মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতা পদক প্রদানে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটাই ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত স্বাধীনতা পদক নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চিকিৎসা ও সেবা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আমির হামজা নামে একজন অখ্যাত ব্যক্তিকে পদকের জন্য মনোনীত করেছে এবং পরে তা বাতিল করে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (হামজা)? অন্যদের পরিচয় বের করতে তদন্ত করুন। তাদের অধিকাংশই মন্ত্রীদের আত্মীয় বা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক, ২০২২’ তুলে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে দেশকে বাঁচাতে হলে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। ‘তারা আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রপন্থী জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করেছে। হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের আসল রং।’
তিনি দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও করেন মির্জা ফখরুল।
বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের বিষয়ে সরকারের ঘোষণাকে ‘মিথ্যা’ প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, `মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে পুরো দেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। কিসের মূল্যে, কার মূল্যে- এটা করলেন? এটা করতে পারেনি; মিথ্যা কথা।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিপুল সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব মেগাপ্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন নেই।
সোমবার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, প্রকৃত আয় না বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে টিসিবির ট্রাকের পিছনে গিয়ে যারা দাঁড়ায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য, তাদের কোনো উন্নতি হয়নি। আমার গ্রামের কৃষকের পণ্যের দাম বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি; আমার শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি। আজকে আমাদের যে শিক্ষক স্বল্প বেতনে চাকরি করেন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি; আজকে ছোট ছোট ব্যবসায়ী, হকার- তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগি করে লুটপাট করছে, তাদের।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
ফখরুল আরও বলেন, দেশ এখন ‘লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই লুটপাটের স্বর্গরাজ্য আজকে নতুন না। এটা আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রির মধ্যে আছে। যখনই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায়, তখনই তারা লুটপাট করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভয়ঙ্কর দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বর্তমান শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান শাসকের পতন নিশ্চিত করতে একটি বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তা জাতি হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন এদেশে নতুন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এসেছে... আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বর্তমান শাসককে আমাদের সরাতে হবে।’
আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার হারিয়ে ভয়ানক ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে দমবন্ধ করা এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
‘মানুষ ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদে বাস করছে। কারণ তাদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছে…তাদের ভোটের অধিকার এবং জীবনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা (সরকার) ভিন্ন আড়ালে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে,’ বলেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ‘তিনি খুব অসুস্থ, কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে জনগণকে সতর্ক করে বলেন, আওয়ামী লীগ আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের আন্দোলনে যোগদান ও সফল করার আহ্বান জানান। ‘আমাদের সংগ্রাম তখনই সফল হবে যদি আমরা জনগণকে জাগাতে পারি, রাজপথে আনতে পারি এবং ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে পারি। এটাই আমাদের এখন করতে হবে।’
ফখরুল দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কে এম ওবায়দুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল
ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দুই ঘণ্টার 'রুদ্ধদ্বার' বৈঠক করেছেন। এ সময় তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাংলাদেশে আইনের শাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।
বিএনপি নেতা জানান, জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, তারা বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছেন। কারণ এই নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছেন মন্ত্রীরা: বিএনপি
খসরু বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের কাছে আগামী নির্বাচন ও দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। ‘তারা জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? এ বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণও রয়েছে।’
তিনি বলেন, অচিম ট্রস্টার তাদের কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
আ.লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার নিশ্চিত করেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তাদের দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে কম চিন্তা করছি। আমাদের প্রধান উদ্বেগ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, এটা নিশ্চিত। কারণ তারা (আ.লীগ) আবার তাদের নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচনী ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে এবং আমাদের ঘরে বসেই দেখতে হবে। তাই আমরা এ ধরনের নির্বাচনে যোগ দেব না।’
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন। কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালামের কথিত সাম্প্রদায়িক মন্তব্য এবং বিএনপি নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্ট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বিএনপির একমাত্র দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। আমাদের দাবি নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সার্চ কমিটি গঠন নয়। নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে: আশা সিইসির
এর আগে শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান (অব.), সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।
সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো কোনো আইনের অধীনে সদ্য গঠিত এ নির্বাচন কমিশন সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এর আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যান।
এর আগের দুই নির্বাচন কমিশনের মতো নতুন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেন। সার্চ কমিটি প্রতি পদে দুজনের নাম প্রস্তাব করে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ নামের তালিকা গ্রহণ করেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম চায় সার্চ কমিটি। কিন্তু বিএনপি ও অন্য কয়েকটি দল কোনো নাম দেয়নি।
এছাড়া এ বিষয়ে সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করে।
কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে। নির্বাচনটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। তবে সাধারণ নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে আয়োজন করতে হয়।
ফখরুল অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো ইসিকেও ধ্বংস করেছে। নির্বাচন কমিশন, একটি সাংবিধানিক সংস্থা, দেশের জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার একটি পবিত্র দায়িত্ব ইসির রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি সংসদ ও সরকার গঠনে সহায়তা করাও ইসির দায়িত্ব। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইউটিলিটি সেবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার যেন বিক্রি করে সে দাবি বাস্তবায়নেও এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি শাখা ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে একই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
২ মার্চ দেশের সব জেলায় এবং ৫ মার্চ সব উপজেলায় বিক্ষোভ করবে বিএনপি।
৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ৮ মার্চ যুবদল, ৯ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ১০ মার্চ কৃষক দল সারাদেশে বিক্ষোভ করবে।
১২ মার্চ বিএনপি সারাদেশের সব ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বাজারে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করবে।
এছাড়া ১৪ মার্চ সারাদেশে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং ১৫ মার্চ তাঁতী দল বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল ও তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ ইউটিলিটি সেবার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। ‘এটি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কারণ তাদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির দাবিতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা এসব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।’
নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করতে হবে। বর্তমান ‘নির্দয়’ সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
রবিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন নিশ্চিত করে তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শক্তিশালী গণআন্দোলন চালাতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাদের (আ.লীগ) পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
আরও পড়ুন: সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভাষা আন্দোলনই ছিল বাঙালি জাতি গঠনের প্রথম ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন, সুস্থ, গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও আকাঙ্খা নিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই চেতনা ও আকাঙ্খা এখন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র সত্তা ও পরিচয়কে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘এটি এখন বাংলাদেশকে সত্যিকারের পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোট ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা পুরো দেশকে লুণ্ঠনের আস্তানায় পরিণত করেছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতিকে লুটপাটের খাতে পরিণত করেছে।’
সরকার আবারও ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সরকার বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাস/মিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এ সব মিশনের ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক ও অপেশাদার উপায়ে এসব মিশন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘এসব সংস্থা মিথ্যা ও জনগণকে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে (র্যাবের ওপর) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মিকস) বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ধুম্রজাল তৈরি করে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিশন শুধু সচেতন মানুষকেই প্রতারিত করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিকস স্পষ্টভাবে র্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। মিকস বলেছেন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তিনি কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
তিনি বলেন, দুই দূতাবাসের এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার সর্বশেষ প্রমাণ।
ইসি গঠন বিল দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়: বিএনপি
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি বলেছে, এটি দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ইসি গঠনের বিল মানি না। এটা শুধু আমাদের কাছে নয় দেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় এ বিল কেউ মানবে না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাকশাল: গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বর্তমান সংসদের এ ধরনের বিল পাস করার কোনো নৈতিক অধিকার ও এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ তারা আবার বাকশালের ষড়যন্ত্রে পড়তে চান না।
এর আগে বৃহস্পতিবার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে একটি আইনি কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে আইনি কাঠামো দিতে ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বুধবার কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার মূল বিলে কিছু পরিবর্তন এনে কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে আইনটির মাধ্যমে সার্চ কমিটির সব কার্যক্রমকে আইনি কাঠামো দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম করোনা পজেটিভ হয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, করোনার বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী অসুস্থ বোধ করছিলেন। রবিবার তাদের করোনা পরীক্ষা করালে পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
তিনি বলেন, এই দম্পতি তাদের উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের সার্বিক অবস্থা ভালো আছে বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার মন্দার পর বৈদেশিক কর্মসংস্থানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ
করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ