মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোমবার বিএনপির সমাবেশ
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার সাত ঘণ্টার গণ-অনশনের পর,আগামী সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অনশন কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় তিনি বলেন, সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া তাদের দলের মহানগর, জেলা শহর ও উপজেলা সদরের সব ইউনিট এই সমাবেশে অংশ নিবে।
ফখরুল আরও বলেন,‘আমরা সমাবেশে একই দাবি নিয়ে আসব। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আরও কর্মসূচি ঘোষণা করব এবং তাকে মুক্ত করে বিদেশে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করব।’
এদিন বিকাল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর দেয়া পানিতে চুমুক দিয়ে অনশন ভাঙেন বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশী বাধায় অনশনে বসতে পারেনি বিএনপি
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনশন শুরু করেন দল ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। এই কর্মসূচিতে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।
এছাড়া বিএনপির শরিক দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
কয়েকটি স্থান ছাড়া দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ফের ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিএনপির গণ-অনশন
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছে যে তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কারাগারে ফিরে খালেদা জিয়া নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়ে সরকার এখন তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়ে চায় না তারা।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে তারা শনিবার দেশব্যাপী গণঅনশন পালনের পর আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগের জন্য তার পরিবারের আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই; আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা কথা।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারা অনুযায়ী, তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। ‘এমনকি সরকার চাইলে তাকে সাজা থেকেও সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দিতে পারে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅনশন
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশব্যাপী গণঅনশনের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাত ঘণ্টা গণঅনশন করবেন তারা।
এ সময় তিনি বলেন, অন্য জায়গায় তারা এ কর্মসূচি পালন করতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমতি পাননি।
ফখরুল বলেন, অন্যান্য মহানগর ও জেলা শহরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বাসায় নেয়ার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর আবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়ে ১১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবারের পক্ষে তার ছোট ভাই শামিম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিএনপির গণ-অনশন
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিএনপির গণ-অনশন
‘গুরুতর’ অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে সাত ঘণ্টার গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজধানীতে অন্য কোনও উপযুক্ত স্থান না পেলে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
ফখরুল এসময় সরকারের প্রতি জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, এটা অমানবিক।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন: ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ফের ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছে যে তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে: বিএনপি
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) নির্বাচনী সহিংসতায় অনেক মানুষ মারা গেছে। অথচ আগে সাধারণ মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উৎসাহের সাথে অংশ নিত, কিন্তু সরকার তা-ও ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে যেভাবে ধারালো অস্ত্র, পিস্তল ও লাঠি হাতে দেখা গেছে তা অকল্পনীয়। কিন্তু মন্ত্রীরা বলছেন এটা একটা স্বাভাবিক ঝগড়া-ঝাটি। আমরা বলতে চাই এসব ঘটনার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য এখানে কাউকে রাজনীতি করতে না দেয়া এবং এইভাবে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করা।’
ব্যাপক সহিংসতা সত্ত্বেও ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বর্ণনা করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘এই ভদ্রলোকের (সিইসি) লজ্জা-শরম নেই।’
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: দামুড়হুদায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভার্চুয়াল সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে ১০০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু লজ্জার বিষয় যে সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। তার মানে দেশ এখন অগণতান্ত্রিক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ যে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দুঃশাসনের’ কারণে জাতি কঠিন সময় পার করছে। এখন কেউ সুখী নয়। আমরা সবাই এখন অস্বস্তিতে ভুগছি।’
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত (জ্বালানির দাম বৃদ্ধির) নিয়ে বর্তমান সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশে যখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে, তখন প্রতিবেশী ভারত তাদের দাম ৫ টাকা কমিয়েছে।’
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিট যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সরকার যুক্তি দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পরও দাম বেশি নেন কেন? আপনারা সেই সময় জ্বালানির দাম কমান না, কারণ আপনারা সেই টাকা চুরি করেন। আপনারা আবার জনগণের পকেট কেটে পকেট ভারী করার চেষ্টা করছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘ডিজেল ও কেরোসিনের দাম রাতারাতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের লক্ষণ। এক বছরে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। এক বছরে বিদ্যুতের দাম তিন থেকে চারবার বেড়েছে। সব কিছুর দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যদি আপনারা বাজারে যান দেখতে পাবেন পণ্য কিনতে কতটা অসুবিধা হয়।’
আরও পড়ুন: এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাস ভাড়া ও ট্রাক ভাড়া এখন পরিবহন মালিকরা বাড়াবেন যা শেষ পর্যন্ত চাল, ডাল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনগণের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করেছে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮৭ জন মারা গেছেন।’
এ সময় ফখরুল দেশ ও বিএনপিতে সাদেক হোসেন খোকার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি মাথা থেকে পা পর্যন্ত একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন।’
বুধবার সরকার ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশে পেট্রোলিয়ামের দাম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই: মির্জা ফখরুল
এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
দেশে সুশাসনের অভাবে সব মহলে ‘চরম পর্যায়ের নৈরাজ্য’ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে এবং এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এটি বর্তমান শাসন ব্যবস্থার অবস্থা।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর ওপর লেখা বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুধু স্বাস্থ্য খাতে নয়, প্রতিটি সেক্টরে এবং সর্বত্র চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। কারণ তাদের (ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের) মূল লক্ষ্য অর্থ উপার্জন করা।’
ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে যখন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ভয়ঙ্কর সময় পার করছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও সরকারি কর্মচারীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রুত টাকা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির একজন চালক ৪০০ কোটি টাকার মালিক। দেশে এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একজন ভিসি টাকা কামানোর জন্য এক রাতে ১৬৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা যে বর্তমান সমাজ তৈরি করেছি তার থেকে ভালো কিছু আশা করা খুবই কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয় না। কারণ মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে দুর্নীতি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। তারা মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে যেখান থেকে তারা কমিশন পেতে পারে এবং সম্পদ অর্জন করতে পারে।’
জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তবে তিনি সবাইকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, একটি ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, এখন জনসাধারণের মনে একটি বড় প্রশ্ন আসলে কবে পরিবর্তন আসবে এবং কবে আমরা এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব? আমি বলতে চাই, আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ এই দেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি,’ বিএনপি নেতার পর্যবেক্ষণ।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মতো আবারও জনগণকে জেগে উঠতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতালে দেখে এসেছি। আল্লাহর রহমতে তিনি ভালো আছেন।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল। খালেদার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
খালেদাকে ধীরে ধীরে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: আব্বাস
পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি, পরিবেশ নেই। এখানে অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে।’
রবিবার সকালে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার, তার অধীনে একটি নতুন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো। সেজন্যই আমরা আন্দোলন করছি।’
পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। একইভাবে আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারা আছেন, তাদের ধর্ম পালনে উপাসনালয়গুলোরও কোনো নিরাপত্তা সরকার দিতে পারছে না। একই সাথে আমাদের যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আছে, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাদেরও এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। সামগ্রিকভাবে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালে যে সাম্প্রদায়িক সমস্যাগুলো তৈরি করা হয়েছে, আপনারাই পত্রপত্রিকায় দেখেছেন এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা? নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। আজকেও পত্রিকায় এসেছে যে রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত। এটা খুবই পরিষ্কার, যেহেতু সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই, যেহেতু জনগণের ভোট তারা পায় না, এজন্য জনগণের দৃষ্টিটাকে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার থেকে সরানোর জন্য তারা (সরকার) এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারসহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
আ’লীগের অধীনে কোন নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি না: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আর আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি না। এদেশের মানুষ ভালো করেই জানে যে আওয়ামী লীগের অধীনে যদি কোন নির্বাচন হয় তাহলে সে নির্বাচন কোন দিনই সুষ্ঠু, আবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ড্রাইভার্ড করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর নোয়াখালী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের এজেন্সির মাধ্যমে। আবার এসব ঘটনায় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের সামনে অনেক বিপদ। মানুষ এখন সময় অতিবাহিত করছে। এ সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু গণতন্ত্র তারা বিশ্বাস করে না, তারা সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মোড়ক দিয়ে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণআন্দোলন যারা করতে চান, অভ্যুত্থান যারা করতে চান সংগ্রাম করে, বিপ্লব করে যারা বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চান তাদেরকে অবশ্যই সতিকার অর্থে সাচ্চা সৈনিক তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে আর্দশ থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা এবং সেনাপতির নির্দেশ মানার বোধ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির এই কেন্দ্রিয় নেতা বলেন, এই স্বৈরাচারী বিএনপি'র শুধু ওয়ার্ড কমিটির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে নয়, ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মামলা। ইলিয়াস আলী, নুরুল আলম ৫শ’র অধিক মানুষ গুম হয়ে গেছে। এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে আমার দুর্ভাগ্য আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচারকে হারাতে পারেনি। সে জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সকল নেতারা অতি দ্রুত সংগঠনকে সংগঠিত করছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সচিব সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড. মুফিজুল হক ভূইয়া, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার চোরাগলি খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ইসি গঠিত হতে যাচ্ছে: বিএনপি
খালেদাকে ধীরে ধীরে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: আব্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার বিদেশ যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন আমাদের নেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং প্রকৃত ঘটনাও তাই। কিন্তু এই সরকার তাঁকে এ সুযোগ দেবে না কারণ তাদের লক্ষ্য হলো তাঁকে ধীরে ধীরে হত্যা করা।’
সরকার খালেদাকে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে কারাগারে রেখেছে এবং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
গত মঙ্গলবার জ্বর ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বাংলাদেশে খালেদার চিকিৎসা করানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ তার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার তার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হবে না। তাকে বাড়িতে থাকতে হবে এবং সেখানে চিকিৎসা নিতে হবে। একই শর্তে তাকে আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দু’বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে, একজন দণ্ডিত ব্যক্তির এমন সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ সময় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন গর্হিত মন্তব্য করায় সরকার দলীয় নেতাদের সমালোচনা করেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্বাস। জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন: ফখরুল
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া