মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে তাদের দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় জড়ানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি (নির্বাচনকালীন সরকার) মেনে নেয়ার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান আসবে।
এবার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দাবি আদায়ে আগামী দিনে অন্য সব বিরোধী দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন শুরু করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতে অনেক আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে আমরা ১৯৯০ সালে এমন একটি আন্দোলন করেছি..আমরা এখন সেই মডেল অনুসরণ করে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করবে। ‘আন্দোলন নিজেই পরে নির্ধারণ করবে এটি কোন পথে যাবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আসলেই বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে বোঝা উচিত যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের জন্য কিছু না করে শুধু বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে বিএনপি জনগণের সামনে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারছে না। বিএনপি নেতারা জাতির সামনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ সফলতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবিলা করেছে।
তার দাবি, বিএনপি নেতারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে নস্যাৎ করতে প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে একটি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত হতাশার গল্প বলে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা প্রায়ই বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে চায়।
তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি আলাদা উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সমান্তরালে রেখে তুলনা করার কোন সুযোগ নেই।
পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রকল্পে ‘মেগা’ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অন্ধকার এক খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ জীবিকার সব উপায় হারিয়ে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এখন নিম্নগামী।’
সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিতে দেশ ভরে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটপাট, মানি লন্ডারিং, হত্যা ও দুর্নীতির গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের আর্থিক খাত লুণ্ঠনে সবসময় (লুটেরাদের) সহযোগিতা করেছে। কারণ লুটপাটের মূল হোতারা সবাই সরকারের এজেন্ট...বাংলাদেশকে দেউলিয়া করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লোডশেডিং সরকারের ভুল নীতির ফল: বিএনপি
ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর বাসায় নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি নেতা বলেন, জসিমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকতে এবং তার দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই তারা দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে ক্ষমতাসীন দল সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আওয়ামী কারাগারে বন্দী। নাৎসি শাসনের বিষাক্ত দখলে মানুষের জীবন বিপন্ন এবং সবাই জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দলের অস্তিত্ব সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘তাই তাদের এখন একমাত্র কর্মসূচি পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের জন্য মিথ্যা মামলা করা। সরকার নির্লজ্জভাবে প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
ফখরুল বলেন, সরকারের সেই ‘অশুভ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জসিমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জসিমের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
সরকার পতনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আব্বাস
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়া অর্থহীন, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো কমিশন নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, গত দুই নির্বাচনে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো কমিশনই বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার পর তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দেখা গেল ভোটের আগের রাতেই ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় আপনারা (সাংবাদিকরা) কীভাবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেব বলে আশা করেন? ইসি কী করবে? তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না তা নির্ভর করছে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রকৃতির ওপর। ‘আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাহলে আমরা ইসির আলোচনায় যোগ দিই কি না দিই তাতে কি হবে?’
দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য রবিবার সকালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি আলোচনা শুরু করার সময় বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, জনগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বা বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেখতে চায় না।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আব্বাস
তিনি বলেন, ‘তাই এই কমিশনের কোনো সংলাপ, আলোচনা বা ইভিএম ইস্যুতে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। সরকারের পরিবর্তন না হলে এবং নিরপেক্ষ সরকার না এলে দেশে নির্বাচন হবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের প্রধান সংকট হলো এখানে গণতন্ত্র নেই। ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রথম দরজা। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে চারটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে চিরকালের জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এটা সত্য যে অনেক দেশে দলগত সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের চর্চা করে আসছে।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দল আরেকটিকে বিশ্বাস করে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না তা আওয়ামী লীগ নিজেই আগের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ করেছে। এমনকি তারা জোরপূর্বক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কারচুপি করেছে।’
আরও পড়ুন: যাত্রাপথে ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনন্দ নেই: বিএনপি
ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
এক হাজার পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না আ.লীগ: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ রেখে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আপনার (সরকার) প্রতি জনগণের কতটা আস্থা আছে তা দেখার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করুন। আইয়ুব খান পাকিস্তান আমলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। গণতন্ত্র ও জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি না থাকলে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো মানে হয় না। যদি তাদের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার না থাকে।’
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা থাকায় জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিচ্ছে বলে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোট কারচুপি করে এবং জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার কীভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে?
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
‘বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার আবশ্যক। অন্যথায়, স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার আনলেও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা অসম্ভব,’ বলেন তিনি।
এই সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ফখরুল তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের ফলাফল তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনে হয় সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘এটি মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
‘বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা মনে করেন, সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘তারা মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই’।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সারাদেশে মানুষ ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছে। ‘ঘন ঘন বিদ্যুত কেটে যাওয়া প্রমাণ করেছে যে শতভাগ বিদ্যুতের কভারেজের বিষয়ে সরকারের মন্তব্যগুলি কেবল বাগাড়ম্বর।
তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার মূল লক্ষ্য নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশ একটি ভঙ্গুর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে দেখা গেছে যে প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। কারণ রিজার্ভ থেকে সাডে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) নামে সরকারের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে।
তারা বলেছে যে এগুলি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলির দেয়া বাধ্যতামূলক ঋণ এবং আইএমএফ এই পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
সরকার শুধু নিজের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালীদের স্বার্থে অর্থনীতির সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে দেশের এই ভয়াবহ ক্ষতি করছে।
তিনি বলেন, প্রভাবশালীরা ইডিএফ ঋণের নামে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ‘অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে এই ধরনের ঋণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব সামাজিক অর্থনীতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দেবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের বৈঠকে ইডিএফ ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মানুষ বন্যাকবলিত এলাকায় অনাহারে না খেয়ে আছে। বিনা চিকিৎসায় আছে, অথচ তারা (সরকার) পদ্মাসেতু নিয়ে ব্যস্ত।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুলের দাবি, সিলেটের ৩০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে শতকোটি টাকা খরচ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য গান-বাজনা হবে। কিন্তু জনগণ না খেয়ে আছে, মারা যাচ্ছে-সেদিকে তাদের খেয়াল নাই। কারণ, জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।
ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন , বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যার্থ হয়েছে সরকার। লাখ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও প্রধানমন্ত্রী গুটিকয়েক মানুষকে ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন-কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ঘুরে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির জন্য বড় বড় প্রজেক্ট করে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য। কিন্তু জনগণের জন্য প্রজেক্ট করে না।
শেয়ালের কাছে যেমন মুরগি দেয়া যায় না, তেমনি শেখ হাসিনার হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া যায় না। তাই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে এই সরকারকে রুখে দেয়ার জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাওয়ায় ৯০টি পশ্রাব খানা ৯ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। এই টাকা যদি সিলেটের বন্যার্তদের দেয়া হত তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন তারা মানুষের জন্য কোন কাজ করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসনে রেখেছে। এই সরকার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চলনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পড়ুন: আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে অবিলম্বে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের অধীন ভাটরায় বিএনপির তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হাজার হাজার বন্যার্ত মানুষ যখন অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত।
তিনি বলেন, ‘দেশে বন্যা চলছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তরের নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বড় নদীগুলোর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ‘বন্যার পানি ফসল, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু এবং মানুষের মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন,‘আমরা এই এলাকাগুলোকে অবিলম্বে বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার এবং কোনও বিলম্ব ছাড়াই এইসব এলাকার মানুষকে ত্রাণ সরবরাহ করার দাবি জানাই। এই দুঃসময়ে সরকার উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তারা পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এতই ব্যস্ত যে জনগণের কল্যাণ ও জনদুর্ভোগের দিকে তাকানোর সময় নেই।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হিসেবে দেশ বন্যার মুখে পড়ছে। ‘কিন্তু সেই বন্যা রোধ করা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো সরকারের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি বলে আক্ষেপ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, সরকার অনেকদিন ধরেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার কথা বলে আসছে, কিন্তু এখনো তা হয়নি।
ফখরুল বলেন, তারা (ভারত) যখন হঠাৎ করে ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়, তখন পানির চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। ‘সিলেট, সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চল এখন এই সমস্যার সম্মুখীন। এটা এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং জনগণের প্রতি অবহেলার প্রমাণ’।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বন্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন হাওর ও অন্যান্য অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত অনেক বাঁধ, সেতু ও রাস্তা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা প্রতিরোধে এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় জনদুর্ভোগ কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এ সময় জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে ৩০ মে কিছু বিদ্রোহী সেনা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আয়োজনে এদিন রাজধানীর ৭০টি পয়েন্টে মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দুস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেন।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে। ক্যাম্পে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়।
দলের সকল জেলা, মহানগর ও থানা ইউনিটও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। আগামী ৭ জুন এই কর্মসূচি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি
সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিন পর ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েও কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে তিনি জানান, তারা অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনার পরে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে একটি ঘোষণা নিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর ইরান বলেন, দেশের এক সঙ্কটময় সময়ে তারা বিএনপির সঙ্গে বসেছেন। ‘আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার নেই... এমন সময়ে আমরা বিএনপির সংলাপকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বিএনপি সফল হবে। ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমাদের দল বিএনপিকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে।’
মঙ্গলবার নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, কারণ এটি জনগণের টাকায় নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই পদ্মা সেতু আপনাদের একার নয় এবং এটি আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
সোমবার পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এই সমাবেশে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ ও করদাতাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনি মানুষের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন। তারা আরও জানতে চায়, আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকা পকেটস্থ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য যে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কত টাকা ব্যয় করতে হবে তাও জনগণ জানতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা এখন কঠিন।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের রোষানল এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিজের বাসভবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ‘আপনি মানুষকে ভয় পান। এইজন্য আপনি মানুষের সামনে আসেন না।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে ফখরুল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ