বিজিবি
চুয়াডাঙ্গায় সীমানা পেরিয়ে দুই যুবকের ভারতে প্রবেশ, ফিরিয়ে আনল বিজিবি
মানসিক প্রতিবন্ধীসহ অসাবধানতাবশত বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুই যুবককে আটক করে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬)।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মুকুল ও একই এলাকার বুদু মিয়ার ছেলে মানসিক প্রতিবদ্ধী সাগর।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে আটক ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫.৬ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার: বিজিবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল বিকালে বিএসএফ কর্তৃক নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া দেখার জন্য সীমান্ত ৮৪/৭২-টি পিলারের নিকট যায় মুকুল ও সাগর। এ সময় ভুলবশত দু’জনেই শূন্য লাইন অতিক্রম করার সময় ৫৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাদিপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য কর্তৃক আটক হয়।
পরবর্তীতে বিজিবি’র চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন-৬ অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক প্রতিপক্ষ ৫৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী বাংলাদেশি নাগরিকদ্বয়কে ফেরত দেয়ার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ৮৪/৮৪-টি পিলারের নিকট বিজিবি বড়বলদিয়া-বিএসএফ কাদিপুর ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনা হয় বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
জাতি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পুনরাবৃত্তি চায় না: বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধ; মাদক, নারী ও শিশু পাচার আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনসহ সীমান্তবর্তী জনগণের জানমাল রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিজিবি সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান কারণ তারা তাদের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বিজিবি সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২২ এর কুচকাওয়াজে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময়ের সময় সীমান্তরক্ষীরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। ‘উৎসবের পরিবেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় করে আমরা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময়, বিজিবি বাস্তুচ্যুতদের নিবন্ধনসহ তাদের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে।
শেখ হাসিনা তার শাসনামলে বিজিবির আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবি সংস্কার উদ্যোগের আওতায় বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে এবং একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিজিবি একটি দক্ষ, শক্তিশালী, আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনীর সাংগঠনিক রূপ পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন বিজিবি স্থল, জল ও আকাশে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবিকে একটি বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার সরকার 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১' গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, 'স্মার্ট ডিজিটাল নজরদারি এবং কৌশলগত বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম' নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে বিজিবিতে উন্নত ও যুগোপযোগী অস্ত্র ও সরঞ্জাম যোগ করার কারণে এর অপারেশনাল সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে মোট এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এক লাখ ৪০ হাজার পাঁচটি সীমানা পিলার থেকে ‘পাক’ বা ‘পাকিস্তান’ শব্দগুলো তুলে ফেলে সেগুলোর জায়গায় ‘বাংলাদেশ’ বা ‘বিডি’ লেখার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
নভেম্বরে ১৩৪ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ১৩৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকার পণ্য, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৯৮৯টি ইয়াবা বড়ি, দুই কেজি ১৬২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১২ হাজার ৫৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৯১০ বোতল বিদেশি মদ, ২১৪ লিটার দেশি মদ, এক হাজার ৩১৫টি বিয়ারের ক্যান, এক কেজি ৮৮১ গ্রাম গাঁজা, চার কেজি হেরোইন, ২৩ হাজার ৯৭৪টি উদ্দীপক ইনজেকশন, আট হাজার ৫৯২টি এসকুফ সিরাপ ও এক হাজার ৬১৮টি বোতল এমকেডিল/কফিডিল।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
এছাড়াও, ৫৫ দশমিক ৫৪৬ কেজি সোনা, সাত কেজি রুপা, দুই লাখ ১২ হাজার ৫৬৩টি প্রসাধনী, ১০ হাজার ৪৯৪টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১৭ হাজার ৪২৪টি শাড়ি, ছয় হাজার ১১টি থ্রি-পিস সেট, কম্বল ও শার্টের টুকরো; এক হাজার ৬৩১ পিস তৈরি পোশাক, দুই হাজার ৯৮৯ কাঠ, ছয় হাজার ৮০কেজি চা পাতা, ৭৪ চাজার ৫৩৩ কেজি কয়লা, একটি টাচস্টোন মূর্তি, ৬৮টি মোটরসাইকেল, দুটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি পিকআপ ভ্যান, ২৪টি সিএনজি-চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সাতটি পিস্তল, আটটি বন্দুক, ককটেল, ২৪টি মর্টার শেল, ৫৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে ৫১ কেজি ভারতীয় কচ্ছপের হাড় উদ্ধার!
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে ৫১ কেজি কচ্ছপের হাড় উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। রবিবার ভোরে জেলার ভোলাহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুটানি বাজার এলাকা থেকে ভারতীয় এই কচ্ছপের হাড় উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৩৮ কেজি কচ্ছপের হাড় উদ্ধার
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল রবিবার ভোলাহাট সীমান্তের ১৯৮/২-এস নং সীমান্ত পিলার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুটানি বাজার এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় দুই জন চোরাকারবারীকে দেখতে পেয়ে টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা দুটি বস্তা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল ফেলে যাওয়া বস্তা থেকে ৫১ কেজি কচ্ছপের হাড় উদ্ধার করে।
যার সিজার মূল্য ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে বিজিবির অপর একটি দল শনিবার রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তের পারচৌকা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ১১ হাজার ২০০ প্যাকেট পাতার বিড়ি ও ৪৩ কেজি তামাক পাতা উদ্ধার করে।
যার সিজার মূল্য তিন লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা।
দুটি ঘটনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২৩ কেজি ওজনের চিত্রা কচ্ছপ উদ্ধার!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯ লাখ টাকার কচ্ছপের হাড় উদ্ধার
৩ দিনের সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবি’র প্রতিনিধি দল ভারতে
বিজিবি-বিএসএফ’র উচ্চ পর্যায়ের তিন দিনের সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিতে ভারতে গেছেন।
রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ এহসানের নেতৃত্বে বিজিবির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি নুসরাত জাহানসহ ১৪ জন বিজিবির কর্মকর্তারা।
প্রতিনিধি দলটি বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পৌঁছলে ভারতের বিএসএফ’র কলকাতা সেক্টর কমান্ডার রাজেস কুমার তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে ভারতের পেট্রাপোল বিএসএফ ক্যাম্পে বিজিবির প্রতিনিধি দলকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।
কলকাতায় বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএসএফ’র আইজিপি অতুল ফুলজেলে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, ভারতের কলকাতায় ১৩ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হবে। ১৬ নভেম্বর আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলটি বেনাপোল চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসবেন।
বৈঠকে সীমান্ত পথে অবৈধ অস্ত্র ,অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মাদক, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ভারতে ফিরল ৯ দেশের পর্যটকবাহী কার র্যালি
বেনাপোল চেকপোস্টে স্ট্রোক করে ভারতীয় নারীর মৃত্যু
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ৯ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সাতক্ষীরায় বিজিবি সদস্যের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক বিজিবি সদস্যের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের মাধবকাটি অন্নের মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেরমত আলী (৭০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত মুনসুফ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
মাধবকাটি গ্রামের বাবুরালী জানান, শুক্রবার সকালে হেরমত আলী বাইসাইকেল চড়ে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্যে সাড়ে ৯টার দিকে অন্নের মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এক বিজিবি সদস্যের মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা মারে। এতে তিরি রাস্তায় পড়ে যান। ওই বিজিবি সদস্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবকাটি মোড়ের এক গ্রাম ডাক্তারের কাছে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় সকাল ১০ টার দিকে চিকিৎসক হেরমতকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে দুর্ঘটনার শিকার বিজিবি সদস্যের পরিচয় তারা জানাতে পারেননি।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত হেরমতের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত, ৭ গরুর মৃত্যু
নওগাঁয় চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবি সদস্যসহ ২ জন গুরুতর আহত
নওগাঁর ধামইরহাটে গরু চোরাকারবারিদের ছুরিকাঘাতে বিজিবির বস্তাবর ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন ও বিজিবির সোর্স তারেক হোসেন গুরুতর জখম হয়েছেন। শুক্রবার ভোরাত ৩টার দিকে উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে শাখাহাটি এলাকায় টহলরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিজিবির বস্তাবর ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন এবং বিজিবির সোর্স বীরগ্রাম গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে তারেক হোসেন (৩৫)।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহত মজিবর হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় স্থানান্তর করেছে বিজিবি ব্যাটালিয়ন। তাকে ঢাকায় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বিজিবি আরও জানায়, এ সময় অপর জখম তারেক হোসেনকে প্রথমে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
বিজিবি আরও জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জখমী বিজিবির সদস্যর সরকারি পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আরিফুল ইসলাম, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন, ধামইহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজীসহ থানা পুলিশসহ বিজিবির ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন রাতে শাখাহাটি বাজার সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে চোরাকারবারিদের একটি দল বিজিবির নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন ও সোর্স তারেক হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ১৪ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন গুরুতর জখম নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেনকে শুক্রবার ভোর রাতে উদ্ধার করে প্রথমে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিজিবির হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় বিজিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আমরা সম্পূর্ণ ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, এখন সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির অস্ত্র ও গুলি জব্দ
অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তারা অক্টোবরে অস্ত্র ও মাদকসহ ৯৮ কোটি পাঁচ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করেছে।
বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, জব্দ পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৩৯৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই দশমিক ১২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১৩ হাজার ৬৭০ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ২২৭ বোতল বিদেশী মদ, ১২০ লিটার দেশি মদ, তিন হাজার ৮১৫টি বিয়ারের ক্যান, দুই হাজার ২১৪ কেজি গাঁজা, ৫২৭ গ্রাম হেরোইন, ৪৪ হাজার ২৩৭টি উদ্দীপক ইনজেকশন, সাত হাজার ২২৯টি এসকুফ সিরাপ এবং এক হাজার ৬০৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
এছাড়াও আরও জব্দ করা হয়েছে- ২৭ দশমিক ৮২৯ কেজি সোনা, ২৪ দশমিক ৪৮৯ কেজি রূপা, এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭টি প্রসাধনী, পাঁচ হাজার ৭০২টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৩৬৪টি শাড়ি, পাঁচ হাজার ৩২৩টি থ্রি-পিচ কাপড়-কম্বল-শার্টের কাপড়, দুই হাজার ৮৭০টি তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৫৬৪ ঘনফুট কাঠ, চার হাজার ৭০৯ কেজি চা-পাতা, ৩৫ হাজার ২৫০ কেজি কয়লা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৮১টি মোটর সাইকেল, সাতটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১০টি পিক-আপ ভ্যান, ১৯টি সিএনজি অটোরিক্সা-ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা-কার।
জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি পিস্তল, তিনটি বন্দুক, ২৯ রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগজিন।
এছাড়াও, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ২২৯ ‘চোরাকারবারী’, ১১৯ বাংলাদেশি ও ১১ ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান শরিফুল।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক রবিবার
পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির অস্ত্র ও গুলি জব্দ
টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন বিজিবির রেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। টানা ৫ ঘন্টার পতাকা বৈঠকটি শেষ হয় বিকাল ৩ টায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশ এসে পড়া এবং আকাশ সীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ রূপ ঘটনা ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ।
বৈঠক শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, বৈঠকের শুরুতে বিজিবি সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়ে আলোচনা করেন। সম্প্রতি একাধিকবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা এসে পড়া ও মিয়ানমারের হেলিকপ্টার আকাশ সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালে বিজিপির পক্ষে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: আশিয়ান: বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য না থাকার ঘোষণা মিয়ানমারের
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ রূপ ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুত দিয়েছে মিয়ানমার।
তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি-বিজিপি এক সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক চোরাচালন বন্ধ করতে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষে আলোচনা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, বৈঠকে বিজিপির পক্ষে বলা হয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে সীমান্তে নানা অপরাধ করছে। বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার অস্বীকার করা হয়।
বিজিবির পক্ষে জানানো হয়, কখনও কোন সময় বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোন প্রকার সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ কোন সহায়তা করেন না। ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসীদের রোধে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ আজিজুর রউফ জানিয়েছেন, পতাকা বৈঠকটি নিয়মিত বৈঠকের একটি অংশ। গত তিন মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে বৈঠক করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিজিপির কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজী হয়। এই বৈঠকে আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্টিত হয়েছে।
তিনি জানান, রবিবার সকাল ৯ টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফ পৌঁছেন। এর পর শুরু হয় বৈঠক। সেখানে বিজিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। বিজিপির পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিয়ানমারের ১১ বর্ডার গার্ড পুলিশের অধিনায়ক কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক রবিবার
সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বৈঠকে উভয় দেশের ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করবেন।
দীর্ঘ আড়াই মাস সীমান্তে উত্তেজনার পর অবশেষে মিয়ানমার বৈঠকের সাড়া দিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত বরাবর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। এর পরের দিন মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া আরও দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। এতে সীমান্তে বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে বাড়ে আতঙ্ক।
এভাবে ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পড়ে আরও কয়েকটি মর্টারশেল। যা বিস্ফোরিত হয়ে এক রোহিঙ্গা মারা যায় এবং আহত হয় ছয়জন। যার ফলে সীমান্তে বসবাসরত অনেকে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে আশ্রয়ে চলে যান দূরে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কয়েক দফা কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। তবুও সীমান্তের পরিস্থিতি একই রকমের রয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
পর্যায়ক্রমে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত হয়ে টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলতে থাকে গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। এতে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি বাসিন্দারা।
এ অবস্থায় ১০ অক্টোবর সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে পরিদর্শনে যান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। সীমান্ত পরিদর্শনের পাশাপাশি দেখেন বিজিবি সদস্যদের কার্যক্রম।
ওই সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পাশাপাশি বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা চালান। সময় নির্ধারণ না হলেও পতাকা বৈঠকের সম্মতি জ্ঞাপন করেন বিজিপি। চলতি মাসের ২৩ তারিখ সর্বশেষ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনা গেলেও ধীরে ধীরে কমে যায়। এরপর থেকে আর শোনা যায়নি। চলমান সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বৈঠকে রাজি হলো মিয়ানমার বিজিপি।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মো. ইফতেখার জানান, রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে উভয় দেশের ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে সে সম্বন্ধে আলোচনার পাশাপাশি উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বৈঠকের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গত প্রায় ৩ মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিজিবি কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ