সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত হয়েছে। খুব সময়ের মধ্যে সেটা আমরা তুলে ধরবো বলে আশা করছি।’
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
১ বছর আগে
সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সম্মিলিত আন্দোলনে যোগ দিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নতুন সরকারবিরোধী প্ল্যাটফর্ম, ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও যুব ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ১৫টি সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ১০ দফা অর্জন এবং সংস্কারের জন্য বিএনপির দেয়া ২৭ দফা বাস্তবায়নে সম্মিলিত আন্দোলনে অংশ নিতে সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ।’তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী, দখলদার, ফ্যাসিবাদী ও ভোটার ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত সকল কর্মসূচিই তাদের নতুন জোট একযোগে পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
নবগঠিত প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে যুব ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, চালক দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। দাঁড়াও বাংলাদেশ, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল, দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এবং বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এছাড়া ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দলের সঙ্গে ১২ দলীয় জোট চালু করা হয়, যেখানে বিএনপির বাইরে বিদ্যমান আরও দুটি জোট- গণতন্ত্র মঞ্চ (গণতন্ত্র ফোরাম) এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলনে যোগদানের অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
১ বছর আগে
বিএনপির ২৭ দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ: আমীর খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তাদের দলের ২৭ দফা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ‘চলমান আন্দোলনের অংশ’।
তিনি বলেন, ‘আমি বারবার বলে আসছি যে এই ২৭ দফা চলমান আন্দোলনের অংশ। এটা আলাদা নয়।’
রবিবার এক আলোচনায় বক্তব্য দেয়ার সময় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ২৭ দফার পেছনের দর্শন হলো জনগণকে বোঝানো যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কেমন হবে এবং বর্তমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে তাদের উৎসাহিত করা।
২৭ দফার তাৎপর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব দফা বাস্তবায়ন ছাড়া ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা সম্ভব হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশকে সংস্কার করতে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দেশের স্বার্থে আমাদের এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা এবং বিএনপি মিডিয়া সেল যৌথভাবে ‘রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত কাঠামোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন বিএনপি যখন সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছে, এর মধ্যে আবার কেন ২৭ দফা নিয়ে আলোচনা করছে।
২৭ দফার আলোচনার মাধ্যমে তিনি বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, দুর্নীতিবাজ ও দখলদার’ সরকার ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তারা (জনগণ) কী লাভ করবে সে সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছে।
যারা আন্দোলন এবং এর ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে এখনও বিভ্রান্ত, তাদেরকে ২৭ দফা পর্যালোচনা করে রাজপথে নামার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
১৯ ডিসেম্বর বিএনপি ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার’-এর একটি ২৭-দফা রূপরেখা উন্মোচন করেছে।
যাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার’-এর রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
১ বছর আগে
ফরিদপুরে সরকারবিরোধী সমাবেশ বানচাল করতে গ্রেপ্তার, হয়রানি অব্যাহত: বিএনপি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ফরিদপুরে আগামী শনিবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আগে দলীয় সদস্য ও তাদের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
বুধবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার পুলিশ নগরকান্দা উপজেলা থেকে আমাদের আট নেতাকর্মীকে এবং ফরিদপুর সদর উপজেলা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া পুলিশ আমাদের দলের পাঁচ সদস্যের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
জাহিদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকার কর্তৃক প্রভাবিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবহন ধর্মঘটসহ সব বাধা উপেক্ষা করবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বাধার কারণে ১০ নভেম্বর থেকেই নেতাকর্মীরা গণসমাবেশে পৌঁছাতে শুরু করবেন। সমাবেশের মাঠ থেকে ফরিদপুর মহানগরী পর্যন্ত পৌঁছে যাবে এই জনসমুদ্র। কোন বাধাবিঘ্ন প্রতিবন্ধকতা দিয়ে গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আগামী শুক্রবার তাদের সমাবেশ বানচাল করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) শুক্রবারই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
‘শুক্র ও শনিবার পরিবহন ধর্মঘট আমাদের দলের সদস্যদের সমাবেশে যোগদানে বাধা দিতে সরকারের আরেকটি কৌশল। এই ধরনের পরিকল্পনা এবং কৌশল কাজ করবে না। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আমাদের সমাবেশকে সফল করবে,’ শামা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়েব ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
২ বছর আগে