মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
কুমিল্লার ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের একটি মহলের ইঙ্গিতে ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে।’
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন মির্জা ফখরুল।
সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই দিনের সফরে সকালে চট্টগ্রাম আসেন। আগামীকাল শনিবার বিকালে তিনি মহানগর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমাদের সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সব সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে সরকারের সংকটগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকালকেও এই বিষয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহিৃত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানায়িছি।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
চিকিৎসার জন্য খালেদার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন: ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তাঁর জামিন নিশ্চিত করে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির কার্যালয়ে বিএনপি নেতা আফসার আহমেদ সিদ্দিকির ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি (খালেদা) যে সব রোগে ভুগছেন সেগুলোর সম্পূর্ণ চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। তাঁকে এমন একটি বহুমুখী হাসপাতালে নেয়া দরকার যেখানে সব রোগ এক সঙ্গে চিকিৎসা করানো যায়।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরাও এক আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন যে বাংলাদেশে এমন কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে তাঁর (খালেদা) সব রোগের চিকিৎসা এক সঙ্গে করতে পারবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি আপনাদের কাছ থেকে দয়া চাইছেন না। তিনি জামিন প্রাপ্য, সেটা নিশ্চিত করুন। এ ধরনের মামলায় সবাই জামিন পান। আমি জানি কেউ বাকি থাকে না। তাহলে কেন আপনারা তাঁকে জামিন দিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
ই-কমার্সের নামে অনলাইন ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ই-কমার্সের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ই-কমার্সে কারা লুটপাটকারী? কারা তাদের প্রশয় ও নিরাপত্তা দিচ্ছে? ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এর সঙ্গে জড়িত।’
বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বিএনপি নেতা আফসার আহমেদ সিদ্দিকির ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এমনকি ব্যাংক খাতও ঝুঁকিতে রয়েছে। আপনি যদি ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে বাস্তব চিত্র সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আমার এক বড় অর্থনীতিবিদ বন্ধু আছে। তিনি এ ব্যবস্থা ভালোভাবে জানেন। তিনি বলেছেন, যারা ব্যাংকে টাকা রেখেছে কিংবা ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেননা সব ব্যাংকই দেউলিয়ার সম্মুখীন।’
ব্যাংকের পরিচালকরা আওয়ামী লীগের লোক উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের লোক ছাড়া কেউ ব্যাংক থেকে ঋণ পায় না বলেও অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ইসি গঠিত হতে যাচ্ছে: বিএনপি
সার্চ কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি বলেছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার কেবল কমিশনে তার পছন্দের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারা এখন সার্চ কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে এত কথা বলছে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এই সার্চ কমিটি গঠিত হবে? বতর্মানে যে পরিস্থিতি, তাতে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নিয়ে তারা সার্চ কমিটি গঠন করতে চাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে এবং ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মানসিক রোগে আক্রান্ত-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ফখরুল। তিনি বলেন,‘তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, নির্বাচন কমিশনার সত্যি কথা বলায় তারা এখন বিভিন্ন মন্তব্য করে বেড়াচ্ছে। তারা বলছেন নির্বাচন কমিশনার নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ! আমি বলছি, সরকার মানসিকভাবে অসুস্থ।’
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মানুষের সামনে আসতে ভয় পায়। তাই তারা সব কাজ ভার্চুয়ালি করে। তিনি বলেন,আপনারা বাড়ির বাইরে আসেন না। ঘরে বসে এত কথা বলেন, কই আপনাদের কোনও নেতাকে তো বাইরে আসতে দেখিনা। আপনারা কেউ গণভবনে বসে, আবার অন্য মন্ত্রীরা নিজেদের বাড়িতে বসেই সবকিছু ভার্চুয়ালি করেন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা বাইরে আসেন, মানুষের সাথে কথা বলে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা জানার চেষ্টা করে দেখেন। তিনি বলেন,‘আপনারা নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচনের আয়োজন করেন আর মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেন, তাহলেই আপনারা নিজেদের দলের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন। আপনারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন,আগামী নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে, এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন,দেশটা এখন আমলারাই চালাচ্ছে। তারা এখন আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান হয়ে গেছেন।
এখন কোথায় আওয়ামী লীগ আছে? সবখানেই এখন আমলালীগ। আপনি যেখানেই যাবেন, দেখবেন ডিসি, এসপি এবং ওসি বড় ক্ষমতার অধিকারী। তারা তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) চেয়েও বড়। তারা নিজেরাই বলে যে মাছের রাজা ইলিশ এবং দেশের রাজা পুলিশ।
ফখরুল বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি কৃষক দলের নেতাকর্মীদের তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আসন্ন আন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ফখরুল আরও বলেন,‘যারা নতুন নেতৃত্বে এসেছেন তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা আশা করি কৃষক দল সত্যিই গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হবে। কৃষক দলকে পুনরুজ্জীবিত করুন এবং এই খারাপ সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছান, যাতে আমরা বর্তমান দানবীয় শাসন অপসারণ করতে পারি এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
তিনি কৃষক দলের নবগঠিত আংশিক কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
১৯৯০ ও ২০২১ সালের প্রেক্ষাপট এক নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘৯০’র গণঅভ্যুত্থানের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করার বিএনপির যে পরিকল্পনা সেটি দিবাস্বপ্ন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯০ ও ২০২১ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। তাই ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান করে সরকার পতনের পরিকল্পনা বিএনপির দিবাস্বপ্ন।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সরকার পতনের জন্য ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান করতে শিক্ষার্থী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
ফখরুল বলেন, ‘১৯৯০ এর দশকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনগণ তৎকালীন স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করেছিল। আমদের নেত্রী খালেদা জিয়া সেটার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমাদের আবার সে ধরনের আরেকটি গণ জাগরণ প্রয়োজন।’
‘এ সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না’ মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের সময় নির্ধারণের উনি কে?’
ওবায়দুল কাদের জানান, দেশের সংবিধান ও মানুষ সরকারকে সময় প্রদান করেছে এবং ক্ষমতার মালিক আল্লাহ ও দেশের ভোটাররা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবকে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশের জায়গা উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপি প্রেসক্লাবকে রাজনৈতিক প্লাটফর্মে পরিণত করেছে।
প্রেস ক্লাবের ভেতর বিএনপি সমাবেশ করে যা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেছেন সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অরাজকতা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন: ওবায়দুল কাদের
দুদককে সড়ক মন্ত্রণালয়েও তদন্তের আহ্বান কাদেরের
সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারকে উৎখাত করতে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের জন্য সব বিরোধী দল এবং পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি দানবীয় শক্তি আমাদের সবকিছুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রকৃত অর্থে এটি একটি একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য নিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে রবিবার শাটো নাগরিক কমিটির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন। প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান গত ২০ আগস্ট করোনায় মারা গেছেন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উপহার দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। শুধু বিএনপি এবং বিরোধী দলকেই নয়, সবাইকেই এতে যোগ দিতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘সুশীল সমাজের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল পেশার মানুষ সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। সুতরাং, সবাইকে একটি জোটের অধীনে রাস্তায় নামতে হবে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর সকালে বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়। তারা (জেসিডি কর্মীরা) তাদের এক সহকর্মীর মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশসহ ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের ওপর নির্মমভাবে হামলা করে এবং নির্যাতন করে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের ভয়ে সরকার স্কুল, কলেজ বন্ধ রেখেছে: বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।তারা (পুলিশ) ১৮৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।এতে আমান উল্লাহ আমান এবং আমিনুল হকসহ আমাদের ৭২ জন নেতাকর্মী আহত হন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার বিরোধী ও অসন্তোষীদের দমন করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমি সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
জিয়া ও খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত: ফখরুল
আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কারণ দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দলের পক্ষে এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে কখনো বিশ্বাস করে না। তারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বাহক মনে করে, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতাসীন দল জাতির সকল আশা -আকাঙ্ক্ষাকে তছনছ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্রের জন্য জনগণ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে?’
বুধবার ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) এখন ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানকে ছিন্ন করে ছদ্মবেশে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালেও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জিয়ার কবরের প্রবেশ পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের কিছু নেতাকে কবর প্রাঙ্গণে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
ফখরুল অভিযোগ করেন যে ১৯৭২ সালের পর অনেক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা এখন জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মতো একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা 'পুনরুদ্ধার' করার পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের জিয়ার কবরে যেতে পুলিশের বাধার নিন্দা জানান।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দল যুদ্ধক্ষেত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। দুর্ভাগ্যবশত, এখানে আসা অতি পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর প্রাঙ্গণে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত, বিএনপিরই পায়ের তলায় মাটি নেই।’
রবিবার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। জনগণের সমর্থন নিয়ে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং কি ফলাফল হয়েছে সেটি আপনারা জানেন এবং দেখছেন, বিএনপি প্রধান বিরোধী দলের আসনেও বসতে পারে নাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিধায়ই বিএনপি’র ফখরুল সাহেবের কথাবার্তা ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো। কথা বলার মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।’
‘সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে’ বিএনপি’র এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা কখনো লেলিয়ে দেইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির কারো ব্যক্তিগত অপরাধ বা ব্যক্তিগত নৈতিক স্খলনের কারণে বা ফৌজদারি অপরাধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, বিএনপি সেটিকেও রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করে, যা কখনো সমীচীন নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
এসময় বরিশালের বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বরিশালের বিষয়টা একান্ত স্থানীয়। সেখানে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
পরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপির উন্মেষ হত্যার মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের উত্থান হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতি আগে বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির পিতার হত্যার প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্নকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে একযোগ কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে রাখা ভুল হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে রাখা ভুল হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে রাখা ভুল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক জামিনা না পাওয়া সত্ত্বেও বা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তাকে যে মহানুভবতা দেখিয়ে কারগারের বাইরে রাখা হয়েছে মনে হয় সেটি ভুল হচ্ছে আমাদের। এখন সেটি আবার পুর্নবিবেচনা করতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী আবার জেলখানায় ফিরিয়ে দেয়া হবে কিনা সেটি একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে।’
সোমবার (৫ জুলাই) সচিবলয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুজন নেতার পদত্যাগ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল পলায়ন নিয়ে কথা বলেছিলেন। যেভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুজন পদত্যাগ করলেন, এতে মনে হচ্ছে বিএনপি থেকে এখন পলায়ন শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বহতা নদীর মত বলতেন, বিএনপি একসময় বহতা নদীর মতোই ছিল। যে নদী এখন শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে।’
আরও পড়ুন: জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিউ-মিডিয়াবান্ধব হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যগত কারণে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা হলেন কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিয়া ও মেজর (অব.) হানিফ। সোমবার তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিয়া বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং মেজর (অব.) হানিফদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সম্বোধন করে পদত্যাগপত্রে শাহজাহান বলেছেন, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি প্রাথমিক সদস্যপদসহ বিএনপির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার পদত্যাগপত্রের একটি অনুলিপি গণমাধ্যমেও পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে দুর্নীতি জীবনকে মূল্যহীন করে তুলেছে: বিএনপি
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির আরেক নেতা হানিফ জানান, তিনি শাহজাহানকে সাথে নিয়ে সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।তিনি বলেন, তিনি দল ত্যাগের সিদ্ধান্তের পিছনে ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যগত কারণগুলি উল্লেখ করেছেন।
তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, এ বিষয়ে তিনি শুনেছেন। কিন্তুপদত্যাগপত্রগুলিদলেরভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে দেয়া হয়েছে বলে আমি দেখিনি।
আরও পড়ুন: বাজেটে দরিদ্র ও বেকাররা ব্যাপকভাবে অবহেলিত: বিএনপি
দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, শীর্ষ দলীয় নেতৃত্বের সাথে মতবিরোধের কারণে এবং সঠিকভাবে মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে এই দুই নেতা দলত্যাগ করেছেন।
অতীতে বিভিন্ন সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খানসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপি ত্যাগ করেছেন।