যুবক
শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
শরীয়তপুরে একটি বেসরকারি মাদরাসার সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নজরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার মহিলা কলেজ সংলগ্ন আহলে সুফফা মাদরাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লা শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালচুড়া গ্রামের সেকান্দার মোল্লার ছেলে। আহত দুইজন দহলেন- এমদাদ ফকির পৌরসভার ধানুকা এলাকার আনোয়ার ফকিরের ছেলে এবং জাহাঙ্গীর হাওলাদার একই এলাকার নূর জামান হাওলাদারের ছেলে। নিহত নজরুল ইসলাম ও আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার এমদাদ ফকিরের ওয়ার্কশপের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের বিপরীত পাশে সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে আহলে সুফফা মাদরাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাস। বিকালে ওই ক্যাম্পাসের নামফলকের সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়েছিল এমদাদ ফকির, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম মোল্লা। সাইনবোর্ড লাগানোর সময় তিনজনেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরে তাদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকি দুইজনের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লার চাচাত ভাই ইমন মোল্লা বলেন, বাবা মা নেই নজরুলের। তার অন্য ভাইয়েরাও শ্রমিকের কাজ করে। একটু সতর্ক হয়ে কাজ করলে হয়ত নজরুল মারা যেত না।
পালং মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু শেখ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নজরুল নামে এক যুবক মারা গেছেন। এমদাদ ও জাহাঙ্গীর নামে অন্য দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছে৷ নজরুলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মীর
নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভরত চন্দ্র বর্মন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার সহকর্মী আলামিন হোসেন (২৫)।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পৌর এলাকার সেলিনা পেট্রোল পাম্পসংলগ্ন ফরিদ ভোলকানাইজিংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির কথা বলে কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর, মারধরে আহত ৮
নিহত ভরত চন্দ্র বর্মন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার নওটিকা গ্রামের শীতল চন্দ্রের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার নাটোর থেকে ভরত চন্দ্র মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নন্দীগ্রাম ফরিদ ভোলকানাইজিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভরত চন্দ্র বর্মন মারা যান। মোটরসাইকেলে পেছনে থাকা আলামিন হোসেন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে ভরত চন্দ্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
করোনা টিকার নিয়ে ৩২ মাস ধরে অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন পূর্ব ভোট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
আহত ওই যুবক আশরাফুল আলম (২৫) ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের পূর্ব ভোটহাট গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন যুবক উপজেলা বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন পূর্ব ভোট সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৫৭ এর সাব পিলার ৪ এস ও ৫ এস এর মাঝে কাজ করছিলেন। এ সময় ভারতের কালমাটি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হন আশরাফুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ২টার দিকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা জানান, গুলির আঘাতে অসুস্থ এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছে বলে শুনেছি।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ বজলুর রহমান জানান, সীমান্তে রাবার বুলেটে একজন আহত হয়েছেন- বিষয়টি শুনেছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
ঝিনাইদহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহেশপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে 'গরু চোর' সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
নিহত যুবক লিটন হোসেন (৩৮) ওই গ্রামের আজিজুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় সময় ওই গ্রামের মজনু মিয়ার জমির মাসকালাই খেত তছরূপ করে প্রতিবেশী মালেক মিয়া। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে দুজনের বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে মজনুর সঙ্গে মালেকের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে তার চাচাতো ভাই লিটন এগিয়ে গিয়ে বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মালেক ও তার লোকজন।
সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে প্রথমে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর থেকে পলাতক মালেক ও তার পরিবারের লোকজন।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
গাইবান্ধায় শিশু হত্যার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবারক হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের ছয় বাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শহরের পীর বাড়ি এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে এবং দুবাই প্রবাসী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, মোবারক সাত থেকে আট মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়াকে (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতেন না।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান মোবারক ও তার স্ত্রী তানিয়া। সেখানে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে মোবারকের বাবা আব্দুল আলীম অভিযোগ করেন, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বাজিধরে ২ কেজি গুড় আর কলা খাওয়ায় প্রাণ গেল যুবকের
নওগাঁর বদলগাছীতে বাজি ধরে দুই কেজি গুড় ও কলা খেয়ে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর এলাকায়।
মৃত কৃষক বায়োজিদ হোসেন (৪৫) উপজেলার পাড়আধাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে পাড়আধাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে বায়েজিদের সঙ্গে ইসমাইলপুর গ্রামের লবার ছেলে বিতু কসাইয়ের গুড় খাওয়া নিয়ে বাজি হয়। বাজি অনুযায়ী বিতু কসাই স্থানীয় এক দোকানির কাছ থেকে দুই কেজি দানার গুড় কিনে এনে কৃষক বায়জিদ হোসেনকে খেতে দেন। বাজিতে দুই কেজি গুড় বায়জিদ খেতে পারলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও দুই কেজি গুড় কিনে দেবেন বিতু কসাই। দুজনের কথা অনুযায়ী গুড় খাওয়ার বাজি খেলা শুরু হয়।
পরে বাজি শেষে স্বাভাবিক অবস্থায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন তাকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে ওই কৃষকের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তিনি বিভিন্ন সময় বাজি ধরে এসব করতেন।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৭ মাসের শিশুসহ প্রাণ গেল ২ জনের
পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
খুলনায় নিখোঁজের ২ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর সুমন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল পৌনে দশটার দিকে জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
জানা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে শনিবার বাড়ি থেকে বের হয় সুমন। দুই দিন অতিবাহিত হলেও সে আর ঘরে ফেরেনি। সোমবার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে সুমনের মা দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি করার একদিন পরেই মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তঅ (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, নিহতের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাঁচামাটিয়া নদীর পাড় থেকে এক ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কুর্শিপাড়া এলাকায় কাঁচামাটিয়া নদীর পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেল রানা উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়াশাসন গ্রামে মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার পৌর এলাকার চাল মহালে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কাঁচামাটিয়া নদীতে মাছ ধরতে গেলে নদীর পাড়ে একটি ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার জানান, তার স্বামীর (সোহেল রানা) মা অসুস্থ থাকার কারণে একমাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে কুমড়াশাসনে থাকেন। শুক্রবার সকালে দোকানে আসার আগে তাকে বলে আসেন রাতে বাড়িতে যাবেন তিনি। কিন্তু তিনি বাড়িতে আসেননি। পরে জানতে পারি আমার স্বামীকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তরা যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর পাড়ে ফেলে যায়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এসময় লাশের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা জব্দ করা করা হয় এবং নিহত যুবকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও একটি মানিব্যাগও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সিলেটে কুশিয়ারা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে গাছে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিভার ভিউ স্কুল মোড়ে গাছে বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গাডু মিয়া (৩৫) কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এম আর সাঈদ।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই গাছে শব্দ হয়। সেই শব্দ শুনেই লোকজন লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান গাছের ডালে বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানো এক যুবক ঝুলে আছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
পরে খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে গাছ থেকে লাশ নিচে নামায়।
পরে তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় জানতে পায় সদর থানা পুলিশ।
এম আর সাঈদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক গাছে উঠে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আরও কিছু জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
মিরসরাই থেকে ফেনীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার
সিলেটে যুবক অপহরণ: কারাগারে সিসিকের ৪ কর্মচারী
সিলেটে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের অপরাধ স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেননি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ কর্মচারী।
দুদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আদালতে হাজির করলে ফের তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার কর্মচারী হলেন- সিলেট উপশহর এলাকার শাহরিয়ার আহমদ, চারাদিঘীর পাড় এলাকার রাজা মিয়া, জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশন এলাকার সিয়াম আহমদ ও সদর উপজেলার খাদিমনগর এলাকার তারেক আহমদ।
তাদের গ্রেপ্তারের পর অপহৃত মাহফুজ আহমদকে উদ্ধার করে পুলিশ। মাহফুজের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সহিদাবাদ গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ১৩ অক্টোবর বিকালে ডিবি পরিচয়ে নগরের কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে মাহফুজ আহমদকে উঠিয়ে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। তাকে নিয়ে যায় নগরের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক সিসিকের ডাম্পিং ইয়ার্ডে। সেখানে হাত-পা বেঁধে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে রেখে মারধরও করে তারা। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে মাহফুজের বন্ধু ও স্বজনদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, অপহরণের ঘটনায় পরদিন ১৪ অক্টোবর বিকালে মাহফুজের ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার পর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ কয়েদির মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে