মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও আশেপাশের অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন
করোনাভাইরাসের দ্রুত পরিবর্তনশীল ও অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের নতুন মিউট্যান্ট নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএ.২.৭৫ নামের এই ধরনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ভ্যাকসিন ও আগের সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে পারে।
তবে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরা বিএ.৫ সহ ওমিক্রনের অন্যান্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় বেশি প্রাণঘাতী কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
মিনেসোটার রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের ক্লিনিকাল ভাইরোলজির পরিচালক ম্যাথিউ বিনিকার বলেছেন, ‘ আমাদের পক্ষে এখনও এটার (ওমিক্রনের এই ধরন) সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা সম্ভব না। তবে দেখে মনে হচ্ছে, বিশেষত ভারতে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এটি বিএ.৫-এর সমান গতিতে ছড়াবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১,১৬১
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, এটি ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গায় শনাক্ত করা হয়েছে।
নয়াদিল্লির কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি-এর বিজ্ঞানী লিপি থুকরাল বলেন, ওমিক্রনের সাম্প্রতিক মিউট্যান্টটি ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শনাক্ত হয়েছে এবং অন্যান্য রূপের তুলনায়েএটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সহ প্রায় ১০টি দেশে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে দুজনের দেহে এই মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ হল প্রচুর পরিমাণে মিউটেশনের ফলে নতুন রূপটি ওমিক্রনের অন্যান্য ধরনের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে।
আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল জিনগত পরিবর্তনের কারণে অতীতের অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ এখনও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৭১ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চায় মার্কিন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশের উন্নয়নের পথযাত্রায় অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা। সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই ও ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা।
ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সম্মেলনে অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুবর্ণ সময় চলছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পিড ট্রেন, সমুদ্র অর্থনীতি, হাইটেক পার্ক, দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারণে বাংলাদেশকে পরবর্তী বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অব্যাহতি, ডিউটি ড্র ব্যাকসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
সফররত মার্কিন উদ্যোক্তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি টার্মিনাল, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো ওয়্যারহাউজ অ্যান্ড কোল্ড চেইন, এভিয়েশন, শিপিং ও বন্দর, অটোমোবাইল, হোটেল ও হসপিটালিটি, ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনুষ্ঠানে শেভরনের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মিশন লিড জে আর প্রায়র বলেন, বাংলাদেশ অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। খুব বেশি দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিতে পারেনি। বাংলাদেশ এই সাফল্য অর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর দক্ষতা, সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা দু’দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী।
তিনি জানান, বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা খুবই আশাবাদী। সে কারণেই প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসেছেন।
ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালক সিদ্ধান্ত মেহরা বলেন, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বহুমুখী বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
উন্মুক্ত আলোচনায় এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ৯ বিলিয়ন ডলার। যা সম্ভাবনার তুলনায় কম। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে প্রতিনিধি দল কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্টস আইওটি ও স্বাস্থ্যখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ভালো সুযোগ রয়েছে।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সিইপিএ চুক্তি সইয়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে একটি আদর্শ দেশ। বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে পারেন মার্কিন উদ্যোক্তারা।
ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় জানান, বাংলাদেশের যেসব বিদেশি কোম্পানি রয়েছে, প্রত্যেকেই খুব মুনাফা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদেরও এই সুযোগ নেয়া উচিত।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের দাম তূলনামূলক কম বলে জানান বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমদানির আহ্বান জানান তিনি।
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি জানান, বাংলাদেশের ইউইসএ সার্টিফায়েড অনেকগুলো ফার্মেসি প্লান্ট রয়েছে। এদেশের ওষুধ কারখানাগুলো বিশ্বমানের যন্ত্র দিয়ে সজ্জিত। এছাড়াও এ দেশের শ্রমশক্তিও তূলনামূলক স্বস্তা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানির বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য।
এসময় তুলা আমদানিতে ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিলের আহ্বান জানান বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই ও ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় হামলা জোরদার রুশ বাহিনীর
ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় হামলা জোরদার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। মঙ্গলবার আগ্রাসনের ষষ্ঠ দিনে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের সেন্ট্রাল স্কয়ার এবং কিয়েভের প্রধান টিভি টাওয়ারে বোমাবর্ষণ করেছে। এ ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে একে সন্ত্রাসের নির্লজ্জ প্রচারণা বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘কেউ ক্ষমা করবে না। কেউ ভুলবে না।’
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) তার প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মূল্য দিতে’ হবে দায়ী করে তার বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।
ইতোমধ্যে শত শত রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য যানবাহনের ৪০ মাইলের (৬৪ কিলোমিটার) দীর্ঘ সেনা বহর প্রায় তিন মিলিয়ন লোকের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
রুশ বাহিনী দক্ষিণে ওডেসা এবং মারিউপলের কৌশলগত বন্দরসহ অন্যান্য শহরগুলোতে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করবে আইসিসি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধের ষষ্ঠতম দিন রাশিয়া কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতে রেখেছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা এখনও অস্পষ্ট। একজন ঊর্ধ্বতন পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, যুদ্ধে ৫ হাজারের বেশি রাশিয়ান সৈন্য বন্দী বা নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন সেনা ক্ষয়ক্ষতির কোনো সামগ্রিক হিসাব দেয়নি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলছে, তারা ১৩৬ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুই দিনে জনবহুল এলাকায় রাশিয়ার বিমান ও কামান হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আরও বলা হয়, তিনটি শহর- খারকিভ, খেরসন এবং মারিউপল-রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে পড়েছে।
পড়ুন: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পরবর্তী শান্তি আলোচনা বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে
৫৭১০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের
করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ১৫ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৫২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৩ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৮১ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৯০৭ জন।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়াল
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৩ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৪২২ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৫ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া ও চীনের টিকা স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৮ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
এদিকে, বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩০৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৮ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০.৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
লকডাউন বাড়ল
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার ছয়টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকান ও শপিংমলগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংস্থা ও বাজার পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই নির্দেশনা অনুসারে, পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত কাউকে ভারত থেকে বিমান, স্থল ও নদী পথের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও যে সকল বাংলাদেশি এখন ভারতে রয়েছেন এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছ থেকে রিলিজ/ সার্টিফিকেট গ্রহণের পর দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৮২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৮৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭২ হাজার ২০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৭ জনের।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৭ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়েছে বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৫৩ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৮৩ জন মারা গেছে এবং ২ হাজার ৬৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩.৩৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩০১ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
কোভিড-১৯: বিশ্বে একদিনে প্রায় ১৪ হাজার মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৪ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৯২৩ জন।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার ১৬২ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৫ জনের।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলোর নিরন্তর সম্প্রচার
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে বলে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৮০ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের মৃত্যু এবং একই সময়ে ৪ হাজার ৫৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৭২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.০৭ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৬.৭৭ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৩০ লাখ ৪১ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৩ জনে।
এছাড়া, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৯২৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ৯২ হাজার ১১০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার তিনজনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৩০ জন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯১ জন মারা গেছেন।
এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৮৮ জনে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ৫৫৯ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জনে।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮১১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ১১১ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৮৫ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৬.৩১ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৩০ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৯ হাজার ২৫ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৪৫৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৮ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৯ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ১২ হাজার ২২৮ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জন মারা গেছেন বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবারও ১০১ জন মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৩ হাজার ৪৭৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৫ টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৪৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮৯ শতাংশ। মৃত্যুরহার ১.৪৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫.১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে প্রতিদিন নতুন শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে সারাদেশে আটদিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: টানা দ্বিতীয় দিন শতাধিক মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জন মারা গেছেন বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবারও ১০১ জন মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে প্রথম শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ২৩.৩৬ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৩ হাজার ৪৭৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৫ টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৪৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮৯ শতাংশ। মৃত্যুরহার ১.৪৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫.১২ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে সারাদেশে আটদিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩০ লাখ
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকালে জন্সহপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৪১ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গতবছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৬ হাজার ২১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে প্রতিদিন নতুন শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৯ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ২১৩ জন।