সোনালি আঁশ
আমরা সোনালি আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
যেকোনো মূল্যে আমরা সোনালি আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, এজন্য পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়, বাকি সাড়ে ৪ হাজার টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাট উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
শনিবার দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) সঙ্গে কাঁচা পাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাংকফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে।
কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয় ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাটমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনায় কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী
৬ মাস আগে
খুলনায় পাটের বাম্পার ফলন, দামেও খুশি চাষিরা
গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার খুলনাঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পাটের চাহিদা থাকায় এবং দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ৭৫৫ হেক্টর জমিতে তোশা ও দেশি জাতের পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার মাগুরাঘোনা ও আটলিয়া ইউনিয়নে বেশি পাট আবাদ হয়েছে। এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি বীজ বপন সময় প্রচণ্ড খরার কারণে কিছু বীজ নষ্ট হলেও শেষ দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়। উপজেলাতে ভারতীয় বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি চাষ হয়েছে। বর্তমানে পাট কাটা, পাট জাগ দেয়া, আশ সংগ্রহ, পাটখড়ি শুকানোসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের পাট ও আমন চাষিরা
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮৯৯ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। ফলন হয়েছিল হেক্টরে ২ মেট্রিক টন। চলতি বছর হেক্টর প্রতি দুই দশমিক দুই মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। প্রায় তিন হাজার পাট চাষি পাটের আবাদ করেছেন। গত বছর প্রতি মণ পাটের দাম ছিল এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়। প্রতি বিঘায় কৃষক পাট বিক্রি করে লাভ পাচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পাটখড়ির দাম যোগ করে বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
খর্ণিয়ার আঙ্গারদহ এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে খাল ও বিলে পানি না থাকায় সময়মত পাট জাগ দিতে না পারলেও ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দামে পাট বিক্রি হচ্ছে। এতে তার মতো সকল চাষিরা অনেক খুশি।
২ বছর আগে