ভয়ভীতি
ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়কালে ভুয়া পুলিশ আটক
মাদারীপুরের রাজৈরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় শাহিন শেখ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন শেখ উপজেলার বৌলগ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন শাহিন।
এসময় বিষয়টি সাধারণ মানুষের সন্দেহে হলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিচয় দানকারী শাহিন শেখকে আটক করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃত শাহিনের কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি-ডাকাতির মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
যশোরে লাঠির আঘাতে নারীর মৃত্যু, প্রেমিক আটক
১ বছর আগে
গাইবান্ধার মতো খুলনায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ!
খুলনায় ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ।
শনিবার খুলনা বিএমএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী চিকিৎসক শেখ বাহারুল আলম এ অভিযোগ করেন।অভিযোগে তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে কালো টাকা বিতরণ করা হচ্ছে এবং খুলনার মেয়র, হুইপ ও সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মার্কেটে আগুন, ১৬টি দোকান পুড়ে গেছেআগামী ১৭ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না বলে সতর্ক করে এই প্রার্থী গাইবান্ধার মতো নির্বাচনে কারচুপি না করতে প্রশাসনের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।তিনি সব ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারির আওতায় আনার দাবি জানান।আসন্ন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত তিন প্রার্থী হলেন- খুলনা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ বাহারুল আলম ও মুর্তজা রশিদী দারা।এবারের নির্বাচনে ১০টি ভোট কেন্দ্র থেকে মোট ৯৩৭ জন ভোটার তাদের ভোট দেয়ার কথা রয়েছে।গত ১২ অক্টোবর বুধবার ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জলবায়ু পরিবর্তন: খুলনায় চিংড়ি চাষ বিপন্ন
২ বছর আগে
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রেই আমরা গোপনকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, অবৈধভাবে (গোপনকক্ষ) প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট প্রধানে হয়তো সহায়তা করছেন বা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখেছি যে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের পোশাকে প্রার্থীদের প্রতীক ছিল, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’
তিনি (সিইসি) অবশ্য এ অনিয়মের জন্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দায়ী করেননি।
সিইসি নির্বাচন বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ অনুসারে, ইসি যদি দেখতে পায় যে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, তবে ইসি কিছু বা পুরা আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনার পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে কিছু প্রার্থী বিভিন্নভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন।’
সিইসি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১৪৫টির মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
সিইসি বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখেছি ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনের সুষ্ঠু ফল পাওয়া যাবে না। ফলে আমরা পুরা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল করেছি।’
পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিইসি আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন বিপত্তি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে ইসি।’
গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনে ব্যবহৃত সব ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে ইসির নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচনের সময় কোনো যান্ত্রিক সমস্যা হয়নি, সব ইভিএম ঠিকঠাক কাজ করেছে। সমস্যাটি মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
আরপিওর ৯১ (ক) ধারা অনুযায়ী, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগসহ যেকোনো অনিয়মের জন্য যদি ইসি নিশ্চিত হয় যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে ইসি যে কোনো পর্যায়ে যে কোনো ভোটকেন্দ্রে বা পুরা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
২৩ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল শনিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) আগামী বছরের শেষ নাগাদ বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে যে কোনো ভয়ভীতি মোকাবিলায় তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো অবৈধ হস্তক্ষেপ যদি শক্ত হাতে মোকাবিলা না করা হয়, তাহলে সেটা নির্বাচন নয়, প্রহসন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আপনাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তাই আগামীতে প্রতিটি নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।’
নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার জন্য শনিবার সারাদেশের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে বিএনপি ও তার মিত্রদের হুমকির মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গতি বাড়ানোর জন্য বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু নির্বাচন তদারকির জন্য বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সংবিধানে কোনো বিধান নেই বলে দাবি করে আসছে সরকার। সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯৬ সালে ব্যবস্থাটি চালু করা ১৩তম সংশোধনী বাতিল করার পর ২০১১ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি
বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার রাজধানীর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিইসি বলেন, ডিসি ও এসপিদের কঠোর অবস্থান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আগ্রহ ও আস্থাকে শক্তিশালী করবে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করবে। আলোচনায় উঠে আসে আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথাও।
সিইসি ডিসি ও এসপিদের তাদের ভূমিকা পালন করার সময় তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ এড়িয়ে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা সরকারি কর্মচারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার অবস্থানে আপনাকে নিরপেক্ষ হতে হবে। দেশের আইন অনুযায়ী আপনাকে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সকল নিয়ম-কানুন প্রয়োগ করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে আস্থা অর্জন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি
সিইসি আরও বলেন, বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ মেটানো নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সংবিধান, আইন ও বিধি আমাদের কাজের পরিধি, ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করেছে বলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নির্বাচন (ইসি) হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
তিনি বলেন যে ডিসি ও এসপিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন জাতীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার সংস্থা গঠনের গুরুত্ব বুঝতে হবে।
বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আইজিপি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন সিইসি
২ বছর আগে