সেতু
বাবুবাজার সেতুতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রাজধানীতে প্রবেশমুখে বাবুবাজার সেতুতে ট্রাকের ধাক্কায় লোকমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত ৩
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামান জানান, গুরুতর অবস্থায় বাবুবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের ঢাল থেকে আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লোকমানকে মৃত ঘোষণা করে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিকালে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন। সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ৮ হাজার ৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেতুগুলো উদ্বোধন করেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি (শুধু খাগড়াছড়ি জেলায় ৪২টি), ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৭টি এবং রংপুর বিভাগে ৩টি নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ বিভাগ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুগুলো নির্মাণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী নবনির্মিত ১০০টি সেতুর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা করেন।
আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুয়ার খুলছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যখানে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর। জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাণীগঞ্জ সেতুর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এই সেতুসহ সুনামগঞ্জের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন হবে সোমবার (৭ নভেম্বর)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, এ জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে সিলেটে যেতে হতো। এতে অর্থ ও সময়ের ব্যয় হতো। দীর্ঘদিন ধরে এ জেলাবাসীর দাবি ছিল ডাবর-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যখানে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু স্থাপনের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কিন্তু সুনামগঞ্জের অনেক রাজনীতিবিদ মহান জাতীয় সংসদে এমপি-মন্ত্রী হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেও আশ্বাস দিয়েও সেতু বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান হাওরবাসীর স্বপ্নের এ সেতুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
এতে প্রধানমন্ত্রীও সম্মতি জানান। ফলে এ প্রকল্পের অনুমোদন হলে ২০১৭ সালে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করে এমএম বিল্ডার্স এন্ড কোম্পানি।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ ছিল কিছুদিন।
ফলে ২০২২ সালের আগস্টে এসে কাজ শেষ হয়। পরবর্তীতে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম এ সেতুর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সেতু খুলে দেয়ার পর দুর্ভোগ-ভোগান্তি কমবে সুনামগঞ্জের ২৫ লাখ মানুষের। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দুরত্ব কমবে ৫৫ কিলোমিটার, সময় বাঁচবে প্রায় আড়াই ঘন্টার মতো।
সেতুর কাজ সস্পন্ন হওয়ার পর পরই প্রতিদিন কুশিয়ারার দুই পাড়ে লেগে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। অনেকেই এ সেতুটিকে হাওরাঞ্চলের পদ্মাসেতু বলে থাকেন। সেতুটি যেমন সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু তেমনি দৃষ্টিনন্দনও।
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সুনামগঞ্জবাসী।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ নভেম্বর সারাদেশের ১০০টি সেতু উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রাণীগঞ্জ সেতুসহ সুনামগঞ্জের ১৭টি সেতু উদ্বোধন হবে।
এতে সুনামগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার কমবে। এর আগে ২০০৩ সালে ধলাই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু ছিল কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতু (দীর্ঘ ৪৩৪.৩৫ মিটার)।
উদ্বোধন হওয়া রাণীগঞ্জ সেতু দৈর্ঘ্য এর দিক দিয়ে এ সেতুরও রেকর্ড ভাঙল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
পরীক্ষামূলক পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম বারের মতো রেল চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ইঞ্জিন ও খোলা বগি নিয়ে ভাঙা রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে।
এসময় পদ্মা সেতুর রেল সড়ক প্রকল্পের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলীগণ, রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ, চীনা কোম্পানির প্রতিনিধি দল উপস্থিতি ছিলেন।
এর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে পদ্মা সেতুর দিয়ে রেল চলাচল উপলক্ষে স্টেশনটিকে সাজানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
ভাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, রেল বগি গ্যাংকার ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের পরিক্ষামূলক ভাবে সকাল সাড়ে ১০ টায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পর্যন্ত ছেড়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আফজাল হোসেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর, জেনারেল এস,এম জাহিদ ও রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেছেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক এই ট্রেনটি চলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের তথা ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু এবং বিভিন্ন উন্নয়নের করার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষকে ঋণী করে ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা এছাড়া চায়না সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ
পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু
গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের মোরবি জেলায় রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সোমবার এক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রাতে বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধারের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ জনে।এ ঘটনায় আরও ১৮০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম নিয়ে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সেতুটিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল।
১৪০ বছরের পুরোনো সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল এবং ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেছেন, সেতুটির সংস্কারের কাজ করা বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
গুজরাটে সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে নিহত ৮
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
ভারতের গুজরাটে একটি ক্যাবল সেতু ভেঙে ৯১ জন নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেক মানুষ সেখানে আটকা পড়ে আছেন।
রবিবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মাছু নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সেতুটিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল। এখন পর্যন্ত ৯১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে সেতুটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।
রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
গুজরাটের একজন মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সেতুটির সংস্কার হয়েছে। আমরাও হতবাক।সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনার বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইতোমধ্যে এ ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
দুর্ঘটনায় শোক জানিয়ে এক টুইটে মোদি লিখেছেন, ‘ এ দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
রাজ্য সরকার প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে চার লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
নড়াইলের মধুমতি নদীতে বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি সেতু নামেও পরিচিত ৬৯০ মিটার এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নিলসেন-লোহসে আর্চ ধরনের এই সেতুর মাধ্যমে দেশের গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। নিলসেন-লোহসে ব্রিজ হল বাঁধা খিলান সেতু,যেখানে বন্ধনীযুক্ত তারগুলো একে অপরকে অতিক্রম করে এবং ইন্টারসেকশন ক্ল্যাম্প দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৭ দশমিক এক মিটার প্রস্তের সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ। সেতুর দুই পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কালনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
টোল হার নির্ধারণ
মধুমতি সেতু কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সেতু পারাপারে বিভিন্ন যানবাহনের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে।
বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেলবিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশন জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা হারে টোল দিতে হবে।
প্রথমে টোল ম্যানুয়ালি আদায় করা হবে। পরবর্তীতে অপারেটরের মাধ্যমে ডিজিটালভাবে টোল আদায় করা হবে।
ফাঁকা জায়গায় সংযোগ স্থাপন
কালনাঘাট থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। কালনা সেতু চালু হলে ঢাকা ও আশপাশের নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশপাশের এলাকার যাতায়াতে ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার কমে আসবে।
সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল ও কলকাতার সড়ক যোগাযোগে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। মধুমতি নদী কালনা পয়েন্ট এসব রুটের মাঝখানে পড়েছিল যেখানে এরআগে সেতু করা হয়নি।
সেতুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় সংযোগকে ভূমিকা রাখবে এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল এবং নোয়াপাড়া সামুদ্রিক বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
নড়াইলের লোহাগড়ায় ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) চালু হলে ব্যবসার প্রসার ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া শিল্পনগর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের জন্য কালনা সেতু পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় আশীর্বাদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কালনাঘাট পয়েন্ট থেকে ফেরিতে করে মধুমতি নদী পার হতে যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার অবসান হলো এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
পড়ুন: তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
২১ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে কালনী নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কবিহীন একটি সেতু। জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগের পরিবর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত আট গ্রামের বাসিন্দাদের।
উপজেলার ইসলামপুর, সুরিকোনা, দক্ষিণ কালনীরচর, চর তাজপুর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, মতুরাপুর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালনীরচর-শেরপুর সড়কটি।
এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় কালনী নদী এই সড়কটিকে ছেদ করেছে। এদিকে সড়কটি ব্যবহার করেই মহাসড়কে উঠতে হয় গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০১ সালে সাদীপুর ইউনিয়নের কালনী নদীর ওপর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে এক বছরের মধ্যেই এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি দেবে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুটি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
গত ২১ বছরে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোনা মিয়া গাজী জানান, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও কাজের অনিয়মের কারণে মাটি দেবে গিয়ে সেতুর সঙ্গে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সেতুর সংযোগ না থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য খালিছ মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হতে হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্টদের কাছে সেতুটির সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বর্তমান সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সরেজমিনে দেখে গেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ মুছা বলেন, এটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কোনো সমস্যা হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে এটা ব্যবহার করা যেত।
বিগত সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ডিও লেটার পাওয়া গেলেও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি।
সড়কটি সংস্কার এবং সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ওই সেতু পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসীর অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সেতুতে সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়া গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বঙ্গভবন থেকে গাড়ি যোগে রওনা হয়ে তিনি মাওয়া দিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ১০ মিনিট সেতুতে অবস্থান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত এবং মিঠামইনের আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
পরে ২ টা ২৭ মিনিটে সেতু থেকে নেমে রাষ্ট্রপতি জাজিরায় পদ্মা সেতুর ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়ায় যাত্রা বিরতি করে। পরে ২টা ৫৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির পদ্মা সেতুতে আগমনের খবরে খুশি পদ্মা পারের মানুষ।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
নতুন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মহিলা দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
সিরাজগঞ্জে দুদিনের ব্যবধানে আরও একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড যমুনা নদীতে ডুবে যায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বালু বোঝাই বাল্কহেডটি সেতুর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হয়নি বলেও জানা যায়।
জানা গেছে, বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকদের সকলেই সাঁতরে নিকটবর্তী রান্ধুনীবাড়ী চরে উঠে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এর আগে গত রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সেই একই অর্থাৎ ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে অপর একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে তিন শ্রমিক সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠলেও মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামের রহিম সিকদারের ছেলে আবুল শিকদার নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নৌ ফাঁড়িতে একটি জিডি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য। তবে এখনও নিখোঁজ ওই শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আতাউর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা একটি বাল্কহেড যমুনার প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডটি আটকে থাকার পর ধীরে ধীরে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী ইউএনবিকে বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বাভাবিক স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ স্রোতের কারণেই ওই বালুবোঝাই বাল্কহেডটি ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় সিসি ক্যামেরায় এমনটিই দেখা যায়। যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৌযান চলাচলও বাড়ছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধের কোন নির্দেশনা নেই। যে কারণে এসব নৌযান অবাধে চলাচল করছে। ইতিমধ্যেই এ দুর্ঘটনার বিষয়টিও সেতু কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ